পরানের দুলাভাই পর্ব -০৩

#পরানের_দুলাভাই🕵
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা””
পর্ব- ৩
—-****—-

সে কখন ঘুমিয়ে পরেছে তারই খেয়াল নেই।
ঘুম থেকে উঠে দেখে সে রুমে বিছানায় শুয়া, আর ঘড়িতে রাত ৮ টা বাজে,
নিতু ভাবতেই পারছেনা কখন ঘুমালো কখন রুমে এল কিভাবে সব এলো মেলো, এত ক্ষন অবদি সে ঘুমিয়ে ছিলো।
তার পর চারিদিক চোখ বুলিয়ে দেখে মুগ্ধ সোফায় বসা ল্যাপ্টপ এ কি যেনো করছে, নিতু উঠেছে দেখে মুগ্ধ বলে উঠল ” ঘুম হল তোমার নাকি আরো ঘুমো বে,
মুগ্ধের কথায় নিতু বুঝতে পারলনা সে কি রাগে বললো কথাটা,
এমন সময় মুগ্ধের মা রুমে এসে বললো কি রে তর কি খিদে লাগেনা ,
না মানে কখন ঘুমিয়ে গেলাম বুঝতে পারিনি ( নিতু)

হুম বুঝতে পারো নি নাকি আমার ভাইটাকে খাটাবে বলে ছাদে ঘুম এর ভান করে সোয়ে ছিলে ( মুগ্ধের বোন কনিকা হঠাৎ এসে বলে উঠল)

মুগ্ধ কনিকার কথা শুনে রুম থেকে বেরিয়ে যায়,
এবার নিতু কনিকা কে জিজ্ঞাস করে, আচ্ছা আপু আমি রুমে এলাম কি করে???

কনিকা খিল খিল করে হাসছে, আর বললো কেন আমার ভাইটা,, বলেই আবার হাসতে লাগলো,

নিতু ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললো মানে??

কনিকা এবার বললো আরে তুমিতো ছাদে ঘুমিয়ে ছিলো,আমরা আর তেমায় ডাক দেইনি ভাবলাম সারা রাত তো ঘুমাতে পারোনি এখন একটু ঘুমাও আবারতো রাত জাগা আছেই বলে কনিকা নিতুকে চোখ টিপ মারে, গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।

নিতু শুধু বোকার মত শুনে যাচ্ছে কি রিয়েক্সন সে দিবে ভেবে পাচ্ছেনা।

কনিকা আবার বলে উঠল, মুগ্ধ অফিস থেকে এসে রুমে তোমায় না পেয়ে, জানতে চাইলো তুমি কই,

তখন বললাম ছাদে, বলা মাএ ভাইটা ছাদে গিয়ে দেখে তুমি ঘুমিয়ে বালিস হয়ে আছো, তখন মুগ্ধ তোমায় কোলে করে এনে রুমে শোইয়ে দিয়েছিলো বুঝলে আমার ভাই এর বৌ।( থুতনিতে হাত দিতে দিতে নিতুর কনিকা,)

এবার নিতু একটু লজ্জা পায়,
এবার তার শাড়িটা এলো মেলো হয়ে আছে,
তা দেখে কনিকা বললো হুম ফ্রেস হয়ে এসো খাবে।

নিতু কনিকাকে ডাক দিয়ে বললো আপু শুনো।

কি কিছু বলবে ( কনিকা)

নাহ মানে ঐ ইয়ে নিতু বির বির করে যাচ্ছে।

কনিকা বললো আরে সংকোচ করোনা বলো কি বলবে??

নিতু এবার বললে আপু শাড়িটা একটু পরিয়ে দিবে!!!মুখটা ছোট করে।

কনিকা হা হয়ে দারিয়ে আছে আর বললো তুমি শাড়ি পরতে পারোনা 🤭
নিতু মাথা নাড়িয়ে না বললো।

কনিকা এবার ঘম্ভির ভাবে বললো তাহলে সকালে কি ভাবে পরলে, কে পরিয়ে দিয়েছিলো??

নিতু বললো না মানে দু- লা ভা- ভাই, তুলতাতে তুতলাতে,

ও এত দূর তলে তলে এত দূর বলেই কনিকা হাসতে হাসতে বাহিরে চলে গেলো,
নিতু বুকার মত বসেই আছে,
কনিকা এবার অনিকা কে সাথে নিয়ে এসেছে দুজনই পেট ধরে হেসে লুটু পুটু খাচ্ছে,
যা কিনা নিতুর জন্য লজ্জা জনক।

এবার কনিকা নিতুর শাড়িটা ঠিক করে দিয়ে বললো চলো এবার খেয়ে নিবে।
গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা তাই চুর হতে সাবধান।
বলেই উঠে চলে গেলো সাথে অনিকাও, অনিকা দু কদম বাহিরে ফেলতেই আবার রেমে ঢুকে নিতুকে বললো,
দেখো নিতু আমার ভাইটা এক জন অপরাধের কারন অন্য জন কে শাস্তি দেয় না, সে খুবই শান্ত স্বভাবের তার রাগ কখোনে বুঝা যায় না,

মিতু যা করেছে আমার ভাইটা অনেক কষ্ট পেয়েছে,
তুমি ওকে গ্রুহন করো কষ্ট টা দূর করে দাও,
মিতু জায়গা টা নাই নিতে পারো কিন্তু মিতুর চেয়ে তোমার অধিকার টা মুগ্ধের উপর বেসি তুমি তার বৌ এখন।
তাই তোমার সব টা শক্তি দিয়ে মুগ্ধের মনে মিতুর চেয়েও উপরএর আসন টা নিয়ে নাও।

কথাটা বলেই অনিকা চলে গেলো,
কনিকার মত অনিকা এত টা চনচল নয় অনিকা গম্ভির করমের মেয়ে,

নিতু এবার খাবার টেবিলে যায় গিয়ে দেখে সবাই বসে আছে ওর জন্য,
কনিকাও অনিকার স্বামীরাও আছেন।

আমি যেতেই এক দুলাভাই বললো কি গো শালি রাত দিন কেমন কাটলো।

নিতু একটু লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে দারিয়ে আছে।
এবার কনিকা বলে উঠল ওনি অনিকার স্বামী আর ইনি আমার টা 🤗

চিনে রাখো ,, ( কনিকা)

নিতু মাথা ঝাকিয়ে বললো হুম চিনেছি আপু।

খেতে বসে সবার সাথেই দু একটা কথা বলছে নিতু কিন্তু মুগ্ধ চুপ করে খাচ্ছে কিছু বলছেও না,
মুগ্ধ নিতুর পাশেই বসেছিলো,

খাওয়া শেষে মুগ্ধের মা দুই গ্লাস দুধ হাতে ধরিয়ে বললো এটা নিয়ে যা,
নিতু কোন পশ্ন না করে দুধ নিয়ে চলে এলো, এসেই দেখে মুগ্ধ বারান্দায় গিটার হাতে নিয়ে ফ্লুরে বসে টুং টাং শব্দ করছে,

এবার নিতু মুগ্ধের কাছে গিয়ে বললো, দুলাভাই আপনি গিটার বাজাতে পারেন???
মুগ্ধ তাকিয়ে আছে নিতুর দিকে, আর ভাবছে নিতুতো কোন দুষ করেনি তাহলে কেন তাকে দুরে সরিয়ে রাখব?
মিতুর কারনে কেন নিতুর প্রাপ্প থেকে বন্চিত হবে,
নাহ মিতুর জন্য নিতুকে আমি কষ্ট দিবোনা আমার সর্বত্র দিয়ে নিতুকে খুশি রাখার চেষ্টা করব, কারন বিয়েটা ছেলে খেলা নয়, নিতু এখন আমার বৌ, আর মিতু তো আমার কখনো ছিলোই না, এটাই ভাগ্য এটা মেনেই নতুন জীবন শুরু করব আমরা,
( এক মনে ভাবছে মুগ্ধ)
এবার নিতু বলে উঠলে দুলাভাই কি হল পারেন না নাকি, এমনিই ভাব নিচ্ছেন বাজানোর।

এবার মুগ্ধের হুস ফিরে,
আর বলে হুম পারি অল্প অল্প হাতে দেখিয়ে,

ওহ তাহলে একটা গান শুনান না প্লিজ দুলাভাই( নিতু মুখটা মায়া মায়া নিয়ে)

আচ্ছা তুমি দুলাভাই কেন ডাকো আমায়, আমিতো তুমার স্বামী, ( মুগ্ধ)

নিতু কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না,
শুধু আচল পেচিয়েই জাচ্ছে,
এবার মুগ্ধ আবার বলে উঠে আচ্ছা ডেকো যা খুশি কিন্তু সম্পর্ক তো আর পালটে জাবেনা,
তোমার যা মন নেয় তাই ডাকো।
নিতু এবার বললো আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে….

এবার মুগ্ধ একটা হালকা হাসি দিয়ে বললো নিতু!!!

জ্বী বলুন( নিতু)

আমার কাছে এসে বসো তোমায় গান শুনাই,
মুগ্ধের কথামত নিতু মুগ্ধের পাশে নিচে বসে পরে।

এবার মুগ্ধ একটা গান ধরে,

শুধু তোমার জন্য এখন
কত সপ্ন দেখে মন,
শুধু তোমার জন্য এখন,
কত সপ্ন দেখে মন,
যদি তুমি দূরে যাও এমনে ব্যাথা দাও
যদি তুমি দূরে যাও এ মনে ব্যাথা দাও,
“””””

“””””
“”””””
গান গাচ্ছে আর নিতু এক মনে চোখ বুজে আছে,

কখন যেনো গান শুনতে শুনতে মুগ্ধের কাথে মাথা রেখে দেয় নিজেরই অজান্তে,
মুগ্ধ গান শেষ করে দেখে নিতু চোখ বুজে আছে হালকা হাসিটা নিতুর মুখে লেগে আছে, চুল গুলো এলোমেলো বাতাসে উরছে,
রাতের আকাশ এর তারা চেয়েও নিতুর মুখটা উজ্জল লাগছিলো।
মুগ্ধ নিতুর চুল গুলো হালকা ভাবে সরিয়ে দেয়,

নিতু এবার ধরাম করে মুগ্ধের কাথ থেকে মাথা উঠিয়ে নেয়, আর বলে স- রি – সরি, আমি বুঝতে পারিনি কখন আপনার কাধে মাথা রেখেছি।

মুগ্ধ এবার বললো এটা সরি বলার কি আছে বলতে বলতে নিতুর কোলেই শুয়ে পরে,
নিতু বেচারি তার হেচকি উঠে গেছে মুগ্ধের কান্ডে,
মুগ্ধ হালকা হেসে হেসে বলছে কি হল আমি কাছে এলাম তোমার কষ্ট হচ্ছে তুমি আমায় মানতে পারো নি নিতু, আমি মানানোর চেষ্টা করছি তুমি কি রাগ করলে ঠিক আছে আমি উঠে যাচ্ছি,
বলেই উঠতে নিলো মুগ্ধ,
নিতু হুট করেি বললো এই না না শোন এখানে সমস্যা নেই বলেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলো ,

মুগ্ধ চুপ করে নিতুর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে,,,
দুজনেই চুপ এক দিকে মুগ্ধ সব ভুলে নিতু কে মেনে নেয়ার চেষ্টায় আছে, সে তার মা বাবা বা নিতু কে কষ্ট দিতে চায় না সেই বেইমান বেহায়া মিতুর জন্য।

আর নিতু ভাবছে জাইন ভাইয়ার কথা, জাইন ভাইয়া কি ঠিক আছে আমায় একটা কল ও দিলোনা রোজ ৫০ বার কল দিয়ে মাথা খায়, সে কি রাগ হয়েছে আমার উপর??
আমি কি করব আমার নিয়তি তো এখন মুগ্ধ, সে যখন সব ভুলে সামনে এগুতে চাইছে আমারও তাতে সায় দেওয়া উচিত, মনে মনে নিতু ভেবেই যাচ্ছে।

অনেক রাত হয়ে গেছে দু জনই বারান্দায়,
এবার নিতু বললো এই যে শুনছেন এই দুলাভাই আপনি কি ঘুমিয়ে গেলেন নাকি,

মুগ্ধ হাই তুলতে তুলতে বললো নিতু তুমি এত সার্থপর কেন??

কেন দুলাভাই আমি আবার কি করলাম,( নিতু)

কি করলে মানে তুমি যখন ঘুমিয়ে ছিলে আমিতো তোমায় ডাকিনি বরং চুপ করে কোলে করে এনে রুমে শুইয়ে দিয়েছিলাম, যাতে তোমার ঘুমটা না ভাংগে।
আর তুমি কি করলে ( মুগ্ধ ঠোট বাকিয়ে করুন স্বরে বললো)

নিতু হাসবে নাকি কাদঁবে বুঝতে পারছেনা,
নিতু বললো তাহলে কি আপনাকে কোলে করে ঘরে নিতে হবে নাকি আমার???

মুগ্ধ সাথে সাথেই বলে উঠল তাহলে আর কি অব্যশই নিবে,

নিতু মাথায় হাত দিয়ে বলে আপনার মত মানুষ কে আমি কুলে নিতে গেলে হাড্ডি আর থাকবেনা,
আমিতো পাতলা তাই কোলে নিয়েছেন।

ইস পাতলা না ছাই তুমি কম করে হলেও ৮০ কেজি হবে বলেই মুগ্ধ হাসছে,
আর নিতু রাগে মুগ্ধের চুল ধরে বলছে কি আমি মোটকি না দারান দেখাচ্ছি মজা,
বলেই এলোপাথারি কিলাতে লাগলো মুগ্ধ টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে শুয়ে পরে নিতুও মুগ্ধের বুকে উঠে চুল টানছে,

এক পর্যায়ে মুগ্ধ নিতুর দুই হাত সরিয়ে দিয়ে নিতু মুগ্ধের উপর পরে যায় আর ওর ঠোট জোর মুগ্ধের ঠোটে লেগে জায়,
তার পর””””

চলবে নাকি গো???

★ভুল ত্রুটি মাফ করবেন🤥★

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here