অন্তঃসন্তা মেয়েকে বিয়ে পর্ব ১

0
3410

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্ব ১
লেখকঃ রাইসার_আব্বু
.

-গা থেকে কাপড়টা সরাতে গেলেই মেয়েটা বলতে লাগলো ” আপনি জানেন না আমার গর্ভে দু’মাসের সন্তান? ( করুণার সুরে)।তার পরও একি করছেন ছাড়েন বলছি, ছাড়েন আমাকে! আমি জানি কলেজে সবার সামনে আপনাকে চড় দেওয়া ঠিক হয়নি। তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আমাকে ক্ষমা করে দিন তবুও এখন আমার কোন ক্ষতি করবেন না।আপনার পায়ে পড়ি প্লিজ এমনটি করবেন না। আমার গর্ভে ২ মাসের সন্তান!প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন।”কাকুতি – মিনতি করেও সরাতে পারছেনা।
.
হাত দুটি শক্ত করে চেপে ধরেছে। আস্তে, আস্তে চোখ দুটি বন্ধ হয়ে আসছে জোর করে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটি মিলিয়ে দিলো।দমঃ বন্ধ হয়ে আসছে। ঠোঁটে কামড় দিতেই ওহ্ করে ওঠলো মেয়েটা । কিছু করার নেই (কারিমাতুল জাহান কথার)চোখ দুটি বেয়ে পানি পড়ছে। হাত পা গলা কাঁটা মুরগির মতো নাড়াচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। তবুও ছাড়ছে না! হঠাৎ গায়ের ওপর থেকে বিয়ের লাল শাড়ীটা টান দিতেই বুকটা কেঁপে ওঠলো কথার।
!
— তবুও ছাড়ছে না! হাত দিয়ে শাড়ী ধরে রাখতে গেলে টান দিয়ে শাড়ি খুলে ফেললো! কথার দু’চোখ বেয়ে পানি পড়ছে! শাড়ীটা সম্পূর্ণ গা থেকে খুলে নিচে ফেলে দিলো। প্লিজ আপনার আল্লাহর দোহাই লাগে আমার গায়ে হাত দিবেন না। আমার গর্ভের সন্তানের কথা ভেবেও প্লিজ আমার সর্বনাশ করবেন না।
.
কিন্তু কথার কোনো কথায় শুনলো নাহ্ ছেলেটা কথাকে জোর করে কথার সারা শরীল হিস্র পশুর মতো ভোগ করলো ।কথার গায়ের কাপড় ছেঁড়ে ফেলছে। সারা শরীর ব্যথা করছে কথার। বিছানার চাদর জড়িয়ে কথা বিছানায় একপাশে গুটি-শুটি মেরে কান্না করছে। কথার মনে হচ্ছে পুরুষ জাতির মনে ভালবাসা বলতে কিছু নাই! একটা পশুও হয়তো এমন করবে না। শুধু শরীরটাকেই চিনে। বুকের বা পাশের দু আঙ্গুল নিচে যে ছোট্ট একটা মন আছে তা যে জয় করতে হয় একটা মেয়ের। কিন্তু তা না করে সরলতার সুযোগ পেয়ে ছিঃ। কথা কিছু ভাবছে পারছেনা! আবারো সে পশুটা আসছে! কথা টেবিলে থাকা ফল কাঁটা ছুড়িটা নিয়ে বলতে লাগলো” আর এক’পা যদি আমার সামনে আসেন তাহলে নিজেকে শেষ করে দিবো। বলে চিৎকার দিতেই!
!
— রাজের ঘুম ভেঙ্গে যায়!রাজ ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো কি হয়েছে কথা?
!
— আপনি একটা পশু! আপনি আমার সামনে আসবেন না।আপনাকে আমি স্বামী বলে মানিনা।বলেই একটা থাপ্পর দিলো রাজকে। ( কথা)
!
–রাজের বুঝতে বাকী হলোনা কথা কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছে! তাই কাছে গিয়ে বসলো। কথা কেমন জানি ভয়ে জড়োসরো হয়ে গেছে। এই কথা নাও পানি খাও। ( রাজ)
!
— কথা পানি খাওয়ার পর চোখে মুখে পানি দিয়ে বুঝতে পারলো কথা দুঃস্বপ্ন দেখেছে। এখনো কথার গায়ে বিয়ের সে শাড়ী। বাসর ঘরটা ফুলে -ফুলে সাজানো! যেমনটা সাজানো ছিল দু’মাস আগে। আজ কথার জীবনে দ্বিতীয় বাসর রাত । কথা দু’মাস আগেই বিয়ে করেছে সবাইকে না জানিয়ে। কথা জানে, কথার স্বামী “সজিবকে” রাজ খুন করেছে কথাকে পাওয়ার জন্য। এজন্য কথা রাজকে স্বামী হিসেবে না মানলেও পরিস্হিতির স্বীকার হয়ে বিয়ে করে !!
!
— এজন্যই কথা রাজকে সহ্য করতে পারেনা!রাজ কথাকে ভালোবাসতো সেই কলেজ জীবন থেকেই! কিন্তু কথা কখনোই রাজকে ভালোবাসেনি। কথা রাজতে সেফ বন্ধু ভাবতো। কথা ভালোবাসতো সজিব কে! তারা দুজন -দুজনকে ভালোবেসে সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করে ! আর সজিবের সন্তানই কথার গর্ভে বড় হচ্ছে । সজিব রাজের হাতে খুন হলেও কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকায় কথা কাউকে কিছু বলতে পারেনা। কথা শুধু জানে রাজ কথাকে পাওয়ার জন্য সজিবকে তার পথ থেকে সড়িয়ে ফেলে!
!
—ওহ্ আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই দেওয়া হয়নি! আমি জিসান আহম্মেদ রাজ। বাকিটা না হয় গল্প পড়তে পড়তে জেনে নিবেন।
!
— সজিব খুন হওয়ার পর কথা খুব কেঁদেছিল। কথা কখনো ভাবতেই পারেনি রাজ তার স্বামী সজিবকে খুন করবে। কারণ সজিব আর রাজ বাল্যকাল থেকেই বন্ধু। মায়ের পেটের ভাই। কথা কাউকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি। শেষবারের মতো স্বামীর মুখটাও দেখতে পারেনি।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
দিন- দিন তাদের ভালবাসার ফসল বাচ্চাটা কথার গর্ভে বড় হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই কথা ভাবছে কী করবে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলবে! তা না হলে কি করে সমাজে মুখ দেখাবে। সমাজ থেকে তো বাবা- মাকে বের করে দিবে। সজিবকে বিয়ে করার কথাও কেউ জানেনা। বাচ্চা হলে সবাই জারজ সন্তান ডাকবে নাহ্ এটা কী ভাবছি। কথার এখন সুসাইড করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই! সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল সে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। বেলকুণিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছে! হঠাৎ কিং কিং করে ফোনটা বাজছে।
!
— আননোন নাম্বার দেখে কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে “””
— হ্যালো, কথা আমি রাজ। তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।( আমি)
!
— খুনি! তোর সাথে কোন কথা নেই! নিজের ভালবাসাকে পাওয়ার জন্য যে নিজের বন্ধুকে খুন করতে পারে তার সাথে আবার আমি দেখা করবো। কখনোই না। ( কথা)
!
–ওহ! আচ্ছা আপনি যে অন্তঃসন্তা তা কী কেউ জানে? ( আমি)
!
— কি বলছো রাজ! তুমি কি করে জানো? ( কথা)
!
— হা, হা, হা, আচ্ছা তোমার বাবা মাকে কি বলতে হবে আপনারা নানা- নানী হতে যাচ্ছেন। আপনাদের বড় মেয়ে কথা মা হতে যাচ্ছে! (আমি)
!
— রাজ! কোথায় দেখা করতে হবে বলো আমি কাল তোমার সাথে দেখা করবো!
!
— এইতো! কতো ভালো মেয়ে সবাইকে না জানিয়ে বিয়েটা করার সময় এই বুদ্ধিটা থাকলে আজকে এতো কিছু হতো না! আচ্ছা কাল বিকেলে আলীশান হোটেলে আসবে। ( আমি)
!
— ওকে! তবে তুমি ছাড়া কেউ যেনো না জানে সজিবের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আর আমি অন্তঃসন্তা! ( কথা)
!
— আচ্ছা!
!
— বিকেলে খাবার অর্ডার করে বসে আছি। হঠাৎ সেই চিরচেনা মাতাল করা চুলের গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছে! উপরের দিকে তাকাতেই দেখি কথা! মনে হচ্ছে বাগানের একটা তাজা গোলাপ! বাতাসে এলোমেলো চুলগুলো উড়ছে। কাজল কালো হরিণীর মতো চোখ জোড়া করুণ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে! হঠাৎ কিসের জন্য ডেকেছো আমাকে?
!
— বসো বলছি( আমি)
!
— হুম এবার বলো কী চাও আমার কাছে? (কথা)
!
— বেশি কিছু চায়না। তবে তোমাকে চাই!
!
— সেটা কোনদিনই সম্ভব নয়।তুমি জানো আমি বিবাহিত। আর আমি অন্তঃসন্তা। তোমারই বন্ধু সজিবের সন্তান আমার গর্ভে ওহ! কাকে বন্ধু বলছি তুমি তো আমার স্বামীর খুনি। ( কথা)
!
— ওহ! আমার কোনো সমস্যা নেই তোমার হাজার বিয়ে হলেও সমস্যা নেই। আচ্ছা শোনো! তোমার সামনে দুটো রাস্তা এক তোমার আত্মহত্যা অন্যদিকে আমাকে বিয়ে করা।
!
— যদি আত্মহত্যা করো তাহলে তোমার মাঝে জন্ম নেওয়া নিঃশ্বাপ সন্তানটা মারা যাবে। লোকে তোমার বাবার দিকে আঙ্গুল তুলবে বলবে নষ্টা মেয়ের বাবা। পতিতা জন্ম দিয়েছিল তোমার বাবা। তুমি মরে গেলেও এই অপবাদ থেকে রেহাই পাবে না। আর তোমার ছোট বোন কী যেন নাম, ওহ! সুমাইয়া ইসলাম (তোবা)। তুমার নামে এমন কথা শুনে ভাবছো তার বিয়ে হবে।কখনোই না। লোকে তোমাদের পরিবারকে থুথু দিবে। দেখা যাবে তোমার বাবা গাড়ির নীচে ঝাপ দিয়েছে। ( আমি)
!
— রাজ প্লিজ চুপ করো। আমি আর এগুলো শুনতে পারছিনা। ( কথা)
— ওকে। তাহলে শুন অপশন নাম্বান ২.আমাকে যদি বিয়ে করো তাহলে তোমার গর্ভের সন্তানটা পৃথিবীর আলো দেখবে আর কেউ তাকে জারজ বলবে নাহ্। আর তোমার বাবা অপবাদের হাত থেকে বেঁচে যাবে এখন তোমার ইচ্ছা।
!
— হুম! বাবা – মা, আর আমার নয়নের মনি কলিজার টুকরা তোবার কথা এবং গর্ভের সন্তানের জন্য নিজেকে কুরবাণী দিলাম। তবে আমার কিছু শর্ত রয়েছে।(কথা)

চলবে””””””””
বিঃদ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here