“অবশেষে_তুমি (পর্ব ০৫)

#অবশেষে_তুমি (পর্ব ০৫)
#Mohua_Afrin_Mim
·
·
·
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি উনি আমার বইগুলো দেখছেন। আমাকে দেখে বলে উঠলো

— তুমি কি বই পড়ো নাকি!!

— জ্বী।।

— এই সবগুলো বই কি তোমার!!

— জ্বী।। আমি বই পড়তে ভালোবাসি।।

— আপনিও তো বই পড়তে ভালোবাসেন।।

— তুমি জানলে কি করে!!!

— আপনার রুমের বুক সেল্ফ দেখেই বুঝা গিয়েছে যে আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন।।

— হুম।। আমি বই পড়তে আর collect করতে ভালোবাসি।। আমার বই collection এর প্রতি অনেক ঝোঁক।।

— হুম।। ভালো।। আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন।।

— ok

রাতে সবাই একসাথে ডিনার করি।। আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে ঘুমাতে আসি।। রুমে এসে দেখি উনি মোবাইল চালাচ্ছেন।। তাই আমি আর কিছু না করে একটা গল্পের বই পড়া শুরু করি।। অনেক্ষন হয়ে গেছে উনি উনার মতো কাজ করেই যাচ্ছে।। এর মাঝে উনি একটুও কথা বলেনি…..আর আমিও না।। বই পড়া শেষ করে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পড়ি।।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি ঘুমাচ্ছেন।। ঘুমালে উনাকে অনেক কিউট লাগে।। উনার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে উনার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে দেই।। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ফজরের নামাজ পরে নেই।।

রুম থেকে বের হয়ে আম্মুকে নাস্তা বানাতে সাহায্য করি।। তারপর সবাই ঘুম থেকে উঠে গেলে একসাথে নাস্তা করে নেই।।

আজকে আমরা চলে যাবো।। বিকালে আব্বু আম্মুর থেকে বিদায় নিয়ে বাসার বাহিরে এসে দাড়ালে দেখি উনি গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসছেন।। তা দেখে আমি গাড়ির পিছনের সিটে বসতে নিলে বলে উঠেন

— পিছনে বসছো কেনো!!

— তাহলে কোথায় বসব!!

— তোমার কি মনে হয় আমি ড্রাইভার!!

— আমি তা কখন বললাম!!

— তাহলে পিছনে না বসে সামনে এসে বসো।।

— হুম।।

বাসায় এসে ডুকলে মাকে দেখে সালাম দিয়ে বলি

— মা কেমন আছেন!!!

—ভালো মা।। তুমি কেমন আছো!!

— জ্বী ভালো।।

অর্ণব বলে উঠলো

— মা আমাকে তো কিছু জিজ্ঞেস করলে
না!!! নাকি নতুন বউ পেয়ে আমাকে ভুলে গিয়েছো!!

— তোকে কি করে ভুলি।। তুই তো আমার একমাত্র ছেলে।।

— হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না।।

— ওলে আমার বাবুটা রাগ করেছে।। রাগ করেনা বাবু।। এইবার হয়েছে!!

— মা তুমিও না।।

আমি উনাদের কাহিনি দেখে হাসতে থাকি।। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে আমার সব জিনিস কাবার্ডে গুছিয়ে রাখি।। ডিনারের সময় সবাইকে খাবার বেড়ে দিতে থাকলে মা বলেন

— তুমি খাবেনা!!

— পরে খাবো।।

— পরে খাবে কেনো!! এখনি খাবে….বসো আমাদের সাথে।।

— ঠিক আছে।।

রাতে রুমে বসে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলাম অর্ণব রুমে এসে বলে

— কাল থেকে আবার অফিস যাওয়া শুরু করছি।।

— অহ্।।

— তোমার কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে মাকে জানাবে।।

— ঠিক আছে।।
আমার সাথে মানিয়ে নেয়ার কোনো নাম নেই আসছে আমার প্রয়োজন মেটাতে……. হুহ্।। (মনে মনে)

— কি এতো ভাবছো!!!

— না কিছু না।।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নামজ পড়ে নিচে চলে যাই।। রান্নাঘরে গিয়ে ভাবতে থাকি কি বানানো যায়।। তারপর সার্ভেন্টের সাহায্য নিয়ে নাস্তা বানানো শুরু করি।। কাজের মাঝে রুমে গিয়ে উনার প্রয়োজনীয় জিনিস মানে উনার কাপড়,ওয়ালেট, ঘড়ি সব বিছানায় রেখে আসি।।

অর্ণব ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে ওর সব প্রয়োজনীয় জিনিস বিছানায় রাখা।। এটা দেখে অর্ণব মুচকি হেসে দেয় আর ভাবতে থাকে –” এখন থেকে আর কষ্ট করে কিছু করতে হবে না আর অফিসে তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে”

সবাই একসাথে নাস্তা খেতে বসলে বেড়ে দিতে থাকি।। মা বাবা নাস্তা খেয়ে আমার রান্নার অনেক প্রশংসা করতে থাকে।। কিন্তু উনি কিছুই বলেন না।। চুপচাপ খেয়ে অফিসে চলে যায়।।

দুপুরে উনার খাবার ড্রাইভারকে দিয়ে পাঠিয়ে দেই।। ড্রাইভার এসে অর্ণবকে খাবার দিয়ে যায়।। অর্ণব খাবার খেতে খেতে মনে মনে বলতে থাকে আর যাই হোক মিমের রান্নার প্রশংসা করতে হয়।।

রাতে মা উনার রুমে আমাকে যেতে বলেন……. জরুরী কথা আছে নাকি আমার সাথে।। আমিও ভাবতে থাকি কি এমন জরুরী কথা আছে আমার সাথে।। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে মার রুমের সামনে গিয়ে বলি…………
·
·
·
চলবে……………………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here