“অবুঝ_ছাত্রী part_10

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_iman_islam

#part_10

আমি তো অবাকে উপর অবাক হচ্ছি এটা রাফিজা কি করলো।এগুলো ভাবতেছি আর রূম থেকে বাহির হচ্ছি।

এযে লুচ্ছা মাস্টার পড়া শেষ হলো।

আমি তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটা মানে রাফিজার বড় বোন।কেমন বোন আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি না।
কি হলো লুচ্ছা মাস্টার কি ভাবেন।
কিছু না ওকে বায় ভালো থাকবেন।
ঠিক আছে জান।
(কি মেয়েরে ভাই খালি খালি আমাকে লূচ্ছা বলে।আরে ওকে একটু দেখেছি দেখে আমাকে লুচ্ছা বলতেছে।)
এগুলো ভাবতেছি তাতে কে যেনো আবার ডাগতেছে
বাসায় যাচ্ছো বাবা।
পিছনে ফিরে দেখি আন্টি ডাকতেছে,
জি আন্টি বাসায় যাচ্ছি।
তো বাবা নাস্তা করে যাও।
না আন্টি আজকে করবো না।অন‍্য একদিন।
ঠিক আছে যাও বাবা।
ওকে আন্টি।ভাবতেছি রাফিজা কই গেলো দেখতে পাচ্ছি না।যদি আর একবার দেখে যেতে পারতাম।

কি লুচ্ছা স‍্যার এদিক ওদিক কি দেখে।কিছূ খুজতেছেন নাকি।
আরে না।আর প্লিজ আপনি আমাকে লুচ্ছা না বলে আমার একটা সুন্দর নাম আছে ওটা বলবেন।

আমি তো লুচ্ছাই বলবো।লুচ্ছা স‍্যার।
ঠিক আছে আপনি কি বলবেন বলেন।আপনার সাথে তর্ক করে লাভ নাই।
হে লুচ্ছা স‍্যার।
ধেত আর থাকা যাবে না এখানে।মেয়েটা দেখতেছি খুব শয়তান।তারপর আর একটুও ওখানে না থেকে বাসায় যাওর রাস্তা ধরলাম।
(মেয়ে মানুষ মানেই ভেজাল।)
রাস্তা দিয়ে যাইতেছি আর হাসতেছি কারন রাফিজার কাহিনী দেখে।এভাবে কাহিনী গুলো ভাবতেছি আর রাস্তা হাসতেছি।তো রাস্তার এক পাশে দেখতেছি একটা ছেলে একটা মেয়েকে মারতেছি এগুলো দেখে আমি ওদের কাছে গিয়ে জিগ্যেসা করতেছি কি হয়েছে।

দেখেন ত ভাই ছেলেটা আমাকে মারতেছে।
কি ভাই তুমি এই মেয়েটাকে মারতেছো কেনো।

ভাই একে কি আমি সাধে মারতেছি।এই সালি হচ্ছে একটা ঠকবাজ।এ খালি রূপ আছে কিন্তু মনটা একবারে জঘন‍্য।একে ভালোবেসে আমি ভূল করেছি।

কেনো ভাই।মেয়েটা কিছু বলতেছে না।

এ আমাকে ভালোবাসে আবার অন‍্যছেলে কেউ ভালোবাসে।কি করবো বলেন।তারপর ও আমার কাছ থেকে একটা জিনিস কিনে চেয়েছিলো কিনে দেই নাই দেখে ও আর আমার সাথে আজ পাচ দিন থেকে কথা বলতেছে না।তার খোজ নিতে গিয়ে দেখি ও অন‍্য ছেলের সাথে প্রেম করতেছে।ভাই কি করবো বলে একে আমি মন থেকে ভালোবেসে ছিলাম কিনতু ও আমাকে ধোকা দিচ্ছে।মন থেকে ভালো বাসা কি পাপ বলেন।একে তো আমি মেরে ফেলতে মন চাচ্ছে।

ছেলেটা কাদতেছে আর কথা গূলো বলতেছে।

কি বলবো এখন সেটাই ভাবতেছি।আমি দেখেছি যে কেউ মন থেকে কাউকে ভালোবাসলে তাকে ঠকতেই হয়।আর এখন কার মেয়েরা শুধু টাকাকে চিনে যতোই আপনি তাকে সত‍্যি কারে ভালোবাসেন।কেনো যে এটা আপুরা করে আমি জানি না।টাকাই কি আপনাদের সুখ দিতে পারবে না পারবে না।।কারন যেখানে ভালোবাসা নাই সেখানে টাকা কি সুখ দিবে।তাই টাকা কে না দেখে মানুষের মন কে চিনতে শিখুন।তাহলে কেউ কষ্ট পাবে না।হাত পা ভেঙ্গে গেলে জোড়া দেওয়া যায় কিন্তু কারো একবার মন ভেঙ্গে গেলে আর জোড়া লাগা যায় না।আপুরা আপনারা যাকেই ভালোবাসেন না কেনো মন থেকে ভালোবাসতে শিখুন টাকাকে না।

আর ছেলেদর কিছু বলি,ভাই আমাদেরও তো দোষ আছে।আমরা মেয়েদের রূপ দেখে পাগল হয়ে যাই কেনো।আরে এদের রূপ হচ্ছে প্রকৃত রূপ না এটা তো কিরিমের দেও রূম।এইটা দেখে আমরা পাগল।এদের রূপ হচ্ছে বিষ,যে পাগল হবে একবারে বিষ খাওয়ায় ছাড়বে।আপনি যতই মন থেকে ভালোবাসেন না কেনো আপনাকে নেছে নিয়ে বেড়াবে।ভাই রূপকে নয় মনকে ভালোবাসি তাহলে স্বার্থক হবো।

আর আমরা কেনো মেয়েদের পিছনে ঘুরে বেড়াবে মেয়েরা আমাদের পিছনে ঘুড়ে বেড়াবে ।কিন্তু আমরা করি তার উল্টোটা।আরে আমাদের তো জন্মর সময় একটা মেয়ে কপালে লেখা আছেই।আমরা না চাইতেই পাবো কারন আমরা যখন বিয়ে করবো তখন।কেনো যে এদের পিছনে ঘুরে বেড়ায়।এদের পিছনে যতো ঘুরবেন ততো ভাব মারবে।তাই আমার জানা মতে এদের পিছনে না ঘুরায় ভালো।

ত এবার গল্পে আসি
আপূ ছেলেটাকে কি তুমি ভালোবাসতে ওটাকি তোমার বয় ফেরেন্ট।।
হুম।
তাহলে তাকে ঠকালে কেনো।এটা কি ঠিক করছো আপু।
না।ছরি ভাইয়া আমি আমার ভূল বুঝতে পেরেছি।

আমাকে ছরি বলতে হবে না।ওকে বলো।

ঠিক আছে ভাইয়া।ছরি আমি বুঝতে পারি তুমি এতো কষ্ট পাবে।
ওকে তুমি ভূল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক।

তারপর আমি তাদের মিল করে দিলাম।আর বললাম আপু এই ভূল করিও না আর।
ঠিক আছে ভাইয়া আর এই ভূল হবে না।
তবে একটা কথা হচ্ছে কি,
(মানুষ ভূল করে অনেক কিছু শিখতে পারে।প্রত‍্যেক মানুষ জীবনে একটা না একটা ভূল করে থাকে।ভূলের মাধ‍্যমে শিখে।)

তাদের দুই জনকে মিলে দিয়ে অনেক ভালো লাগতেছে এখন আমার।কপাল আজকে মনে হয় অনেক ভালো।তারপর আবার বাসায় যাওয়ার জন‍্য রাস্তা হাটতেছি।
তাতে দেখতেছি ফোনে কে যেনো মেসেজ করেছে।
মেসেজ দেখতেছি রাফিজা করেছে।মেসেজ ওপেন করে দেখি,
স‍্যার, আজকের কিচ টা কেমন হয়েছে।

কি মেয়ে ভাই লজ্জা শরম কিছুই নাই।কিচ করেছে আবার বলতেছে কেমন হয়েছে কিচ।
কিচ আবার কেমন হয়।আমি উত্তর দিলাম।

কেমন মানে মিষ্টি নাকি ঝাল।

আমি জানি না কেমন।
স‍্যার আপনি কি বলতে লজ্জা পেয়েছেন।আমি কিন্তূ কিচ করে মিষ্টি পেয়েছি।কালকে কিন্তু আবার করবো।

(ভাই আপনারা বলেন কিচ কি কখনো মিষ্টি লাগে।কেউ কি কখনো কাউকে কিচ করেছেন।এটা আমার প্রশ্ন পাঠকদের কারে প্লিজ সবাই বলবেন।)

কি করবে।
কিচ।
কালকে তোমাকে মারবো আর না হলে তোমার আম্মাকে বিচার দিবো।
কি আম্মুকে বিচার দিবেন আমিও দিবো বিচার।
কিসের বিচার
কেনো আপনি যে আজকে আমাকে কিচ করলেন।
আরে এটা তো তুমি করছো।
সেটা তো আপনি আর আমি জানি আম্মু তো না।

সেটাই তো।কি জ্বালা আমাকে জ্বালায় মারবে।

চলবে,,,,,,,?

(ব‍্যস্হতার মাঝে গল্পটা লিখছি তাই আজকে পর্বটা ছোট হয়েছে তাই আমি দুঃখীত )
(ভূল হলে ক্ষমা করবেন।আর গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন আর লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকুন।নতুন গল্প আসতেছে #মামা_তো_বোন সবাই পড়বেন অনুরোধ রইলো )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here