অখণ্ড তুমি পর্ব ১

#অখণ্ড_তুমি
১ম পর্ব

——আগামীকাল ঈশিতার বিয়ে, এই কিছুক্ষণ আগেই ঘরোয়া ভাবে ওদের গায়ে হলুদের পর্বটা শেষ হয়েছে। জুয়েলের পরিবার থেকে গায়ে হলুদের জন্য কিছু টুকিটাকি জিনিসপত্র এসেছে এই যা! তাছাড়া আর কোনরকম আয়োজন ছিল না। দু বাড়িতে দুজনের গায়েই আলাদা করে কাঁচা হলুদের ছোঁয়া লেগেছে। কাল ভোরের আলো ফুটলেই দু বাড়ি বিয়ে বাড়িতে রূপ নেবে। আর বিয়ের পালা চুকে গেলেই দুজনে বাঁধা পড়বে আজীবন তরে এক নতুন বন্ধনে, নতুন নামের সম্পর্কে। যেখানে একে অন্যের উপরে ভালোবেসে অধিকারবোধ চড়া হবে, তো মান অভিমান আর খুনসুটি দিয়ে তারা জীবন কাটিয়ে দিবে। একে তো সংসার ই বলে তাইনা! বিবাহ পরবর্তী দম্পতিদের বৈবাহিক জীবনের স্তম্ভ বিয়ে। আর মাত্র কিছু ঘণ্টার অপেক্ষা, এরপরেই ওরাও বাঁধা পড়বে এ সম্পর্কের অতলে। অনধিকার দেখিয়ে কেউ অন্তত আর ওদের আলাদা করতে পারবে না। ভাবতেই ঈশিতার গায়ে একটা শিরশির করা ঠাণ্ডা বাতাস ছুঁয়ে গেলো।

ঈশিতার মায়ের সাথে তার বাবার বেশ একটা বাকবিতন্ডা হচ্ছে, ঘরে বসেই সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে। বাবার চাপা গলার ক্ষোভ আর মায়ের আকুতি দুই’ই কানে আসছে তার। মা সম্ভবত বিয়েতে কিছু আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতি চান বলে জেদ ধরেছেন আর বাবা তাতে একদম অমত। কিন্তু এ নিয়ে ঈশিতার মনে কোনরকম ক্ষোভ নেই, সে জানে তার বিয়েটা আয়োজন করে, হৈ-হুল্লোড় করে হবে না, তাই অযথা আশা করেও লাভ নেই। ভালোবাসার মানুষটিকে আজীবন পাশে পাবে, তার হাতে হাত ধরে জীবন কাটাবে এই বা কম কিসে! মানুষটাকে যে কাল থেকেই নিজের করে পাচ্ছে সেই সুখের উপরে অন্য কোনো মনখারাপের ভারটা মোটেও বড় হতে পারে না। ওগুলো ঠিক পাশ কাটিয়ে চলে যায় একসময়।

আয়নার সামনে বসে ঈশিতা নিজেকে দেখছে, গা ভর্তি কাঁচা ফুলের গয়না, হাতের বাজুতেও ফুলের মালা প্যাচানো গয়না, দু’পায়ের আঙুলে রঙিন জরজেটের কাপড় দিয়ে তৈরি ফুল-সদৃশ আংটি । সারা গা ভর্তি গাদা ফুলের ঘ্রাণে ঈশিতার নিজেকে ফুলকন্যা বলে ভ্রম হচ্ছে। মন খারাপের মাঝেও নিজের এই ফুলে ভরা সাজটাকে ও খুব মুগ্ধ হয়ে দেখছে।

জুয়েলের ফুল দিয়ে সাজসজ্জা খুব পছন্দের, আগে তো প্রায়ই কতো করে বলত ওকে,

–“মাথায় এসব কৃত্রিম ফুল-টুল না দিয়ে একটু কাঁচা ফুলের মালা দিলেও তো পারো নাকি? কি সুন্দর ঘ্রাণ আসে তাহলে! বেলিফুলের মালা পেঁচিয়ে খোপায় পরবে আর বকুল ফুলের মালা পরবে গলাতে।”

ভাবতে ভাবতেই ঈশিতা মুচকি হাসলো, ইশ এই ছেলেটা বড্ড কাব্যিক আর প্রকৃতিপ্রেমী। কিন্তু ঈশিতার যে মোটামুটি সব ফুলের ঘ্রাণেই এলার্জি আছে সেটা কখনোই জুয়েলকে মুখফুটে বলা হয়নি। ফুলের ঘ্রাণেই যে ওর হাঁচি শুরু হয়ে যায় সেটাও জুয়েলের অজানা। ঈশিতাও ব্যাপারটা খোলসা করে বলেনি কোনদিন জুয়েলকে, এতে করে ওর এই ফুল নিয়ে পাগলামিটা থেমে যাবে। সেটা ঈশিতার মোটেও ভালো লাগবে না তারচেয়ে এলার্জি টেলার্জি থাক, সমস্যা কি! কিন্তু বিয়ের পরে ঈশিতা রোজ খোপায় ফুল গুজবে, এ ফুল ও ফুল! জুয়েলের বাড়ি ফেরার আগেই ঘরের মধ্যে একটা বড়সড় কাঁচের বাটিতে জল ভর্তি করে তাতে গোলাপের পাপড়ি বিছিয়ে দিবে, যেন ঘরময় গোলাপের সুবাস ছেয়ে যায়। আস্তে আস্তে ওর নিজেরও গোলাপের ঘ্রাণটা সয়ে যাবে। জীবনে এই শেষবার এর পরে এমন আর কখনো হবে না, অন্তত এরপরে ফুল দিয়ে সাজসজ্জা করলে জুয়েল ওর কাছাকাছি থাকলে তবেই করবে তাছাড়া নয়। আজকের দিনটাতেই জুয়েল ঈশিতাকে দেখতে পেলো না, একটা ছবি পর্যন্ত দিতে পারছে না ছেলেটাকে! দু’দিন আগেই জেদ ধরে ফোনটা আছড়ে মারার কি দরকার ছিলো! ইশ, এতো মাথাগরম হলে হবে নাকি, ঈশিতা কাল বউ হয়ে উঠবে, সংসারী হয়ে উঠবে, রোজ সকালে প্রিয় মানুষটার মুখ দেখে ঘুম ভাঙ্গবে, তার বাড়ি ফেরা নিয়ে অপেক্ষায় মন খারাপ হবে। মানুষটা এসে সেই মন খারাপে মলম দিয়ে মান ভাঙ্গাবে। ভাবতেই ঈশিতা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো, নিজের মাথায় নিজেই ঠুয়া মেরে নিজেকেই গালমন্দ দিলো।

কিন্তু ক’দিন আগেও এই বিয়েটা যে আদৌ হবে তারই তো কোনো সম্ভাবনা ছিল না, শেষমেশ বাবা রাজি হওয়াতেই এই আচমকা পাওয়া খুশিটা এলো ওর জীবনে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ওর বাবা রিজভী সাহেব এক কথায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ বিয়ে সম্ভব না কোনভাবেই। সেই তিনিই ঈশিতার কান্নাকাটির সামনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন। উচ্চবিত্ত খানদানি পরিবারের একজন হর্তাকর্তা হয়েও বুকে পাথর চেপে মেয়ের জন্য মেনে নিয়েছেন ছাপোষা ঘরের এক ছেলেকে, যার রুজিরোজগার সামান্যের চেয়ে একটু বেশি, যে থাকে বিশাল এক যৌথ পরিবারে।

গত পাঁচ বছরে ঈশিতা প্রতিনিয়ত মনের মধ্যে একটা ভয় আঁকড়ে ধরে দিন কাটিয়েছে। তার যথার্থই ধারণা ছিল যে জুয়েলের সাথে সম্পর্কটা জানাজানি হলে সেটা খুব সহজে কিছুতেই তার পরিবার মেনে নিবে না। বরং একেবারেই মেনে নিবে না এমন আশঙ্কাই বেশি ছিল। কিন্তু ঈশিতা হাল ছাড়েনি, দু’বছর আগ থেকেই নানান তাল-বাহানায় নিজের কম করে ডজনখানেক বিয়ের সম্বন্ধে জল ঢেলে দিয়েছে সে। আড়াল থেকে জুয়েলকে সময় করে দিয়েছে অন্তত একটা টুকিটাকি চাকরি জুটিয়ে নেওয়ার জন্য। মাস তিনেক আগেই জুয়েলের একটা অখ্যাত বেসরকারি কোম্পানিতে একাউন্টেন্টের চাকরি হয়েছে, বেতন আহামরি না আবার একেবারে খারাপ ও না পঁচিশ হাজার টাকা। এ দিয়ে খেয়ে-পরে দুটো মানুষ বেঁচে থাকতে পারে অনায়াসেই। চাকরিটা হওয়ার পরেই জুয়েল বলেছে,

–তুমি চলে এসো ঈশিতা, আমি জানি তোমার পরিবার কোনদিন ও এ সম্পর্ক মেনে নেবে না। পালিয়ে বিয়ে করা ছাড়া আর কোনই গতি নেই আমাদের। প্লিজ তুমি চলে এসো, তোমাকে ছাড়া জীবন কাটানো আমার পক্ষে অন্তত সম্ভব না আর সেটা তুমিও খুব ভালো করে জানো। ছেড়ে দিও না আমাকে প্লিজ! তুমি চলে এসো।

ঈশিতা সেদিন চুপ করে ছিলো, ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলো। বাবা কিংবা জুয়েল কাউকেই ছেড়ে আসা তার পক্ষে অসম্ভব, ও বরাবরই চেয়েছে বাবা মায়ের আদরের সন্তানটি থেকেই তাদের দোয়া নিয়ে অন্যকারো ঘরে বউ হয়ে যেতে। জীবনটা প্রিয় মানুষদের ছায়াতলে কাটিয়ে দিতে। কিন্তু একের পর এক বাঁধা এসেছে, বাবামায়ের একমাত্র সন্তান হওয়াতে জুয়েলকে ওর পরিবার কিছুতেই নিজেদের মেয়ে জামাই বলে মেনে নিতে আগ্রহ দেখায় নি, এখনো দেখাচ্ছে না। নেহাৎ মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে হ্যাঁ বলেছে।

স্মৃতির খোলা ডায়রির একের পর এক পাতা উলটে ইশিতার চোখের সামনেই ভাসছে কতো কী! ভার্সিটির প্রথম দিন, ক্লাসের সবথেকে চঞ্চল আর আড্ডাপ্রিয় ছেলেটার দিকে ওর চোখ থমকে গিয়েছিলো। একটা ছেলে কিভাবে করে সারাক্ষণ হেসে পাগলপ্রায় হয় সেটা ঈশিতাকে বড্ড ভাবাতো। ফাস্ট সেমিস্টারের শেষের দিকে একদিন ঝুম বৃষ্টিতে ঈশিতা যখন কাকভেজা হয়ে ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরছিলো ঠিক তখনই ভার্সিটির মোড়ের দোকানের বেঞ্চিতে শুয়ে আকাশের দিকে মুখ তুলে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই কেউ খালি গলায় গাইছিলো,

“বন্ধু তোর লাইগা রে আমার তনু জড়জড়,
মনে লয় ছাড়িয়ারে যাইতাম থুইয়া বাড়ি ঘর”

ঈশিতা কৌতূহলী হয়ে উঁকি দিয়ে দেখছিলো যে ছেলেটা আর কেউ না বরং তার ক্লাসেরই সবচেয়ে হাসিখুশি, প্রাণবন্ত মুখটা। খালি গলায় গাওয়া জুয়েলের সেই সুরটুকুতেই ঈশিতা মুগ্ধ হয়েছিল, ওর বারবার মনে হয়েছিলো এ ছেলের গানটা ঠিকঠাক করে করা উচিত, এই সময়ে কোন জেনারেল স্টুডেন্ট এতো ভালো ফোক সং গায় অথচ ক্যাম্পাসের কেউ জানেই না,স্ট্রেঞ্জ!

বাদলা-দিনের সেই ঝুমবৃষ্টি, খালি গলা ছেড়ে বেড়িয়ে আসা বৃষ্টিভেজা সুরেলা আওয়াজ ঈশিতার জীবনের ভালোলাগার ব্যাখ্যাটাকে উলোটপালোট করে দিয়েছিলো। সেদিনের পর থেকে ঈশিতা ক্লাসের ফাঁকে, এখানে সেখানে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে আড়চোখে দেখতো জুয়েলকে। চোখে চোখ পড়ে গেলে লজ্জায় লাল হয়ে কই লুকাবে খুঁজে পেত না যেন। জুয়েল ও ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরেছিলো, একদিন ঠাট্টার ছলে বলেছিলো,

–“গুরু, মেয়েরাও ছেলেদের লুকিয়ে লুকিয়ে দ্যাখে ভাবা যায়!”

কথাটা ঈশিতার কানে আসতেই ও বিব্রত হয়ে পালাতে চেয়েছিলো সেখান থেকে কিন্তু সম্ভব হয়নি। জুয়েলের হাসির শব্দে ঈশিতার পা থমকে গিয়েছিলো, ঘুরে গিয়ে ওকে দেখতেই পড়তে হয়েছিলো আরো লজ্জার সম্মুখে,

— “তুমি ঘুরে তাকালে যে? তোমাকে তো বলিনি! আমি বললাম যে তোমার চোখ দিয়ে অন্যকেউ আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে মনে হয়।”

জুয়েলের বলা শব্দগুলোতে ঈশিতার চোখ গড়িয়ে জল নেমেছিলো সবার সামনেই, পাথরের মত বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই কিছুক্ষণ। কি বলবে কি করবে কিচ্ছুটি ওর মাথায় ছিল না, কেনই বা এই ছেলেটার সামান্য দুষ্টুমি করে বলা কথাটাতে ও এতোটা আহত হয়েছিলো তারও কোনো উত্তর ছিলো না ওর কাছে, শুধু জানতো এই ছেলেটাকে দেখলে মনের ভেতরের ঘরটাতে একটা ভীষণ তোলপাড় হয়, ভাঙচুর হয়, আবেগ অনুভূতি গুলো দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারায় সে।

ঈশিতার সেদিনের সেই কান্নার পরে জুয়েলের ভিতরেও কি এক আচমকা পরিবর্তন এসেছিলো, কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো দু’জনের। শুধু আড় চোখে দেখা হত, নত মস্তকে কি সব অজানা আবেগের আলাদা প্রদান হত দুজনাতে।
এর তিনমাস পরেই জুয়েল আচমকা একদিন কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ঈশিতার সামনে এসে দাঁড়ায়, কোনপ্রকার ভনিতা ছাড়াই করে বসে এক বিশাল পাগলামি। একবার বিক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে আশপাশের দিকে তাকিয়েই ঝুঁকে পড়ে ঈশিতার সামনে, এরপরে হাঁটু গেড়ে পাগলের মতো চিৎকার করে বলেছিলো,

“ভালোবাসি ঈশিতা।
তোমাকেই ভালোবাসি।
এই অকর্মা ছেলেটাকে শুধু আড়চোখে না দেখে কি একটু ভালোবাসা যায় না বলো?”

বাকিটা সিনেমার কৃত্রিম দৃশ্যপটের মত ঘটে গেছে ওদের জীবনে, জুয়েলের স্বীকারোক্তিতে ঈশিতা সেদিন লজ্জায়, সংকোচে দৌড়ে পালিয়েছিলো তৎক্ষনাৎ । এরপরে কি ভেবে নিজেই আবার ধরা দিয়েছিলো মানুষটার মন জমিনে। অকপটে নিজেও স্বীকার করে নিয়েছিলো– ভালোবাসি। দীর্ঘ পাঁচ বছরের পথচলায় জুয়েল কোনদিন ঈশিতার চোখ থেকে দু-ফোঁটা অশ্রু ঝরতে দেয় নি। ওর উগলে আসা কান্নার স্রোতকে আগেভাগেই নিজে উবিয়ে দিত নানাসব কাণ্ডকীর্তিতে। ক্যাম্পাসে ওদের পাগলাটে প্রেমের বয়ান হতো ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে! আড্ডার ছলে! সবাই হেসে হেসে ওদের প্রেমের মজা নিত আর ওরা দুজনে মুচকি হেসে নিজেদের মধ্যে ডুবে থাকতো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে।

দেখতে দেখতে ভার্সিটির চারটি বছর চলে গেছে, আরও চলে গেছে একটা বছর। প্রেম প্রেম করে চাকরির জন্যও আর নিজেকে গুছানো হয়নি ঈশিতার, দিনগুলো কেটে গেছে চাপা ভয়ে। অবশেষে কাল সব ভয়ের অবসান হবে, কাল দু’টো মানুষের চারটে হাত এক হয়ে যাবে। দুশ্চিন্তা, হারানোর ভয় আর ওদের তিলেতিলে গ্রাস করবে না।

হঠাৎ দরজার বাইরে থেকে মায়ের গলার আওয়াজ ভেসে এলো, অস্থির হয়ে মা দরজায় করাঘাত করছেন। ঈশিতা ছুটে গিয়ে দরজা খুললো, মায়ের চোখমুখ ফ্যাকাসে হয়ে আছে, চেহারাতে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট । ঈশিতা কিছু বলে ওঠার আগেই মা সেলফোনটা বাড়িয়ে দিলেন ঈশিতার দিকে, কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললেন,

—“একটা খারাপ খবর আছে মা। জুয়েলের নাকি এক্সিডেন্ট হয়েছে, এপোলো তে আছে এখন। ”

লেখাঃশারমিন আক্তার সেজ্যোতি

গল্পটা তিন পর্বের মধ্যেই শেষ করার ইচ্ছে থাকবে, অনেকগুলো গল্প রানিং তারপরেও লিখলাম, অনেকটা অসময়েই বলা যায়! গল্পের প্লটটা আমার এক পাঠকের জীবনের খণ্ড বিশেষ। আশা করি অনেকেই অনুপ্রাণিত হবেন গল্পটা থেকে। ঈশিতা চরিত্রের আপুর প্রকৃত পরিচয় জানতে না চাওয়ার অনুরোধ রইলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here