#এক্সিডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-৭♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥
—- “ভাইয়ু তোমার আন্ডির ওপর বোধহয় ঠাডা পড়েছিলো!”
এতোক্ষণ যাবৎ ভ্রু কুঁচকে নিজের ভিজে চিপচিপে হয়ে ফ্লোরে পড়ে থাকা ছেড়াফাটা আন্ডারওয়্যারটার দিকে তাকিয়ে ছিলো নিশান্ত। নূহার কথায় কপালের ভাজ অবাকের ভাব বদলে অবিশ্বাসের রূপ নিলো নিমিষেই।প নূহার দিকে চোখ সরু করে চেয়ে সে বললো,
—- বোকা! এতো সব জিনিস থাকতে জামার ওপর বিজলি পড়তে যাবে কেনো? আর ঠাডা কি? এসব কোন ধরণের ল্যাংগুয়েজ শিখেছিস তুই?
বিনিময়ে দাঁত কেলিয়ে বোকা হাসলো নূহা। নখ খোটাতে খোটাতে সে বললো,
—- হেহে, মিষ্টিপুর থেকে শিখেছি! আপু সেদিন তোমায় এত্তোগুলা বলা দিচ্ছিলো বিল্লু নিতে না দেওয়ার জন্য। তখন এই বকাটা দিছিলো, তোমার ওপর নাকি ঠাডা পড়বে!
নূহার কথায় নিজের চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বদলে গোলগোল আকার ধারণ করলো নিশান্ত। এক মুহুর্তের জন্য সে ভুলেই গিয়েছিলো যে অন্বিতা নামক প্যারাটা শুধু তার নয় বরং তার পুরো ফ্যামিলির ওপরই আতংক টাইপ প্রহার হানবে। কি বিশ্রী ভাষায় গালাগাল করে মেয়েটা তাকে ভেবেই দাঁতে দাঁত চেপে ধরলো নিশান্ত। কেনো যে বইয়ের মাঝে ডুব দিতে গিয়েছিলো এই সময় কে জানে, আম্মুর বলা “নিশান্ত, আমি একটু ঘুমোলাম, বৃষ্টি আসতে লাগলে একটু কাপড়গুলো উঠিয়ে আনিস।” কথাটা কান পর্যন্ত পৌঁছোলেও তার রেশ বেশিক্ষণ থাকে নি তার মাথায়। কোন ফাঁকে যে বৃষ্টি এলো আবার শেষ ও হয়ে গেলো টেরই পায় নি সে। হয়তো তখনও টের পেতো না, যদি না নূহা গোসল থেকে বেড়িয়ে বাইরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে দেখে তাকে জানাতো!
এসব অযাচিত ভাবনার মাঝেই আরো একটা ভাবনা যুক্ত হলো নিশান্তের। ভাবনাটা এই যে, ” তারে নেড়ে দেওয়া বাদ বাকি কাপড় গুলো তুললো কে? আর তুললই যখন এই কাপড়টাই শুধু রেখে দিলো কেনো?”
ভাবনার মাঝেই গুটিগুটি পায়ে তার দিকে এগিয়ে এলো নূহা। নিজের ছোট্ট ছোট্ট হাতদুটোয় চকচক করতে থাকা একটি রূপালী নূপুর আঁকড়ে ধরে জিজ্ঞাসু ভঙ্গিতে সে প্রশ্ন করলো,
—- ভাইয়ু, দেখো তো কি এটা?
নূহার কথায় কপালে ভাঁজ ফেলে তার হাত থেকে নূপুরটা নিয়ে চোখের সামনে ধরলো নিশান্ত। আনমনেই সে উচ্চারণ করলো,
—- নূপুর!
ভাইয়ের মুখে “নূপুর” শব্দটা শুনে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকালো নূহা। বিস্ময় মাখা চোখ ভাইয়ের হাতে থাকা নূপুরটার দিকে তাকিয়ে বললো,
—- আচ্ছা এই নূপুর টা কি ভাইয়া? এটাকে মাথায় পড়ে নাকি গলায়?
নূহার প্রশ্নে ফিক করে হেসে ফেললো নিশান্ত। সাথেসাথেই রোদের তীক্ষ্ণ আলোয় ঝিলিক দিয়ে উঠল্প তার দাঁতগুলো। নিশান্ত নূহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদুরে গলায় বললো,
—- আজ্ঞে না বোনু, এটাকে মাথায়ও পড়ে না আবারও গলায় ও পড়ায় না। এটা পড়ে পায়ে…..!
বিনিময়ে গোলগোল চোখে তাকালো নূহা ভাইয়ের মুখপানে। নিশান্ত একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে হাবভাব পর্যবেক্ষণ করে নিলো। আপাতত আর বৃষ্টি আসবে না ভেবে নূহাকে বললো চেয়ারে রাখা কাপড় গুলোন নিয়ে এগোতে। নূহা ভাইয়ের কথা মতোই ছুট লাগালো, নিজের ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চেয়ারের ওপর থেকে গুটিকয়েক কাপড় কোলের নিয়ে হেলেদুলে ঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো সে।
নূহাকে পাঠিয়ে দিয়ে নিশান্ত স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো নূপুরটায়। তার আর বুঝতে বাকি নেই যে এই বিশ্রী কাজটা ঠিক কে করেছে। এ যে নিঃসন্দেহে অন্বিতার কাজ তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, এই নূপুরটা তার সব সন্দেহ সত্য প্রমাণ করে দিয়েছে। তার ওপর রাগ টা যে কেউ আন্ডারওয়্যার এর ওপরেই ঝাড়তে পারে কোনো দিনও কল্পনা করে নি নিশান্ত! মেয়েটার মাথাটা কি আসলেই ছেড়া তার বিশিষ্ট? ভেবেই ঠোঁট উল্টালো নিশান্ত।
ছেড়াফাটা আন্ডারওয়্যার টার দিকে এক পলক তাকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে হতাশার দীর্ঘশ্বাস ফেললো সে। এই আন্ডারওয়্যার যে আর পড়া যাবে না তা স্পষ্ট, বিধায় তাকে ডাস্টবিনে টাটা বায় বলে আবারও নূপুরটায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো নিশান্ত। ঠোঁটে রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে সে বললো,
—- বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান তাইনা? কিন্তু এবার থেকে তো তা হবে না! অনেক ছাড় দিয়েছি বাট আর না। এখন আমি যা চাইবো তাই হবে, এট্যাক আমিই করবো আবারও রি এট্যাকও আমিই স্কিপ করে যাবো।
বলেও মুচকি হেসে নূপুরটা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নিলো নিশান্ত। শিটি বাজাতে বাজাতে সে এগিয়ে চললো ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে।
______________________
—- এই যা আমার আরেক টা নূপুর কোথায় গেলো?
বোনের প্রশ্ন বিস্কিটে কামড় বসাতে বসাতে ভ্রু কুঁচকে তাকালো আনন্দ। মুখে থাকা বিস্কিটের ধ্বংসাবশেষ গিলে নিয়ে সে বলে উঠলো,
—– দেখো আবার তোমার মোটু-পাতলু বান্ধুপী নিয়ে গেলো নাকি!
আনন্দের কথায় সরু চোখে তাকালো অন্বিতা। প্রতিবাদের সুরে সে বললো,
—– শাট আপ আনন্দ! ওরা নিতে যাবে কেনো? হয়তো কোথাও খুলে পড়ে গিয়েছে।
কথাটা বলে নিয়েই কিছু একটা ভাবলো অন্বিতা। বসা থেকে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে কপাল হাত চেপে ধরে আতংকিত কন্ঠস্বরে সে বললো,
—– শিট! আমার নূপুর!
বলেই আর এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে ছুট লাগালো সে ছাদের উদ্দেশ্যে। বোনকে এতোটা ব্যস্ত হয়ে ছুটতে দেখে ঠোঁট উল্টালো আনন্দ। প্যাকেটে থাকা অবশিষ্ট বিস্কিটগুলোর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আবারও সেগুলো সারাব করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো সে।
ছাদের আনাচে-কানাচে চোখ বুলিয়ে নিয়ে অবশেষে হতাশ হয়ে বসে পড়লো অন্বিতা। তার সব থেকে পছন্দের জিনিসটা এভাবে হারিয়ে যাবে ভাবতেই পারে নি সে। ইশশ কি দরকার ছিলো নিশান্তের প্রতিশোধ বেচারা আন্ডারওয়্যারের ওপর নেওয়ার! তখনকার লাফালাফির চোটেই যে নূপুরটা কোথাও ছিটকে পড়েছে এটা স্পষ্ট! কিন্তু ছাদ থেকে কোথায় পড়বে ভেবে পাচ্ছে না অন্বিতা। আচ্ছা ছাদে কি কেউ উঠেছিলো? প্রশ্নটা মাথায় আঘাত হানতেই আবারও ছুট লাগালো সে সিড়িঘরে। চেয়ার ওপর রাখা আফসানা বেগমদের কাপড়গুলো আর নেই। তারমানে তাদের বাড়ি থেকেই কেউ ছাদে এসেছিলো। বাই এনি চান্স তার নূপুরটাও কি তবে সে নিয়ে গিয়েছে?
______________________
সোফায় গুটিশুটি মেরে এদিক-ওদিক আড়চোখে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে অন্বিতা। কেমন যেনো বড্ড অস্বস্তি লাগছে তার। পাশেই নূহা তার নানান রকমারি কথার ঝুলি খুলে একটু পরপরই মিষ্টি করে হেসে উঠছে। অন্বিতা থেকে থেকে তার সাথেই আড্ডায় মেতে হেসে হেসে জবাব দিচ্ছে আবার পর মুহুর্তেই কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছতে মুছতে ঠোঁট কামড়ে ধরছে।
তাদের ঠিক সামনেই সোফায় বসে অন্বিতার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গোটা একটা আপেলে একের পর এক কামড় বসিয়ে চলেছে নিশান্ত। তার ভাব ভঙ্গি কিছুটা এরকম যেনো সে আপেল নয় সদ্য অন্বিতাকেই চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলছে।
তখন আর কোনো পথ খোলা না পেয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নূহাদের বাসায় আসতে হয় তাকে। হাজার হোক এই নূপুর জোড়া তার মায়ের দেওয়া শেষ স্মৃতি চিহ্ন ছিলো, যা কোনোভাবেই হারাতে নারাজ অন্বিতা। যার দরুণ বাঘের ডেরায় নিজেকেই ধরা দিতে হয়েছে তাকে, যদিও আফসানা বেগমের থাকায় কিছু বলবার সাহস করে উঠতে পারবে না নিশান্ত তবুও ভয়ে থরথর করে কাঁপছে সে। নূপূরটা নিশান্তের কাছেই রয়েছে জেনেছে সে নূহার কাছ থেকে। এখন শুধু তার কাছ থেকে নেওয়াটাই দায়! নূহার কাছ থেকে নূপুরের কথা জেনে নিয়ে নিশান্তের দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করতেই নিশান্ত বলেছে “এতো ব্যস্ত হবার কিছুই নেই মিস অন্বিতা, এসেছেন নূহার সাথে গল্প করুন, চা-নাস্তা খান! যাওয়ার সময় দিয়ে দেবো। রিলাক্স!”
নিশান্তের শান্ত গলায় দেওয়া হুমকি বিষের মতো ঠেকছে অন্বিতার কাছে। নিশান্ত যে অম্বিতার জারিজুরি ধরে ফেলেছে বেশ বুঝতে পারছে অন্বিতা। কোনোরকমে তার থেকে নূপুরটা ফেরত নিয়ে মানে মানে কেটে পড়তে পারলেই রক্ষে।
অন্বিতার ভাবনার মাঝেই চোখের চশমা ঠেলে দিয়ে মিষ্টি হেসে তার পাশে বসে পড়লেন আফসানা বেগম। অন্বিতার মাথা হাত বুলিয়ে দিয়ে তিনি বললেন,
—- ভাজ্ঞিস সময়মতো কাপড় গুলো উঠিয়ে নিয়েছো তুমি, নয়তো শুকনো কাপড় গুলো একা একা মেঘের সাথে নিজেরাও কান্না জুড়ে দিতো!
আফসানা বেগমের মজা করে কথাটা বলায় ফিক করে হেসে উঠলো অন্বিতা। আফসানা বেগম যে বেশ মজার মানুষ তা এই দুই দিনে বোঝা হয়ে গিয়েছে অন্বিতার। আফসানা বেগমের কথার বিপরীতে অন্বিতাও মিষ্টি হাসলো, নূহার গাল টেনে দিয়ে সে বললো,
—- তারা যাতে কান্না না করে তাইতো আমাদের কাপড়গুলো আমায় তাদেরকেও সঙ্গে করে উঠাতে অনুরোধ করছিলো। আমি স্রেফ আমার কাপড়গুলোর কথা রাখতেই তুলেছি।
অন্বিতার জবাবে স্বস্তির হাসি হাসলেন আফসানা বেগম। এই বয়সে এসে এরকম একটা মেয়ে পাশে পাওয়ার বড্ড দরকার উনার। নূহাটা তো এখনো ছোট্ট, আর ছেলেটা? সে তো বই, ভার্সিটি, প্রজেক্ট, এসাইনমেন্ট, টুর এসব ছাড়া কিচ্ছুটি বোঝে না। ঘর থেকে কম বেড়োলেও কাজের কাজ তার দাঁড়া বিন্দুমাত্রও হয় নি কখনোও। যার দরুন বড্ড হতাশায় ভোগেন আফসানা বেগম। অন্বিতার প্রতি নিজের অজান্তেই অদ্ভুত এক মায়া কাজ করে তার।
—– আচ্ছা আম্মু তুমি কিসে পড়ছো এখন?
আফসানা বেগমের মুখে আদুরে গলায় “আম্মু” ডাকটা শুনেই কলিজাটা যেনো মোচড় দিয়ে উঠলো অন্বিতার। তার মাও তাকে একসময় “আম্মু” বলে ডাকতো, নিজের কোলে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিতো কথাগুলো মনের কোণে আলোড়ন সৃষ্টি করতেই চোখদুটো ভিজে আসতে চাইছে অন্বিতার। তবে নিজেকে সামলে নেওয়ার অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে তার। যার দরুন চোখের পলকেই জলগুলো দৃষ্টিগোচর হয়ে না দিয়ে মিলিয়ে ফেললো সে। মিষ্টি হেসে জবাব দিলো,
—– এখানকার প্রাইভেট ভার্সিটিতে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছি, আগামী সপ্তাহেই সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম এই নিয়ে বড্ড চিন্তায় আছি আন্টি। ফেইল করে গেলে আর দ্বিতীয় বর্ষে উঠা হয়ে উঠবে না আমার।
—– সে কি, ফেইল করতে যাবে কেনো? প্রিপারেশন ভালো নেই?
আফসানা বেগমের প্রশ্নে ঠোঁট কামড়ে ধরলো অন্বিতা। হতাশাগ্রস্ত কন্ঠে সে বললো,
—– আসলে আন্টি,আমি একটা সমিতিতে গান শেখাই, তার পাশাপাশি আরো কিছু সাইড ওয়ার্কের ব্যস্ত থাকি। এর মধ্যে পড়াশুনোয় জোড় দেওয়া হয়ে ওঠে নি ভালোভাবে। বেশি না অবশ্য, জাস্ট এক উইক কোনো টিউটরের কাছ দেখিয়ে নিলেই অনেকটা হয়ে যাবে বাট এই সময় টিউটর কোথায় পাবো ভেবে পাচ্ছিনা।
অন্বিতার কথায় কপাল কুঁচকে কিছু একটা ভাবলেন আফাসানা বেগম, পর মুহূর্তেই মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে উঠলেন,
—– আরে এটা কোনো সমস্যা হলো? নিশান্ত ও তো ইলেক্ট্রিক্যাল নিয়ে এখন ফাইনাল ইয়ারে পড়ছে বুয়েটে, হাতের কাছে টিউটর থাকতে খুঁজতে হবে কেনো? আমি তো জানতামই না যে তুমিও ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছো! আগে বললে আরোও দুটো দিন পড়তে পারতে। কিরে নিশান্ত পড়াতে পারবি না?
বিনিময়ে ভয়ার্ত চোখে তাকালো অন্বিতা, এই মুহুর্তে তার ভেতরে একটা প্রবাদই ঝুমুর ঝুমুর করে নাচছে যেটা হলো, “যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়” কিন্তু এখন তো বিকেল। এখনোও সন্ধ্যে নামে নি তাও কেনো বাঘের গুহায় নিজেকে শিকার হিসেবে বিলিয়ে দিতে হচ্ছে তাকে?
অন্বিতা মনে মনে নিশান্তের কাছে “না” বলার জন্য হাজারবার মিনতি করতে শুরু করে দিলো। নিশান্ত কপাল কুঁচকে কিছু একটা ভাবলো, অন্বিতার ভয়ে মাখা মুখশ্রীর দিকে এক পলক চোখ ফেলে তাকিয়ে বাঁকা হেসে জবাব স্বরূপ বললো,
—– কি যে বলো না আম্মু, পারবো না কেনো? আলবাৎ পারবো!
.
.
.
.
চলবে………………..💕