#শ্যামাকন্যাতে_আসক্ত
৩
#লেখনীতেঃহৃদিতা_ইসলাম_কথা
–তুই ঠকে গেছিস মা!খুব বাজে ভাবে ঠকে গেছিস ও তোকে ঠকিয়েছে।বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমাদের সাথে।
বলেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
পৃথা অবাক চোখে মাকে দেখছে।কি বলছে তার মা ঠকে গেছে মানে? কে ঠকিয়েছে? কে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে? ভয় করছে তার খুব ভয় করছে আবারো কোন অঘটন ঘটতে চলেছে নাকি।কিসের ই বা অঘটন ঘটতে বাকি আছে যা ঘটার তাতো ঘটেই গেছে।এসব নানান চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে পৃথার মাথায়।
এবার সে ভয়ার্ত কন্ঠে বলে উঠলো,
— কে ঠকিয়েছে মা?
— তনয়। তনয় তোকে ঠকিয়েছে। এতদিন এত ভালোমানুষ সেজে নাটক করছিল শুধু আমাদের সম্পত্তির মালিক হতে।তাই ও তোর সাথে ভালোবাসার নাটক করেছিল।
এসব কথা কর্নকুহুরে পৌছুতেই যেন থম মেরে গেল পৃথা।মাথা ফাকা ফাকা লাগছে তার ।চার পাশটা কেমন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসছে।শ্বাস আটকে আসছে বুকের ভিতর তোলপাড় হচ্ছে।পৃথা মানতে চায় নি এটা যে তনয় তাকে ধোকা দিয়েছে। তার পরিবারকে এখানে দেখে সামলে নিয়েছিল নিজেকে। কিন্তু এটা সত্যি হয়ে গেল।মাকে সে অবিশ্বাস করে না করবেও না।তনয়ের আচরনে সবটা স্পষ্ট হলেও মন মানতে চাইছিলো না।এখন না মেনেও উপায় নেই।ভালোবাসার মানুষটির কাছে প্রতারিত হওয়ার চেয়ে বেশি কষ্টের হয়তো আর কিছু নেই।যাকে আপনি মন প্রান দিয়ে ভালোবাসেন সে যখন আপনাকে ঠকায় তখন সবকিছু শেষ হয়ে যায়।সব স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্খা, ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।জীবনটা যেন রঙহীন হয়ে যায়।সব রঙ মুহুর্তেই হারিয়ে যায়।পৃথা নিরবে কাদছে অশ্রুবিসর্জন করছে।একদম পাথর হয়ে আছে। মুখে কোন কথা নেই তার। যেন একটা প্রানহীন মুর্তি সে।সত্যি বড়বড় আঘাতগুলো এমনই হয়।
কান্না ভেজা চোখে করুন স্বরে বলে উঠলো পৃথার মা।মেয়ের অবস্থা বুঝতে পেরে মেয়েকে কাছে টেনে নিলেন তিনি।বুকের মাঝে মাথাটা চেপে চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন তিনি।
আজ যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে তনয়ের বাড়িতে ট্রেনের টিকিটের জন্য যায় তখন দরজায় পৌছুতেই শুনতে পায় তনডের কথপোকথন। সে ফোনে কাউকে বলছে,
— জান তুমি চিন্তা করোনা।আমি লটারি পেয়েছি। ওই পৃথাকে অর্ন খানের হাতে তুলে দিলে সে আমাকে দশ কোটি দিবে।তাইতো ওর এক কথায় আমি রাজি হয়ে যাই।এখন শুধু তুমি আর আমি।আমরা খুব জলদি বিয়ে করে নিব।টাকাটা হাতে পেলেই আমি তোমার কাছে চলে আসবো।ভেবেছিলাম পৃথার বাপটা যখন মরেছে ওদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিব।কিন্তু এখন তো আর তা করা লাগবে না।অর্ন খান দো মালদার লোক ওর কাছে দশ কোটি কিছুই না।আর তাছাড়া অর্নর যখন পৃথার উপর নজর পড়েছে ও ওকে ছাড়বে না আর ওই মেয়ের জন্য আমি কেনো মরতে যাবো।আমি তো আগেই পৃথাকে ছেড়ে দিতাম যদি জানতাম অর্নর নজর পড়েছে।নিজের জীবন সবার কাছে প্রিয় তবে ও আমাকে পৃথার জন্য মারতে পারে নি তাই এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নিলাম।বল কেমন দিলাম আমি।পুরোই নো বলে ছক্কা মেরেছি।
বলেই কুটিল হাসতে লাগলো সে।আর ওদিকে রাগে শরীর কাপছে পৃথার মার। প্রথম কথাগুলো মুনে বেশ আশ্চর্য হলেও পরবর্তীতে তার রাগ উঠে যায়।স্বাভাবিক ব্যাপার যেকোন মা ই তার মেয়ের সাথে প্রতারনা সহ্য করবে না।পৃথার মা কিছু বলতে যাওয়ার জন্য একপা বাড়াতেই কেউ পিছন থেকে তার মুখে রুমাল চেপে ধরলো।জ্ঞান হারালেন তিনি।তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো আর পৃথার দাদি আর ছোট্ট ভাইকেও সরিয়ে নেওয়া হলো।
মেয়েকে সামলাচ্ছে পূর্নিমা বেগম।তারও মানতে কষ্ট হচ্ছে সত্যিটা। যে ছেলের বাবা মা মারা যাবার পর তারা সে ছেলেকে। মানুষ করেছে আর আজ সে তাদের এত বড় ধোকা দিল।টাকার বিনিময়ে তার মেয়েকে একটা পশুর সমতুল্য মানুষের হাতে তুলে দিল।ভাবতেই না চাইতে অবাধ্য অশ্রুকনা ঝড়ে পড়ছে।তবে যাই হোক সে তার মেয়েকে ঠকতে দেবে না।কিন্তু কি করবে সে মেয়েটার জীবনটা যে নরকে পরিনত হয়েছে এইরকম একটা জঘন্য ছেলের সাথে তার মেয়ের জীবনটা না জড়ালেও তো পারতো।বিধাতা তাদের কিসের শাস্তি দিচ্ছে। দুবছর আড়ে স্বামীকে হারিয়েছে। আর আজ তাদের মাথার উপর ভরসার কোন হাত নেই।কি করবে সে? অসুস্থ শাশুড়ী ছোট ছেলে আর যুবতী মেয়ে।কলেজের প্রফেসর হওয়াতে সংসার চালাতে সমস্যা হয় নি।সবটা আড়লে রেখেছে সে কিন্তু আজ সব শেষ হয়ে গেল।আল্লাহ কি তাদের ভাগ্যে এতটা নির্দয়তা লিখেছিল।স্বামীর থাকাকালীন কখনো কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি।সে ঢাল হয়ে আগলে রেখেছে।স্বামীর পর মেয়ের জামাইকে সে ভরসার জায়গাটা দিতে চেয়েছিলেন তিনি।তবে সে তো তার মেয়েকেই আগলে রাখলো না।ঠকালো তাদের সবাইকে। প্রতারক একটা।
পৃথা মাথা তুললো এবার চোখের জল মুছল কিছু বললো না।পৃথার মা বুঝলো যে মেয়েকে সময় দিতে হবে এত বড় সত্যিটা মানতে। তারউপর আজ যা হলো সবকিছু মেয়েটার জীবনটাকে ঝড়ের মত সবটা তছনছ করে চলে গেল।তবে দুর্বল হলে চলবে না নিজেকে সামলাতে হবে তার।সে কোন সাধারন ব্যাক্তির মেয়ে নয়।আজ পরিস্থিতি তাকে হার মানতে বাধ্য করেছে।তবুও সবটা এভাবে ছেড়ে দিলে চলবে।মেয়েকে সময় দিতেই তিনি চলে গেলেন ঘর থেকে আর পৃথা সে একই ভাবে বসে নিঃশব্দে চোখের জল ঝড়াচ্ছে প্রতারক টার জন্য। আজকের পর আর কখনো সে তার জন্য একফোটা জল ঝড়তে দিবে না।
———————————————
সেদিন রাত সেভাবেই পার হলো সবার। কারো চোখে ঘুম ছিল না।ভোরবেলা বেলকনির কাচ ভেদ করে সুর্যের তীর্যক রশ্নি চোখে পরতেই চোখ পিটপিট করলো পৃথার।কপালে ভাজ পড়েছে তার।আবারো খানিকক্ষণ চোখ বন্ধ করে থেকে ধীরে ধীরে চোখ খুললো।আস্তে আস্তে চারপাশ পরিষ্কার হয়ে উঠলো।কাল রাতে অঝোড়ে কান্না করায় চোখ দুটো ভিষন জ্বলছে। চোখমুখ ফুলে উঠেছে চোখের রং লালবর্ন ধারন করেছে।ছোট্ট করে শ্বাস ফেলে ফ্রেশ হতে চলে গেল।চোখেমুখে পানি দিয়ে রুমে আসলো সে।তখনই দরজায় নক করে প্রবেশ করলো মিসেস খান।পৃথার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বললেন,
— গুড মর্নিং।
— মর্নিং।
শুখনো মুখে ছোট্টো করে জবাব দিল পৃথা।ওর মরিন মুখটা দেখে বুকটা ধক করে উঠলো অর্নর মায়ের। এত মিষ্টি একটা মেয়ের সাথে এমনটা না হলেও তো পারতো।তিনি ঘরে ঢুকে স্বাভাবিকভাবেই বললেন,
— চেন্জ করে নাও মা কাল রাত থেকে একই পোশাক পড়ে আছো।চেন্জ করে বেটার ফিল করবে এসব ভারি পোশাক ছেড়ে তোমার পছন্দসই কিছু পড়ে নাও।
–আমি কিছু আনি নি কি পড়বো।
ঝট করে বললো পৃথা।মিসেস খান মুচকি হাসলেন।তারপর বললেন,
— পুরো ক্লোজেট জুড়ে তোমার প্রয়োজনীয় সবকিছু রাখা আছে।যেটা ইচ্ছে হয় পড়ে নাও।ফ্রেশ হয়ে নিচে এসো সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।সবাই আজ একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো।
নিশ্চুপ রইলো পৃথা।শুধু মাথা নাড়লো তবে অবাক লাগছে তার। তার প্রয়োজনীয় সবকিছু কখন এলো এই রুমে যেখানে সে তো বাড়ি থেকে কিছু আনেনি।আর তাছাড়া একদিনের মধ্যে কে করলো এসব কিছু অর্ন।হ্যা অর্নই হবে তা নয়তো কে।যা সাইকো লোকটা সেই করেছে এসব পাগলামি। আর বেশিকিছু ভাবলো না পৃথা।চলে গেল ক্লোজেটর কাছে।ক্লোজেট খুলতেই ওর চোখ ছানাবড়া এতকিছু সব ওর জন্য।তাও আবার এতগুলো করে।শাড়ি আছে প্রায় পঞ্চাশটার মত,সালোয়ার কামিজ আছে প্রায় ত্রিশটার মত,গাউন আছে প্রায় চল্লিশ কি পয়তাল্লিশটা হবে।আর কসমেটিকস থেকে শুরু করে অনেক জুতা আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও আছে।এসব দেখে বিরক্ত হলো পৃথা।পাজি বজ্জাত লোক একটা।কি প্রমান করতে চান উনি এসব করে? আমাকে কতটা ভালোবাসে তার পররমান দিতে চাইছে নাকি শুধু ওর জেদ দেখাচ্ছে। নাকি সবটাই শো অফ।একবার ভালোবাসার কাছে ঠকেছে। তাই ওই শব্দটার প্রতি ঘৃনা জন্মেছে ওর।ওর জীবনে কোন জায়গা নেই ভালোবাসার কারোর জন্য না।সবাই প্রতারক, ধোঁকাবাজ। কেউ ওকে ভালোবাসেনি। সবাই নিজের মত করে ব্যবহার করেছে।তনয় ওর লক্ষে পৌছুতে আর অর্ন নিজের জেদ বজায় রাখতে।ও আর কিছু না ভেবে একটা গাউন নিয়ে চেঞ্জিং রুমে চেঞ্জ করতে চলে গেল।
শাড়ি ও পড়তে পারে না তাই কখনো পড়ে না।আগে একবার পড়েছিল আর কাল বিয়েতে তাও আবার মেকাপ আর্টিস্ট পড়িয়ে দিয়েছিল আর তার আগে মা তাকে পড়িয়ে দিয়েছিল।
সিড়ি ভেঙে নিচে নামার সময় দেখতে পেল সবাই ডাইনিং এ বসা। মা ভাই সাথে অর্নর বাবাও আছে আর অর্নর মা সার্ভেন্টদের সব বলে দিচ্ছে।অর্নর বাবা ওর মায়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে।কিন্তু তিনি এত সন্তুষ্ট নন।তার মেয়ের জীবনে এভাবে ঝড় তুলে যতই আদর যত্ন করিক সে সেটা মানতে পারবে না।মুখে মলিন হাসি বিদ্যমান মায়ের।ওর মা কাল রাতে চলে যেতে চাইলেই জোর করে আটকে দেয় অর্নর মা। বলে যে মেয়েটা এভাবে ভেঙে পড়েছে আপনাকে পাশে প্রয়োজন। তাই কাল থেকে যায়।সকালের নাস্তা করার ইচ্ছে না থাকলেও অনেক অনুরোধ করে এখানে আনা হয়েছে তাকে।কালকেও তাদের কম আদর যত্ন করা হয় নি।কিন্তু তারা সেসব গ্রহন করেন নি।ইচ্ছুক নন তাই করেননি। কারন কিছুই স্বাভাবিক নয়।
ডাইনিং টেবিলের কাছে আসতেই অর্নর বাবা মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে বলে উঠলেন,
— গুড মর্নিং মা।আয় আমার কাছে এসে বস। ভালো করে দেখি তোকে এত কাজের চাপে তোর সাথে তো দেখা আর কথা হলোই না।জানিস তুই তোকে দোখতে ঠিক আমার মায়ের মত।তাই তোকে আমি মা বলে ডাকবো।তুই রাগ করবি নাতো।
সবার এমন স্বাভাবিক ব্যবহার দেখে খানিকটা আশ্চর্য হলো পৃথা।তার ছাপ তার মুখপানে স্পষ্ট। সবাই ওর সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করার চেষ্টা করছে কেন? এতকিছুর পরও এটার উত্তর খুজে পাচ্ছে না সে আর না খুজতে চাইছে।মুখে মেকি হাসি নিয়ে মাথা এদিক ওদিক ঘুরালো তবে মুখে কিছু বললো না।ওর মাথা ঘুরানোর মানে হলো সে কিছু মনে করবে না।
ডাইনিং এ সবাই থাকলেও অর্ন ছিল না। সবকিছুর মাঝে এই বিষয়টা নজর এড়াইনি ওর।যতই হোক তার সাথেই তো জীবনটা জুড়ে গেছে।কিন্তু কোনদিনও তাকে ভালোবাসবে না সে।তার জন্য শুধু ঘৃনাটাই বরাদ্দ। ভালোবাসা পেতে চাইলে তার যোগ্য হতে হয়।অর্ন ভালোবাসার যোগ্য কখনোই ছিল না আর না তনয় সে ভুল করেছিল।তনয় ওর ভুল ছিল যাকে সে জীবন থেকে মুছে দিছে কাল রাতের পর।এখন তার জীবনে তনয়ের জায়গা নেই।বাধ্য হয়ে অর্নর কাছে থাকতে হলেও তার ধারনা কখনো পরিবর্তন হবে না সে আত্মবিশ্বাস আছে পৃথার।হঠাৎ দাদির বিষয়টি খেয়াল হলো তার সে কোথায়?
পৃথার মুখে চিন্তার ভাজ দেখে বুঝলো অর্নর বাবা যে কি নিয়ে চিন্তিত তাই তিনি বললেন,
–চিন্তা করিস না মা মামনিকে খাবার খাইয়ে ওষুধ দিয়ে দিয়েছে তোমার শাশুড়ী মা।তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন।
কিছু বললো না পৃথা চুপচাপ ব্রেকফাস্ট করে নিজের রুমে চলে এলো।
—————————————————-
সকালের ব্রেকফাস্ট আর মাকে বিদায় দেওয়ার পর সে সেই যে রুমে ঢুকেছে দুপুরে অনেক ডাকাডাকি করলেও খেতে যাইনি সে।ইচ্ছে করেনি তার।তাই বারন করে দিয়েছে। শাশুড়ি মা চেয়েও কিছু বলদে পারেনি।জোর করার অধিকার তাদের নেই সেটা এখনো দেয় নি পৃথা।
বেলকনিতে বসে রাতের আকাশ দেখছে পৃথা।রাত প্রায় আটটার কাছাকাছি। রাতের তারা ভরা জ্বলজ্বল করা আসমানে গোল চাঁদার মত একটা উজ্জ্বল চাঁদ চারদিকে তার আলোর ছড়াছড়ি করছে।তার মাঝে ডিভানে বসে একমনে আকাশের তারা দেখছে পৃথা।হুট করে কোথা থেকে উদয় হলো অর্ন।এসেই হাত টেনে দাড় করালো পৃথাকে।সবকিছু হঠাৎ করে হওয়াতে বেশ চমকে গেছে পৃথা।হঠাৎ আক্রমণে হতভম্ব সে।চোখেমুখে রাগের আভাস ফুটে উঠেছে।রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আছে অর্নর।সে হাতের বাহু একটু শক্ত করেই চেপে ধরেছে কিন্তু তাতে ব্যথা অনুভব হচ্ছে না পৃথার। হয়তো মনের ব্যাথাটা এর থেকে দ্বিগুণ বলে।অর্ন রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
— লান্চ করোনি কেন?খাবার কি দোষ করেছে? যত রাগ সব তো আমার উপর তাহলে সেটা খাবারের উপর কেন দেখাচ্ছো? সে অনুমতি দেয় নি আমি তোমায়? তুমি তোমার মর্জিতে সব ক তে পারবে না।আজকের পর তো নাই।আমার মত করেই চলতে হবে তোমায়।বুঝতে পেরেছ তুমি।
শেষের কথাগুলো একটু জোরেই বললো অর্ন।তবে পৃথার হেলদোল নেই।সে সেভাবেই দাঁড়িয়ে। অর্নর রাগী চোখমুখ দেখেও তার মাঝে কোন পরিবর্তন নেই।বরং আরো বেশি ভালো লাগছে। মনের কোথাও শান্তি পাচ্ছে সে।কারন তার জন্য অর্ন বিরক্ত তাই।ওকে এতটা চিন্তিত হতে আর রেগে যেতে দেখতে বেশ লাগছে পৃথার।তাকে এভাবেই শাস্তি দিবে সে।তার জীবনটা ছাড়খাড় করে দিয়েছে শাস্তি না দিলে তার মন শান্ত হবে না।
#চলবে……