এই রাত তোমার আমার পর্ব ১৪

#এই_রাত_তোমার_আমার
#সানজিদা_ইসলাম
#১৪তম_পর্ব

নুহার কোলে মাথা দিয়ে মাহিয়াত শুয়ে আছে।নুহা আস্তে আস্তে মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছিলো। অনান্য দিনগুলোর তুলনায় ইদানিং মাহিয়াত দেরি করে তার কাছে আসে। ফোনে কথা বলাটাও কমিয়ে দিয়েছে। যদিও সেই বলেছিলো ফিমা পাশে থাকলে তাকে বেশি ফোন না করতে,কিন্তু বিষয়টা এখন নিজেরও ভালো লাগছে না। তার মনে হচ্ছে মাহিয়াত আস্তে আস্তে পাল্টে যাচ্ছে।

এই যে এখন চুপ চাপ উদাসীন হয়ে শুয়ে আছে। কিন্তু তার তো এমন মন মরা হওয়ার কথা নয়! তার তো খুশি হওয়া উচিত কিছুদিন পর বাচ্চার বাবা হবে। আবার তারা এক হয়ে যাবে।কোনো তৃতীয় ব্যক্তি বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না তাদের মাঝে।

তাহলে এই উদাসীনতা কেনো? এমনিতে তো প্রতিবার সে নুহার সাথে দেখা করতে এলে খুশি থাকে। উল্লাসিত থাকে। কিন্তু ফিমার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই কেমন জেন চুপচাপ হয়ে গেছে, নুহার কাছ থেকে এক প্রকার চোখ লুকিয়ে চলে।

এমনিতে সে মাহিয়াতকে ফিমার কথা বা তাদের বাড়িতে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে না। সে নিজে তাকে নিষেধ করে দিয়েছে যেন ঐসব বিষয় তাকে না জানানো হয়।যে টুকু সময় তারা এক সাথে থাকে শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিজেদের কথা ভাবে অন্য কারো কথা হয় না।

কিন্তু কিছুদিন আগে ফিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় মাহিয়াত খুব বিচলিত হয়ে পড়েছিল, শেষে উপায় না পেয়ে ফিমার বর্তমান কন্ডিশনের কথা নুহার সাথে শেয়ার করে। তার অসুস্থতার কথা‌ শুনে সে ও ঘাবড়ে যায় কারণ ফিমা ভালো বা খারাপ যেমনই হোক না কেনো সে কখনো তার মৃত্যু বা বড় কোনো ক্ষতি কামনা করে না। আর তা ছাড়া এখানে ফিমার সাথে সাথে তাদের বাচ্চারও ঝুঁকি আছে, যার জন্য এতো কষ্ট সহ্য করছে তাকে সে সামান্য করণে হারাতে পারবে না।এতে যদি মাহিয়াতকে ফিমার সাথে আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার দরকার পড়ে তবে তাই হোক সে তো আর তাদের দেখছে না।

কিন্ত সে অবশ্য কিভাবে একজন মেয়ের মন পাওয়া যায়, একটা মানুষকে সহজে বিশ্বাস করে ফেলে তা বলে দিয়েছে।যদিও ফিমার মন নিয়ে কখনো খেলা করার ইচ্ছে মোটেও তাদের ছিলো না কিন্তু তারা নিরুপায়।ফিমাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে, তার ছোট ছোট জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, মন ভালো করার জন্য ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে, বাবা মায়ের সাথে সময় কাটাতে দিতে হবে।আর মাহিয়াতের নিজেরও তার সাথে প্রচুর সময় কাটাতে হবে। তবেই না ফিমা তাকে বিশ্বাস করা শুরু করবে। তার প্রতি দুর্বল হওয়া শুরু করবে ভালোবাসবে।আর ভালোবাসা এমন একটা অনুভূতি যা মৃত প্রায় মানুষর মনেও বেঁচে থাকার সাধ জাগায়।

কিন্তু তার ভয় অন্য জায়গায় ফিমা যদি মাহিয়াতকে ভালোবেসে ফেলে আর তাকে ছেড়ে যেতে না চায়?আর ফিমাকে দুর্বল করতে গিয়ে যদি মাহিয়াতও ফিমার প্রতি দুর্বল হয়ে যায়, তাকে যদি না ছাড়ে তখন কি হবে? এমনিতেও ‌নুহার চেয়েও ফিমার অধিকারের পাল্লা ভারী থাকবে কারণ ফিমা মাহিয়াতের সন্তানের মা।

নুহার মাথা ঘুরছে কেমন অস্থির হয়ে যাচ্ছে সে।সে মাহিয়াতকে খুব ভালোবাসে কোনো উপায়ে তাকে হারাতে পারবে না। তাকে হারানোর ভয়েই তো আবার বিয়ে দিয়েছে।আর সে তার মাহিকে বিশ্বাস করে সে কখনোই তাকে ঠকাবে না তাকে ছেড়ে যাবে না। আর এও বলেছে তার সন্তানের মা শুধু নুহা অন্য কেউ না। একবার বাচ্চা জন্ম হলেই ঐ মেয়েকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে ডিভোর্স দিয়ে দিবে। চুক্তিতে এমনটাই লেখা আছে।

নুহা সব আজেবাজে চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের মনকে বুঝ দিয়ে মাহিয়াতকে ডাকলো তার বিষন্নতার কারণ জানার জন্য,

—মাহি,এই শুনছো মাহি

—হুম

—আজ দেড়ি করে আসলে তাও আবার পাঞ্জাবি পরে হঠাৎ কোথাও গিয়েছিলে নাকি?

—হুম ফিমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম তার পর একটু আশেপাশে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সারাদিন শুধু ঘরে বসে থাকে।

—ওহ তো হঠাৎ পাঞ্জাবি পরলে।এমনি তো বছরে এক দুবার আর ঈদের দিন ছাড়া পড়তে দেখিনি কখনো। কোনো অকেশন ছিল?

—না এমনি পরেছি ফিমা বের করে দিলো তাই আর না করিনি।

—ওহ,

বলে নুহা চুপ হয়ে গেলো,ফিমাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল কথাটায় কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু পাঞ্জাবি পরে তাকে নিয়ে ঘুরেছে ব্যাপারটা ভালো লাগলো না তার কাছে। কারণ এমনিতে সে বিয়ের প্রথম প্রথম মাহিয়াতকে অনেক রিকোয়েস্ট করে পাঞ্জাবি পরাতে পারলেও কয়েক বছর ধরে একদমই পরাতে পারে না বেশি জোর করলে হুট হাট রেগে যেতো তাই আর জোর করে নি। নিজের ইচ্ছে হলে বা কোনো বিয়ের ওকেশনে যেখানে না পরলেই নয় সেখানেই পরে যেতো।

আর ফিমা সে বললো আর পরে নিলো! কেনো এতো প্রায়োরিটি তার?সে তার বাচ্চার মা বলে তার মনে কষ্ট দেয়া যাবে না তার ইচ্ছে কে অপূর্ণ রাখা যাবে না।আর নুহা তাকে বাচ্চা দিতে পরেনি তার কথা এত মূল্যহীন।নুহার গলা ধরে এলো সে নিজে খুব ইনসিকিউর ফিল করছে তাই নিজে মনে মনে নানান উদ্ভট কল্পনা করে বিভিন্ন যুক্তি বের করছে।

এদিকে মাহিয়াতের মনের সংসয় কিছুটা দূর হয়েছে সে ফাহির কথাগুলো সিরিয়াস ভাবে নিয়ে নিয়েছিলো।সে ভাবছিলো সত্যি কি সে ফিমার উপর দূর্বল কি না।না সে ফিমার উপর দূর্বল না সে যখন ফিমার কাছে থাকে তার বারবার নুহার কথা মনে পড়ে।এক সেকেন্ডের জন্যও তাকে ভুলতে পারে না কিন্তু যখন নুহার কাছে থাকে তখন দুনিয়ার কোনো কিছুই খেয়াল থাকে না তার কিন্তু ফিমার কথা ভেবে আফসোস হয় মেয়েটা বিয়ের পর সুখ পেলো না। মেয়েটার চেহারা দেখলেই তার মায়া হয় দুনিয়ার সকল কষ্ট তার চেহারায় ভেসে উঠে, তার উপর সেও মেয়েটার সাথে অন্যায় করেছে কথা গুলো ভাবতেই একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে।

মাহিয়াতকে বার বার দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়তে দেখে নুহা প্রশ্ন করে,

—কি হয়েছে মন খারাপ?

—হুম?না।

—তাহলে আজকে এত চুপচাপ কেনো?একটা কথাও বললে না এসেই শুয়ে পরেছো?

—এমনি কেনো জানি ভালো লাগছে না। খুব গিল্টি ফিল হচ্ছে আমার দ্বারা এমন নাটক করা সহজ হচ্ছে না,বলে নুহার কোমর দুই হাত দিয়ে আরো শক্ত করে ধরলো।

—জানি তো, কিন্তু কি করবে বলো? এতটুকু তো করতে হবে। নইলে যার জন্য এতো কিছু সেই যদি হারিয়ে যায় তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে?আর ফিমারও তো লিইফের রিক্স আছে তাই না?আমরা তো ওর জীবন বাঁচানোর জন্য এমন করছি তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো।এতো গিল্টি ফিল করার কিছু নেই।

—হুম,
বলে মাহিয়াত নুহার জামা সরিয়ে পেট উন্মুক্ত করে গভীর ভাবে ছোঁয়া দিতে লাগলো। নুহার দম বন্ধ হয়ে আসছে চেয়েও সে তাকে সরাতে পারছে না। নুহার সম্মতি পেয়ে মাহিয়াত যেনো আরো বেসামাল হয়ে গেলো আস্তে আস্তে তার স্পর্শ গুলো আরো গভীর হতে লাগলো, প্রিয়তমের স্পর্শে আজ নুহাও সারা দিতে লাগলো,মাহিয়াত উঠে নুহাকে কোলে তুলে নিলো। বিছানায় শুয়ে দিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে লাগলো তাকে। আজ অনেকদিন পর দুজন দুজনার ভালোবাসার গভীর সাগরে ডুব দিলো। মাতাল হয়ে একে অপরের মাঝে বিলিন হয়ে যাচ্ছে দুজন। নিঃশব্দ, নিঝুম রাতে দুজন ভালোবাসাময় মানবি জীবনের পুরোনো বিষাদময় কিছু ছন্দ ভুলে মেতেছে ভালোবাসায়। ডুব দিয়েছে নতুন ছন্দে, ভালোবাসার নতুন সন্ধানে।




রাতে দেরি করেই মাহিয়াত বাসায় ফিরে। ঘরে গিয়ে দেখে ফিমা ঘুমিয়ে গেছে। আজ সারাদিন ঘুরা
ঘুরি করেছে তাই ক্লান্ত হয়েই হয়তো শুয়ে পরেছে।ডিম‌ লাইটের হালকা নীল আলোয় তার মুখটা বেশ মায়াবী লাগছে।মাহিয়াত হাঁটু গেড়ে ফিমার মুখের সামনে বসে তাকে আরো ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো।শ্যামবর্ণের শান্ত মুখটায় যেন আল্লাহ সব মায়া ঢেলে দিয়েছে।মাহিয়াত ঘোরের মাঝেই ফিমার মুখের উপর থেকে কয়েকটা ছোট ছোট চুল সরিয়ে দিয়ে তার দিকে ঝুঁকে গেলো চোখ বন্ধ করে কপালে চুমু খাবে হঠাৎ নুহার হাস্যউজ্জ্বল
মুখটা ভেসে উঠলো‌। সঙ্গে সঙ্গে মাহিয়াত দাঁড়িয়ে গেল তারপর দ্রুত পায়ে বিনা শব্দে কাবার্ড থেকে কাপড় বের করে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।

প্রায় আধঘণ্টা শাওয়ার নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে ফ্রেস মুডে ওয়াশরুম থেকে বের হলো সে। তারপর বেড সাইড টেবিলে চোখ যেতেই দেখলো খাবার রাখা তারমানে মেয়েটা রাতে খায়নি ঔষধগুলোও খাইনি নিশ্চয়ই।

মাহিয়াত মেডিসিন গুলো চেক করে দেখলো তার ধারণাই ঠিক।ফিমা খাবার বা ঔষধ কিছুই খাইনি।এই মেয়েটা নিজের প্রতি বিন্দুমাত্র খেয়াল রাখে না।এখনো বাচ্চাই আছে বাচ্চাদের মত খাবার খাইয়ে দিতে হয় ঔষধ খাইয়ে দিতে হয় আরো কত সমস্যা তার!মাহিয়াতের পেটে ক্ষুধা জানান দিচ্ছে কিন্তু একা খেতে মন চাইছে না। কেমন জানো একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একা খেতে পারে না। খাওয়ার সময় ফিমা নানান বাহানায় মাহিয়াতের আশেপাশে থাকে।শত নিষেধ করার পরেও বেহায়ার মত রাত জেগে অপেক্ষা করতো তার,তারপর খাবার বেড়ে দিয়ে আশেপাশেই থাকতো যেনো কোনো প্রয়োজন হলে সহজেই তাকে পাওয়া যায়।

মাহিয়াত শুয়ে পরলো রাত এখন পৌনে দুইটা, কিছুক্ষণ পরেই ফিমা ঘুম থেকে উঠবে তারপর দুজনে একসাথে খাবে বলে ভাবলো।




দেখতে দেখতে আরো দুই মাস কেটে গেলো এরই মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু।ফিমা এখন সাত মাসের প্রেগনেন্ট বাচ্চার নড়াচড়া কম হলেও তার পেট ভীষণ বড় হয়েছে দেখে মনে হয় তিন চারটা বাচ্চা এক সাথে আছে।তাই তার নড়তে চড়তে ভীষণ অসুবিধা এ নিয়ে তার রাগের শেষ নেই, আর তার সব রাগ গিয়ে পরে মাহিয়াতের উপর। অথচ তার কোনো বিরক্ত নেই বেচারা হাসি মুখে সব সহ্য করে যায়। কিন্তু রাত বিরাতের হুট হাট আবদার তাকে নাজেহাল করে ছাড়ে।

তাদের দেখলে যে কেউ বলবে একটা সুখি পরিবার।মাহিয়াত বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকে তাই সারাদিন তাদের খুনসুটি চলতেই থাকে।ফিমা আগের চেয়ে অনেক মোটা হয়েছে চেহারার গ্লো বেড়েছে।আর মুখ সে তো সারাদিন চলতেই থাকে চলতেই থাকে হোক সেটা খাবার জন্য বা বকবক করার জন্য।আর হ্যা মাহিয়াত যেমন ফিমাকে সামলায় তেমন ফিমা ছাড়াও যেন মাহিয়াত ইদানিং নিজেকে অচল অচল মনে করে। শার্ট বাছাই হতে শুরু করে জুতা পর্যন্ত তার যাবতীয় কাজ ফিমা নিজ হাতে করে।

এছাড়া প্রতিদিন প্রায় এক তৃতীয়াংশ রাত বারান্দায় কাটানো প্রতি সপ্তাহে একদিন ঘুরতে যাওয়া। প্রতিদিন সকাল বিকাল নিয়ম করে হাটা আর গল্প করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।ফাহি কয়েকবারই এসেছে ফিমার সাথে দেখা করতে। এখনকার ফিমা আর কয়েক মাস আগের ফিমার সাথে বিশাল তফাত।যা ফাহিকে ভাবায় তার চঞ্চল বোনটা এবারের ধাক্কা সহ্য করতে পারবে তো?

সে মনে মনে অন্দাজ করতে পারছে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার বোকা বোনকে তা বোঝাতে পারে না। উল্টো মাহিয়াতের বিপক্ষে কিছু বললে ক্ষেপে যায় কেঁদে কেটে এক করে ফেলে।মাহিয়াত নাকি তাকে ভালোবাসে সে নিজেই নাকি স্বীকার করেছে।আর মাহিয়াত যে তার এতো খেয়াল রাখে এতো আগলে রাখে এগুলো নাকি ভালোবাসা না থাকলে করা যায় না।ফাহি ফিমার সাথে পারে না তাই সেও আর কথা বাড়ায় না শুধু শুধু তাকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি তার থেকে চুপ থাকাই ভালো। কিন্তু সে মাহিয়াতকে ছাড় দেয় না সময় আর সুযোগ পেলেই আচ্ছা মত ধুয়ে দেয়।তাই মাহিয়াত ফাহির থেকে গা বাঁচিয়ে চলে এই এতটুকু মেয়েটাকে সে খুব ভয় পায় মানুষ ছোট হলেও তার কথাবার্তার ধার অনেক।

অন্য দিকে নুহা একদম ভেঙে পরেছে। প্রত্যেকটা কথায় কথায় মাহিয়াত কে সন্দেহ করে। নিজের থেকে দূরে রাখে ঘরে সারাদিন নামাজ পরে কান্না কাটি করে আর দিন গুনতে থাকে মাহিয়াতকে একেবারে আগের মত নিজের করে পাওয়ার।

মাহিয়াত যতক্ষন তার কাছে থাকে সে তাকে জাপটে ধরে থাকে।মাহিয়াত তাকে যতই বোঝায় সে শুধু তাকে ভালোবাসে ততই সে অবুঝের মতো আচরণ করে।

শেষে এ তিন জনের পরিনতি কি হতে চলেছে তা দেখার জন্য শুধু সময়ের অপেক্ষা।

চলবে…

(জোর করে লিখলে এমন অখাদ্যই বের হয়।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here