একজীবন
পর্বঃ ২
★
-‘তুমার এমুন হিন্দু হিন্দু নাম রাখসে ক্যাডায়? অরুন্দতি- কইতেও ত মুখে আটকায়, মুসলমান মাইয়ার নাম এমুন হইব ক্যা?’- বাহিরঘরে বসতে না বসতেই আলেয়া খাতুনের প্রশ্নবাণ ছেঁকে ধরে আমাকে।
-‘আমার মা রেখেছিলেন…’
আমার কথা শেষ না হতেই আলেয়া খাতুনের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ কানে আসে।
-‘অহহ-! হেয় ত মইরা গ্যাসে, তুমারে একটা বিছসিরি নাম দিয়া থুইয়া গ্যাসে! তা যাউকগা, চেহারাসুরুত ত মাশাল্লা ভালই তুমার, তা রান্নাবান্না কিছু পারো নাকি খালি রুপেই লক্ষী?’
-‘নাতিন আমার সব কাজ কর্ম পারে। কিগো বউ কওনা ক্যা কিছু, বাঁশের কঞ্চির মত খাড়ায়া আছ যে!’- দাদী খেঁকিয়ে ওঠেন। ছোটমাকে একদমই সহ্য করতে পারেন না দাদী, আগেও টের পেয়েছি আমি।
-‘হুঁ! হুঁ, হুঁ! অরুই তো বাসার প্রায়য় সব কাজ করে, খুব গোছালো! কোনো সমস্যা হবেনা…’
-‘হাইটা দেখাও দেখি। আর আফনে- অর চুলডি খুইলা দেহান দেহি… ‘ ছোটমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন আলেয়া খাতুন। রাগে, অপমানে বুকের ভেতরটা রীতিমত জ্বলছিলো আমার! ঠিক তখনি গম্ভীর অথচ শান্ত একটা কণ্ঠস্বর শুনতে পাই-
‘আহ মা! এতসবের তো দরকার নেই! কেনাবেচা করতে তো আসিনি… দাদী আপনি উনাকে নিয়ে যেতে পারেন। আমাদের আর কিছু জানার নেই, উনার কিছু জানার থাকলে তা জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আড়চোখে দেখলাম আনিস বুড়োটা কথাগুলো বলছে। ওদিকে আলেয়া খাতুনের মুখ চুন হয়ে আছে, নাক মুখ কুঁচকে কোনোরকমে বসে আছেন তিনি।
বাব্বাহ, বুড়োর তো বেশ চটক আছে!- চকিতেই একটা সম্ভাবনার দরজা খুঁজে পেলাম আমি! এই লোকটাকে বাগে আনতে পারি যদি,তাহলে হয়ত এযাত্রা বাঁচা যেতে পারে…
-‘উনার সাথে আমার কথা আছে, এই ঘরে আসতে বলেন দাদী! উনারে একলা আসতে বলবেন…
ভেতর ঘরে যেয়েই কথাগুলি বলে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লাম।
-‘মা লো মা,কত রংগ দেখুম! এই কয় বিয়া বসুম না এই কয় ঘরে আনেন…ছেমড়ির মতি তো সুবিধার না!’- ঠোঁটে আঁচল চেপে হাসিমুখে ফোড়ন কেটে বেরিয়ে গেলেন দাদী। আমি চুপচাপ খাটে পা ঝুলিয়ে বসে আছি, মনের ভয় মনে চাপা দিয়ে চোখ মুখ টান টান করে…
-‘আসবো?’- টক টক শব্দে দরজায় টোকা পরে, সাথে।সেই গুরুগম্ভীর মেঘের মত গলার স্বরটা!
-‘হ্যাঁ আসুন।’- উঠে দাঁড়িয়ে দরজা পর্যন্ত এগোই আমি।
আনিস লোকটা ভেতরে এসে ফাঁকা চেয়ারটা টেনে বসে নেয় নিজেই। একদম সামনাসামনি দেখে বেশ চমকে গেলাম, বাচ্চা বাচ্চা চেহারা লোকটার, চল্লিশ বলে তো একদমই মনে হচ্ছেনা! হোকগে যা খুশি, আমার কী!
-‘শুনুন, আমার বয়স মাত্র পনের! লিগ্যালি এই বিয়েটা এমনিতেই হবেনা, আর যদি হতোও তবু আমি এতে রাজি নই! এত বয়স ডিফারেন্সে…
অন্যদিকে নজর ঘুরিয়ে কথাগুলি বলছিলাম আমি, আড়চোখে লোকটার দিকে তাকাতেই থেমে যাই। ভ্রু কুচকে অবাক চোখে আমার কথাগুলো গিলছে!
-‘আ.. আমি তো শুনেছি আপনি সাবালিকা মানে তোমার বয়স ১৮! আর রাজি-অরাজির ব্যাপারটাও জানা ছিলনা… দাদী তো এতকিছু বলেননি…’
আংকেল বয়সী লোকটা রীতিমত তোতলাচ্ছে!
-‘আচ্ছা বেশ, আমি তবে সবাইকে না করে দেবো,বলব আমার ভাল লাগেনি মেয়েকে! তোমার মানে আপনার চিন্তা করতে হবেনা, কনের অমতে তো আর বিয়ে হতে পারেনা!’- শেষ কথাগুলি বলার সময় একটা ছোট্ট কিন্তু নিষ্প্রাণ হাসি মুখে লটকে ছিলো লোকটার।
হঠাৎ করে বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো… কতদিন, কতবছর পর আমায় এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে কেউ! এতটা আগ্রহ নিয়ে অক্ষরে অক্ষরে আমার বলা কথাগুলি শুনছে…কতদিন! আমি কিনা তার প্রত্যাখ্যানের খবর তাকেই জানাচ্ছি- অথচ দিব্যি সবটুকু নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিচ্ছে সে! কোথাও বড় কোনো ভুল হচ্ছে না তো আমার? ভাবতে ভাবতেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম লোকটার দিকে, ততক্ষণে চেয়ার ছেড়ে উঠে দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সে। কী মনে হতেই ঘুরে দাঁড়ায়, পকেট হাতড়ে একটা চারকোণা সাদা কাগজ বের করে। তারপর বুকপকেটে রাখা কলমটা নিয়ে খসখস করে কিছু একটা লিখে আমার দিকে বাড়িয়ে দেয় কাগজটা-
-‘আমার ফোন নাম্বারটা অন্তত রাখুন। যেকোনো সুবিধা-অসুবিধার কথা নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন… বয়সের পার্থক্যের কারণে হয়ত বন্ধু হতে পারবনা, অন্তত আত্নীয় ভেবে হলেও যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
তারপর হনহন করে হেটে বেরিয়ে যায়। খানিক বাদে তাদের চলে যাবার শব্দ কানে আসে আমার।
★
-‘রুপনগরের রাজকইন্যা, তার কি আর আনিস ফানিস ফে মনে ধরব? আমরা য্যান আর বাপ মার কথামতো বিয়া বসিনাই! নিশ্চিত কানপড়া দিয়া বিয়াডা ভাগাইসে… আমিও শ্যাষ দেইখা নিমু কইলাম! এত আয়োজন, এত খাটাখাটনি কইরা শেষমেশ এই! এক আনিস গেসে দশ আনিস আনুম… কতজনরে কানপড়া দিবি আমিও দেইখা নিমু…’
রান্নাঘরের সব গুছাচ্ছিলাম আমি, ঝড়ের মত সেখানে এসে কথাগুলো শুনিয়ে গেলেন আমায়। আমি সেদিকে কান না দিয়ে নিজের কাজ করতে লাগলাম, যেন একটা শব্দও শুনিনি আমি। নিজের মনেই গজগজ করে আবার ঝড়ের বেগে রান্নাঘর ছাড়লেন ছোটমা, আমি জানি এখন বাবা আসবেন- একই কথা অন্য সুরে শুনতে হবে আবার আমায়!
-‘কিরে অরু, আনিসরে ডাইকা নিয়া কিছু কইসস নি তুই? সব ত ভালাই চলতাসিল, তর ঘর থিকা বাইর হইয়া বিয়াডা ভাইঙ্গা দিল যে অরা বড়?’- খানিক বাদেই বাবা এসে প্রশ্ন করলেন।
-‘আমি কি জানি বাবা! তারা বিয়ে ভাঙসে আপনে তাদেরই জিজ্ঞাস করেন ক্যান ভাঙসে। আমি কেমনে বলব!’ – কাজ করতে করতেই জবাব দিই আমি।
-‘হুউ! ঘাস খায়া ত বড় হইনাই, হাওয়া-বাতাস কুনদিক দিয়া কুনদিকে যায় আমরাও বুঝি!’- বলে বাবা বেরিয়ে গেলেন। এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমি, কাজগুলো গুছিয়ে নিজের স্টোর রুমটাতে যেয়ে বই হাতে নিয়ে শুয়ে পড়লাম।
-‘সুজা সরল পোলাডা আমার লিগা আজকা অপমান হইল! অই ছেমরি, বিয়া করবিনা আগে কইতে পারস নাই? পোলাডারে ভাগায়া অখন বই পড়স, কত বড় ভুল করতাসস অখন বুঝবিনা…বুঝবি যেদিন সেইদিন সময় থাকবনা কইয়া দিলাম!’- মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে বলে চলেছন দাদী, আনিস মাস্টার চলে যাবার পর থেকে দাদী আউলে গেছেন!
-‘আপনে একটা দোজবর, চল্লিশ বছরের বুইড়া নিয়াসবেন আর আমি রাজি হইয়া যাব, এইটা তো না দাদী! আমার… ‘
-‘হুর ছেরি! কিয়ের দোজবইরা! আনিসের বিয়া হইসেনি আগে! কয় বছর আগে জানি, একবার বিয়ার কথাবার্তা সব ঠিকঠাক হইসিল, তা হেই বউ ও তর মত টেডি আছিল! এক্কারে বিয়ার দিন, আনিসরা বরযাত্রা যায়া দেখে মাইয়া হেইদিন সকালেই কার লগে জানি ভাইগ্যা গ্যাসে! ছেমরি, ভাগবি যখন বিয়ার আগেই ভাইগা যাইতি, পোলাডারে এমনে অপমান কইরা যাওনের কি দরকার আছিল?’- দাদীর কণ্ঠে স্পষ্ট হতাশার সুর।
‘হের পর আনিসে আর বিয়ার নাম ও মুখে আনেনাই, আলেয়া খাতুন ও পোলার বিয়া চেষ্টা করেনাই! আনিস হের বড় পোলা, বড়ডারে রাইখ্যা ছোট পোলা আর মাইয়ার বিয়া দিয়া দিসে, তয় আনিসরে বিয়া করানির কথা ভুলেও মুখ দিয়া বাইর করত না বেডি! করব ক্যা, সৎ পোলা না?…
বুকের ভেতরটা ছলাৎ করে ওঠে আমার! সৎ ছেলে- মানে?
-‘কী বললেন দাদী? কে কার সৎ ছেলে…?’
-‘আরে ঐ আনিসের নিজের মায়ে ত অরে জন্ম দেওনের সময়ই মইরা গ্যাসিলগা! হেরপর তার বাপে এই আলেয়ারে বিয়া কইরা আনে, আনিসের আপন খালা হয় এই আলেয়া! আনিসের মায়ের আপন ছোড বইন, আনিসেরে লালন পালনের লিগা তাই হেরেই বিয়া করল আনিসের বাপ! খালা হইলে কী হইব,সৎ মা কী কোনোদিন আপন হয়? হয়না…হয়না… আনিসে ত আর বিয়াই করত না, আমি জোরাজুরি কইরা কইলাম বাপধন,আমার নাতিনডার অনেক কষ্ট। হের ঘরেও তর মত সৎ মা, তুই নাহয় দিনের বেলা ইশকুলে অফিসে থাকস, সৎ মায়ের জ্বালা টের পাস না! নাতিনে আমার উঠতে বইতে জ্বলে, মাইয়াডারে তুই বিয়া কইরা খালি উদ্ধার কর, নাইলে কইথিকা কুন অগামগা ধইরা আইনা অরে বিয়া দিব অর মায়ে- হেইডা কি আমার সইজ্য অইব?’
বলতে বলতে চোখ মোছেন দাদী। এতসব ঘটনার কিছুই ত আমি জানতাম না! দাদীর কথায় শুধু আমার দিকে চেয়ে লোকটা আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো, আর আমি কিনা তাকে…ছিছিছি!
★
এরপর প্রায় সাত দিন পার হয়ে গেছে, এই বাড়িতে আমার থাকাটা যেন বিষবৎ হয়ে গেছে! ছোটমায়ের গঞ্জনা চরম মাত্রায় পৌছেছে, সাথে ইদানিং বাবাও যুক্ত হয়েছেন! গতকাল রাতে খাবার টেবিলে রীতিমত কাঁদিয়ে ছেড়েছেন দু’জনে মিলে আমায়, আমি নাকি মা-খাগি অপয়া, এই বাড়ি থেকে যত দ্রুত আমাকে তাড়ানো যাবে ততই বাড়ির মঙ্গল হবে। ছোটমায়ের হাত ধরে টেবিলে মাথা কুটে বলেছিলাম- ‘বাড়ির সব কাজ করে দেব আমি, এখন যেমন করি আরো করব! শুধু দুইবেলা খাবার আর স্কুলে যাওয়া- এটুকু যেন করে তারা আমার জন্য। আমার মায়ের খুব শখ ছিল আমায় ডাক্তার বানাবে…শুধু ঐটুকু সময় তারা আমাকে দিক…
লাভ হয়নি! ছোটমা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এই মাসের ভেতরই বিয়ে দেবেন আমার- তা সে যে পাত্রই হোক! সারারাত মেঝেতে শুয়ে শুয়ে আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে বলেছি- মায়ের মত আমায়ও নাহয় নিয়ে যাও, এই জাহান্নামে আর কতদিন থাকব আমি? কিন্তু, সৎ মা আর আপন (!) বাবার মত আল্লাহও বোধহয় এখন আর আমার কথা শোনেন না…
★
-‘আফনে অরুরে তৈরী কইরা নিয়াসবেন। পোলায় আমার ফুপাত ভাই, কুনু সমস্যা হইবনা! ফুফা ফুফু রে নিয়া পোলায় আইজকা অরুরে দেখবার আইবো, পছন্দ হইলে আজকাই কাবিন করায়া পোলারে এইহানে রাইখা দিমু অরুর লগে। কাইলকা উঠায়া দিয়া দিমু…’
দাদীকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলি বললেন ছোটমা, আমি পাশেই দাঁড়ানো ছিলাম। আনিস মাস্টার ভদ্রলোক ছিলো তাকে নাহয় বুঝ দিয়ে বিদেয় করা গেছে। কিন্তু ছোটমায়ের ফুপাত ভাইটাকে চিনি আমি, একে বিদেয় করা সহজ হবেনা। খশরু- নাম লোকটার। যেমন জঘন্য কথাবার্তা তেমন বিশ্রী আচরণ, আর মেয়েমানুষ দেখলেই ছোঁক ছোঁক করার স্বভাব! কিন্তু এই লোকের ত বউ ছিলো, তাহলে…
-‘অই নাতিন, আয় আমার লগে আয়।’- বলে দাদী টেনে আমাকে ঘরে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন।
-‘অভাগী হতচ্ছাড়ি! নিজের কপালডা এমনে পুড়লি? তর ছোডমায়ের হেই ফুফাত ভাইরে চিনস না তুই? খশরু? আমগ গেরামের ই পুলা, ছিছিছি- স্বভাব চরিত্তের কুনু গাছপাথর নাই পুলার! মাইয়া মাইনষের পিছে ফেউএর মত ঘুরে, দুই বছর সংসার কইরা এই স্বভাবের জন্যি আগের বউডা গেসেগা! অখন হের গলায় যায়া ঝুলগা যা ছেমড়ি, আনিসের মত সোনার পোলাডারে ত হারাইলি…’
আমিও জানি, এই অসভ্য জানোয়ার খশরু কোনোদিনই আমার কথা শুনবেনা, এই বিয়েটা আজই হয়ে যাবে! আনিস মাস্টার তো এর তুলনায় বেহেশতি পাত্র ছিলো, দাদী তো সবদিক ভেবেই তাকে এনেছিলেন! ছোটমা যে আমায় একদম অথৈ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবেন, দাদী নিশ্চই সেটা টের পেয়েই আনিস মাস্টারকে ধরে এনেছিলেন…হায় আল্লাহ! কী ভয়ংকর ছেলেখেলা করলাম আমি নিজের জীবনটা নিয়ে?
★
-‘মাইয়া ত আমগ ঘরের ই, ছুডুবেলায় খশরুর সাথে কত খেলাইত…হেহেহে’- পান খাওয়া লাল দাত বের করে কথা বলে চলেছেন খশরুর মা, ছোটমায়ের ফুপু। খশরু হারামিটা ছোটবেলা থেকেই আমার দুই চোখের বিষ, অথচ দিব্যি কটকট করে মিথ্যে বলে যাচ্ছেন এই মহিলা!
মাথায় ভোঁতা যন্ত্রণা হচ্ছে আমার, মিনিট দুয়েক হয়েছে বাহিরঘরে এনে বসিয়েছে আমায়। দাদী এখনো ফ্যাচফ্যাচ করে কাদছেন ভেতরে, এদিকে খশরুর অদ্ভুত বিচ্ছিরি চাহনিটা যেন গিলে খাচ্ছে আমাকে! ছোটমা খাবার গুছিয়ে আনতে গেলেন, বাবাকেও ইশারাতে সাথে নিয়ে গেলেন আর ঠিক তখনি বলা নেই কওয়া নেই খশরু ইতরটা এক লাফে কর্ণারের সোফা ছেড়ে আমার ঠিক পাশে এসে বসে পড়ল!
-‘কিরে অরু, তুই ত মেলা সন্দর হইয়া গ্যাসস! মেলাদিন বাদে তরে দ্যাখলাম! আমারে পসন্দ করস আগে কইলেই পারতি,অই মাতারিডারে আর বিয়া করতাম না। শালী বহুত যন্ত্রণা দিসে.. যাউকগা, তর ত বয়স কম, গা গতরও ভালা…’ বলে নির্লজ্জের মত নিজের ডান চোখটা টিপে দেয় খশরু, প্রচণ্ড ঘৃণায় আমার সমস্ত সত্তা রিরি করে ওঠে। দুই চোখ বেয়ে টপটপ করে জল ঝরছে আমার, এর মাঝেই আবছা চোখে পরে একটা লালসায় ভরা কালসাপের মত খশরুর ডান হাতটা এঁকেবেকে আমার হাত বরাবর এগোচ্ছে…
★
কপি করা নিষেধ।