🌸#হৃদয়ের_প্রতিশ্রুতি🌸
#লেখিকাঃআদিলা
#পর্বঃ১২
_________________________🌸
ইয়ামিনা বেসামাল ভাবে সামনের দিকে ছুটে চলছে। আশেপাশে কোনো কিছুর হুস তার নেই। গায়ের ওরনাটা গায়ে ঠিক ভাবে নেই অনেকটা সরে গেছে।সমস্ত শরীর ঘামে ভিজে ইয়ামানার শরীরের সাথে লেপ্টে গেছে।কপাল বেয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরচ্ছে। ইয়ামিনা অস্থির ভাবে মেইন দরজার দিকে ছুটছে। কিন্তু শেষ রক্ষাটুকু হলো না। পিছন থেকে খপ করে কেউ ইয়ামিনার চুলের মুঠি ধরে টান মারে। ইয়ামিনা ব্যাথায় আহহহ করে উঠে।
কিরে কই পাল্লাচ্ছিস৷ এতই সহজ পালানো আমার কাছ থেকে। আজকের এই দিনটির জন্য কত ঝল্পনা কল্পনা করে রেখেছি তোকে একরাতের জন্য নিজের করে পাওয়ার। এক রাতের জন্য হলেও তোকে চাই আমার। বলেই ইয়ামিনার গায়ের থেকে ওরনা ছুড়ে মারে৷
ইয়ামিনা চুল থেকে লোকটার হাত ছাড়াতে কিল ঘুষি খামচি যা পারচ্ছে দিয়ে চলচ্ছে। ছাড় আমাকে জানোয়ার কথাকার৷ তোদের মত কাপুরষরাই এসব পারে তোদের মত কুলাঙ্গার যে নারীদের পেট থেকে জন্ম নেয় বলতে আমার ঘেন্না হয়। ছাড় জানোয়ার।
ইয়ামিনা নিজেকে ছাড়ানোর যথা সম্ভব চেষ্টা করচ্ছে।
কিরে মুখে এত খই কিভাবে আসে তোর।।আজ তোর এমন অবস্থা করবো না। বলার জন্যে এই মুখ তোর থাকবে না। এই শরীর আর শরীর থাকবে না। বকেই লোকটা বিশ্রী ভাবে হেসে উঠে।ইয়ামিনা নিজেকে ছাড়ানোর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করচ্ছে।
ইয়ামিনা হাপিয়ে উঠেছে।চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়চ্ছে। চোখ দুটো লাল হয়ে ফুলে উঠেছে। ধস্তাধস্তি কারনের ইয়ামিনা জামার হাতা ছিড়ে গিয়ে হাত ছিলে সেখান থেকে রক্ত বেয়ে পরচ্ছে সাদা হাতে রক্ত জমাট বেধে কালশিটে দাগ পড়ে গেছে।
একপর্যায়ে ইয়ামিনা না পেরে আকুতি করে উঠে প্লিজ রুহান ভাইয়া আপনি তো আমার ভাইয়ের মত আমার এত বড় সর্বনাশ করেন না। ভাইয়া প্লিজ আমি আপনার কাছে হাত জোড় করে বলচ্ছি।
রুহায় উচ্চস্বরে বাজে ভাবে হেসে উঠে… কিসের ভাই হ্যা। একটু আগে তো ঠিকি তেজ দেখাচ্ছিলি।কান খুলে শুনে রাখ আজ এক রাতের জন্যে হলেও তো বলার আগে কেউ রুহানের মাথায় ফুলদানি ছুড়ে মারে।বেশ জোরে মারার কারনে রুহানের হাত আলগা হয়ে আসে। এই সুযোগে ইয়ামিনা রুহান নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দেয়। বেসামাল ভাবে ধাক্কা লাগার কারনে রুহান মাটিতে পড়ে যায়। মাথার পিছনে হাত দিয়ে দেখে রক্ত।
পিছন থেকে আমিরের জোড়ে চিৎকারে রুহান পিছন ফিরে তাকায়….
আমির পিলার ধরে কোনো রকম দাড়িয়ে আছে… রাগে আমিরের চেহারায় হিংস্রত্ব ধারন করেছে। চোখ গুলো লাল হয়ে ভয়ংকর ভাবে ফুলে আছে। সাদা পাঞ্জাবিতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। পা ছিলে গিয়ে রক্ত পড়ে ফ্লোর ভেসে গেছে। আমিরের সেদিকে খেয়ালি নেয়…..
কিছুক্ষন আগে…….
আমির বারান্দায় বসে আছে। চিন্তায় আমিরের মাথা ধরে গেছে। ইচ্ছে করচ্ছে হাতের কাছে যা পায় সব ছুড়ে ভেঙে ফেলতে। আমির নিজের চুল টেনে ধরে মাথা নিচু করে আছে।দিহানের কথা গুলো আমিরের কানে বাজচ্ছে।
ইয়ামিনা আমিরের পিছনে এসে দাড়ায়। আমিরের ঘাড়ে হাত রাখতে আমির ইয়ামিনার দিকে মাথা তুলে তাকায়। আমিরের চাহনিতে আকুতি দেখতে পায় কিন্তু কিসের সেটা ইয়ামিনার জানা নেই। চোখাচোখি হতে ইয়ামিনা চোখ সরিয়ে নেয়।
কি হলো আপনার শরীর খারাপ করচ্ছে।
আমির একখনো ইয়ামিনার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি হয়েছে সকাল ধরে আপনাকে চিন্তিত দেখাচ্ছে। কি হয়েছে কি আমাকে বলবেন….
আমির সামনের দিকে তাকিয়ে বলে…আমার মাথাটা ধরে আছে মাথাটা একটু চুল গুলো টেনে দিবে.. আমির চোখটা বন্ধ করে নেয়।
ইয়ামিনা আমিরের পেছনে দাড়িয়ে মাথা আলতো করে চুল গুলো টেনে দিচ্ছে। বেশ কিছুক্ষনপর আমির চোখ খুলে তাকায় গম্ভীর গলা বলে…
আমি সুস্থ হয়ে গেলে কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে… সত্যি কি চলে যাবে..
হটাৎ এমন কথা ইয়ামিনার হাত আমিরের মাথা থেকে সড়িয়ে নেয়। ইয়ামিয়া বেশ ইতস্তত বোধ করচ্ছে এমন কথায়।ইয়ামিনা কথা ঘুরানোর জন্য বলে..আ..আপনি এখনে থাকুন আমি কফি বানিয়ে নিয়ে আসচ্ছি। খেলে কিছুটা ভাল লাগবে বলে ইয়ামিনা চলে যেতে নিলে ইয়ামিনা হাতে টান খেয়ে
পিছন ফিরে তাকায়।ইয়ামিনার হাত ধরে রেখেছে আমির।
প্লিজ আমি শুনতে চায়…
ইয়ামিনার শ্বাসের গতি বেসামাল ভাবে উঠানামা করচ্ছে আর কিছু না বলে ইয়ামিনা আমিরের হাত ছাড়িয়ে রুম থেকে বের হয় কিচেনে চলে যায়।।
ইয়ামিনা হাত দিয়ে চুলে খোপা বেধে ভাল করে মাথায় গোমটা দিয়ে নেয়। কিচেনে গিয়ে চুলোয় কফির পানি বসায়… বাসায় বলতে গেলে কেউ নেই। জাফরা ভাবির মা অসুস্থর কারনে ভাবি কাল বিকেলে ভাইয়ার সাথে মার বাসায় চলে গেছে। আসতে আসতে রাত হবে। ভার্সিটিতে থেকে টুরে নিয়ে যাবে যার কারনে আরুশি সকাল সকালই চলে কাপড় ব্যাগ গুছিয়ে ভার্সিটিতে চলে গেছে।।।
বাসায় শুধু ইয়ামিনা আর আমিরই আছে।
ইয়ামিনা পানিতে কফি পাউডার মিশাতে কেউ পিছনে ইয়ামিনার গা ঘেষে দাঁড়ায়। এতটাই কাছে দাড়ায় যে ইয়ামিনার কানে লোকটার নিশ্বাসের শব্দ বার বার ধাক্কা খাচ্ছে।লোকটা কোমড়ে হাত রাখতে ইয়ামিনা চমকে পিছন ফিরে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে কয়েক কদম পিছিয়ে পরে।
সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে রুহান ভাইয়া…
ইয়ামিনার কফি মগটা হাত থেকে পড়ে যায়..
আমির রুমে হইল চেয়ারে বসে আছে। আমার প্রশ্নের উত্তর তোমাকে দিতে হবে আমি সত্যি পাগল হয়ে যাবো ইয়ামিনা। এতক্ষন লাগে একটা কফি আনতে আমিরের প্রচন্ড রাগ উঠচ্ছে। হটাৎ কিছু পড়ার আওয়াজে আমির ইয়ামিনাকে ডাক দেয় কোনো সাড়া না পেয়ে আমির নিজেই একহাত দিয়ে চেয়ার ঘুড়িয়ে রুম থেকে বের হয়।
রুহান বাজে হাসি দিয়ে ইয়ামিনার মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকায়….পুরায় রসের দোকান৷।কত দিন ধরে এমন একটা দিনের অপেক্ষা ছিলাম। আজ ফাইনালি। বিয়ের এতদিন হয়ে গেলো ওই আমির তো মনে হয় এখনো তোমাকে সুখ দিতে পারেনি চিন্তা করোনা সুইটহার্ট আমি আজ সারারাত পুষিয়ে দিব। তোমারও তো ইচ্ছে হয় গো….
রুহানের কথা শুনে ইয়ামিনার সাড়া শরীর রিরি করে ওঠে।। মানুষের এত রুপ আছে তা একাকিত্ব না হলে বুঝা যায় না। এই মানুষটাকে আমির ও তার পরিবার কত আপন করে রেখেছে। ইয়ামিনার ভাবতে চোখ ভর্তি জল চোখে থৈ থৈ করচ্ছে৷
ভাইয়া প্লিজ আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করি এমন কিছু বলেন না যাতে সেটাও না থাকে…
রাখ তোর সম্মান আমার তোর শরীর পেলেই হয় বলে ইয়ামিনার দিকে আগাচ্ছে…
রুহহহহহহহহহহানননন..
এমন চিৎকারে রুহান আতকে পিছন ফিরে তাকায়.. রক্ত দু জোড়া চোখ রুহানের দিকে হিংস্র ভাবে চেয়ে আছে। মনে হয় এখনি চোখ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়বে।।
তোর সাহস কিভাবে হলো ওকে এসব বলার। একবার ও চিন্তা করিস নি এর পরিনাম কি হতে পারে।তুই ভুলে গিয়েছিস এই আমির আবরার কি। তোকে নিজের পরিবারের মত আপন করে রেখেছি। নিজের ভাইয়ের মত দেখেছি। আর আজ তুই
রুহান বড় সড় ঢোক গিলে বেয়াহার মত উচ্চ শব্দে হেসে উঠে…. ভাই হাহ!!! ভাই নাকি নিজের সার্ভেন্ট করে রেখেছিস। যখন যা মন চাই আমাকে দিয়ে তাই করাবি। আরে রাখ তোর ভাই চোখের সামনে এমন জিনিস দেখলে কে ঠিক থাকে বল… বাসর করতে পারিস নি তো কি হয়েছে দেখার সাধ তোর মিটিয়ে দেব চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারবি না। এ ভাঙা পা নিয়ে আসতে আসতে আমাদের বাসর হয়ে যাবে বলেই ইয়ামিনার দিকে এগুতেই ইয়ামিনা স্টিলের খুন্তি দিয়ে রুহানের মুখে আঘাত করে দৌড় আমিরে পিছনে আমিরের কাধ খামচ্ছে ধরে দাড়ায়। আমির ইয়ামিনার হাতের উপর হাত রেখে শক্ত করে চেপে ধরে।
দেখ রুহান আমার সাথে যা করার কর ইয়ামিনা গায়ের হাত দিলে তোর হাত আমি কেটে টুকরো টুকরো করে কুকুরদের খাওয়াতে দুবার ভাবব না।
রুহানের যেন আমিরের কথা কানেই গেল না। ইয়ামিনা হাত ধরে সামনে টানতে থেকে। ইয়ামিনা এক হাত দিয়ে আমিরের পাঞ্জাবী ধরে রেখেছে। পাঞ্জাবি ছিড়ে যাচ্ছে তার পর ইয়ামিনা খামচে ধরে রেখেছে।
আমির দুহাত দিয়ে রুহানকে ধাক্কাছে। ছাড় বলছি তোর সাহস কিভাবে হলো ওর গায়ে হাত দেওয়া। রুহান না পেরে দুহাত দিয়ে আমিরকে ধাক্কা দিয়ে ইয়ামিনাকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়া আসে। আমির পরতে পরতে কোনো মতে সামলে রুহানকে টেনে কলার ধরে বসেই মুখে কয়েকটা পাঞ্চকরে রুহানের নাক থেকে রক্ত ঝরচ্ছে পাশ থেকে রুহান ইয়ামিনার হাত এমন ভাবে খামছে ধরেছে নক ইয়ামিনার হাতে একদম গেথে গেছে তারপরও রুহান হাত ছাড়চ্ছে না। ইয়ামিনা প্রানপনভাবে ছাড়ানোর চেষ্টা করচ্ছে। আমির রুহানের গলা চেপে ধরে রুহান না পেরে চুলার ওপর হাত হাতরাতে হাতরাতে ছূড়ি পেয়ে যায়। বেচোটে আমিরের হাতে কয়েকটা ফোস দেয়। আমিরের হাত থেলে গড়গড় করে রক্ত বেয়ে পরচ্ছে।আমির তার পরও রুহানের গলা চেপে ধরে আছে। রুহানের যেন প্রান যায় যায় অবস্থা। আর না পেরে রুহান আমিরে পেটে ছুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করছে ইয়ামিনা বাধা দিতে ইয়ামিনার হাতেও কয়েক ঘা লেগেছে ।
আমিরের হাত আল্গা হয়ে আসতে রুহান স্বজরে একটা কিছু দিয়ে আমিরের মুখে ভারি দেয় আমির চেয়ার ধরে পড়ে যায়। রুহান ইয়ামিনাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমির কোনো মতে চেয়ার ধরে পায়ের উপর ভোর দিয়ে ঝাপটে রুহানের গায়ের কলার ধরে।
রুহান ইয়ামিনাকে ছেড়ে দে ….
আমিরের সাথে রুহানের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেছে আমির কোনো রকম রুহানকে ধরে আছে বার বার পড়ে যাচ্ছে তারপর রুহানের পায়ের সাথে পা পেছিয়ে দাড়িয়ে রুহানকে মেরে চলচ্ছে রুহান ও কম না আমিরকে উপর যা পাচ্ছে তা দিয়ে আঘাত করচ্ছে। আমির চিৎকার দিয়ে ইয়ামিনাকে বলে উঠে…সব সময় তোমাকে বাচানোর জন্য আমি থাকব না নিজেকে নিজে সেফ করো। পালাও এখান থেকে যাওঅঅঅঅঅঅঅঅ
ইয়ামিনার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। আমিরের অবস্থা দেখে ইয়ামিনা আরও কেদে দেয়। কি করবে বুঝতে পারচ্ছে না।ইয়ামিনার হেচকি উঠে গেছে।
আমির শুধু চিৎকার দিয়ে বলেচ্ছে কি হলো যাও আমি ওকে বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারবো। আমার চিন্তা করো না আমার কিছু হবে না নিজেকে বাচাও। সদর দরজা খুলে কাউকে ডাকো যাও আমি বলছি।
হাতের উল্টো পিট দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে ইয়ামিনা সমস্ত শরীরে শক্তি জুগিয়ে উল্টো পথে দৌড় দেয়।
আমির এখনও রুহানের উপর ভোর দিয়ে এলোপাথাড়ি মেরেই চলচ্ছে।
পা গেছে তো গেছে গায়ের তেজ দেখি এখনো আছে তোর রুহান আমিরের পায়ে জোরে লাথি দেয় আমির ঠাস করে মাটিতে পরে যায়। রুহান যেতে নিলে আমির হাত দিয়ে রুহানের পা আটকে ধরে। রুহান পা ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও পারচ্ছে না আমির সমস্ত শক্তি দিয়ে রুহানের পা দুটো ধরে রেখেছে রুহান পাশ থেকে কাচের জগ দিয়ে আমিরের মাথায় জোড়ে আঘাত করে নিমিষেই কাচের জগ ভেঙে ঘুড়ঘুড় হয়ে যায় আমিরকে ধাক্কা দিয়ে রুহান বের হয়ে যায়….
বর্তমান…….
রুহান দেখ তোর যত টাকা লাগে আমি দিব তুই ইয়ামিনাকে ছাড় বলেই আমির এগোতে গেলে ধপাস করে মাটিতে পড়ে যায়।
আমাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছিস। সেটা তো আমি এমনি নিতে পারবো। তোর বউয়ের সাথে বাসর করে ভিডিও ভাইরাল করে বলে রুহান হু হু করে হেসে উঠে।। ইয়ামিনা রুহানের হাতে জোড়ে কামড় দিয়ে পালাতে নিলে রুহান খপ করে ধরে ইয়ামিনাকে দেয়ালের সাথে ধাক্কা দেয়। ইয়ামিনা কোনো মতে মাথা ধরে মাটিতে বসে পড়ে আর পারচ্ছে না দূর থেকে শুধু আমিরের আর্তনাদ দেখে যাচ্ছে ইয়ামিনা। ইয়ামিমার চোখ ঝাপ্সা হয়ে আসচ্ছে। শুধু একটা আওয়াজই কানে বাজচ্ছে… ইয়ামিনা নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে পালাও।
ইয়ায়ামিনাকে আজ যে করে হোক ভোগ করেই ছাড়বে রুহান জেদ যেন মাথায় চেপে বসেছে।
ইয়ামিনা উঠতে নিলেই রুহান ইয়ামিনার চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে রুমের ভেতর নিয়ে যাচ্ছে…
আমির শুধু চিৎকার দিয়ে বলে যাচ্ছে.একবার তোর নাগাল পায় তোকে সেখানে শেষ করে দিবো।. আমিরের মনে হচ্ছে তার কলিজা ছিড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে। চিৎকার করে ইয়ামিনাকে ডাকচ্ছে। ফ্লোরে আমিরের হাতের রক্তের ছাপ লেগে গেছে ।নিজের চোখের সামনে ইয়ামিনাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমির চিৎকার করেই যাচ্ছে বার বার উঠার চেষ্টা করেও আমির পড়ে যাচ্ছে। আজ নিজের অবস্থা দেখে নিজের মনের মধ্যে শুধু হাহা কার আসচ্ছে। রাগে মাটিতে কয়েকটা ঘুষি দেয় আমির। হার মানলে চলবে না তাকে….কিছুতেই ইয়ামিনার ক্ষতি হতে দিবে না আমি থাকতে মনে মনে শুধু আল্লাহকে ডাকচ্ছে।।।
রুহান ইয়ামিনার চুল ধরে একটানে বলেন বিছানার উপর ছিটকে ফেলে… ইয়ামিনার গায়ে যেন বিন্দু পরিমান শক্তিটুকু নেই। চোখ দিয়ে তাকানো ছাড়া। লাল লাল চোখ গুলো আধো আধো খুলে আছে। রুহান একলাফে ইয়ামিনার উপর উঠে বসে। লোলুপ দৃষ্টিতে ইয়ামিনার দিকে তাকিয়ে বলে… তোর সো কল্ড বর মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে।খারাপ লাগচ্ছে কি বা করার বল শুধু দেখা ছাড়া বলে রুহান একটা একটা করে শার্টের বোতাম খুলচ্ছে.. ইয়ামিনা শেষ শক্তি দিয়ে হাত দিয়ে বার বার বাধা দিচ্ছে।
রুহান ইয়ামিনার গলায় মুখ ডুবাতে ধারাম করে দরজায় শব্দ হয় রুহান দরজার দিকে তাকাতেই তার আগে কেউ রুহানের হাত আর পা বরাবর গুলি করে রুহান হুমরি খেয়ে ছিটকে বিছানা থেকে পড়ে যায়.
.
.
.
চলবে…..🌸🌸