অন্তরালের কথা পর্ব ২৬

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ২৬

.
.
তানহা দ্রুত চলে গেল ডাইনিং রুমের দিকে। দুটি প্লেট ডাইনিং টেবিলে রেখে শপিং ব্যাগ খুলতেই তানহা অবাক হয়ে যায়!শপিং ব্যাগের ভেতর যে আবার দুটি ছোট ব্যাগ রয়েছে। একটি কাপড়ের ব্যাগ আর অন্যটি কাগজের ব্যাগ। কাপড়ের ব্যাগটি খুলতেই একটি মড়ানো ঠোঙা বের হলো। যার মধ্যে ফুচকা,মাখানো বুট আর টক পানি। তাই দ্রুত ঠোঙা থেকে ফুচকা, বুট, টক পানি বের করে প্লেটে ও বাটিতে সাজিয়ে চলে যেতে নিলেই তার মনে হলো শপিং ব্যাগে থাকা আরেকটি ব্যাগের কথা। তাই হাতে ফুচকা নিয়েই ফিরে গেল শপিং ব্যাগটির কাছে। বড় শপিং ব্যাগের ভেতর কাগজের ছোট ব্যাগটি খুলতেই তার চোখ যেন ছানাবড়া হয়ে গেল। আর গলার স্বর ক্ষানিকটা উঁচু করে বলল,
” অতল! অতল! শুনছেন? একটু এদিকে আসুন তো! ”
” কি হয়েছে কি? এভাবে ডাকছ কেন? ”
” এই…এই ব্যাগে কি? ”
” কেন, তুমি খুলে দেখোনি? ”
” দেখেছি কিন্তু… এটা কার? ”
” কার আবার তোমার! ”
” আ…আমার? এই iPhone আমার? ”
” হুম তোমার। ”
” আপনি এটা কি করেছেন? iPhone কেন কিনেছেন? তাও আবার iPhone X! এর দাম তো অনেক! এতো টাকা খরচ করে আপনি আমার জন্য iPhone কেন কিনেছেন? কমদামি একটা মোবাইল কিনে দিলেই তো হতো। ”
” কোথায় এতো দাম দেখলে তুমি? আর যদিও দাম হয়ে থাকে তাতে কি হয়েছে? এটা তো আর বাহিরের কাউকে দিইনি আমার বউকে দিয়েছি। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমার এই অন্তরে তোমার স্থান কিংবা মূল্য যেই লেভেলে, সেই অনুযায়ী এই iPhone এর মূল্য একেবারেই তুচ্ছ। ”
” কিন্তু এটা যে আমার সাথে যায় না। আমি একটি মিডিল ক্লাস ফ্যামিলি থেকে এসেছি। যেখানে এই iPhone শুধুই একটি স্বপ্ন, যেটার বাস্তবরূপ নেয়া প্রায় অসম্ভব। ”
” বুঝলাম, তবে আমি চাচ্ছি এই বিষয়টা এখানেই অফ যাক। ”
” জ্বি। ”
” ব্যাগটা আমি নিয়ে যাচ্ছি আর তুমি ফুচকার প্লেটটা নিয়ে এসো। ”
” জ্বি, আচ্ছা। ”
.
রাত প্রায় ১২ টা। চারিদিকে যেন নীরবতার পাহাড় জমেছে। এমনিতেই ঘরে সর্বক্ষণ নীরবতা বিরাজ করে তারউপর রাত হলে তো কোনো কথাই নেই। এইমুহূর্তে ঘরের মাঝে এতটাই নিস্তব্ধতা ঝেঁকে বসেছে যে, ঘরের মেঝেতে পিন পড়লেও হয়তো সেই আওয়াজটা একটি বিকট আওয়াজের রূপ নিতে পিছপা হবে না। বিশাল বড় বিছানায় এক কুচ হয়ে একে অপরের হাত ধরে পাশাপাশি শুয়ে আছে অতল ও তানহা। কারো মুখে কোনো কথা নেই কিন্তু দুজনের মনেই চলছে আকাশকুসুম চিন্তা ভাবনা। তবে কারো’টা সুখের আর কারো’টা হিসেব না মেলা জীবনের। তানহা শুয়ে শুয়ে সেই কখন থেকে তার জীবনের হিসেব নিকেষ করেই যাচ্ছে কিন্তু কোনোদিক থেকে হিসেব মিলছে না, বরং আরও প্যাঁচ লেগে যাচ্ছে। কিন্তু অতল, সে তো আছে তার সুখ পাখিকে ভালোবেসে ভরিয়ে দেয়ার চিন্তায়। আর সেই চিন্তা গাঢ় থেকে এতটাই প্রগাঢ় হয়েছে যে, এক ঝটকায় তানহাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে অতল দুষ্টু গলায় বলল,
” ভালো লাগছে না। ”
” কেন? ”
” জানি না। ”
” এটা আবার কেমন কথা? আপনার মনে কি চলছে আপনি জানবেন না! ”
” জানি… জানব না কেন? কিন্তু তুমি বউ হয়েও যদি রাতে ভালো না লাগার কারণ জিজ্ঞেস করো আমি কি বলব বলো? ”
” ও এই ব্যাপার! তাহলে আপনার যা খুশি, যেভাবে খুশি ভালো থাকার ব্যবস্থা করুন আমি তৈরি আছি। ”
” সে আমি জানি। আপনি যে আমার বাধ্যগত বউ আপনি তো রেডি থাকবেনই। কিন্তু এতটা বাধ্যও আমার পছন্দ নয়। ”
” তাহলে কিরকম পছন্দ? ”
অতল হুট করে তানহাকে নিজের উপর শুইয়ে বাম হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ডান হাত দিয়ে তানহার মুখের উপর পড়ে থাকা চুলগুলো কানের পেছনে নিতে নিতে বলল,
” আগে আমাকে তুমি করে বলার অভ্যাস করো তারপর দেখবে এক অজানা অধিকারবোধ থেকে তুমি নিজেই বাধ্য বউ থেকে অবাধ্য বউয়ে রূপান্তর হয়ে গিয়েছ।”
” হুম। ”
” জানো, আমার না কিছু কিছু জিনিসের ভীষণ শখ। এই যেমন ধরো, ঘুমনোর আগে অর্থাৎ একদফা ভালোবাসা বাসির পরে তুমি আমার উপর অথবা আমি তোমার উপর শুয়ে চোখে চোখ রেখে কিছুক্ষণ কথা বলব। তুমি লজ্জারাঙা মুখ নিয়ে খিলখিল হাসবে আর আমি সেই হাসি প্রাণ ভরে দেখব। ”
” এতটুকুই? ”
” না না, এতটুকু হবে কেন আরও অনেক আছে। তবে সব তো আর এখন বলা সম্ভনা। যদি বলতে বসি তাহলে রাত পার হয়ে যাবে। আচ্ছা, তোমার শখ কি? ”
” আমার আবার কিসের শখ! আমার তেমন কোনো শখ নেই। তবে হ্যাঁ উপন্যাস পড়তে বেশ ভালোবাসি। ”
” তাই? আমাকে আগে বলোনি কেন?তাহলে আমি কিছু উপন্যাসের বই কিনে এনে রাখতাম তোমার জন্য। যখন মন খারাপ হবে কিংবা একা একা বিরক্ত হয়ে যাবে তখন সেগুলো পড়ে মন ভালো করে ফেলবে। যাই হোক এখন তো বলেছ, কাল আমি ভালো দেখে কিছু উপন্যাসের বই কিনে এনে দিব তোমায়। ”
” না না, আপনি আবার কষ্ট করতে যাবেন কেন? আমি কোবো উপন্যাস টুপন্যাস পড়ব না, আপনি শুধু শুধু কষ্ট করতে যাবেন না প্লিজ। ”
হঠাৎ করে অতল তানহাকে নিজের উপর থেকে সরিয়ে পাশে শুয়ে দিল। আর নিজেও তানহার ঠিক উল্টো দিক ফিরে শুয়ে শান্ত গলায় বলল,
” সারাদিন অনেক কাজকর্ম করো তাই বেশি রাত জাগা তোমার জন্য ঠিক হবে না। ঘুমিয়ে পড়ো। শুভ রাত্রি। ”
তানহা ভেবে পাচ্ছে না অতলের হুট করে পরিবর্তনের কারণ। বেশ চিন্তায় পড়ে যায় তানহা। তবে চিন্তার পাল্লাটা ভারি হবার আগেই তানহা বুঝে ফেলে কেন এই পরিবর্তনের। তাই নিজে থেকে অতলের কানের কাছে আস্তে করে বলল,
” রাগ করেছ নাকি অভিমান? ”
তানহার মুখে এই প্রথম তুমি ডাক শুনে অতল শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে পড়ল। আর হাসি হাসি মুখ করে বলল,
” কি বললে? আরেকবার বলতো? ”
” কানে কম শুনো নাকি? ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো? ”
তানহার কথাটি শুনে অতল হেসে দেয়। তানহাকে জড়িয়ে ধরে কোনো কথা না বলে বেড সুইজ অফ করে আঁধার ঘরে তানহার উপর নিজের শরীর মেলে দেয়।
.
এভাবেই চলতে থাকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা। আর কাটিয়ে দেয় বহুদিন, বেশ ক’টা মাস আর কয়েক বছর।
এখন সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগের মতো কিছুই নেই। না আছে পরিবেশ, না আছে মানুষগুলো, আর না আছে সেই মানুষগুলোর সম্পর্ক। সময় পার হবার সাথে সাথে সব সম্পর্কই যেন নতুনভাবে সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ভুলিয়ে দিয়েছে পুরনো স্মৃতিগুলোকে, পুরনো সম্পর্ক গুলোকে। এখন আর কেউ কারো বিরহে কাঁদে না, কেউ কষ্ট পায় না তবে হ্যাঁ, হঠাৎ বিশেষ কোনোদিনে আজও দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে বুক চিঁড়ে।
আজ দীর্ঘ ৩ বছর হয়ে গেল তিহান আর তানহার সাক্ষাৎ হয়নি। তিহান যে দেখা করতে চায়নি তা না, বরং তানহা নিজে থেকে দেখা করতে চায়নি। তাইতো বিয়ের ৩ মাস পর যে, চট্টগ্রাম এসেছিল নিজের ভুবন সাজাতে আর ফিরে যায়নি শ্বশুর বাড়ি। এর মাঝে অতল, শ্বশুর-শাশুড়ী বহুবার বলেছে তানহাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য কিন্তু তানহা যায়নি। নিজের জায়গায় অটুট থেকে সবাইকে নয় ছয় দিয়ে বুঝিয়ে প্রতিবারই এড়িয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র নিজেকে পরিবর্তন করবে বলে। নিজেকে তিহান নামক গন্ডি থেকে বের করে অতল নামক গন্ডিতে প্রবেশ করাবে বলে। আর আজ তানহা সফল। সে পেরেছে তিহানকে ভুলে অতলকে আপন করে নিতে। নিজের মনের রাজত্বে অতলকে রাজার আসনে বসাতে। নিজের সবটা উজাড় করে ভালোবাসতে। যে ভালোবাসায় নেই কোনো ছলনা, নেই কোনো দেখানোর প্রয়োজনীয়তা। এ ভালোবাসা যে মন সমুদ্রের গভীর তলদেশ থেকে সৃষ্টি।
অন্যদিকে তিহান যে বেশি একটা খারাপ আছে কিংবা কষ্টে আছে তাও না। তিহানও যে এই ৩ বছরে নিজেকে যথেষ্ট গুছিয়ে নিয়েছে। এখন আর সে তানহার বিচ্ছেদে আঁধার ঘরে বিছানার পায়ার সাথে গুটিসুটি মেরে মেয়েদের মতো কেঁদে বুক ভাসায় না। এখন আর সে মুক্ত আকাশ দেখে আহাজারি করে না প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেবার। এখন আর ছাদে উঠে কদম গাছের দিকে তাকিয়ে পুরনো স্মৃতি মনে করার চেষ্টাও করে না। সবই সে ভুলে গিয়েছে অবশ্য ভুলে যায়নি, ইচ্ছে করে ভুলে যাবার খাতায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছে। তাতেও যদি মনে আলোর দিশা পাওয়া যায় সেই কারণে।

ড্রয়িং রুমে জানালার পাশে থাকা সিঙ্গেল সোফার উপর বসে সামনে থাকা বুক সেল্ফের দিকে তাকিয়ে একগালে হাত দিয়ে তানহা ভাবছে,” এই পড়ন্ত বিকেলে সে কোন উপন্যাস নিয়ে বসতে পারে ! ” কেননা এ তিনবছরে অতল এতগুলো উপন্যাসের বই কিনে দিয়েছে যে, তানহার যখনি উপন্যাস পড়ার ইচ্ছে হয় সে বুক সেল্ফের সামনে এসে দাঁড়িয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত তাকালেই গুলিয়ে ফেলে কোনটা রেখে কোনটা পড়বে ভেবে। তবে তার ভালোও লাগে অতলের ভালোবাসার পাগলামো গুলো অনুভব করতে। ঠিক যেমনটা এখন অনুভব করছে। তাই তো ঠোঁটের কোণে প্রশান্তির হাসির রেখা ফুটিয়ে সোফা ছেড়ে উঠে বুক সেল্ফের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। কিছুটা ঝুঁকে বুক সেল্ফের তৃতীয় সারির প্রথম থেকে গুনে গুনে ৬ নম্বর বইটি হাতে নিয়ে চলে যায় বেলকনির কাছে।
খোলা চুলগুলো হাত খোঁপা বেঁধে বেলকনির রকিং চেয়ারে বসে হুমায়ুন আহমেদ এর ” আঙুল কাটা জগলু ” বইটি পড়ছে তানহা। এই বইটি তানহার খুব প্রিয়। হুমায়ুন আহমেদ এর বই বলে কথা! তারউপর এ বইয়ের মেইন চরিত্রই হচ্ছে হিমু। আর হিমুর সবগুলো বই-ই তানহার খুব প্রিয়। কিন্তু সেই প্রিয়তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারল না তানহা। কেননা তার পড়ার মাঝেই কে যেন এসে মেইন দরজায় কলিং বেল চেপে দিয়েছে। তাই বেলকনি থেকে রুমে ঢুকে হাতে থাকা বইটি বিছানার উপর রেখে চলে যায় তানহা দরজা খুলতে। দরজা খুলেই তানহা অবাক হয়ে যায়! গল্প পড়ার মাঝে কলিং বেল বেজে উঠায় যতটা না রেগে গিয়েছিল তার চেয়ে হাজার গুন বেশি খুশি হয়েছে দরজার অপর পাশের মানুষটিকে দেখে। সেই সাথে উত্তেজিত গলায় বলল,

” অতল, তুমি এখন! আমারতো বিশ্বাসই হচ্ছে না! তোমার না কাল সন্ধ্যায় আসার কথা ছিল? এখন কিভাবে এলে? ”
অতল চোখ মেরে মুচকি হেসে বলল,
” দরজায় দাঁড়িয়ে সব কথা বলবে নাকি ভেতরেও আসতে দিবে? ”
” ভেতরে আসতে দিব না এটা কেমন কথা! অবশ্যই দিব তবে তার আগে আমার হাতে একটা চিমটি দাও আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি সত্যি এটা বুঝে নিই। ”
” চিমটি তো দিবই সাথে উম্মাহও দিব সেইসাথে এটা স্বপ্ন নাকি সত্যি সেটাও বুঝিয়ে দিব কিন্তু আগে ঘরে তো যেতে দাও। ”
” ইশ! পাজি কোথাকার। শুধু দুষ্টুমির কথাবার্তা। এসো ঘরে এসো। ”
” দুষ্টুমি করলেও নিজের দলিল করা থুক্কু বিয়ে করা বউয়ের সাথে করি অন্যকারো সাথে করি না। ”
” প্রয়োজনও নেই, এই দুষ্টুমি ভোগ করার অধিকার কেবল আমার আছে অন্য কারো নেই। অন্য কেউ এই অধিকার ফলাতে আসলে তাকে তো খুন করবোই সাথে তোমাকেও মজা বুঝাবো। ”
তানহা দরজা থেকে সরতে সরতে কথাগুলো বলছিল অতলকে। আর অতল দরজা লক করে তানহাকে নিজের বাহুডোরে বন্দি করে তানহার ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট নিয়ে বলল,
” জ্বি ম্যাডাম, আমি জানি। তাইতো শুধুমাত্র আপনার সাথেই দুষ্টুমি করি। ”
” হয়েছে হয়েছে, এবার সরোতো। আগে ফ্রেশ হয়ে কিছু মুখে দাও তারপর যা খুশি করো। ”
” কেন, ঘামে ভেজা শরীরে কাছে আসতে বুঝি ঘেন্না করে? ”
তানহা মুখে কিছু না বলে অতলের ঘামে ভেজা বুকে আলতো করে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিল। তারপর মুখটা উঁচু করে অতলের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট আলতো ভাবে স্পর্শ করে বলল,
” এখনো কি তোমার মনে হয় আমার ঘেন্নাপিত্তি বলতে কিছু আছে? ”
” এখন আবার নতুন করে কি মনে হবে? সেতো আমি খুব আগে থেকেই জানি তোমার আমায় ঘিরে কোনো ঘেন্না কাজ করে না। ”
” তাহলে একটু আগে বললে যে? ”
তানহার ভ্রু কুচকানো প্রশ্ন শুনে অতল হো হো করে হেসে দিল আর বলল,
” না বললে যে এই আদর গুলো মিস করে ফেলতাম। তাই আর কি একটু…”
” তাই আর কি একটু অভিনয় করে আদর নিয়ে নিলে তাই তো? ”
” হি..হি…”
” আর হাসতে হবে না কেননা এই অভিনয়ের ফলে তুমি একা লাভবান হওনি সাথে আমিও হয়েছি। হি..হি..”
” ভাবলাম হেসে তোমাকে একটু রাগিয়ে দিব তা না… তুমি নিজেও দাঁত কেলিয়ে হাসতে আরম্ভ করে দিলে! ”
” দেখতে হবে না কার বউ! ”
” হুম, তাও কথা। ”
” আচ্ছা, বললে না তো কালকের বদলে আজ কেন যশোর থেকে ফিরে এলে? যে কাজের জন্য গিয়েছিলে সে কাজ কি শেষ? ”
.
.
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here