অঙ্গারের নেশা, পর্ব:৩+৪

অঙ্গারের নেশা
নাঈমা হোসেন রোদসী
পর্ব~৩

হালকা হালকা আলোর মাঝে চুপ হয়ে বসে আছে প্রানেশা। মনের অসংখ্য প্রশ্নগুলোকে দমিয়ে অপেক্ষা করছে রেয়ানের মতো দেখতে বহুরূপীর। এক ঘন্টা হলো প্রানেশাকে রুমে এনে বসানো হয়েছে। পরিবেশ ঠান্ডা হলেও ভারি শাড়ি পড়ে শ্বাস ছাড়তেও নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে প্রানেশার। খট করে আওয়াজ হতেই প্রানেশা দরজার দিকে তাকালো। হ্যা, বহুরূপী লোকটি এসেছে। এবার প্রানেশা কোমর বেঁধে নেমেছে, কিছুতেই সত্য না জেনে থাকবেনা।
সামনে তাকিয়ে দেখলো খাটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাক্তিটি। হালকা আলোয় কেমন যেন অপার্থিব দৃশ্য মনে হচ্ছে লোকটিকে দেখে৷ এই জায়গায় রেয়ান থাকলে আজ প্রানেশা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতো৷ একই চেহারা হলেও তা হতে পারছেনা সে৷ উঠে দাড়িয়ে লোকটির সামনে দাঁড়াতে নিয়েও পারলোনা প্রানেশা। তার আগেই লোকটা প্রানেশার বাহু চেপে বসিয়ে পাশে বসে পড়লো। প্রানেশা রেগে বললো –
‘সমস্যা কী আপনার? বারবার কেনো এমন করছেন? ‘

ব্যাক্তিটি অধর কোণে বাকা হাসি ছড়িয়ে ছিটিয়ে বললো-‘কোনো সমস্যা নেই প্রাণ। সব সমস্যার সমাধান হয়েছে আজ। সব হিসেব পূর্ণ হলো ‘

প্রানেশা বাকা উত্তরের তেমন কোনো অর্থ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হলো৷ হাত ছাড়াতে ধস্তাধস্তি শুরু করলো। ব্যাক্তিটি একসময় জোরে ধমক দিলো।
‘হয়েছে কী!এমন করছো কেনো? আর একবার ছাড়ানোর চেষ্টা করলে পরিণতি কিন্তু ভাবতেও পারবেনা ‘

প্রানেশা কড়া ধমকে চুপ হলেও চোখে পানি এসে পড়লো৷ ছোট বেলা থেকেই ভীষণ আদরের সে। বাবা মা এমনকি পুরো নানা দাদার পরিবারে সকলের চোখের মণি। একবেলা তাকে খাওয়ানোর জন্য তিন জন মানুষ লেগে থাকে। এত জোরে তাকে কখনোই কেউ বকেনি। তাই খুব অভিমান হলো প্রানেশার। তার কথা হলো এভাবে কেনো বকবে! হাত ছাড়াতে এবার আরও জোর দিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু হলো প্রানেশা। ব্যাক্তিটি ভরকালো না। বুঝতে পারলো তার প্রাণের অভিমান হলো। জোর করে টেনে কোলে বসিয়ে চোখ মুখ মুছে দিলো। সারাদিনের দুশ্চিন্তা আর ধকলে মুখটা ভীষণ শুকনো লাগছে। ব্যাক্তিটি উঠে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো । প্রানেশা হা করে তাকিয়ে আবার মুখ ফুলিয়ে কিছুক্ষণ কাঁদলো। ব্যাক্তিটি ঘরে আসতেই প্রানেশা দেখলো হাতে একটা প্লেট, তারমধ্যে ভাত আর মুরগীর ভাজা মাংস সাথে ডাল ৷ প্রানেশা মনে মনে ভাবলো ‘এই লোক কীভাবে জানলো আমার ভাতের সঙ্গে ডাল আর মুরগীর মাংস দিয়ে খেতে ভালোবাসি! ‘
লোকটা হাত ধুয়ে এসে প্লেট থেকে এক লোকমা ভাত মাখিয়ে প্রানেশার মুখের সামনে ধরলো। প্রানেশার ক্ষুধা লাগলেও অভিমানী স্বরে বললো –
‘আমি খাবো না, আগে বলুন কে আপনি?’
ব্যক্তিটি শক্ত গলায় বললো –
‘আগে চুপচাপ খাও তারপর বলবো’

প্রানেশা সত্যি জানার জন্য ব্যকুল হয়ে দ্রুত ভাতের লোকমাটা মুখে নিলো৷ অর্ধেক খাওয়ার পর প্রানেশা বাচ্চাদের মতোন দুইহাত দিয়ে না দেখালো, বোঝানোর চেষ্টা করলো-‘আমার পেট ভরে গেছে’
ব্যক্তিটি বুঝতে পেরে প্লেট সহ উঠে দাড়িয়ে যেতে যেতে আদেশের সুরে বললো -‘বেড বক্স থেকে পানিটা খাও ‘
প্রানেশার কেনো জানি মনে হলো লোকটা ভীষণ কেয়ারিং। যেমনটা সে রেয়ান আর তার প্রেমের প্রথম দিকে চাইতো ঠিক তেমন। রেয়ান খেয়াল তার খেয়াল রাখলেও মাঝে মাঝে কেমন একটা উদাসীন ভাব অথচ সম্পর্কের শুরুর দিকটা ছিলো স্বপ্নের মতোন। ভাবতে ভাবতে পানিটা খেয়ে চুপ করে বসলো। আবার ভাবলো লোকটা আসতে আসতে কাপড়টা চেঞ্জ করে ফেলি। ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে বদলিয়ে ওয়াশরুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে এলো৷ টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতেই ব্যাক্তিটি ভেতরে ঢুকলো৷ প্রানেশা টাওয়াল রেখে এগিয়ে গেলো লোকটির সামনে দাঁড়িয়ে হাত ভাজ করে বললো -‘ এবার বলুন ‘
লোকটি ড্রেসিং টেবিলের দিকে ফিরে পাঞ্জাবির বোতাম খুলতে খুলতে বললো-‘কী বলবো? ‘

প্রানেশার এমন ইয়ার্কি পছন্দ হলো না। পাঞ্জাবি খুলে ফেলতে দেখে চোখ মুখ ঢেকে চিৎকার করে বললো-
‘লজ্জা শরম নেই! অপরিচিত মানুষের সামনে জামা কাপড় খুলে ফেলেন ‘

ব্যাক্তির এমন অযাচিত কথা অপছন্দ হলো৷ উদাম গায়ে এগিয়ে এসে প্রানেশার পিঠে একহাত রেখে গালে চুমু খেয়ে বললো-
‘ প্রথম কথা আমি জামা কাপড় খুলে উলঙ্গ হয়ে যায়নি টাউজার আছে। দ্বিতীয়ত, তোমার স্বামী অপরিচিত কারো সামনে জামা খোলে না মিসেস সুফিয়ান তেহজিব ‘

প্রানেশার চোখ সুফিয়ানের উদাম গা দেখে পুড়ে যেতে চাইলো৷ এত ফর্সা ত্বকের সাথে ব্যায়াম পুষ্ট দেহ চোখে লাগছে। প্রানেশার চোখ মুখ খিচে বললো –
‘দূরে যান বলছি । আপনি দেখছি উচ্চ লেভেলের বেহায়া! ‘
সুফিয়ান হেসে সরে গেলো৷ গায়ে কফি কালারের শার্ট চাপিয়ে গম্ভির গলায় বললো-
‘শোনো প্রাণ, আজ থেকে তোমার একটাই পরিচয়। তুমি সুফিয়ান তেহজিবের স্ত্রী। তোমার অতীতে কে ছিলো কে ছিলো না আমি এতকিছুর ধার ধারি না। আর হ্যা, তোমার রেয়ান সম্পর্কে আমার ছোট ভাই। দুই বছরের বড় আমি তার। তাই এখন থেকে তাকে শুধু একটা নজরেই দেখতে পারো, দেবর ‘

প্রানেশা খাটের উপর ধপ করে বসলো৷ চোখ লাল হয়ে আসছে, কী অসহ্য যন্ত্রণা! যে মানুষটা জীবনের প্রথম প্রেম হিসেবে এলো তাকে কী করে প্রানেশা স্বামীর ছোট ভাই মানবে? চিৎকার করে বললো-
‘আপনার লজ্জা করলো না ছোট ভাইয়ের ভালোবাসায় কুনজর দিতে? ‘

সুফিয়ান প্রানেশার গাল চেপে ধরলো । রাগে কাঁপতে
কাঁপতে অদ্ভুত ভাবে সাইকোর মতো হেসে বললো –

‘নাহ, করলো না। ভালোবাসা তুই আমার, বলেছি না? প্রাণ শুধু আমার! তোর নেশায় পুরে অঙ্গার হয়েছি আমি, তোকেও হতে হবে এই অঙ্গারের নেশা ‘

চলবে…

অঙ্গারের নেশা
নাঈমা হোসেন রোদসী
পর্ব~৪

প্রানেশার গাল ছেড়ে সুফিয়ান উঠে দাঁড়ালো৷ প্রানেশা পাথরের মতোন শক্ত হয়ে বসে আছে। সুফিয়ান এক গ্লাস পানি পান করে নিজেকে শান্ত করলো। তারপর লাইট অফ করে ড্রিম লাইট অন করে বিছানায় শুয়ে প্রানেশাকে টেনে নিজের বুকের উপর শোয়ালো। প্রানেশা ঘোর থেকে বেরিয়ে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো –
‘ ছাড়ুন আমায়, এমন একজন নিকৃষ্ট মানুষের সাথে আমি সংসার করবো না। ডিভোর্স দেবো আমি ‘

এতক্ষণ নিজের রাগের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও সুফিয়ান ডিভোর্সের কথা শুনে রাগ সীমানা প্রাচীর ভেদ করে ফেললো৷ প্রানেশাকে উল্টো করে বালিশে ফেলে বিছানায় হাত চেপে ধরলো। প্রানেশা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে সুফিয়ানকে দেখছে। তার মতে সুফিয়ান একজন নোংরা মনমানসিকতার মানুষ,নিজের ছোট ভাইয়ের ভালোবাসা নিশ্চিয়ই ভালো কেউ ছিনিয়ে নেয়না। সুফিয়ানের ফর্সা ধবধবে মুখটা রাগে লাল হয়ে আছে৷ প্রানেশার মুখের কাছে মুখ নিয়ে রাগে চিৎকার করে বললো-
‘এই আশা ভুলে যা, এই নিকৃষ্ট মানুষের সাথেই সারাজীবন কাটাতে হবে তোকে৷ কোর্টে গিয়ে ডিভোর্স পেপার রেডি করবি! কীভাবে? কোর্টে তোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেবো। একটা কথা ভালো করে শুনে রাখ তুই আগেও আমার ছিলি আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমারই থাকবি। ‘
তারপর শ্বাস ফেলে হুট করে সুফিয়ান মুখে দুষ্টু হাসি দিয়ে প্রানেশার গলার কাছে নাক ঘষে হালকা কন্ঠে বললো-
‘প্রাণ, আমি চাইলে এখনি বাসর সেড়ে ফেলতে পারি’

প্রানেশা হা করে তাকিয়ে থেকে ভাবলো ‘ লোকটা তো দেখছি ভীষণ লুচু’
একধাক্কা দিয়ে সুফিয়ানকে সরিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো প্রানেশা। সুফিয়ান বাঁকা হেসে উল্টো হয়ে বুকে ভর দিয়ে শুয়ে পড়লো। সুফিয়ানের ঘুম এসে পড়লেও প্রানেশা এপাশ ওপাশ করতে থাকলো। নতুন জায়গায় আসলে প্রানেশার ঘুম আসেনা। এবার বিরক্ত হয়ে উঠে বসলো। ঘুম না আসায় মেজাজও বিগড়ে যাচ্ছে। প্রানেশাকে উঠতে দেখে সুফিয়ান গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলো -‘কী হয়েছে? ঘুমাচ্ছো না কেনো?’

প্রানেশার মনে পড়লো রেয়ানের সঙ্গে প্রেমের শুরুটা হয় ফোনে৷ একটা রং নাম্বারে কল চলে গেছিলো। তারপর প্রানেশা সরি বলতে নিলে থমকে গিয়েছিল এক মোহময় পুরুষ কন্ঠে। রেয়ানকে তখনও দেখেনি প্রানেশা, সম্পর্কের তখন দুই মাস। কত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলো প্রানেশা আর রেয়ান! রেয়ান বলেছিলো-
‘ আমাদের বিয়ের পর তোমার ঘুম না আসলে আমি তোমার বুকে মাথা রেখে তোমায় ঘুম পাড়াবো’
প্রানেশা খিলখিল করে হেসে বলেছিলো –
‘এভাবে কী ঘুম আসবে! দেখা যাবে আপনি ঘুমিয়ে পানি হয়ে যাবেন আর আমি ওভাবেই জেগে থাকবো।’
রেয়ান জোর দিয়ে বলেছিলো -‘ঘুম আসতে বাধ্য ‘

সুফিয়ানের ডাকে কল্পনা থেকে বেরিয়ে আসলো প্রানেশা। চোখের কোণায় জমা জলটুকু মুছে নিলো। আবার বালিশে মাথা এলিয়ে দিলো। সুফিয়ান হুট করে এক অদ্ভুত কান্ড করে বসলো। প্রানেশার বুকে মাথা রেখে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে চোখ বুজলো। প্রানেশা হকচকিয়ে বললো-
‘আরে আরে! হচ্ছেটা কী! উঠুন বলছি। আমার বুকে মাথা রাখার অধিকার দেইনি আপনাকে’

সুফিয়ান বললো-
‘ বুকে মাথা রাখার জন্য বিয়েই যথেষ্ট, আমার আর এক্সট্রা কোনো সুপারিশের প্রয়োজন নেই প্রাণ’

প্রানেশা তারপরও কিছুক্ষণ চেষ্টা করলো কিন্তু আর পারলো না, শক্তিতে হেরে ক্লান্ত হয়ে চোখে ঘুম নেমে আসলো৷ প্রানেশা ঘুমিয়ে পড়তেই সুফিয়ান প্রানেশার কপালে আর ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে চাদরটা ভালো লেগেছে টেনে দিলো৷ তারপর বুকে আবারও মুখ গুজে বিরবির করে বললো -‘ তুমি শুধু আমার প্রাণ,আর কারো অস্তিত্ব থাকবে না তোমার মাঝে ‘

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে প্রানেশা দেখলো নয়টা বাজে। সাধারণত সাতটার মাঝেই প্রানেশা জেগে পড়ে। রাতে দেরীতে ঘুম হওয়ায় লেট হয়ে গেছে । মনে মনে প্রানেশা লজ্জা পেলো, স্বামীকে না মানলেও এটা সত্য যে বিয়ে হয়েছে। এখন সে বিবাহিত, এতক্ষণ পর্যন্ত ঘুমানো মানায় না। ভেতরে ভেতরে ভয় লাগছে, শ্বশুরবাড়ির মানুষ জন না জানি কেমন হয়! ওয়াশরুম থেকে শাওয়ার নিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বেরোলো সুফিয়ান। সুফিয়ান প্রানেশার দিকে এসে কপালে চুমু খেয়ে বললো- ‘শুভ সকাল প্রাণ, যাও শাওয়ার নিয়ে এসো ‘
সুফিয়ানের কথায় প্রানেশার কেমন যেন ঘোর ঘোর লাগে৷ সুফিয়ান শুধু একটা ব্লু টাউজার পড়ে আছে। পায়ের দিক তাকিয়ে প্রানেশা হা করে তাকিয়ে রইলো। ছেলে মানুষের পা এত ফর্সা হয়! প্রানেশা ঘোরে অজান্তেই ছুঁয়ে বললো ‘এত সুন্দর কেনো!’
সুফিয়ান প্রানেশার মুখভঙ্গি দেখে ঠোঁট টিপে হাসলো।
কানের কাছে দুষ্টু স্বরে বললো -‘পছন্দ হয়েছে? ‘

প্রানেশার ধ্যান ভেঙে গেলো। সামনে তাকিয়ে সুফিয়ানের মুখে দুষ্ট হাসি দেখতেই মনে পড়লো সে কী করেছে! লজ্জায় গাল লাল হয়ে গেছে প্রানেশার। প্রানেশা দ্রুত খোপা করে উঠে পড়লো। সুফিয়ান হেসে উঠে আলমারি থেকে শার্ট প্যান্ট পড়ে নিলো। প্রানেশা রেডি হয়ে বেড়োতেই সুফিয়ান বললো নিচে যেয়ে সবার সাথে খাবার খেতে। অন্য কোনো কারণ হলে প্রানেশা না করে দিতো কিন্তু বড়দের অসম্মান করতে চায়না সে। তাই সুফিয়ানের পিছু পিছু নেমে এলো। লাল শাড়িতে পুতুলের মতো সুন্দর লাগছে প্রানেশাকে। ডাইনিং টেবিলে বসতেই খেয়াল করলো এতক্ষণ সবাই গল্প করলেও সুফিয়ানকে দেখে সবাই নিচের দিকে তাকিয়ে খাবার খাচ্ছে। কারণটা বুঝতে পারলো না প্রানেশা। সুফিয়ানের বাবা মা খুব ফ্রি মাইন্ডের, প্রানেশাকে খুব আদর করছে। কিন্তু সুফিয়ানের ফুপু এত আদর সহ্য করতে পারছেনা, মুখ ফসকে বললো-‘ নতুন বউ এত দেরি করে ঘুমালে চলে! তোমার উচিত ছিলো সকালে উঠে সবার আগে নাস্তা বানিয়ে সবাইকে খাইয়ে তারপর বসা ‘

প্রানেশা মনে মনে কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বললো না। কিন্তু সুফিয়ান খাবার প্লেটটা চামচ দিয়ে খটখট আওয়াজ করে বললো-‘ ফুপুমনি তুমি দেখছি আজকাল খুব সাংসারিক হয়ে গেছো!এত উন্নতি কবে হলো? তুমি তো বিয়ের দুইদিন পরই শ্বশুর শ্বাশুড়িকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছো ‘
মিসেস কাবিরার মুখটা ফাটা বেলুনের মতোন চুপসে গেলো৷ অন্য কেউ সুফিয়ানের জায়গায় হলে তিনি ছেড়ে দিতেন না কিন্তু সুফিয়ানের সামনে আর বলার সাহস পেলেন না। কলিংবেলের আওয়াজে সবার নজর গিয়ে পড়লো সদর দরজায়। কাজের লোক গিয়ে দরজা খুলে দিলো। ব্যাক্তিটি ভেতরে ঢুকতেই প্রানেশার চোখ ছলছল করে উঠলো৷ অস্ফুটস্বরে বললো -‘রেয়ান!’

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here