“ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤ পর্ব_১২

#ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤
#লেখিকা_আয়েশা (কোয়েল)
#পর্ব_১২
.
🌸
.
দরজা খুলে ওপারের ব্যক্তি কে দেখতেই প্রকাশের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে নিলো,,প্রকাশ কে এভাবে দেখে ইশারা এগিয়ে গেলো কে এসেছে দেখার জন্য,,,ব্যক্তি টিকে দেখতেই ইশারা প্রকাশের হাত চেপে ধরলো ভয়ে আর কিছুটা আড়ালে চলে গেলো প্রকাশের,,,প্রকাশ ইশারার হাতে হাত রেখে লোকটির দিকে তাকিয়ে বললো

প্রকাশ: কেনো এসেছেন এখানে?? কি চাই??

লোকটি: আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে তাই

প্রকাশ: আমার আপনার সাথে কোনো কথা নেই মিস্টার রাজীব বোস,,চলে যান এখান থেকে

রাজীব: নিজের বাবার সাথে এভাবে ব্যবহার করতে হয়??

প্রকাশ: মানিনা আমি আপনাকে বাবা এটা আর কেউ না জানুক আপনি খুব ভালো ভাবেই জানেন,,

রাজীব: আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি,,আমাকে এভাবে তারিয়ে দিয়ো না

প্রকাশ এর প্রতি উত্তরে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইশারা প্রকাশ কে টেনে নিয়ে এলো ভিতরে আর নিজে প্রকাশের বাবা রাজীবের দিকে এগিয়ে গেলো,,,আর ভিতরে আসতে বললো,,রাজীব ভিতরে আসতেই ইশারা রাজীবের পা ছুঁয়ে নমস্কার করলো আর প্রকাশ রেগে গিয়ে বলল,,,

প্রকাশ: ইশারা!! আমি তোমাকে ওনার পা ছুঁয়ে নমস্কার করতে বলিনি,,যেখানে আমি ওনাকে বাবা মানিনা সেখানে উনি তোমার শ্বশুরমশাই ও হয় না আর এতো সন্মান ও ডিসার্ভ করে না,,

ইশারা: আপনার মানা না মানাতে কিছু যায় আসে না,,,সত্য তো এটাই যে উনি আপনার জন্মদাতা আপনার বাবা আর সম্পর্কে আমার শ্বশুরমশাই আপনি সন্মান না করলে ও আমি সন্মান শ্রদ্ধা দুটোই করবো (ইশারায়)

রাজীব ইশারার ইশারা করে কথা বলা কিছুই বুঝতে পারলো না তাই অবাক হয়ে প্রকাশের দিকে তাকালো আর প্রকাশ মাথা নীচু করে ইশারা কি কি বললো তা বলে দিলো,,,কথা গুলো শুনে রাজীবের চোখে জল চলে এলো আর ইশারার মাথায় হাত রেখে বললো,,

রাজীব: দীর্ঘজীবী হও মা সব সময় খুশি থাকো এই কামনা করি,,কিন্তু প্রকাশ ঠিকই বলেছে আমি যে এতো সন্মান ডিসার্ভ করিনা,,তোমার সাথে আমি যেটা করেছি তারপর তো নাই,,,তারপরেও যে তুমি আমাকে নিজের শ্বশুরমশাই মনে করেছো সন্মান দিয়েছ এটাই অনেক,,

রাজীব ইশারার কাছে হাত জোর করতেই ইশারা রাজীবের হাত দুটো ধরে নিলো আর ইশারায় কিছু কথা বলতে লাগলো,,রাজীব তো এর অর্থ বুঝতে না পারায় প্রকাশের দিকে তাকাতেই প্রকাশ বলে দিলো,,,

প্রকাশ: ও বলতে চাইছে,,,আপনি আমাদের গুরুজন আপনি এভাবে আমাদের সামনে নত কেনো হবেন? ভুল মানুষ মাত্রেই হয় আর আমাদের ছোটদের উচিত তা ক্ষমা করে দেওয়া,,অনেকসময় ছোটদের ভালো চাইতে গিয়ে বড়োরা ভুল করে ফেলে তা ছোটদের বোঝা উচিত আর ক্ষমা করে দেওয়া উচিত,,

শেষের কথাগুলো বলতে গিয়ে প্রকাশের চোখটা ছল ছল করে উঠলো,,আর প্রকাশ অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো,,রাজীব নিজের চশমা টা খুলে চোখের জলটা মুছে নিয়ে প্রকাশ কে উদ্দেশ্য করে বললো

রাজীব: তুই আমাকে কোনদিন ক্ষমা করিস না রে বাবা,,আমি যে অনেক বড়ো ক্ষতি করতে বসে ছিলাম তোর,,

রাজীবের কথায় প্রকাশ রাজীবের দিকে তাকালো তারপর ইশারার দিকে তাকাতেই দেখল ইশারা কেমন চুপসে গেছে তাই কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো

প্রকাশ: কি বলতে চাইছেন আপনি??

রাজীব: ইশারা হুট করেই তোকে ছেড়ে চলে যায়নি আমি বাধ্য করেছিলাম ওকে চলে যেতে,,,ও যখন কলেজ যাচ্ছিল তখন আমি ওর সামনে গাড়ি নিয়ে দাঁড়াই আর নিজের পরিচয় দি,,,ওকে নিজের অফিসে নিয়ে এসে বলি………..

🥀

রাজীব: এই বিশাল অফিস টা দেখছো?? এটা আমার অফিস আর এরকম আরো ১০টা অফিসের মালিক আমি,,আর আমার অবর্তমানে আমার ছেলে প্রকাশ হবে এই অফিস আমার বাংলো,, টাকা-পয়সা,, যাবতীয় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী,,

ইশারা নিজের সাইড ব্যাগ থেকে একটা নোটবুক আর পেন বের করে ওটার মধ্যে লিখতে শুরু করল,,,রাজীব কিছু বললো না কারণ রাজীব আগেই খবর পেয়েছে ইশারা বোবা কথা বলতে পারে না কিন্তু কানে শুনতে পায় আর ইশারা কে এখানের কারণ ও এটাই,,

ইশারা: আপনি আমায় এসব কেনো বলছেন??

রাজীব: বলছি তার কারণ তুমি আমার একমাত্র ছেলের স্ত্রী,,কিন্তু তোমার কোনো যোগ্যতাই নেই আমার বাড়ির বউমা হওয়ার,,আছে কোনো যোগ্যতা??

ইশারা: আমি জানি আমি আপনার ছেলের যোগ্য নই আপনার বাড়ির বউমা হওয়ার যোগ্য নই আর তাই জন্যই তো আমি আপনার ছেলে কে বলেছি আমি তাকে ভালোবাসি না সেই তো আমাকে জোর করে বিয়ে করে এনেছে,,শুধুমাত্র আমাকে ভালোবাসে বলে আমার সাথে সারাটাজীবন কাটাতে চায় বলে,,

রাজীব: হা হা হা ভালোবাসা?? আমার ছেলে তোমাকে ভালোবাসে?? তোমার মতো একটা বোবা মেয়েকে এই রাজীব বোসের ছেলে ভালোবাসে বলতে চাইছো?? হা হা হা হাসালে আমায় তুমি,,এইসব ভালোবাসা টালোবাসা কিছু না সব মোহ,,তুমি বোবা হলেও দেখতে সুন্দর তাই হয়তো আমার ছেলে তোমার রূপে ভুলেছে,,যাই হোক এসব বাজে কথা রাখো আর কাজের কথা শোনো,,(কিছুক্ষণ থেমে) আমি চাই তুমি আমার ছেলের জীবন থেকে সারাজীবনের মতো চলে যাও,,

ইশারা কিছুটা চমকে রাজীবের দিকে তাকালো কিছুক্ষণ আগে রাজীবের কথাগুলো শুনে এমনিতেই ইশারার চোখ দিয়ে আপনা আপনি জল গড়িয়ে পরতে থাকে আর এখন বলছে প্রকাশের থেকে দুরে সরে যেতে,,,না চাইতেও ইশারা প্রকাশ কে ভালোবেসে ফেলেছে পারেনি দুরে সরে থাকতে,,,পারেনি প্রকাশের ভালোবাসা কে উপেক্ষা করে নিজের মনের কথা গুলো দিয়ে মন কে বোঝাতে,,ধরা দিতেই হয়েছে,,হার মানতেই হয়েছে প্রকাশের ভালোবাসার কাছে,,,,কিন্তু এখন?? এখন কি করবে ইশারা?? ভেবে পাচ্ছে না সে,,

রাজীব: আমি চাই না আমার ছেলের জীবনে তোমার ছায়া পর্যন্ত থাকুক,,আমি তোমাকে সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি তোমার ভাইয়ের সব খরচ ও আমার

ইশারা: আমি পারবো না,,আপনার ছেলের কথাটা একবার ভাবুন সে আমায় পাগলের মতোন ভালোবাসে আপনার ছেলের ভালো করতে গিয়ে আরো খারাপ হয়ে যাবে,,আপনি আরো বেশি পরিমাণে খারাপ হয়ে যাবেন যদি সে জানতে পারে,,

রাজীব: জানতে পারবে তারপর তো?? আর ও আমার ছেলে একদিন না একদিন ঠিক বুঝবে আমি ওর ভালোর জন্য করেছি তোমাকে সে নিয়ে ভাবতে হবে না,,,আচ্ছা তোমার কি টাকা চাই?? হমম বুঝেছি এই জন্যই রাজি হচ্ছো না তাই না?? ওকে এ নাও ব্লাঙ্ক চেক (একটা চেক দিয়ে) যত অঙ্কের পারো এমাউন্ট বসিয়ে নিয়ো

ইশারা: আমার কোনো টাকার দরকার নেই কিন্তু আপনার ছেলের আমাকে আমার ভালোবাসার দরকার আর আমার আপনার ছেলের ভালোবাসার আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি তাই চাইলেও আপনি আমাদের আলাদা করতে পারবেন না,,,আপনার কথায় আমি রাজি আমি দুরে সরে যাবো আপনার ছেলের কাছ থেকে,,জানি সে কষ্ট পাবে সঙ্গে আমিও কিন্তু আপনার ভুল টাও তো ভাঙা দরকার তাই আমি রাজি,,

🥀

প্রকাশ হাত মুঠ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে চোখ দিয়ে জানো আগুন ঝরছে পারলে এখুনি সে সব কিছু তছনছ করে দেয় শুধু ফুঁসছে প্রকাশ,,অনেক চেষ্টা করেও পারছে না নিজেকে শান্ত রাখতে,,

রাজীব: তুই ঠিকই বলেছিলি রে মা আমি ভুল ছিলাম,,আমার ছেলের যে তোকে আর তোর ভালোবাসার ভীষণ প্রয়োজন,,তুই যাওয়ার পর ওর অবস্থা আমি চোখে দেখতে পারচ্ছিলাম না তাই তো…..

প্রকাশ: শাট আপ জাস্ট শাট আপ! আর একটাও কথা বলবেন না আপনি (চিৎকার করে) ঘৃণা করি আমি আপনাকে আজ এখুনি এই মুহুর্তে আপনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাবেন,,,আর কোনদিন আপনার মুখ ও দেখতে চাইনা আমি,,একটাও কথা বলবে না তুমি তোমাকে তো আমি পরে দেখে নেবো (ইশারা কে উদ্দেশ্য করে)

ইশারা প্রকাশ কে কিছু বলতে গেলে ইশারা কে ও ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয় প্রকাশ,,ইশারা ও আর সাহস করতে পারেনি কিছু বলার মতো,,

প্রকাশ: আপনার সাহস কি করে হয় আমার স্ত্রী কে অপমান করার?? কে দিয়েছে আপনাকে সে অধিকার?? চলে যান আমার সামনে থেকে নাহলে আপনার জন্য ভালো হবে না,,চলে যান বলছি (চিৎকার করে বললো)

রাজীব আর কিছু বললো না ইশারার মাথায় হাত বুলিয়ে মৃদু হেসে চলে গেলো ইশারা জানে এই হাসির পিছনে কতো কষ্ট লুকিয়ে আছে,,ইশারা এক পলকে রাজীবের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে,,,ইশারা চোখ প্রকাশের দিকে ফেরাতেই দেখলো প্রকাশ রক্তবর্ন চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে,,,ইশারা কিছুটা ঘাবড়ে গেলো এবার কিন্তু প্রকাশ ইশারা কে অবাক করে দিয়ে এক ঝটকায় ইশারার হাত ধরে হেঁচকা টান মেরে নিজের সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো,,,পাগলের মতো স্বাদ নিতে লাগলো ইশারার ঠোঁটের ইশারা প্রথমে তাল মেলালেও পরে চুপ করে গেছে প্রকাশ খুব ডিপলি কিস করছে ইশারা কে,,,হয়তো এভাবেই নিজের রাগ মিটাচ্ছে প্রকাশ এইটাই হয়তো ইশারার শাস্তি,,কিন্তু ইশারার এই শাস্তি খারাপ লাগছে বরং ভালই লাগছে এরম শাস্তি মাঝে মধ্যে পেলে ভালো বই খারাপ হবে না,,চোখ বুজে প্রকাশের ছোঁয়া অনুভব করতে থাকা অবস্থায় এইসবই ভেবে চলেছে ইশারা,,

প্রকাশ ইশারার ঠোঁট কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দিলো আর ইশারা ও চোখ মেলে তাকালো,,ইশারা তাকাতেই প্রকাশ আবার ও ইশারার ঠোঁটে গভীর ভাবে চুমু দিলো আর ইশারা কে ছেড়ে বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে,,,ইশারা এখনো নিজের জায়গায় বেকুবের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে,,,আপনা আপনি ইশারার হাতের আঙুল গুলো ঠোঁটে চলে গেলো আর নিজের অজান্তেই ইশারা হেসে ফেললো,,,পরক্ষণেই ইশারার মনে পরলো প্রকাশ বেরিয়ে গেছে,,,আর প্রকাশের রাগ হয়তো এখনও কমেনি যদি আবার কিছু করে বসে তখন?? এই ভাবতেই ইশারাও বেরিয়ে গেলো,,,

ইশারা সারা বাড়ি খুঁজে ফেলেছে কিন্তু প্রকাশ কে কোথাও পায়নি ইশারার এবার ভীষণ কান্না পাচ্ছে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না,,

ইশারা: প্রকাশ আপনি কোথায়?? এভাবে হঠাৎ করে কোথায় চলে গেলেন রাগের মাথায়,,আমার যে ভীষণ চিন্তা হচ্ছে আপনি কি আবার আগের দিনের মতো নেশা করে ফিরবেন?? নিজের আবার কোনো ক্ষতি করে বসবে না তো??

ইশারার মনে ভয় ক্রমশ বাড়ছে এইসব ভাবনার মাঝেই ইশারার মনে পরলো ছাদ তো চেক করা হয়নি,,সারা বাড়ির মধ্যে ঐ একটা জায়গাই তো বাকি আছে,,,যেমন ভাবা তেমন কাজ ইশারা সঙ্গে সঙ্গে দৌঁড় দিলো ছাদের দিকে,,,

এদিকে প্রকাশ ছাদে বসে একের পর এক সিগারেট শেষ করছে চোখ গুলো আবার ও লাল হয়ে গেছে প্রকাশের মাঝে মাঝেই জল গাল বেয়ে পরছে চোখ থেকে,,,আজ প্রকাশের যন্ত্রণা টা তীব্র থেকে তীব্র হয়ে গেছে সে ভাবতেও পারছে না তার নিজের বাবা এমনটা করবে,,,যাকে সে পাগলের মতো ভালোবাসে তাকে দুর করতে চেয়েছে ওর নিজের বাবা,,এটা ভাবলেই প্রকাশের ভিতর টা ফেটে যাচ্ছে আজ যদি ইশারা কে খুঁজে না পেতো প্রকাশ?? সত্যি সত্যি যদি চিরতরের মতো হারিয়ে যেত ইশারা?? কি করতো তখন সে,,কি নিয়ে বাঁচত?? এসব ভাবলেই প্রকাশের বুকের ভিতর টা মোচড় দিয়ে উঠছে,,,প্রকাশের ভাবনার মাঝেই শুনতে পেলো সেই চেনা নূপুরের “ছনছন” শব্দ,,আর বুঝেও গেলো তার ” প্রাণ পাখি ” টা তার কাছে আসছে,,

ইশারা ছাদে এসে চারিদিকে চোখ বুলাতেই দেখতে পেলো প্রকাশ ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর হাতে সিগারেট,,,এতক্ষণে ইশারার দেহে জানো প্রাণ এলো সঙ্গে সঙ্গে ইশারা ছুটে গেলো প্রকাশের কাছে আর পিছন থেকে ঝাপটে ধরলো প্রকাশ কে,,,ইশারা এতো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে যে প্রকাশ না নিজে নড়তে পারছে না ইশারা কে নড়াতে পারছে,,,প্রকাশ হাতের থেকে সিগারেট টা ফেলে দিলো আর ইশারার হাত দুটো ধরে আলগা করে ইশারার দিকে ফিরলো ফিরে দেখলো ইশারা ফোঁপাচ্ছে,,,আস্তে করে নিজের বুকে নিয়ে নিলো ইশারা কে প্রকাশ এ জানো এক আলাদা প্রশান্তি এতক্ষণ প্রকাশের মনে যেই জ্বালা টা হচ্ছিল তার উপর জানো নিমিশেই মাটি চাপা পরে গেলো,,,প্রকাশের সব মনের রোগের ওষুধ যে একমাত্র ইশারা তা প্রকাশের বুঝতে বাকি নেই,,

অপর প্রান্তে ইশারার মধ্যেও একটা ভালো লাগা কাজ করছে এতক্ষণের সব চিন্তা দুর হয়ে গেছে প্রকাশ কে কাছে পেয়ে,,,এতদিন প্রকাশ যেমন ইশারা কে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাইত এখন ইশারাও ঠিক একভাবে প্রকাশ কে আকড়ে ধরে বাঁচতে চায় প্রকাশ কে ছাড়া জানো ওর কোনো অস্তিত্ব নেই গতি নেই,,,প্রকাশ থেকেই ওর শুরু আর প্রকাশে গিয়েই শেষ,,” ভালোবাসে ভীষণ ভালোবাসে প্রকাশ কে ইশারা! ” এসব ভেবেই ইশারা প্রকাশের বুকে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো আর প্রকাশ তো অবাক!
.

.
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]

বি:দ্র: এই আমফান ঝড়ের কারনে গল্প দিতে পারিনি ঘরে কারেন্ট ছিলো না আর ফোনে নেটওয়ার্ক,,এখন ও খুব একটা ভালো না কানেকশন তাই নেক্সট পর্ব কবে দেবো জানি না,,,করোনা কি কম ছিলো যে এখন আবার এইটা ক্ষতি করে গেলো! যাই হোক আমি ক্ষমাপ্রার্থী,,,কেমন লাগলো জানাবেন আর খুব শীঘ্রই শেষ করে দেবো গল্পটা….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here