অবৈধ সম্পর্ক পর্ব ২১

#অবৈধ_সম্পর্ক
#লেখাঃ_নুসরাত_জাহান
#সিজনঃ_২
#পর্বঃ_২১

ইমরান বিথীকে দেখেই হসপিটাল থেকে নিচে চলে আসলো। তুহিন ও পিছু পিছু আসলো।
-” কী ব্যাপার ইমরান?? তুই চলে আসলি যে?? ভিতরে ঢুকলি না কেন??

-‘না দোস্ত। আমি তো হতবাক হয়ে গেছি। কী বলবো বুঝতে পারছিনা??

ইমরানের কাঁধের উপরে হাত দিয়ে তুহিন বললো,,,
-“রাহাতের বউকে কী তুই চিনিস?
তুহিনের মুখের দিকে তাকায় ইমরান। বলার মতো কোন ভাষা নেই।

হসপিটালের গেট থেকে নামতেই রাহাতের সাথে ধাক্কা লাগলো ইমরানের।
চোখ মুখ লাল করে রাহাতের দিকে তাকায় ইমরান। সাথে সাথে রাহাতের শার্টের কর্লার টেনে ধরে বললো,,,
-“তোর দিন শেষ রাহাত। তুই আমার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চেয়েছিস এখন দেখ তোর সুখের ঘরে আগুন কীভাবে লাগে?? তোর তো সাহস কম না তুই বিথীর সাথে এত বড় বেঈমানী করলি?? ভাবতে ও আমার অবাক লাগছে। আরে কুত্তা হারামী তোর জন্য তোর বউ রোজা রাখে। তুই যাতে সুস্থ থাকিস তাই সব সময় তাহাজ্জুদ নামায পড়ে গভীর রাতে। তোকে এতটা ভালোবাসে কিন্তু তুই তার বিনিময়ে এত বড় ধোঁকা দিলি। একবার ও কী ভেবে দেখছিলি বাপের ও বাপ থাকে। তুই রিপার সাথে যা করেছিস তার জন্য আমার কলিজা পর্যন্ত লেগেছে। এখন ও সেই কথা মনে পড়লে আমার সমস্ত শরীর শিউরে ওঠে। তাই আমি কোন ঝামেলায় যেতে চাইনা। ভালো ভাবে বলছি ভিডিও ক্লিপটা দিয়ে দে। আমি পিছনের কথা সবটা ভুলে যাবো। আর এই কথাটা কারো কাছে জানাজানি হবেনা।

.
ইমরানের মুখে নিজের বউয়ের নামটা শুনে হতবাক হয়ে যায় রাহাত। তোতলাতে তোতলাতে বলে,,
-“তুই বিথীকে কী করে চিনিস??
-“তোকে কেন বলবো কীভাবে চিনি?? আমি যা বলছি কান খুলে শুনে রাখ এতদিন যা করেছিস সব ভুলে যা আর নতুন করে বাঁচার চেষ্টা কর। যেহেতু তুই বাবা হয়েছিস তাই বলছি। কারণ আমি যদি বলতে শুরু করি তাহলে তুই দাঁড়াবার জন্য মাটি খুঁজে পাবিনা।

রাহাত কোন উত্তর না দিয়েই সোজা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো।
.

ইমরান ভ্রু কপাল কুঁচকে তুহিনকে কিছু না বলেই বাসার দিকে চলে গেলো।
.

রিপা রুমের ভিতরে হা পা মেলে দিয়ে বসে আছে। মাথার ভিতরে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

তখনি,,,,
রিপার ফোনটা বেজে উঠলো। রাহাতের নাম্বার দেখে রিপা কলটা রিসিভ করেনি। কিন্তু বারবার কল বেজেই চলেছে। তারপর কলটা রিসিভ করে,,,,
-“আসসালামু আলাইকুম।
-“কেমন আছো রিপা??

রাহাতের গলাটা শুনে মোবাইলটা হাত দিয়ে নিচে পড়লো। তবুও আবার মোবাইলটা হাতে নিয়ে কানের কাছে ধরে,,,,রাহাত তু……তু…..তুমি কল দিয়েছো কেনো??

-“কী হলো ভয় পাচ্ছো কেনো??? আমাকে ভয় পাওয়ার কারণ কী?
-“তুমি কল দিয়েছো কেনো??

-“তোমাকে ভীষণ মিস করি রিপা। সত্যি রিপা তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি। তুমি আমাকে এভাবে ভুল বুঝতে পারোনা। তুমি আমাকে একটিবার ভালো হওয়ার সুযোগ দাও।

-“চুপ করো রাহাত। তুমি কোন কথাই বলো না আর। তোমার ঐ নোংরা মুখে আমার নাম উচ্চারণ করো না।
-“প্লিজ রিপা আমাকে একটিবার সুযোগ দাও ভালো হওয়ার।
-“আমি তোমাকে ঘৃণা করি রাহাত। তুমি যদি সত্যি ভালোবেসে থাকতে তাহলে আমার সাথে প্রতারণা করতে না। তোমাকে বিশ্বাস করে আমি……….!
কথাটা মুখে আনতে ও মুখের কাছে কথাগুলো আটকে আসে রিপার।
রাহাত তুমি যদি আমাকে সত্যি ভালোবেসে থাকো তাহলে আমার ভিডিও ক্লিপটা প্লিজ ডিলিট করে দাও।

-“রিপা ডিলিট করবো কিন্তু তার জন্য তোমাকে আমার কাছে আসতে হবে। কতদিন হলো তোমাকে দেখিনা।

-“কী বলছো এসব?? আমার পক্ষে তোমার সাথে দেখা সম্ভব না। ইমরানকে অনেক সাধনার পরে পেয়েছি। আমি চাইনা আমাদের ভালোবাসায় কোন বিশ্বাসের ঘাটতি হোক। তাছাড়া তোমার সাথে যা ছিলো সেটা অতীত ছিলো।
.
-“ইমরানকে তুমি এতটা ও বিশ্বাস করোনা। আমাকে খারাপ ভাবছো মানলাম কিন্তু ইমরান কী চরিত্রবান নাকি??

-“মানে কী রাহাত??
-“আমি হসপিটাল থেকে উপরে উঠছিলাম। আর তখন ইমরানের সাথে আমার দেখা হয়। ইমরান আমার স্ত্রী বিথীর কথা জিজ্ঞাস করে। আমি তো শুনে পুরোই অবাক যে ইমরান বিথীকে চেনে কীভাবে?? তুমি বুঝতে পারছো আমি কী বলতে চাই।

.
-“আমি ফোন রাখছি। তুমি আর কখন ও আমার সংসারের আগুন জ্বালাতে আসবেনা। তারপর কলটা কেটে দিলো রিপা।
.

রাত প্রায় ১০.৩০ মিনিট বাজতে লাগলো। কিন্তু ইমরান এখনো আসেনি।
রিপা বসা ছেড়ে উঠে পায়চারী করছে। রাহাতের কথাটা মনে করে শিউরে উঠছে রিপা। একে তো আমাকে ব্লাকমেইল করছে তার উপরে আবার বলছে ওর বউকে নাকি ইমরান চিনে। ইমরানকে সব বলতে হবে।
.
কলিং বেল বাজলো।
.
রিপা দরজাটা খুলে দেওয়ার জন্য রুম থেকে বের হয়ে দেখে,,,ইতি দরজাটা খুলে দিয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে।

-“ভাইয়া এত দেরী যে??
-“কাজ ছিলো।
-“এতক্ষণ তোমাকে অনেক মিস করেছি।
-“কেন??
-“জানিনা।

ইমরান কোন কথা না বলেই নিজের রুমে ঢুকে। রিপা দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। রিপার মুখের দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছে রিপার মন খারাপ।
-“রিপা কী হয়েছে???
-“তুমি এত দেরী করলে যে??
-“রাহাতের সাথে দেখা হয়েছিলো।
-“তাই।
-“হুম।
-“তারপর কিছু করতে পারলে??
-“রাহাতের ছেলে হয়েছে তাই হসপিটালে আসছে। মনে হয় বেশী সমস্যা হয়েছে তাই বিথীকে গ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই সে ভিডিও ক্লিপ দিতে রাজি হচ্ছেনা। আমার মাথা এখন পুরো গরম হয়ে আছে।

-“তুমি রাহাতের বউকে চিনো??
-“হুম।
-“কীভাবে??
-“বিথী আগে আমার গাল ফ্রেন্ড ছিলো। আমরা একসাথে পরাশুনা করেছি। বিথীর বিয়ের সময় আমি অফিসের কাজে বাহিরে গিয়েছিলাম তাই তো ওর বিয়েতে উপস্থিত হতে পারিনি। পরে আর ওর সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি।

-“ওহ্।
.
রাত ১১ টা….
.
-“ভাইয়া আসবো….ইতি।
-“আয় (ইমরান)
-“স্যরি বিরক্ত করতে আসলাম তোমাদের কথার মাঝে(ইতি)
-“আরে না কী যে বলিস তুই(ইমরান)
-“খাবেনা? আমার ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে(ইতি)
-“তুই এতক্ষণ খাসনি কেন (ইমরান)??
-“তোমার জন্য ওয়েট করছিলাম(ইতি)
-“আর কখনও এমন করবিনা। তুই আগে খেয়ে
নিবি (ইমরান)
-“আচ্ছা(ইতি)
-“রিপা এসো ডিনার করবো।
-“হুম।

তিনজনে ডিনারের জন্য ডাইনিং টেবিলে বসলো।

রিপা খাবার বাড়তে নিলে ইতি বাঁধ সাধলো।
তারপর ইতি সবাইকে খাবার বেরে দিলো।
.
ইমরান এক লোকমা মুখে তুলতেই রিপার দিকে তাকালো। সাথে সাথে মুখ দিয়ে খাবার ফেলে দিলো।
-“কী হলো ইমরান রান্না ভালো হয়নি??

-“রিপা কী রান্না করেছো?? তোমার মন ছিলো কোথায়?? এটা কী খাবারের যোগ্য?? এত লবন আর এত ঝাল?? তুমি তো জানো আমি ঝাল খেতে পারিনা তবুও এত ঝাল দিলে কেনো?? তার উপরে এত লবন মনে হচ্ছে পুরো এক প্যাকেট লবন ঢেলে দিয়েছো। তোমার মতলবটা কী বলবে?? সকালে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ওয়েটিং ছিলো। এখন কী রান্না করেছো??
রিপা আমাকে কী তোমার ভালো লাগছেনা??
যদি না লাগে তাহলে সরাসরি বলো। তোমার মনের আসা পূরণ করবো।

ইতি মুখে দিয়ে ওয়াক থু,,,,এটা কী রান্না হলো নাকি! মানুষে খায় এসব??
ভাইয়া আমার অনেক ক্ষিদে পেয়েছে কী করবো??

ইতি তুই আমার সাথে চল তোকে বাহির থেকে খাইয়ে নিয়ে আসি।
.
ইতিকে সাথে নিয়ে দরজাটা লক করে রেস্টুরেন্টে গেলো। তারপর ডিনার করিয়ে রাত ১২ টায় বাসায় আসলো। ততোক্ষণে রিপা শুয়ে পড়েছে। ভাবছে বুঝলাম না লবন আর ঝাল তো ঠিক মতোই দিলাম কিন্তু তবুও এত বেশী হলো কীভাবে?? প্রতিদিন তো এভাবেই দেই। কিন্তু আজ! কী হচ্ছে এসব আমার সাথে???

দরজার লক খোলার শব্দ কানে আসতেই বুঝতে পারলো ইমরান বাসায় আসছে।

ইমরান রুমে ঢুকে দেখে সমস্ত লাইট অফ করা। তাই সে আর লাইট জ্বালালো না।
মোবাইলের লাইট অন করে তারপর ফ্রেশ হয়ে রিপার পাশে শুয়ে পড়লো। কিন্তু ঘুম আসছেনা। প্রায় ঘন্টা খানেক পরে,,,,,

হঠ্যাৎ ওয়াড ড্রবের উপরে রাখা রিপার ফোনটা জ্বলে উঠলো।
শোয়া থেকে উঠে রিপার মোবাইলটা হাতে নিলো।
মোবাইলটা অন করতেই স্ক্রিনের উপরে রাহাতের নাম্বার থেকে আসা ম্যাসেজটা সামনে আসলো।
ভ্র কপাল সব একত্র করে ইনবক্সের ভিতরে ঢুকলো।
রাহাত লিখছে,,,
-“রিপা তুমি কখন আসবে সময়টা প্লিজ বলো?? তোমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি হোটেল এরিনায় আছি। তুমি এসে একটা কল দাও প্লিজ আমি নিচে নেমে তোমায় রিসিভ করবো।
তোমার জান।

.
ম্যাসেজটা পড়ার পরে পুরো মাথায় রক্ত উঠে গেলো।
তারপর মোবাইলটা চেক করতে লাগলো। হঠ্যাৎ সামনে এলো রাহাতের নাম্বারটা। নাম্বারটাতে ক্লিক করতেই দেখে ২০ মিনিট ২৯ সেকেন্ড কথা বলেছে আজ। নিজেকে আর কিছুতেই কন্টোল করতে পারছিলো না। মনে হচ্ছিলো সম্পূর্ণ আকাশটা তার মাথায় ভেঙে পড়েছে।

কোন কথা না বলেই মোবাইলটা যেখানে ছিলো সেখানে রেখে ড্রয়ার খুলে সিগারেটের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে রুমের দরজাটা লক করে ছাদে উঠলো।

.
ছাদের উপরে এক কোণে পা মেলে দিয়ে বসলো ইমরান। তারপরে সিগারেট হাতে নিয়ে একেরপর এক ধরিয়ে টানছে। কার জন্য এত কিছু করতে যাচ্ছে। কাকে বিশ্বাস করছে?? রিপা এখন ও রাহাতকে ভালোবাসে?? আমার ভিতরে কী নেই যার জন্য রাহাতের প্রতি এতটা ঝোক ওর। আমি তো আমার সমস্ত ভালোবাসা উজার করে দেওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু তবুও আমি আজকে হেরে গেলাম। ভালোবাসা সত্যি এমন একটা জিনিস যাকে জোর করে পাওয়া যায়না। প্রচন্ড অনুশোচনায় আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করছে তার। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা বউয়ের প্রতারণাগুলো। এতটা জঘন্য,নোংরা কী করে হলো রিপা। এখন কী করে সে বেঁচে থাকবে। চোখদুটো তার পানিতে টলটল করছে। কিছুতেই সেই পানি আটকে রাখতে পারছেনা। তারপর হু হু করে কাঁদতে লাগলো। কিছুতেই কান্না থামাতে পারছেনা। সারারাত পর্যন্ত কেঁদেই চলেছে।

ফজরের আগে আগে ছাঁদ থেকে নেমে গেলো সে।
তারপর সোফার উপরে শুয়ে পড়লো।
.

.

সকালবেলা ইতির অনেক ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙে যায় ইমরানের।
-“ইমরান ভাইয়া! এই ভাইয়া! ওঠো,,,সকাল হয়ে গেছে অফিসে যাবেনা।
ইমরান চোখ বন্ধ করেই আড়মোড়া দেয়। পুরোপুরি ঘুম ভাঙেনি,,তাই আবার ও ঘুমিয়ে পড়লো।
ইতি আবার ও ডাকলো,,
-“ভাইয়া কী হলো উঠবেনা?? অনেকবেলা হয়ে গেছে।
আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকিয়ে বললো,,,
-“না আজকে যাবোনা।
-“সত্যি।
-“হুম। শরীরটা ভালো লাগছেনা।
-“কী হয়েছে??
-“তেমন কিছুনা। তবে মাথাটা ব্যাথা করছে।
-“কী বলো তুমি?? তোমার মাথা ব্যাথা করছে তাহলে আমাকে ডাকলে না কেনো আমি এসে মাথাটা মালিশ করে দিতাম।
-“ধুর। কী যে বলিস তুই। রাতে ঘুম হয়নি তাই মাথাটা একটু ব্যাথা করছে।
-“ওহ্। তারপর ও তুমি এখানে বসো আমি একটু আসছি।
-“কই যাও।
-“আরে কোথায় ও না। তুমি চুপ করে বসো আমি আসছি।
.

.

ইতি ভিতর থেকে মুভ মলমটা নিয়ে আসলো। তারপরে ইমরানের কপালে লাগিয়ে হাত দিয়ে মালিশ করতে লাগলো। একটু পরেই রিপার ঘুম ভাঙলে সামনের রুমে এসে এমন দৃশ্য দেখে পুরোই রেগে গেলো।
সামনে এগিয়ে গিয়ে ধমক দিয়ে বললো,,,
-“কী করছো ইতি??

পিছনে ফিরে তাকিয়ে ইতি বললো,,ইমরান ভাইয়ের মাথাটা ব্যাথা করছে তাই মালিশ করে দিচ্ছি।

-“তোমার ভাইয়ের বউ আছে তাই তার জন্য তোমার এত চিন্তা করা লাগবেনা। তুমি সরো আমি মালিশ করে দিচ্ছি।

ইমরান শোয়া থেকে উঠে বললো,,,
-“ইতি তোর কাজ তুই মালিশ করে দে। কারো কথা শুনতে হবেনা। আর রিপা তুমি আমার সামনে থেকে যাও। তোমার মুখ দেখতে চাইনা।

-“মানে কী ইমরান?? তুমি বাহিরের মানুষের সামনে তোমার বউকে অপমান করছো?

ইমরান মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকলো।।

এদিকে ইতি অদ্ভুত ভঙ্গিতে ঠোঁট চেপে ধরে ফিক করে হেসে উঠে।

রিপা কোন কথা না বলে নিজের রুমে ঢুকলো।
ইমরান আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না। রাহাতের ম্যাসেজটার কথা ইমরানের চোখের সামনে ভাসতে থাকে। বুকের মাঝে প্রচন্ড ক্রোধের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।
.

চলবে………………………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here