চিত্তদাহ লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা পর্ব ৪৫

#চিত্তদাহ
লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা
পর্ব ৪৫

🍂🍂🍂

প্রচন্ড রকম কাশছে শুভ্রতা। মুখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। বেসিনের কল চালু করা। মুখের রক্ত পানিতে পড়তেই সে পানি লাল রঙ ধারণ করছে। এত রক্ত দেখে হাত পা অসম্ভব রকম কাপছে তার। চোখে মুখে ভয়ের আভাস। বার বার শুকনো ঢোক গিলছে সে। চোখ তার অশ্রুতে টুইটুম্বর। চেষ্টায় আছে কান্না আটকানোর। বাহির থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছে অর্ণব। শুভ্রতা নিজেকে সামলে জবাব দিলো,

~আসছি।

ভালো মত কুলি করে, হাত মুখ ধুয়ে ওয়াশরুম হতে বের হলো শুভ্রতা। শরীর বেশ ক্লান্ত লাগছে। কোনো রকমে পা টেনে বিছানায় বসলো সে। হালকা কাশতেই অর্ণব কুসুম গরম পানির গ্লাসটা তার সামনে ধরলো। শুভ্রতা গ্লাস হাতে অর্ণবের দিকে তাকালো। অর্ণবের চোখে চিন্তার আভাস। শুভ্রতা ক্লান্ত ভঙ্গিতে হাসলো।

~এতো ঠান্ডা লাগলো কি করে বল তো? তোর কাশির আওয়াজে আমার তো রীতিমতো ভয় লাগছে। চল ডাক্তারের কাছে যাই।
~ধুর! বস তো। একটু কিছু হলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে নাকি!

অর্ণবকে বসলো না। ঠায় দাড়িয়ে রইলো। শুভ্রতা টেনে অর্ণবকে বসালো। অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিতেই শুভ্রতা টেনে তার দিকে ফিরালো।

~আমার সাথে রাগ, অভিমান করে থাকতে পারবি?
~নিজের প্রতি বড্ড অযত্ন করিস তুই শুভ্রতা। কাজটা মোটেও ভালো করছিস না। তোর বান্ধবীরা, আহনাফ ভাই, অরণ্য ভাই, মামী ওনারা খুব চিন্তিত তোকে নিয়ে। নিজের খেয়াল না করলেও অন্তত তাদের জন্য নিজের খেয়াল রাখা উচিত।

শুভ্রতা নিরব শ্রোতা হয়ে সবটা কথা শুনলো। কথা শেষ হতেই অর্ণব ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। তার কথা কি শুভ্রতা বুঝেছে কিনা জানা নেই। তবে তার বিশ্বাস শুভ্রতা আবারো নিজেকে গুছিয়ে নিবে। তার অগোছালো জীবনের সমাপ্তি ঘটবে খুব শীঘ্রই।

🍂বর্তমান🍂

~খাওয়ার সময় হইছে। নিচে আসেন।

আকস্মিক ডাকে হকচকালো নুর। ডায়েরি থেকে মুখ তুলে তাকালো রেনুর দিকে। রেনু জবাবের আসায় দাড়িয়ে আছে। নুর ডায়েরীটা এক পাশে রেখে বললো,

~তুমি যাও, আমি আসছি।

রেনু চলে যেতেই নুর ডায়েরি রেখে উঠে দাড়ালো। সকলের সাথে খাবার খাওয়ার সময় নূরের খেয়ালে এলো রোজের কথা। সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলো,
~আচ্ছা, রোজ কোথায়?

খাওয়া রেখে তিলোত্তমা বাদে সকলেই এক দফা তার দিকে তাকালো। নুর ভাবলেশহীনভাবে তাকিয়ে তিলোত্তমার দিকে। অথচ তার কোনো রূপ হেলদোল নেই। নুরের প্রশ্নের জবাবটা আর পাওয়া হলো না। তিলোত্তমা নিঃশব্দে খাবার শেষ করে উঠে চলে গেলো। তিলোত্তমা যেতে নুরও উঠে গেলো। খাওয়া আর হলো না। নিজের ঘরে না গিয়ে চলে এলো অর্ণবের ঘরে। কিছু প্রশ্নের উত্তর চাই তার।

~অর্ণব, আসবো?

মাথা নেড়ে অনুমতি দিতেই নুর অর্ণবের ঘরে এলো। অর্ণব নুরের দিকে স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো কিছুক্ষণ। নুরের গায়ে শুভ্রতার জামা। এক পলকের জন্য মনে হয়েছিল এই যেনো তার আদরের বোন শুভ্রতা।

~কেমন আছো?

নুর ঘাড় কাত করে বললো,

~ভালো।

অর্ণব আর কথা খুঁজে পেলো না। চুপ থাকাটাই উচিত মনে করলো। তরী দু কাপ চা এনে নুর আর অর্ণবকে দিলো। সে যেনো জানতোই নুর এ ঘরে আসবে। চা দিয়েই তরী গিয়ে খাটে বসলো। নুরকেও বসতে বললো। নুর বসলো।

~ছাদে যাবে?

অর্ণব কিঞ্চিৎ হাসলো। অর্ণব চায়ে চুমুক দিয়ে বললো,

~এই সময়? নুর যাবে?

তরী উৎফুল্ল চাহনীতে নুরের দিকে তাকালো। সে যেনো চোখ দিয়েই বলে দিচ্ছে,
~নুর আপু, হ্যা বলো।

মুচকি হেসে নুরও সায় দিলো।

____________________________________________________

ছাদের এক কোনায় দাড়িয়ে নুর। তরী কতক্ষন ছোটাছুটি করে দোলনায় গিয়ে বসলো। অর্ণব বসতেই কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো তরী। নুর মুচকি হেসে আকাশের দিকে তাকালো। তরী ঘুমাতেই অর্ণব বলতে লাগলো,

~আগস্ট এর মাঝামাঝি সময়। ছোট মায়ের মৃত্যুর ৪১ তম দিন। সকালে হটাৎ অরণ্য ভাইয়ের কল এলো। কল করে খুব কাঁদছিল অরণ্য ভাই। জিজ্ঞেস করেছিলাম অনেকবার। শুধু বললো তার হাসপাতালে একবার যেতে। সেদিন তার এভাবে কান্নায় খুব অবাক হয়েছিলাম। কারণটাও স্বাভাবিক। ছোট থেকে কখনোই কাঁদতে দেখিনি ভাইয়াকে। তাই এভাবে কান্নায় অনেকটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কোনো মতে ছুটে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। ত্রিশ মিনিটের রাস্তা কি করে দশ মিনিটে পার করেছি নিজেও জানি না। ভাইয়ার কেবিনে পৌঁছাতেই আমাকে দেখে হাউমাউ করে কান্না করতে শুরু করেছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো….

🍂অতীত🍂

~ভাইয়া, হয়েছেটা কি? কাঁদছো কেনো?

অরণ্যের কান্নার বেগ আরো বাড়লো। অর্ণব বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লো। অরণ্যের এমন কান্নায় চিন্তাও বাড়লো তার। ভয়ে গা কাঁপছে। অরণ্যের কান্নার কারণ জানতে উতলা হয়ে পড়লো। অরণ্য একটা ফাইল এগিয়ে দিয়ে কপাল চাপড়ে কান্না করতে লাগলো। অর্ণব ফাইলটা নিলো। কারো মেডিক্যাল রিপোর্ট। উপরে নাম দেখলো “শুভ্রতা”। অরণ্য ভাঙ্গা গলায় জানালো,

~শুভ্রতার ক্যান্সার।

অর্ণব যেনো আকাশ থেকে পড়লো। হাত পা যেনো অসার হয়ে আসছে। নিজ স্থানেই থম মেরে বসে রইলো দীর্ঘক্ষণ। নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো কতক্ষন তার জানা নেই। ধ্যান ভাঙলো চন্দ্রের কণ্ঠ কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই,

~শালা, দুটো মিনিট জিরাতেও দেস না। আসতে না আসতেই অনুরাধা তাড়া দিয়ে বললো তুই নাকি জরুরী তলব করেছিস। তোর অবস্থা দেখে নাকি সে চিন্তিত।

হাসতে হাসতেই কথা শেষ করলো চন্দ্র। অর্ণবের দিকে চোখ পড়তেই বললো,

~আরে অর্ণব, কখন এলে? বোন কোথায় তোমার?

অরণ্য টেবিলে মাথা রেখে শুয়ে আছে যার জন্য অরণ্যের কান্নারত চেহারা চন্দ্রের নজরে এলো না। তবে অর্ণবের চাহনি বেশ ভাবিয়ে তুললো তাকে। অর্ণব ঢোক গিলে ফাইলটা এগিয়ে দিলো চন্দ্রের কাছে। চন্দ্র হাসি মুখেই বললো,

~কিসের ফাইল এটা?

চন্দ্র ফাইলটা নিয়ে পড়তে লাগলো। ঠোঁট কামড়ে ফাইলে চেয়ে রইলো অনেকক্ষণ। চোখ মুখ গম্ভীর। যেনো কোনো ঝড়ের আভাস। চন্দ্র ফিক করে হেসে উঠলো,

~কার রিপোর্ট এটা? এই… এই রিপোর্ট করেছে কে? কি সব ভুলভাল রিপোর্ট বানিয়েছে? আজই বের করছি একে।

চন্দ্র রাগে গজগজ করতে করতে বের হতে চাইলো। থমকে দাঁড়ালো অরণ্যের কথায়,

~রিপোর্ট সব ঠিকই আছে। বুড়ির ক্যান্সার হয়েছে, লাস্ট স্টেজ।

চন্দ্র হাত মুঠো করে দাঁতে দাঁত চেপে দাড়িয়ে রইলো। হাঁটু ভেঙে বসে পড়লো মাটিতে। কি এক দুবির্ষহ অনুভূতি! মনে মনে আওড়ালো,

~লাস্ট স্টেজ মানে বাঁচার আর উপায় নেই?

সে আঁতকে উঠলো। বাচ্চাদের মত হামাগুড়ি দিয়ে অরণ্যের পায়ের কাছে গিয়ে বসলো।

~এই দোস্ত! লাস্ট স্টেজ মানে? ওকে আর বাঁচানোর উপায় নেই? এই ভাই? কোনো উপায় বের কর না। কোনো একটা উপায় যাতে ও সারাজীবনের জন্য আমার কাছে থেকে যায়। আমি ওকে ছাড়া কেমনে থাকবো? ভাই আমার শুভ্রতাকে বাঁচা।

চন্দ্র হুহু করে কেঁদে উঠলো। সে যেনো বাচ্চার ন্যায় পছন্দের মানুষটাকে আবদার করে বসলো। এই আবদার করা মানুষটাকে না পেলে তার জীবন বৃথা। হ্যা বৃথা, ভালোবাসার মানুষকে না পেলে জীবন বৃথাই তো। ভালোবাসার মানুষটা কাছে না থাকার দুঃখ, কষ্ট জনম ভর পুড়ায়। এই দহন সহ্য করতে পারবে না চন্দ্র। কি করে সহ্য করবে? যার জন্য এতটা বছর ধরে তিলে তিলে স্বপ্ন বুনলো, আজ শুনছে সে চলে যাচ্ছে। কি এক যন্ত্রণাদায়ক সংবাদ।

~ভাই প্লিজ ওকে বাঁচানোর কোনো উপায় খুঁজে বের কর। আমি ওকে হারাতে পারবো না। আমি পারবো না, কোনো মতেই হারাতে পারবো না।দেখ, আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তুই প্লীজ বল তোরা প্র্যাঙ্ক করছিস। প্লীজ ভাই!

~তুই নিজেও ডাক্তার আহনাফ। তুই সব ভালো মতোই জানিস। ও তো আমারও বোন আহনাফ, বাঁচানোর উপায় থাকলে আমি কোনো পথ অবশিষ্ট রাখতাম না। যে করেই হোক সুস্থ করে তুলতাম। ওকে সুস্থ করার কোনো উপায় না থাকলেও চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা তো সম্ভব! এই ছাড়া আর উপায় নেই।
_________________________________________________________

জানালা বন্ধ করে দম ছাড়লো চিত্রা। বাহিরে প্রচন্ড ঝড় শুরু হয়েছে। বাতাসের আওয়াজ ভেসে আসছে তীব্র আকারে। চিত্রা ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। উদ্দেশ্য এক কাপ চা খাওয়া। এই বৃষ্টির মৌসুমে এক কাপ চা খেতে বেশ লাগে তার কাছে। কাজের মেয়ে সুমি এসে চা দিতেই চিত্রা ইশারায় তাকে বসতে বললেন। টিভিতে চলছে হিন্দি মুভি। এর আগেও এই মুভি দেখেছে সে তবে নাম জানা নেই। ছবিটা ভালো লাগে তার। ঠিক করলো আজই রাত্রির থেকে ছবির নামটা জেনে নিবে। চায়ে শেষ চুমুক দিয়ে সুমির উদ্দেশ্যে বললো,

~ভাবছি আজ রাতের জন্য খিচুড়ি রান্না করবো। তোর ছোট সাহেব এলে আমাকে জানাবি। ওর খিচুড়ি বেশ প্রিয়।

~ছোট সাহেব তো সকালেই চইলা আইছে ম্যাডাম।

চিত্রা অবাক হলেন। ভ্রু সংকুচিত করে বললেন,

~সকালে মানে? কখন?
~৮ টায় গেলো আর ১১ টায় আইলো। আইছে পর থেকা তো ঘরেই আছে। মনে হয় ঘুমায়।

চিত্রা চিন্তায় পড়লেন। চন্দ্র বাড়ি এলে সর্ব প্রথম তাকেই ডাক দেয়। বাড়ি এসে মাকে না দেখলে নাকি তার ভালো লাগে না। অথচ সেই ছেলেই আজ মায়ের সাথে দেখা না করে বসে আছে, তাও আবার সকাল থেকেই। চিত্রা চিন্তিত মনে উঠে দাড়ালেন। পা বাড়ালেন ছেলের ঘরের দিকে।
____________________________________________________অ

বেশ দুশ্চিন্তা নিয়ে ছেলের ঘরে প্রবেশ করলেন চিত্রা। সচরাচর চন্দ্রের ঘরের দরজা বন্ধ থাকে। আজ দরজা খোলা। ড্রিম লাইটের আলোয় দেখতে পেলো চন্দ্র শুয়ে আছে। চিত্রা ছেলের মাথায় হাত রাখলেন। জানতে চাইলেন জ্বর হয়েছে কিনা। কিন্তু না, সে ঠিক আছে।

~একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাও তো মা। মাথাটা খুব যন্ত্রণা করছে।

চিত্রা ভেবেছিলেন চন্দ্র ঘুমিয়ে আছে। সে ঘুমায়নি দেখে চিত্রা ঠিক করলেন এমন ফিরে আসার কারণ এখনি জিজ্ঞেস করবেন। সে জিজ্ঞেস করার আগেই চন্দ্র বললো,

~ঝড় হচ্ছে মা…

চিত্রা বুঝলেন না চন্দ্র কোন ঝড়ের কথা বলছে। বাইরের নাকি মনের? চন্দ্র ফের বললো,

~শুভ্রতাকে তোমার কেমন লাগে মা?

চিত্রা হাসলেন। বুঝতে পারলেন ছেলের চিন্তার কারণ। শুভ্রতাকে তার ছেলে ভালোবাসে সে জানেন। শুভ্রতার চোখেও সে চন্দ্রের জন্য ভালোবাসা দেখেছেন। উমার সাথে সে কথা বলেই রেখেছিলেন। উমা ব্যাপারটা নিয়ে খুব খুশিও ছিলেন। তবে কথা আরো আগে বাড়ানোর আগেই এইসব হয়ে গেলো। চিত্রা স্বস্তির শ্বাস ছাড়লেন। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

~মেয়েটা মাত্র মায়ের শোক কাটিয়ে উঠছে আহনাফ। ওর হয়তো আরো একটু সময় চাই।

চন্দ্র বিড়বিড় করে বললো,
~এই সময়টাই তো নেই।

চোখ মেলে তাকালো চন্দ্র। দৃষ্টি স্থির করলো মায়ের মুখপানে। মায়ের হাতটা টেনে ধরে বেশ অশান্ত কণ্ঠে বললো,
~সময়ের কথা বলা যায় না মা। আমি চাই শুভ্রতা যত দ্রুত সম্ভব আমার হোক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে আমার থাকুক। আমি ওকে হারাতে চাই না।

চিত্রা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। বললেন,
~আমি তোর বাবা আর শুভ্রতার মামার সাথে কথা বলবো।

চন্দ্র মায়ের কোল থেকে মাথা সরিয়ে বালিশে মাথা রাখলো। কপালে ডান হাত রেখে চুপ করে শুয়ে পড়লো। চিত্রা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে নিতেই চন্দ্র ডাকলো। চিত্রা পিছন ফিরে তাকালে চন্দ্র বললো,
~মা, বিয়েটা এই সপ্তাহে হলেই ভালো হয়। আর নয়তো…
~নয়তো?
~৮ম দিনে বউ রূপে শুভ্রতাকে বরণ করতে প্রস্তুত থেকো।

চিত্রা হতবিহ্বল হয়ে দাড়িয়ে রইলেন। প্রশ্ন করলেন,

~তোর কি মনে হয়? শুভ্রতা রাজি হবে?

চন্দ্র উত্তর দিলো না। শুধু ঠোট বাঁকিয়ে রহস্যময়ভাবে হাসলো। ছেলের এই হাসির মানে কিছুটা হলেও বুঝলেন চিত্রা। নিঃশব্দে বেরিয়ে এলেন ছেলের ঘর থেকে। ঠিক করলেন আজই স্বামীর সাথে কথা বলে সব ঠিক করবেন। সেও চায়না শুভ্রতাকে বউ বানাতে দেরি করতে। যত দ্রুত সম্ভব দুই ছেলের বউকে দেখতে চান তিনি।
~~~
চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here