গল্পের নাম :#পবিএতার_ছোঁয়া (সিজন২)
পর্ব :#২
লেখিকা :#জাবিন মাছুরা (ছদ্মনাম)
আমি দেখলাম আমি খাটের উপরে শুয়ে আছি। কিন্তু কি ভাবে সম্ভব? আমি তো ফ্লোরে শুয়েছিলাম।
তার মানে স্যার আমাকে,,, না কোনদিনও সম্ভব না। আমি হয়তো ভূল করে খাটে শুয়ে পড়েছি। আমি আর দেরি না করে খাটের থেকে নেমে পড়লাম। যদি স্যার দেখতে পেতো আমি ফ্লোরে থেকে খাটে শুয়েছি। তাহলে তো নিশ্চয় রাগ করতেন। একপল স্যারের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকালাম। কেন জানিনা তার প্রতি প্রচুর অভিমান হলো। অকারনে চোখের পানি পড়তে লাগল।আমি যে কান্না কাটকে রাখতে পারছি না। তাই বাথরুমে গিয়ে ঝরনার নিচে বসে কাঁদতে লাগলাম।
বেশিক্ষন থাকলাম না। কারন একটু পরেই হয়তো স্যার জেগে যাবেন। হলুদ রঙের একটা ফ্রগ পরে রের হলাম।
বের হওয়ার পড়েই দেখলাম স্যার জেগে গিয়েছে। আমাকে দেখে সে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বাথরুমে চলে গেলেন।
আমি আস্তে আস্তে চুলগুলো মুছতে লাগলাম। স্যার বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
তাহসিন : এতো সকালে গোসল করলে যে?
আমি : এমনেই।
তাহসিন :ওহহ।জ্বর যেন না আসে।নামাজ পড়েছ?
আমি: হুম।
তাহসিন : ওকে গনিত বই বের করো।
আমি কোন কথা না বলে বই বের করলাম। স্যার আমাকে পড়াতে লাগলেন।
আমি চুপচাপ পড়তে লাগলাম।
তাহসিন : আজকে পরীক্ষায় যদি কম পাও তাহলে তোমার জন্য ভয়ানক শাস্তি দিব।
আমি : ঠিক আছে।
তাহসিন : আজকে স্কুলে যাতে চাও?
আমি : না। আজকে যাব না।
তাহসিন :ঠিক আছে যেতে হবে না। বিকেলে কোচিংনে যেতে হবে।
আমি : হ্যাঁ যাব।
তাহসিন : এখন তোমার ছুটি।
ছুটির কথা শুনে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। স্যারদের বাড়িটা ঘুরে ঘুরে গেখলাম।তারপর ছাদে গেলাম। স্যার অনেক সুন্দর করে ছাদ সাজিয়ে রেখেছেন।ছাদে যেয়ে খোলা আকাশের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। এখন মনটা অনেক হালকা লাগছে। আধা ঘণ্টা পরে ছাদ থেকে নেমে আঙ্কেলের রুমে গেলাম।
আমি : আঙ্কেল ।
তামিম সাহেব : আরে মিহু মা।বাইরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ভিতরে আয়।
আমি ভেতরে ঢুকলাম। আঙ্কেল আমাকে আগে থেকেই অনেক আদর করেন।
আমি : আঙ্কেল, আন্টি কোথায়?
তামিম সাহেব : তাহসিনের মা তো রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে।
আমি : তাই। আসবে কবে?
তামিম সাহেব : জানি না। আচ্ছা মিহু তুই আমাকে আঙ্কেল বলছিস কেন?
আমি : মানে?
তামিম সাহেব : তুই তো এখন তাহসিনের বউ তাই এখন থেকে আমাকে বাবা বলবি।
আমি: ঠিক আছে আঙ্কেল থুক্কু বাবা।
বাবার সাথে অনেকক্ষন কথা বললাম। বাবা যখন বলল রান্না করার মতো কেউ নেই। সে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অডার করবে তাই দেরি না করে রান্না ঘরে চলে এলাম।নাস্তা তৈরি করে টেবিলে রাখলাম। আমি যেহেতু আগে থেকে রান্না জানতাম তাই আর কোন সমস্যা হলো না। খিচুরি রান্না করলাম। এর আগে শুনে ছিলাম স্যারের নাকি খিচুরি অনেক পছন্দ। তাই রান্না করলাম। খাবার টেবিলে রেখে রেগে বাবাকে ডাকলাম। বাবা চলে এলেন।
তামিম সাহেব : মিহু খিচুরি কি তাহসিন রেস্টুরেন্ট থেকে এনেছে?
আমি কিছু বলার আগে স্যার চলে এলেন।
তাহসিন : না বাবা আমি অডার করি নি।
তামিম সাহেব : তারমানে আমার মিহু মা রান্না করেছে?
আমি : হুম।
স্যার আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
তাহসিন : তোমার পড়তে ভালো লাগে না রান্না করতে ভালো লাগে,
আমি কিছু বললাম না। স্যার আর বাবা খাবার শেষ করলেন।বাবা আমার অনেক প্রশংসা করলেন। কিন্তু আমি তো আশায় ছিলাল স্যার কিছু বলবেন। ওনি কিছু বললেন না বরং নিশ্চুপ ভাবে খেতে লাগলেন।
তামিম সাহেব: তাহসিন আজকে তুই কিন্তু কোথাও যাবি না। ভার্সিটিতেও না কোচিংএ ও না। আর মিহু ও কোথাও যাবে না।
তাহসিন : কিন্তু বাবা আমার যে আজকে ভার্সিটিতে যাওয়া খুব প্রয়োজন।
তামিম সাহেব : আজকে যাবে না। আমি তোমার বোন সামিহা আসবে, মিহুকে দেখতে।
স্যার কোন উওর না দিয়ে ঘরে চলে গেলেন। আমিও খাওয়া শেষ করে ঘরে এলাম।
তাহসিন : এতো সময় লাগে আসতে। আর তুমি রান্না করতে গেলে কেন?
আমি : নিশ্চুপ,,
তাহসিন :পড়তে বসো। তোমার শান্তি হচ্ছে তিন ঘণ্টা পড়তে হবে।
আমিও কোন কিছু না বলে পড়তে বসলাম।
প্রায় তিন ঘন্টা পড়ার পড় আমি আর বসে থাকতে না পেরে বললাম বললাম।
আমি : টয়লেটে যাব?
তাহসিন : ঠিক আছে যাও। আমার একটু কাজ আছে বের হলাম।
আমি :হুম।
||
অনেকক্ষণ পড়ে স্যার বাসায় এলেন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে। আমরা সবাই একসাথে খাবার খেলাম। তারপরে বাবার সাথে কিছুক্ষন গল্প করে রুমে চলে এলাম।
রুমে এসে দেখলাম স্যার ঘরে নেই।
আমি কলকে রাতে ভালো করে ঘুমোতে পারি নি।তাই মাথা থেকে ওড়না খুলে ফেললাম।সবসময়ই আর মাথায় স্কার্ফের মতো পড়ে থাকে ভালো লাগে না। এখন স্যারের চেয়ে ঘুম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ জানে খাটে শুয়েছি বলে যদি বকা দেয়। বকা দিলে দিবে,, শুয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েলাম।
||
গভীর ঘুমে আমি বুকের উপর ভারি কিছু অনুভূব করতেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
(#চলবে)
[আমি অসুস্থ তাই গোছিয়ে লিখতে পারি নি। দেরি হওয়ায় জন্য দুঃখিত]