এই রাত তোমার আমার পর্ব ১

একটা নামিদামি রেস্টুরেন্টে বসে আছে ফিমা। অপেক্ষা করছে তার হবু দ্বিতীয় বরের।পড়নে তার মায়ের একটা তোলা শাড়ি কিন্তু তবুও যেন এই পরিবেশের সাথে বড্ড বেমানান। কিন্তু তাতে তার কিছু যায় আসে না করণ সে এখানে নিজেকে প্রদর্শন করতে নয় বরং চুক্তি করতে এসেছে। চুক্তি বললেও ভুল হবে বলা যায় বিক্রি হতে এসেছে তাও আবার কতিপয় স্বার্থপর আপন লোকদের জন্য।

ফিমা ডিভোর্সি, তার আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল বাবা মায়ের পছন্দতেই বিয়ে করেছিল। খুব ভালোবাসতো তাকে তার স্বামী কোনো দিক দিয়ে কখনো অভাব রাখেনি বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই দিয়েছে হোক সেটা ভালোবাসা বা জিনিস পত্র। কিন্তু কথায় আছে না প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব কিছুই বিষের ন্যয় হোক সেটা ভালোবাসা। তার প্রথম স্বামি ইয়াসিরের চরিত্রে সমস্যা ছিল সেটা সে টের পেয়েছে বিয়ের এক বছরের মাথায়।তার বড় দুই ভাই আছে আর একসাথেই থাকতো। ইয়াসিরের সাথে তার দুই ভাবিরই ছিল অদ্ভুত গায়ে পরা সম্পর্ক কিন্তু ফিমা সবসময় এইসব এরিয়ে যেত। তাছাড়া সে বাইরের মেয়েদের সাথেও সময় কাটাতো সে ঘুমিয়ে গেলে অন্য মেয়েদের সাথে অশ্লীল চ্যাটিং করত।সে সব কিছু বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকতো কারণ।সে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে চাইলেই তাকে ছেড়ে চলে আসতে পারত না।সে তার মায়ের সাথে বিষয়টা শেয়ার করলে সে সরাসরি বলে দেয়,

-ছেলেরা একটু আধটু এমন করেই। মেয়েদের মানিয়ে নিতে হয়।আর তা ছাড়া সে তো কোনো ভাবে ফিমাকে অভাবে রাখছেনা। তাহলে সমস্যা কি তা খুশি করুক নিজের চোখে তো দেখছে না।আর নিশ্চই তার মধ্যে কোনো সমস্যা আছে তা না হলে সে অন্য কারো কাছে যাবে কেনো?

এমন কথা শোনার পর ফিমা আর কিছু বলেনি দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করে। ইয়াসিরের স্পর্শ সে নিতে পারতো না। নিজেকে নিচু মনে হতো কিন্তু কিছু করার ছিল না ধৈর্য ধরা ছাড়া। সে বারবার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতো ইয়াসিরকে সুবুদ্ধি দেয়ার জন্য কিন্তু সে হয়তো অন্য কিছু ভেবে রেখেছিল।

তাদের বিয়ের তখন দুই বছর চলে, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সবাই মাত্র যার‌ যার ঘরে গিয়েছে।ফিমা টেবিল পরিষ্কার করছিলো হঠাৎ টেবিলের উপর তার শাশুড়ের ফোনটা বেজে উঠে স্কিনে ইয়াসিরের নাম দেখে কোনোকিছু না ভেবেই ফোন রিসিভ করতেই ইয়াসিরের কন্ঠ ভেসে ওঠে,

-বাবা প্লিজ আমাকে সাহায্য করো আমি একটা ঝামেনায় পরে গেছি বড় ভাইয়াকে নিয়ে জলদি ……এই ঠিকানায় এসে পর।বলে সাথে সাথে ফোন রেখে দেয়।ফিমা ঘাবড়ে যায় আল্লাহই জানেন তার আবার কি বিপদ হলো আশেপাশে অনেক শোরগোল শোনা যাচ্ছিলো তাই কোনো কিছু না ভেবেই দৌড়ে তার শ্বশুরের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বললো এবং তারা তার বলা ঠিকানায় পৌঁছে গেলো সাথে ফিমাও তাকে আনতে চাচ্ছিলো না কিন্তু সে কান্নাকাটি করে জোর করেই তাদের সাথে এসেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তার না আসাটাই ভালো ছিল,

ইয়াসিরের দেয়া ঠিকানায় পৌঁছে দেখলো টিনশেডের বাসায় ছোট একটা ঘরের মধ্যে জটলা বেঁধে আছে ভির ঠেলে ফিমা আর তার ভাসুর ভিতরে ঢুকে দেখলো ছোট একটা চৌকিতে তার স্বামী মাথা নিচু করে বসে আছে আর পাশেই এতগুলো লোকের মাঝে ‌অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় বসে আছে একজন মহিলা যার চেহারায় সামান্য ভয় বা অনুতাপের স্পর্শ করে নি আর না আছে সামান্য লজ্জার ছাপ বরং সে সবার মাঝে আয়েশ করে বসে আছে যেন এসব কিছুতে সে আগে থেকেই অভ্যস্ত। তাদের অবস্থা আর আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকেই ফিমা আসল কথা জেনে যায়।

কয়েকমাস জাবত এই লোক ঘন ঘন এই মহিলার বাড়িতে আসে আর কিছুক্ষণ বাদেই চলে যায়।বিষয়টা অনেকদিন যাবৎ লক্ষ্য করছিল বাড়ির মালিক।তার মনে মনে সন্দেহ হতে লাগলো আর কিছুদিন ভালোভাবে লক্ষ্য করেই বুঝতে পারল এখানে আসলে তার কাজ কি। তারপর আজ হাতেনাতে ধরে ফেললো। এই সব কথা শোনার পর ফিমা আর সেখানে দাঁড়াতে পারে নি সাথে সাথে বসে পড়লো। এদিকে ইয়াসিরের কলিজা ফেটে যাচ্ছে এখানে ফিমাকে দেখে। তাকে দেখার পর থেকেই সে কান্না করে যাচ্ছে ইশারায় বারবার ক্ষমা চেয়ে যাচ্ছে। এদিকে এসব কথা শুনে ইয়াসিরের বড় ভাই আর বাবার লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু তবুও তারা সমাধান করতে চাইলো আর সিদ্ধান্ত হলো এই মুহূর্তে ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু ইয়াসির বেঁকে বসলো আর তার বাবা ভাইও রাজী না। কিন্তু হঠাৎ ফিমা দাঁড়িয়ে কাজী ডাকতে বলে আর সবাইকে আশ্বাস দেয় সে নিজে তাদের বিয়ে দিবে।

এসব কথা শুনে ইয়াসির পাগলামি শুরু করে দিল।সে কখনোই এই বিয়ে করবে না।তার বাবা ভাইও তাকে বোঝাতে চেষ্টা করল কিন্তু কোন লাভ হল না অবশেষে কাজী আসতেই বিয়ের কাজ শুরু করলো তাকে থামিয়ে দিয়ে ফিমা আগে তার আর ইয়াসিরের ডিভোর্সের কাজ আগে করতে বললো এ কথা শুনে ইয়াসির কান্নাকাটি শুরু করে দিলো মাফ চাইতে শুরু করলো।সে তার সব কথা শুনবে যা শাস্তি দিবে মাথা পেতে মেনে নেবে কিন্তু ডিভোর্স দেবে না।

সে তো ভেবেছিলো এখন বিয়ে হয়ে গেলেও কিছু টাকা পয়সা দিয়ে কালকের মধ্যেই এই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে তারপর ফিমার কাছে মাফ চেয়ে ভালো হয়ে যাবে আর কখনো তাকে কষ্ট দেবে না। কিন্তু ফিমা যে এমন কিছু করবে তা ধারনার বাইরে ছিল। তাকে ছাড়া সে কিভাবে থাকবে?বড্ড ভালোবাসে সে ফিমাকে।কিন্তু বিভিন্ন নারীর শরীরের ঘ্রাণ নেয়া তার খারাপ স্বভাবে পরিণত হয়েছে কিন্তু দিনশেষে ফিমার মুখ তার দেখা চাই নইলে কিছুতেই শান্তি আসে না।

তার শশুর আর ভাসুর বেশি কিছু বলেনি শুধু একবার ভালোভাবে ভেবে দেখতে বলেছে এর থেকে বেশি কি বা বলবে তার ছেলে যে অপরাধী। ফিমা কারো কথাই শুনলো না সে একটা সাদা কাগজে ডিভোর্সের কারণ উল্লেখ করে তাতে স্বাক্ষর করেছিল তারপর তা ইয়াসের এর কাছে দিলো সে কিছুতেই স্বাক্ষর করবে না অবশেষে লোকজনের চাপাচাপি আর হুমকির ভয় সাইন করে দিলো। প্রায় সাথে সাথেই ফিমা ঘর থেকে বেরিয়ে পরেছিল আর তাকে তার ভাসুর এগিয়ে দিয়েছিলো।

এর পর আর ফেরা হয়নি। তার বাবা মাকে সব বলার পর তার বাবা খুব কষ্ট পেলো আর মা তাকে তা ইচ্ছে তা বলে বকা শুরু করলো। তার ছোট বোন খুব কান্না করলো আর বড় ভাই কিছুই বললো না শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে শান্তনা দিলো।

এর পর ইয়াসির অনেক বার এসেছে বারবার মাফ চেয়েছে কান্নাকাটি করছে পায়ে পর্যন্ত ধরেছে কিন্তু ফিমা ফেরেনি। তার শশুর বাড়ীর অনেকেই এসেছিলো তাকে নিতে কিন্তু সে যায়নি। কিন্তু ইয়াসির হাল ছাড়েননি প্রায় এক বছর তার পেছনে ঘুরেছে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেছে হাজার মাফ চেয়েছে।ফিমার প্রত্যেকবার তাকে দেখলে কষ্ট হতো মায়া হতো মাফ করে দিতে ইচ্ছে হতো কিন্তু ঐ দিনের ঘটনা গুলোর কথা তাকে ধোকা দেয়ার কথা মনে পড়লেই তার উপর ঘৃণা হতো। অবশেষে তার এই অবস্থা দেখে ইয়াসিরের পরিবার তাকে জোর করে আবার বিয়ে দেয়।এর পর তার বাড়ির সামনে আসা কমে গিয়েছিল।সে এখনো মাঝে মাঝে আসে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে চলে যায়। আবার মাঝে মাঝে ফিমা ঘর থেকে বেরুলে তার পেছন পেছন হাঁটে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু সে কিছু বলে না।

ইয়াসিরের সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর তার জীবন পাল্টে গিয়েছিল। তার পরিবার আর সমাজের মানুষের কাছে হয়ে গিয়েছিল বোঝা স্বরুপ। প্রথম প্রথম তার ডিভোর্সের ব্যাপার নিয়ে অনেকে মায়া দেখিয়ে ডিভোর্স দেয়ার কারন জিজ্ঞেস করতো আবার দূরে গিয়ে মুখ বাঁকাতো।বেলায় বেলায় মায়ের কথা শুনতে হতো।আড়ালে সবাই বলতো নিশ্চই তার কোনো দোষ আছে বা স্বামীর চাহিদা পূরণ করতে অক্ষম তাই তো দুই বছরে একটা বাচ্চাও হয়নি।তাই হয়তো স্বামী ছেড়ে দিয়েছে।আরো নানান ধরনের কথা আর এই সব কথার থেকে বাঁচতে নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করতে বাবা মায়ের বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে আর পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আনার জন্য ফিমাকে আবার বিয়ে করতে হবে কোনো এক ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে কে। যে কিনা আগে থেকেই বিবাহিত এবং স্ত্রী থাকার সত্বেও আবার বিয়ে করছে।

ফিমা অবশ্য এখনো ভালো করে কিছু জানে না শুধু এতটুকু জানে।লোকটার স্ত্রী বাচ্চা জন্মাতে অক্ষম।আর তার জন্যই ফিমাকে বিয়ে করা জেনো তাদের বংশ এখানেই থেমে না যায়।আর এর বিনিময়ে তারা তার বাবা মাকে মোটা অংকের টাকা দিবে।

তার বাবা প্রথমে রাজী ছিলেন না তার মা তাকে রাজী করিয়েছেন তার ছোট বোনের ঘোর আপত্তি এই বিয়ে নিয়ে কিন্তু বাবা মায়ের সামনে তার আপত্তি টিকলো না বরং বড়দের মুখে মুখে কথা বলায় দুই ঘা গালে পরলো।আর বড় ভাই কিছুই জানে না সে কাজের জন্য চট্টগ্রাম থাকে।আর এসবের জন্য ফিমার ছোট বোন ফাহি নিজেকে দোষী ভাবে। কারণ ফাহি ফিমার হবু বরের ছোট বোনের মেয়েকে পড়াতো কয়েকদিন সে অসুস্থ থাকায় তার পরিবর্তে ফিমা মেয়েটিকে পড়িয়েছে। সেখানেই ফিমার হবু শাশুড়ির সাথে ফিমার পরিচয় হয়।আর ফাহির কাছে ফিমার করুন কাহিনী শুনে মনে মনে সব ঠিক করে নেন তারপর ময়ের সাথে কথা বলে। ছেলের আগের বউ আছে শুনে প্রথমে তারা রাজী হয় না কিন্তু ফিমার ভবিষ্যৎ সিকিউর করে দিবে বলে আশ্বাস দেয় বিনিময়ে সে নাতি বা নাতনি চান। অবশেষে তারা রাজী হয় একবার ফিমার মতামত ও নেয়নি।তাই সেও আর কিছু বলেনি সে শুধু দেখতে চায় জীবন তাকে নিয়ে অতদূর খেলে?

—এক্সকিউজ মি, আপনি কি ফিমা নওশীন?

হঠাৎ পুরুষালী কন্ঠ শুনে ফিমা অতীত থেকে বেরিয়ে এলো সামনে তাকিয়ে দেখলো একজন অত্যন্ত সুদর্শন পুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাকে দেখে ফিমা নার্ভাস হয়ে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে গেল সে কিছু বলার চেষ্টা করছে কিন্তু আশ্চর্য তার মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না। তাকে এরকম নার্ভাস হতে দেখে লোকটি আবার প্রশ্ন করল,

—আপনিই ফিমা নওশীন তো?

ফিমা মাথা উপর নিচ করলো,

লোকটা তার সুটের উপডরের একটা বোতাম খুলে টেবিলে বসতে বসতে বলল,

—হ্যালো আমি মাহিয়াত আমান, আপনার সাথে আমার দেখা করার কথা ছিল।আরে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেনো প্লিজ সিট।

ফিমা মাথা নিচু করে চেয়ারে বসলো,

—তো কি খাবেন বলুন অর্ডার দেই বলে ওয়েটারকে ডাক দিলো।

—না না আমি কিছু খাবো না কিছু কথা আছে সেগুলো বলেই চলে যাবো।আর তা ছাড়াও এত বড় রেস্টুরেন্টে আমার খাওয়ার অভ্যাস নেই তাই শুধু শুধু আপনিও‌ ইমব্যেরেস্ড হবেন আর আমিও।

মাহিয়াত একবার সামনে বসা মেয়েটার দিকে তাকালো শ্যামবর্ণের চিকন ‌চাকন মেয়েটিকে কালো শাড়িতে বেশ লাগছে মুখে কোনো সাজসজ্জার চিহ্ন নেই চোখ‌ দুটো দেখলে যে কেউ বলবে অনেক রাত তার নির্ঘুম কাটে। মেয়েটার এমন সোজা সাপ্টা উত্তরে সে সামান্য খুশি হলো।যাক‌ মেয়েটার মধ্যে তাহলে কোনো ন্যাকামো নেই তার কাজ এতে আরো সহজ হবে,সে তার চোখ সরিয়ে নিয়ে বললো,

—ঠিক আছে কিন্তু সামান্য কফি তো খেতে পারবেন,

ফিমা মাথা নামিয়ে হ্যা বুঝালো,আর মাহিয়াত তার জন্য লাঞ্চ অর্ডার করলো আর ফিমার জন্য কফি।

—আসলে আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই তা বিয়ের আগেই ক্লিয়ার করে নেয়া উচিত তাই এখানে আসা আমি চাইনা পরবর্তীতে কোনো ঝামেলা হোক তার আগে আপনি বলুন আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?

—না না আগে আপনি বলুন আমি পরে বলবো

—ঠিক আছে তাহলে ভনিতা না করে আমি সরাসরি বলে দিচ্ছি, আমাদের বিয়েটা এক ধরনের কন্ট্রাক্ট মেরেজ ধরে নিতে পারেন। তার নির্দিষ্ট একটা সময়সীমা আর কিছু রুলস থাকবে আর আপনাকে তা পালন করতে হবে।একটা নির্দিষ্ট সময় পর আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবো আর তার আগ পর্যন্ত আপনাকে আমার কথা মত চলতে হবে এন্ড ডোন্ট ওয়ারি এর বিনিময়ে আপনাকে ভালো এমাউন্ট দেয়া হবে। কথাগুলো এখনে যতটা কঠিন আর উদ্ভট মনে হচ্ছে বাইরের দেশে এগুলো ততই বাস্তব আর সহজ।তাই আমি চাই আপনিও ব্যাপারটাকে সহজ ভাবে নিন।

মাহিয়াত তার সাথে আনা ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করে ফিমার দিকে এগিয়ে দিল,

—এইটা একটা কন ট্রাক্ট পেপার যেখানে শর্ত গুলো এবং টাকার অংক দেওয়া আছে। আমি চাচ্ছি বিয়ের আগেই এই ঝামেলাটা সেরে নিতে। আমি বিয়ের পর কোনো ধরনের রিক্স নিতে রাজি নই।প্রয়োজনে টাকার অংক বাড়তে বা কমতে পারে সেটাও উল্লেখ আছে আর তা নির্ভর করে আপনার পারফরমেন্সের উপর।

ফিমা কাগজটা হাতে নিলো কিন্তু লেখাগুলো পড়তে পারল না চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে শুধু টাকার অংকের জায়গায় 5 লক্ষ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।এই তার দাম তার শরীরের মূল্য মাত্র পাঁচ লক্ষ…

চলবে…

#এই_রাত_তোমার_আমার
#সানজিদা_ইসলাম
#১ম_পর্ব

কেমন হয়েছে বলবেন ভালো সারা পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here