দুষ্টু_বউয়ের_ডেবিল_বর part:02

দুষ্টু_বউয়ের_ডেবিল_বর part:02
writer: #Nurzahan_akter_allo

মুগ্ধঃইয়া খোদা আমি এই কোন এলিয়েনের প্রেমে পড়লাম।
ওদিকে রুহী ওয়াশরুমে থেকে চিৎকার করছে আর গান গাইছে,এবার মুগ্ধ অবাক হয়ে ওয়াশরুমের দরজার দিকে তাকিয়ে আছে।আর রুহী ওয়াশরুমের ভেতরে সাওয়ার ছেড়ে দিয়ে উরাধুরা নাচছে আর গান গাইছে,,,।
কথা হবে দেখা হবে প্রেমে প্রেমে মেলা হবে
কাছে আর আসা আমি হবে না,,,,,
চোখে চোখে কথা হবে ঠোঁটে ঠোঁট নাড়া দেবে
ভাল বাসা বাসি আর হবে না,,,,,,
শত রাত জাগা হবে থালে ভাত জমা রবে
খাওয়া -দাওয়া কিছু মজা হবে না,,,,,
হুট করে ফিরে এসে লুট করে নিয়ে যাবে
এই মন ভেঙ্গে যাবে জানে না,,,,
আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না,,,,
মুগ্ধ হা করে এতক্ষণ রুহী গান শুনছিল,ওর হুশ আসে ওয়াশরুমের দরজার খোলার শব্দে।মুগ্ধ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে রুহী দিকে,আর রহী নিজের মত করে চুলে টাওয়াল পেচিয়েছে আর কালো থ্রী কোয়াটার প্যান্ট আর গোলাপী টপস পড়ে বের হয়েছে,এই মেয়েকে দেখে কেউ বলবে না কালকে উনার বিয়ের হয়েছে আর উনার বর সশরীরে উনার সামনে বসে আছে।মুগ্ধর অবাক হওয়া এখনো শেষ হয় নি,,,
মুগ্ধঃ আচ্ছা তুমি ওয়াশরুমে এতক্ষণ চিৎকার করে গান করছিলে কেন?
রুহীঃওটা চিৎকার করে গান করা বলে না এটাকে বাথরুম সং বলে।আর এই বাথরুম সং না করলে আমি সাওয়ার নিতে পারি না।আপনিও সাওয়ার ছেড়ে উরাধুরা নাচবেন আর গান গাইবেন দেখবে মনটাই কেমন ফুরফুরে হয়ে গেছে।
(চাইলে পাঠক /পাঠিকারাও করে দেখতে পারেন )
মুগ্ধঃএসব পাগলে কাজ আমার করার দরকার নাই।
রুহীঃতোর এত বড় সাহস তুই আমার পাগল বললি,তোকে আমি,,,
রুহী ওর মাথায় থেকে টাওয়াল খুলে মুগ্ধর মাথায় জড়িয়ে দিল,আর ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে চুলের কাকড়া এনে মুগ্ধ নাকে আঁটকে দিছে।মুগ্ধ এবার চিৎকার করেও করতে পারছে না।মুগ্ধ রুহীকে একটানে বিছানার উপর ফেলে রুহীর উপর উঠে বসে।আর রুহী মুগ্ধ ওর উপর থেকে সরানোর জন্য হাজার চেষ্টা করে একসময়
রুহীঃফাজিল পোলা তোকে আমি কালা সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে মারবো।আমার উপর উঠে বসলি কেন?কুওা জলহস্তী’ নাম আমার উপর থেকে নামবি না কি তোকে আমি কামড়ে দিবো ।
মুগ্ধঃইসসসসস রে এই দুষ্টু মেয়ে তুমি আমার নাকে এটা কি আটকে দিলে?ভাল করে তাকিয়ে দেখ তো আমার নাকটাই কেমন লাল হয়ে গেছে,আর আমাকে জলহস্তী’বললে কেন?
রুহীঃতোকে জলহস্তী’ বলছি হাতি তো বলি নি?তুই কি নামবি নাকি তোরে উষ্টা দিয়ে উগান্ডা পাঠাবো।
মুগ্ধঃআরে আমার বউ তো দেখছি রেগে গেছে ,,আচ্ছা তুমি এসব ড্রেস বদলে শাড়ি পড়ে এসো, নতুন বউকে এসব ড্রেসে একদম মানায় না।
মুগ্ধ উঠে দাড়াতেই ডোর নক হয়,মুগ্ধ রুহীর দিকে তাকিয়ে ডোর খুলে দিয়ে দেখে,ওর কাজিনের বউরা এসেছে,মুগ্ধ শয়তানি হাসি দিয়ে ওর ভাবিদের বললো,,
ভাবিরাঃকি দেবর তোমার কি অবসথা? আর তোমার নাক লাল হয়ে আছে কেন?
মুগ্ধঃওটা বউয়ের ভালবাসার চিহ্ন, আমার বউটা এত ভাল যে,কি বলবো আমি কল্পনাও করি নি এত ভাল একটা মেয়ে আমার বউ হবে
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ভাবিরাঃতা তোমাদের মিশন কেমন চললো,,,
মুগ্ধঃআরো বলো না ভাবি,সারারাত যুদ্ধ করতে করতেই সকাল হয়ে গেলে। কি আর বলবো তোমাদের, তোমারা তো আমার থেকে দশ ধাপ এগিয়ে,,
ভাবিরাঃথাক বাপু তোমার আর বলা লাগবে না, তুমি যেই লাগাম ছাড়া মানুষ, তখন আমরাই লজ্জায় পড়বো,,,
মুগ্ধ মনে মনে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো,
মুগ্ধঃহয়রে মেয়ে মানুষ, তোমাদের বুদ্ধি যে হাটুর নিচে সেটা আবার প্রমান করলে।যাই হোক আমি বললাম এক মিশনের কথা ওরা বুঝলো আরেক মিশনের কথা।ধুর মাথা,,,বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা।
এসব কথা বলে ভাবিদের দিকে তাকাতেই দেখে ভাবিরা বড় বড় চোখে মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে আছে।মুগ্ধ ভ্রু নাচিয়ে ভাবিদের জিজ্ঞাসা করলো,কি হয়েছে?
মুগ্ধঃএভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?আমি কি আগের তুলনায় আরো বেশি সুন্দর হয়ে গেছি,,
ভাবিঃ মুগ্ধ এসব কি শুনছি?তোমার থেকে এগুলো আশা করি নি,,এসব চাচ্চু (মুগধর বাবা)জানলে কত কষ্ট পাবে জানো?
মুগ্ধঃআমি কি করেছি? আমি এটাই বুঝতে পারছি না,আমাকে বলো,,আর না বললে জানবো কি করে?
ভাবিরাঃতুমি কালকে রাতে রুহীকে রুম থেকে বের করে দিয়েছো কেন?আবার সবাই সকাল সকাল ওকে রুমে ডেকে নিয়েছো কেউ দেখার আগে,আর এগুলো ওকে কি পড়তে দিয়েছো?আবার জোর করে সাওয়ার নিয়ে বলছো?যাতে কেউ তোমাদের ডাউট না করে?
মুগ্ধঃকি???????এগুলো আমি করছি?
রুহীঃ
ভাবিঃএকদম ন্যাকা সাজবে না, রুহী তুমি কিছু মনে করো না,আমরা আছি তোমার পাশে।এবার চল আমরা পাশে রুমে তোমাকে নিয়ে যাই রেডি করে দেই,বড় আম্মু (মুগ্ধর মা ডাকছে)
রুহীঃ আচ্ছা ভাবি চলেন,,
মুগ্ধঃ এসবও দেখার বাকি ছিল খোদা,,
রুহী রুম থেকে বের হওয়ার আগে মুগ্ধ দিকে তাকিয়ে একটা শয়তানি হাসি দিল।আর মুগ্ধকে যে রুহী এভাবে গোল খাওয়াবে মুগ্ধ ভাবতেই পারে নি,বেচারা মুগ্ধ গোল খেয়ে ওখানেই দাড়িয়ে রুহী যাওয়া দেখছে।মুগ্ধ মনে মনে হাসলো রুহী ওকে এভাবে ফাসিয়ে দিবে ভাবে নি,কারন মুগ্ধ চেয়েছিল রুহীকে লজ্জায় ফেলতে সেখানে মুগ্ধই গোল খেয়ে বসে রইলো ।
মুগ্ধ টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে গেল,সাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে রুহীকে প্রথম দেখার দিনটার কথা মনে পড়ে গেল।
সেদিন,,,
মুগ্ধ, তারাতারি করে বাসায় থেকে বের হয়েছিল অফিসের জরুরি মিটিং থাকায় কিন্ত দুর ভাগ্যক্রমে জ্যামে আটকে যাই,মুগ্ধ কি মনে করে গাড়ির গ্লাসের দিকে তাকাতেই দেখে, পাশের গাড়ি থেকে মুগ্ধর গাড়িকে কেউ ব্রাশ করে থু থু ফেলছে,,,এটা দেখার পর মুগ্ধ সাথে সাথে গাড়ির গ্লাস নামাতেই, এবার সরাসরি কুলিটা এসে মুগ্ধর শাটে পড়ে।এবার মুগ্ধ রেগে গিয়ে কিছু বলার আগেই,,,গাড়ির ভেতর থেকেএকটা মেয়ে( রুহী) মাথা বের করে,,,
রুহীঃআরে ইয়ার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে,আর আজ কলেজে একটা ইমপোরটেন্ট ক্লাস আসে,যদি পড়া শোনা কিছুই করি নি তবু যাই দেখি,চিটার টাকে কি করে রাগানো যাই । আর মুখটা ধুয়ে আসার সময় পাই নি, তাই গাড়ি বসেই ব্রাশ করে নিলাম।কিছু মনে করবেন না যেন,নিজ দায়িত্বে গাড়িটা সহ নিজেও ওয়াশ হয়ে নিবেন।ভাল থাকবেন,,, বাই
আর মুগ্ধ কিছু বলার আগেই রুহী গাড়ি টান দেয়।আর মুগ্ধ ভাবতে থাকে এতক্ষণ কি হলো? ।একি মানুষ রূপি এলিয়েন নাকি??
চলবে,,.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here