“অবুঝ_ছাত্রী part_9

0
1512

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_9

আরে কিছু না তোমার আইসক্রিম খাওয়া দেখতেছি।আর তুমি বাচ্চা দের মতো আইসক্রিম খাচ্ছো তাই এগুলো দেখে হাসতেছি।
ও আমি এভাবেই আইসক্রিম খাই।
তাই নাকি হাহাহাহা।
হুম।
ঠিক আছে খাও।
তারপর শেষ খাওয়া শেষ করে আমাকে বলতেছে স‍্যার আমার খাওয়া শেষ হয়েছে এবার পড়া শুরু করি।
এভাবে পড়বে হাহাহাহা।
হাসেন কেনো স‍্যার।
তোমার মুখে আইসক্রিম লেগে আছে যাও মুখ ধুয়ে আসো।
আমার কথায় মনে হয় একটু লজ্জা পেয়েছে।তারপর সে মুখ ধুয়ে আসলো।
স‍্যার এবার বলেন কোন অংক করবো এবং কতো অধ‍্যায়।
বীজগনীতের অষ্টম অধ‍্যায় বের করো।
ওকে স‍্যার বের করছি এবার আমাকে অংক করতে দেন।
( আমাকে বেশি বুঝাতে হয় না রাফিজাকে কারন ও একটু ভালো ছাত্রী তো তাই।একটু বুঝায় দিলে বুঝে ফেলে )
আগে আমাকে দেও আমি তোমাকে দূইটা অংক বুঝায় দেই তারপর না হয়।তুমি করিও।
ওকে স‍্যার।
তারপর তাকে দুইটা অংক বুঝায় দিলাম।তাকে দুই টা অংক করতে দিলাম।
ওকে স‍্যার।
কিছুক্ষন পরে দেখতেছি ও বলতেছে
স‍্যার এই নেন আমী অংক করে ফেলেছী।

(কি বেপার অংক দিলাম একটু আগে তাতে এতো তারাতারি করে ফেললো।ভাবতেছি )
দেখি খাতাটা,,
এই নেন স‍্যার।(আর মুচকি মুচকি হাসতেছে )
আমি ভাবতেছি ও হাসতেছে কেনো কি হলো আবার।

কি বেপার রাফিজা হাসতেছো কেনো তুমি।
এমনি স‍্যার,আপনি অংক দেখেন।(আবার হাসতেছে )
খাতাটা হাতে নিয়ে অংক দেখে ত আমি অবাক।
কারন অংক না করে লেখেছে
i love you sir,,
এটা দেখে আমি রাগ করবো নাকি হাসবো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।
কি স‍্যার অংক ঠিক হয় নাই।
এটা কি করছো রাফিজা।তোমাকে না বলছি পড়ার সময় কোন ফাসলামি করবে না।অংক করা বাদ দিয়ে এখানে কি লিখছো।
কি লিখেছি স‍্যার।
(এমন ভাব করতেছে মনে হয় জানেই না ও কি লিখছে )

কি লিখছো তুমি জানো না।
না,স‍্যার আপনি একটু পড়ে শুনান তো।
(কি ফাজিল রে ভাই দেখেন দেখি )

I love you লিখছো কেনো।অংক করা বাদ দিয়ে।

স‍্যার আপনি আমাকে আই লাভ ইউ বলেছেন।আপনি আমাকে ভালো বাসেন এটা শিকার করছেন।হেহেহে স‍্যার আমাকে ভালো বাসে।
(ও কথা শুনে আমার তো শেই রাগ উঠতেছে।কিনতু ওর হাসির কাছে আমার রাগ কিছুই না।এমন সুন্দর হাসি ওর বাকা ঠোটের একবারে চমৎকার।ওর হাসি দেখে আমার রাগ যে কই হারায় গেছে আমি নিজেই জানি না।)
রাফিজা বেশি হয়ে যচ্ছে কিন্তু।(ওকে থামানো জন‍্য একটু ধমক দিলাম )
আই লাভ ইউ টু স‍্যার আমিও ভালো বাসি আপনাকে।

আরে আমি কি তোমাকে আই লাভ ইউ বলেছি ওটা তো তোমাকে পড়ে শুনালাম।

না, আপনি আমাকে আই লাভ ইউ বলেছে।একটু আগে।

আরে ওটা তো তুমি লিখছো।
হে কিন্তু আপনি ত আপনার মুখ দিয়ে বলেছেন।
হে বলেছি কিন্তু।
কোন কিন্তু না আপনি আমাকে বলেছেন।আই লাভ ইউ।
আজকে মনে হয় ফেসে গেলাম।কেনো যে লেখাটা পড়তে গেলাম।
কি হলো স‍্যার।
হে আর অনেক ফাসলামি করছো এবার অংক করো।না হলে আন্টিকে বলে দিবো।
বলেন বলেন আমিও বলে দিবো আপনি স‍্যার হয়ে ছাত্রীকে আই লাভ ইউ বলেছেন।
আমাকে ব্লাকমেল করতেছো।
না আমি কি আমার সোনাকে ব্লাকমেল করতে পারি।( আমার দুই গাল টেনে বলতেছে )

আমি কিন্তু আন্টিকে বলে দিবোবববব

তাতেই দরজার কাছ থেকে আন্টি বলতেছে

কি বলে দিবে আমাকে ঈমান।(আন্টি আমাকে ছেলের মতো দেখে তো তাই।ওদের কোন ছেলে নাই তাই )

(এই সুযোগে রাফিজাকে বিয়ে করবো নাকি হাহাহা।মিথ‍্যা বললাম পাঠক বন্ধুরা।আবার বলিয়েন না আন্টিকে আপনারা )
এই সেরেছে কি বলি এখন।
কি হলো বাবা বলো।আর রাফিজা কি বেশি ফাজলামি করতেছে করলে আমাকে বলিও ঠিক আছে (আন্টি )
ঠিক আছে আন্টি।

(পাঠকদের কিছু বলি ভাই আমি গল্প লিখি কষ্ট করে আর আপনারা পড়েন কিনতু কেউ কপি পোস্ট বললে তো কেউ তার প্রতিবাদ করেন না এটাই দুঃখ লাগে।আগের পাটে একজন কপি পোস্ট বলেছে কিন্তু আপনারা কিছুই বলেন নাই।)

মা তুমি এই রূমে কেনো।

এই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলা তো তুই দেখতেছি একটু জোড়ে কথা বলতেছিস তাই চলে আসলাম।আর কি নিয়ে এত জোড়ে কথা বলতেছি।

কিছু না তুমি এখন যাও।আর স‍্যার আমাকে এমন একটা কথা বলছে সেটা শুনে একটু জোড়ে হেসেছি তাই তুমি শুনে আসছো।কি স‍্যার ঠিক বলি নাই।
হুম ঠিককক বলেছো।
কি স‍্যার আপনি ভয় পাচ্ছেন কেনো।
কই ভয় পাচ্ছি।
তাহলে তোতলাচ্ছেন কেনো স‍্যার।
কই।
রাফিজা আমি গেলাম ভালো করে পড় আর স‍্যার এর সাথে ফাজলামি করবি না।
ওকে আম্মু।
তারপর আন্টি চলে গেলো।মনে হচ্ছে আমার প্রান ফিরে পেলাম।এবার ফাজলামি বাদ দিয়ে যেগুলো অংক করতে দিয়েছী ওগুলো করো।
কই ফাজলামি করলাম।ঠিক আছে স‍্যার।

তারপর ও ফাজলামি না করে ভালো মেয়ের মতো অংক গুলো করলো।আমি তাকে পড়ানো শেষ হয়ে ওকে আমি বলতেছি
রাফিজা তাহলে আজকে আমি যাই।
ঠিক আছে স‍্যার জান।
তারপর আমি বাহিরে বার হতে আমাকে অবাক করে দিলো
হঠাৎ করে কে যেনো আমার ঠোটে তার ঠোট দিয়ে চেপে ধরেছে।সেই জন‍্য আমি আবাক।তারপর দেখতেছি এটা আর কেউ না আমার অবুঝ ছাত্রী রাফিজা।প্রায় পাচঁ মিনিট পরে ছাড়লো।আমার তো দম বন্ধ হওয়ার মতো।
তারপর রাফিজা আমাকে ছেড়ে দিয়ে কই যে চলে গেলো মনে হচ্ছে রকেটের গতীতে চলে গেলো।

আমি তো অবাকে উপর অবাক হচ্ছি এটা রাফিজা কি করলো।এগুলো ভাবতেছি আর রূম থেকে বাহির হচ্ছি।

এযে লুচ্ছা মাস্টার পড়া শেষ হলো।

আমি তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটা মানে রাফিজার বড় বোন।কেমন বোন আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি না।

চলবে,,,,,,,?

(ভূল হলে ক্ষমা করবেন।আর গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন আর লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকুন।গল্পটা কি আরো বড় করবো নাকি শেষ করবো বন্ধুরা।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here