অতিরিক্ত চাওয়া পর্ব ২৮

অতিরিক্ত চাওয়া { ২ }
২৮|

রাত ২:৪৫। বেলী তখনও জেগে। মোবাইলের দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো। কিন্তু, বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারছে না, ঘুমে তার চোখ ছোট হয়ে আসছে। সেদিন রাত্রে আর তৃষ্ণাকে দেখা যায়নি। অযথা, সে বেশ রাত পর্যন্ত জেগে ছিল। তৃষ্ণার অপেক্ষার মাঝেই বেলী গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো। সেই রাত্রে বেচারি তৃষ্ণার স্বপ্নে-ই বিভোর।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বেলী জানল, বিমানের বিয়ের বিষয় -টা এই মাসেই রফাদফা। বিয়েটা এই মাসে তাহলে হয়েই যাবে। মনোযোগ দিয়ে ভাবতেই বেলীর মন ঠুকরে কেঁদে যাচ্ছে। বোনটা তার তাহলে বেশিদিন আর নেই?এদিকে, বিমানের চেহারা থেকে চোখ সরানো-ই যাচ্ছে না। মেয়েটার মুখে তীব্র খুশি ছেপে আছে। আহা, কি না সুন্দর দেখাচ্ছে। খুশি তো বড় মেয়েকে লাগাতার কিছু চুমু মাথায় ছেঁটে দিলেন। আর, বেলী তা ছোট মন নিয়ে বসে বসে দেখছিল। বাবলুর কথায় বোঝা গেল, বিয়ের সাতদিন আগেই বেলীর পুরো গুষ্টি তাদের বাড়ি হাজির হবে। চাচারা এখনই মাজায় গামছা বেঁধে নেমেছে বিয়ের আয়োজনে। চাচাতো-মামাতো সকল ভাইবোন এখনই চলে আসতে চাচ্ছে। মানে বিশাল ব্যাপারস্যাপার। আয়োজনে বাড়িঘর একদম মেতে।

বাবলু কয়েক বন্ধু এনেছে। বুক ফুলিয়ে বেশ পাম মেরে কথা বলে যাচ্ছে। যেমন,
—- জানিস আমার দুলাভাই কে?
বাবলুর বন্ধুদের মাঝে মোটা একটা জবাব দিল,
—– বলেছিলি তো একবার।
—– বলেছিলাম? আচ্ছা, ভুলে যা। আবার বলি, শোন। অভি ভাই। চিনিস তো?
—– হ্যাঁ। তাদের আবার কে না চেনে।
বাবলু আশপাশ তাকিয়ে চিকন গলায় বলল,
—– তৃষ্ণা ভাই আছেনা? সে-ও আমার দুলাভাই হতে যাচ্ছে। বেলীর আর তার আছে। বুঝেছিস?
এইবার মনে হয় বাবলুর বন্ধুদের টনক নড়ল,
—— হাহ? সত্যি?
—– তাহলে কী আমি মিথ্যে বলছি। তৃষ্ণা ভাইর পাওয়ার জানিস? আমাদের পুরো পরিবারকে চুটকিতে রাজি করিয়ে ফেলেছে। উল্টো চাচাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে। দেখেছিস তো? বান্দা হো তো এ’ছা। একদম কুপিয়ে। যেটা তার সে কেঁড়ে নিয়েছে। আমি তো বড় হলে তৃষ্ণা ভাইর মতো হতে চাই। একদম তার মতো। দেখিস না কতো মেয়েরা পাগল তার জন্য। আর সে শুধু একজনের জন্য। আহা, প্রেম কারো তো এছা। তার পারমিশন ছাড়া কেই ঘেঁষতে পারবে না তার আশপাশ। মানে ব্যাপারটা বুঝলেই শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায়। কি বলিস?
বেলী চোখ উল্টালো বাবলুর অহেতুক কথাবার্তা শুনে। আর ঠেলতে না পেরে এবার ধমক দিয়েই ফেলল।
—– ও-ই। তোর কাজ-কর্ম নেই আকাইম্মা? শুধু উল্টাপাল্টা বকবক। যা বাবা ডাকছে।
বাবলুর কান টেনে দিলো,
—- কি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছিস বুঝতে পারছিস পাউরুটি? তৃষ্ণা ভাইর মতো কাউকে পাবি। যাকে কিনা গ্রামের সব মেয়েরা চায়। বুঝতে পারছিস ব্যপারটা? সাংঘাতিক। আচ্ছা, তুই নদীতে বিসমিল্লাহ বলে তিনটা ডুব দিয়ে আয়। যা।
বাবলুর পিঠে থাপ্পড় মেরে, বেলী টাম্মিকে নিয়ে চলল ক্ষেতের দিক। ইশ, কতদিন ধরে যাওয়া হচ্ছে না। হাঁটতে হাঁটতে আনমনে বেলী, আবারও তৃষ্ণার কথা ভাবতে লাগলো। আর হঠাৎই মনে পড়ে গেলো তৃষ্ণার থাপ্পড় মারার কাহিনী-টা। আহা, কী’না সাংঘাতিক ছিলো। বেলী বাম গাল ঘষলো। থাপ্পড় টা খুব শক্তি দিয়েই মেরেছিল। দাঁত সহ মাড়ি পুরো পাঁচদিন ধরে ব্যাথা করেছে। মানে বেলীকে একটা থাপ্পড়ের জন্য ঔষধ খেতে হয়েছিল। তারপরও পাঁচদিন সেই ব্যাথা সজ্জ করতে হয়েছে। কি ভয়ানক। লোকটার হাত কী আইরন দিয়ে তৈরী? আর হাত ও তো। কী বড়। বেলীর দু’হাত বেশ আরামসে এক খোপে নিয়ে ফেলে। আর তারপর কী অত্যাচার। বেলীর গাল লাল হয়ে উঠলো। মাথাটা নাড়িয়ে হাসতে হাসতে দৌড় লাগালো ।

পুরো গ্রামে ছড়িয়ে গেলো, মাস্টার সাহেবের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে। বাজারে এসে নানান কানাকানি শুনল আনন্দ। অনেকে আনন্দকে সালাম জানিয়ে দাওয়াত ও চাইল। বাড়িতে ফিরে সে দেখল গ্রামের চেনাজানা অনেকেই এসেছে। এবং বেশ পান খাচ্ছে আর গল্পগুজব করছে। গল্প বলতে ওই পরামর্শ। আনন্দ বাজারের ব্যাগ রেখে বাহিরে রওনা দিলো। বেলীকে দেখল টাম্মিকে নিয়ে এদিক-সেদিক যাচ্ছে। ডাকলো সে,
—– বেলী?
বেলী দৌড়ে এলো,
—- জ্বী আব্বু।
—- আয়। পুকুরে মাছ ধরি।
বেলী তো মহাখুশি। সে দ্রুত বাসন আনতে চলে গেলো। কিছুক্ষণের মাঝে দেখা গেল বাবলু এবং বেলী দু’জনই আনন্দের পেছনে ঘুরছে মাছের জন্য। এবং মাছ ধরে আনন্দকে দুজনের বাসনে সমান ভাবে মাছ ভাগ করে দিতে হচ্ছে। খুশি ছেলে-মেয়েকে ধমক ও দিয়েছে। অথচ, এরা সেই একই কাহিনী দৌড়াচ্ছে।
মাছ ধরার প্রায় শেষ পর্যায়ে। এমন সময় বিমান আসলো। এসে তাড়া দিল,
—- আব্বু। চাচা কাদের জেনো নিয়ে এসেছে।
আনন্দ জাল গুঁছিয়ে বাবলুর হাতে দিয়ে চলল উঠানের দিক।

জসিম এসেছে তাদের গ্রামের আকবর পরিবার নিয়ে। এবং জসিম নিজে অস্বস্তিতে পড়েছে। সে তাদের মানা করার সাহস পাচ্ছিলেন না। তাই ভাবলেন সামনাসামনি আনন্দ বলে দিক। কারণ সে আর ওই মিনিস্টার এর দেখা চায় না। কথাবার্তা কি ভয়ানক। দু’দিন পুরো পাক্কা জরে পুড়েছে সে। আনন্দকে দেখতে পেয়ে জসিম পরিচয় করাতে নেমে পড়লো। বয়সী এক ভদ্রলোককে দেখিয়ে বলল,
—- এই হলো আনিফ আকবর। [ ভদ্রলোকটির পাশের মহিলাটিকে দেখিয়ে ] ইনি তার স্ত্রী। [ আরেকজন ভদ্রলোককে দেখাল ] এবং ইনি আনিফ ভাইয়ের বড় ভাই। [ আরেকজনকে দেখিয়ে ] এটা তার মেজো ভাই। [ ইয়াং এক ছেলেকে দেখিয়ে ] আকবর ভাইয়ের একমাত্র ছেলে। রিজয়। বলেছিলাম না? [ রিজয়ের পাশের ছেলেকে দেখিয়ে ] এ-ই হলো রিজয়ের চাচাতো ভাই।
কুশল-বিনিময় করতে গিয়েও আনন্দের মাথা ঘুরছে। কি একটা অবস্থা। কিভাবে কী সামলাবে সে?

কথার মাঝেই আকবর পরিবার বেশ ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাদের কথার ধরনেই বোঝা যাচ্ছে আসল কাহিনী। রিজয় ছেলেটিকে আনন্দের নিজের ও ভালো লাগলো। কিন্তু, আফসোস সে কিছুই করতে পারবে না। এতো আলাপ-আলোচনা অল্প কিছু সময়ের জন্য। আনিফের বড় ভাই এবার কথা উঠালেন,
—- আগেই তো জসিম ভাই সব খুলে বলেছে তাই না? নতুন করে আর কি বলব। ছেলেকে দেখছেন তো। একাই ও। ভাই-বোন নেই। আনিফের একমাত্র সম্বল। এখন ছেলে যা চায় তা না দিয়ে তো উপায় নেই।
আনন্দ হালকা হাসলো,
—- হ্যাঁ, অবশ্যই।
এরই মধ্যে খুশির সাথে কথা চলছে আনিফের বউয়ের। সে ইনিয়েবিনিয়ে ছেলের নানান সাহসিকতার কথা তুলে ধরছে। আবার বেলীর কথাও জিজ্ঞেস করছে। বারবার জিজ্ঞেস করায় খুশি ডেকে পাঠালেন মেয়েকে। এখনও না বুঝা বেলী বেশ হাসিমুখেই আসল। সালাম ও জানালো। মহিলাটি বেলীর মাথায় হাত বোলালেন।
—– বাহ। একদম মিষ্টি মেয়ে। কিসে পড়?
—– জ্বী, এবার নাইনের ফাইনাল দিয়েছি।
—– মাশাল্লাহ।
এবার সে বেলীকে তার পাশে বসালেন। মাথার চুল ঠিক করে দিতে দিতে বললেন,
—– কি নিয়ে পড়ছ?
—– সায়েন্স।
—– বাহ। পড়াশোনা কেমন যাচ্ছে? জেএসসি-র রেজাল্ট কি ছিলো।
—– জ্বী, এ-প্লাশ।
—– মাশাল্লাহ। ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। সামনেই তো এসএসসি।
—– ইনশাআল্লাহ।

বেশ কিছুক্ষণ বেলীর সাথে কথা বললেন। বেলীও বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে এবং জবাব দিচ্ছে। সে তার মায়ের অস্বস্তিকর চাহনি লক্ষ্যই করল না।

রুমে ফিরে বেলী বিমানের মোবাইল ধরলো। এবং তৃষ্ণার ফেইসবুকে লগিং করলো। তার কিছু ছবি দেখছে চিতপাত হয়ে। ছবির নিচে কমেন্টস ও চেইক করলো। ইশ, মেয়েদের কত ঢং। হ্যান্ডসাম, ঢ্যাসিং। হুহ। খুব মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তৃষ্ণার ছবি দেখতে লাগলো। ছবি দেখ,. তে গিয়ে বেলীর ভয়ানক এক ইচ্ছা জাগলো। এবং সে করেও ফেললল। তৃষ্ণার ছবিতে বেশ কয়েকটা চুমু খেয়ে নিল। তারপর মিনমিন করে বলল,
—- আপনি এতো সুন্দর কেন? এইযে সবাই নজর দিচ্ছে যে। আপনাকে কোথায় লুকাবো? আপনি কেন এমন ভাবে চলেন বলুন তো।

বিমান পেছনের রাস্তায় গাড়ি দেখে চোখ পিটপিট করলো। তার বুক ধড়াম করছে। তাকে না জানিয়ে চলে আসবে ভাবা মুশকিল। বিমান দ্রুত তার বাবার দিক পৌঁছাল। বাবার কানে হালকা আওয়াজে বলল,
—- তৃষ্ণা এসেছে মনে হয়। পেছনে গাড়ি দেখলাম।
আনন্দ নিজেও ভরকে গেল। সে পেছনের দিক তাকাতেই দেখল তৃষ্ণা, আবিদ, অভি, আয়ুশ এসেছে। হাতে অনেকগুলো বাটি। তারা গাড়ি থেকে নেমে এদিকেই আসছে। আনন্দ উঠে দাঁড়ালো। সাথে চেয়ারে বসা আকবর পরিবারও উঠে দাঁড়ালো। জসিম সামনের ব্যাক্তিদের চিনতে পেরে চুপসে গেল একদম। বরাবর এসে ভাইরা মিলেই সালাম জানাল,
—– আসসালামু আলাইকুম চাচা।
—– আলাইকুম আসসালাম বাবারা। [ আওয়াজ দিয়ে ] খুশি এদিকে এসো।
এবং খুশি দ্রুত আঁচলে হাত মুছতে মুছতে এগিয়ে আসলো। তৃষ্ণাদের দেখে বড় এক হাসি দিল। সামনে যেতে আবিদ তার এবং আয়ুশের হাতের বাটি গুলো এগিয়ে দিল। তৃষ্ণা আকবর পরিবারের দিক তাকিয়ে থেকেই বলল,
—- আম্মু পাঠিয়েছে।
খুশি ধন্যবাদ জানালো।
—- বসো, আমি চা পাঠাচ্ছি।

আবিদ হালকা আওয়াজে বলল,
—- ভাই। ছেলেটা রিজয়। এটাই সেই।
আয়ুশ বলল,
—- এটাকে তো এক আছাড়ে শেষ করা যাবে।
আনন্দ চেয়ার রেডি করে দিলো।
—- দাঁড়িয়ে কেন, বসো তোমরা।
এবং ভাইরা মিলে বসলও।
কোথা থেকে দৌঁড়ে আসলো বাবলু। সে এসেই শুরু করেছে,
—- আরে, আমাকে কেউ বললই না। তৃষ্ণা ভাইরা এসেছে। বিমান আপু বেলী জানে তৃষ্ণা ভাই, অভি ভাই এসেছে যে? বেলীকে বলেছে কেউ?
আনন্দ চোখ ঘুরানি দিচ্ছে ছেলেকে। তাও তার সেদিকে লক্ষ্য নেই। তৃষ্ণা বলল,
—- জানে না। যা বলে আয়।
বাবলু দৌঁড় লাগালো।

আনন্দ মিটমিট আওয়াজে পরিচয় করালো তৃষ্ণাদের সাথে। এবং অভির সাথে বড় মেয়ের বিয়ের ব্যাপারটাও বললেন। একপর্যায়ে বেলীকে ডেকে আনার কথা বলেন আকবর পরিবার। আবিদ সোজাসাপটা বলে ফেলে,
—- বেলীকে কেন আনবে?
তৃষ্ণা তখনও মোবাইল গুঁতাচ্ছে। আনন্দ গতি না পেয়ে হালকা হেসে। বুঝিয়ে বলতে শুরু করে।
—- আপনাদের প্রস্তাব আমাদের জন্য অনেক। কষ্ট নিয়ে বলতে হচ্ছে যে। মেয়ে তার নিজের পছন্দ খুঁজে নিয়েছে আগেই। তাদের বিবাহ ঠিক করা। এসএসসির পর বিয়েটাও হয়ে যাবে ইশাআল্লাহ। এইতো [ তৃষ্ণাকে দেখিয়ে ] পাত্র আপনাদের সামনেই।
এইবার তৃষ্ণার চাহনি গেলো রিজয় নামের ছেলেটির দিক। যে আপাতত তৃষ্ণার দিক তাকিয়ে।

আকবর পরিবার আর তেমন কথা বললেন না। কেমন হঠাৎ সালাম দিয়ে চলল ছেলের হাত ধরে। আনন্দ বারবার মাফ চেয়ে বিদায় জানাচ্ছেন। আবিদ বলল,
—- ভাই, এই শালারে কয়েকটা দিয়ে আসি?
অভি জবাব দিল,
—- ধুর, ঝামেলা করুক আগে। তারপর না ওঁর ক্লাস নেব।

সন্ধ্যা হয়ে আসছে, হঠাৎ, তুমুল বৃষ্টি। চার ভাই আটকে পড়ে আছে হাওলাদার বাড়ি। অভি আঁড়চোখে কথা বলে যাচ্ছে বিমানের সাথে। বাবলু এসে জানাল তৃষ্ণাকে ,
—- পাউরুটি ঘুমায়।
—- কোন রুমে?
—- একদম পেছনের।
উপায় না পেয়ে বেলীকে কল করে ফেলল। ঘুম কাতুরী বেলী বেশ সময় নিয়ে ফোন রিসিভ করল। তৃষ্ণা ঠান্ডা কন্ঠে বলল,
—- দ্রুত রেডি হয়ে আয়।
ঘুমন্ত বেলী কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না, তার আগেই কল কেটে গেল। তৃষ্ণা উঠে দাঁড়ালো, আনন্দ আর খুশিকে ইঙ্গিত করে বলল,
—– চাচা। ভাবী, মামী বলছিল বিমান বাবলু ওদের আজকের জন্য নিয়ে যেতে। আপনার সমস্যা না হলে।
আনন্দ বলল,
—– এমন সময় যাওয়াটা।
আবিদ বলল,
—– চাচা, আমাদের কাজিনরা এসেছে। সবাই ভাবীকে দেখতে চাচ্ছে। একটু আনন্দ মজা মাস্তি করবে। বড় চাচা আপনাকে একটু পড়ই কল করবে।
—- আ..আচ্ছা।
তৃষ্ণা এগোতে নিলে আনন্দ বলে উঠে,
—- এই বৃষ্টির মাঝে?
—– না। ওরা পড়ে যাবে। বৃষ্টি থামলে। শুধু আমি যাচ্ছি,
—- বেলীকে নিয়ে যাবে?
—– হ..হুঁ। আহ, কোনো সমস্যা হবে?
আনন্দর শীতল কণ্ঠ,
—- বৃষ্টি-টা থামুক তো?
তৃষ্ণা এবার ডিরেক্ট বলে ফেলল,
—- মানে, বৃষ্টি অনুভব করতে করতে যাওয়া যাবে। সামনেই তো গাড়ি।
ঘুমঘুম চোখে বেলী কামিজ চেঞ্জ করে দ্রুত সামনের ঘরে চলে আসলো। তৃষ্ণা তাড়া লাগালো,
—- আসি তাহলে চাচা।
বেলী তার বাবার দিক তাকাল। আনন্দ বোকার মতো মাথা নাড়াল। বেলী বৃষ্টির তীব্র শব্দ শুনতে পাচ্ছে,
—- বাহিরে বৃ,
বেলী আর বলতে পারলো না। তৃষ্ণা চলে যাচ্ছে, যেতে যেতে বলল,
—- পেছন দরজা দিয়ে আয়।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here