এই রাত তোমার আমার পর্ব ৯

#এই_রাত_তোমার_আমার
#সানজিদা_ইসলাম
#৯ম_পর্ব

সিড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাৎ ফিমা সেন্সলেস হয়ে গেল আজমীন তার পাশেই ছিল তাই শেষ রক্ষা হয়েছিল সে কোনো রকম ফিমাকে ধরে সিড়ির উপর বসিয়ে দিয়ে মাহিয়াতকে ডাকতে লাগলো,সে সবে মাত্র ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে মায়ের এমন ডাক শুনে সে তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে দেখলো তার মা ফিমাকে নিয়ে সিড়িতে বসে আছে, মাহিয়াতকে ধীরেসুস্থে আসতে দেখে আজমিন তাকে তাড়া দিল,

—তাড়াতাড়ি আয় মাহি মেয়েটাকে ধর সেন্সলেস হয়ে গেছে। আজকে আমি না থাকলে না জানি কি হতো? ভাগ্যিস আল্লাহ রহম করছে আমি পাশে ছিলাম নইলে তুইতো মেয়েটার উপর কোনো ধরনের অবিচার করা বাদ রাখিস না। মেয়েটা অন্তঃসত্ত্বা কই স্বামী হয়ে তুই একটু খেয়াল রাখবি তা না সব কিছু আমার দেখতে হয়।

ফিমা সেন্সলেস হয়ে গেছে শুনে মাহিয়া তাড়াতাড়ি তার গিয়েছে মাকে কোলে তুলে নিল মায়ের কথায় কান দিলো না সে তারপর রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলো। প্রাথমিক অবস্থায় জ্ঞান ফেরার জন্য চোখে মুখে পানি টিপে দিল জ্ঞান ফেরার নাম নেই উল্টো কিছুক্ষণের মধ্যে হাত-পা খিঁচা শুরু করে দিলো মুখ বিকৃত করতে শুরু করলো মাহিয়াত আর আজমির ভয় পেয়ে গেল মাহিয়া তাড়াতাড়ি ডাক্তার কে কল করল আর আজমীন তেল দিয়ে ফিমার হাত পা মালিশ করতে শুরু করলো কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার বাসায় উপস্থিত হলো ফিমার প্রেশার মাপলো, তাপমাত্রা চেক করলো তারপর একটা ইনজেকশন দিয়ে দিলো এতে আস্তে আস্তে ফিমার খিঁচুনি বন্ধ হয়ে একদম শান্ত হয়ে গেলো,

আজমীন উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—কি হয়েছে ডক্টর ও এমন করছে কেনো? কোনো বড় সমস্যা হয়নি তো?

—দেখুন গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি বড় সমস্যা আবার সমস্যা নাও এইটা সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ধাপে দেখা দেয় ২০বছরের নিচে বা ৪০বছরের উপরের অন্তঃসত্ত্বা হলে,গর্ভে একের অধিক সন্তান থাকলে বা উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার থাকলে সাধারণত এ সমস্যা হয়ে থাকে (এর লক্ষণ গুলো:শরীরে পানি আসা, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব ও দৃষ্টিশক্তি কমে আসা)আর উনাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি প্রথন্ড টেন্সড থাকেন,আর শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রচন্ড দুর্বল যার কারনে উনার রক্তচাপ বেড়ে গেছে।এমন হতে থাকলে কিন্তু মা ও বাচ্চা দুজনেরই প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। বাচ্চার ওজন কম হবে, বাচ্চার অপুষ্টি জনিত সমস্যা হতে পারে,স্বাস কষ্টও হতে পারে এমনকি মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে।

প্রথম কথা গুলো এত গুরুত্ব সহকারে না নিলেও শেষের কথা শুনে মাহিয়াতের টনক নড়লো এত কষ্ট আর ঝড় ঝাপটার পর সে বাচ্চাটাকে পেতে যাচ্ছে আর তাদের সামান্য গাফিলতির কারণে এত বড় ক্ষতি হতে যাচ্ছিলো‌।

ডাক্তার তার কথা চালু রাখলো,
—তাই মা ও শিশু দুজনেরই ভালো চাইলে তাকে চিন্তা মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন সব সময় হাসি খুশি রাখুন মনে রাখবেন মন ভালো থাকলে শরীর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর এই সময় মেয়েরা আপন মানুষ বিশেষ করে স্বামীদের তাদের পাশে চায়। পরিবারের মানুষের কন্সার্ন চায়।আমার ঔষধ শুধু শরীরের উপর কাজ করে মনের উপর না।তাই সুস্থ সন্তানের জন্য মাকেও সুস্থ থাকতে হবে।আর তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আর হ্যা এক সপ্তাহ উনার পুরো বেড রেস্ট উনার শরীরের কন্ডিশন খুব খারাপ মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।আশা করি এক সপ্তাহ বেড রেস্ট নিয়মিত খাবার আর ঘুম হলে ঠিক হয়ে যাবেন।আর ঔষধগুলো ঠিক মত খাওয়াবেন।

তারপর যাওয়ার আগে মাহিয়াতকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— ব্যস্ততা কমিয়ে স্ত্রীর প্রতি একটু খেয়াল রাখুন তার খোজ খবর নিন তার সাথে বেশি বেশি সময় কাটান দেখবেন এমনিতেই সুস্থ হয়ে যাবে।আজ আসি তাহলে,

—জি,জি আসুন।

ডাক্তার যাওয়ার পর মাহিয়াত ফিমার পাশে বসলো তারপর কিছুক্ষণ তাকে দেখলো আসলেই ফিমার শরীরের কন্ডিশন খুবই খারাপ চেহারা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে চোখের নিচে গাড়ো কালি পড়েছে গায়ের হাড়গোভ মনে হচ্ছে এখনি গুনা যাবে।প্রথম দেখায় ফিমা আর এই ফিমার সাথে যেন আকাশ পাতাল পার্থক্য কিন্তু তার এই অবস্থার কোনো কারণ খুঁজে পেলো না মাহিয়াত।সবই তো পাচ্ছে সে খাবার টাকা আরাম আয়েশ তার তো আরো নাদুসনুদুস হওয়ার কথা মুটিয়ে যাওয়ার কথা তাহলে এমন হলো কেনো তার অবস্থা?

মাহিয়াত বড় বড় কয়েকটা নিঃশ্বাস নিয়ে মনে মনে একটা জঘন্য পরিকল্পনা করে নিলো।এ ছাড়া আর
কোনো উপায় নেই তার কাছে। এত কষ্টের ফল সে সামান্য করণে হারাতে পারবে না। এর জন্য যদি কারো সাথে ছল করা লাগে করবে এতে তার কিছু যায় আসে না।




মাহিয়াত আর অফিসে গেলো না ডক্টর ফিমাকে একটা ঘুমের ইনজেকশন আর স্যালাইন দিয়ে গিয়েছিল।সে প্রথমে গিয়ে ফার্মেসি থেকে ফিমার ওষুধ গুলো নিয়ে আসলো তারপর তিন ঘন্টা পর ফিমার শরীর থেকে স্যালাইন খুলে রাখলো। দিন ভর সে তার পাশেই বসে রইল আর তার অনাগত সন্তানের সাথে কথা বলে নিজের সুখ দুঃখের কথা বলে সময় পার করতে লাগলো।ফিমার ঘুম ভাঙল সন্ধ্যায় চোখ খুলে মাহিয়াতের হাসি মুখটা দেখে সে কিছুক্ষণ আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইল কিন্তু তাকে আরো চমকে দিয়ে মাহিয়াত বলা শুরু করলো,

—মহারানীর ঘুম ভেঙ্গেছে?আমি তো মনে করেছি আজ বোধহয় আর এই প্রজাকে দর্শন দিবেন না। কিন্তু দেখুন আমার ভাগ্য কত ভালো অবেলায় আপনার দর্শন পেয়ে গেলাম। এবার আমার দিকে হা করে তাকিয়ে না থেকে একটু উঠে বসুন তারপর খাবার খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন। আপনি না খেলে তো আমার রাজ কার্য বন্ধ হয়ে যাবে আমার বাবাটাও না খেয়ে থাকবে। আপনার নিজের প্রতি আপনার খেয়াল নাই থাকতে পারে কিন্তু আমার তো রাখতে হবে আমি যে আমানত এনেছি তা আবার ঠিক ঠাক ফেরত দিতে হবে না? আপনি উঠে বসুন আমি খাবার আনছি।

ফিমা এখনো ঘোরের মাঝেই আছে মাহিয়াত মনে হয় এই প্রথম তার সাথে এমন হাসিখুশি আর স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে কিন্তু তার সঠিক কারণ সে খুঁজে পালো না, কিছুক্ষণের মধ্যেই মাহিয়াত খাবার হাতে নিয়ে রুমে ঢুকলো মাহিয়াতের হাতের খাবার দেখেই ফিমা নাক মুখ কুঁচকে ফেললো যার অর্থ সে এখন কিছু খেতে চায় না মাহিয়াত তার মনোভাব বুঝতে পেরে ও তার দিকে খাবার এগিয়ে দিলো,

—নিন খাবার টা খেয়ে নিন। সকাল থেকে পেটে কিছু পরেনি। খাবার খেয়ে আবার মেডিসিন নিতে হবে,

ফিমা কিছু বলতে চেয়েও বলেনি, কিছু বললে মাহিয়াত যদি রেগে যায় আর উল্টো পাল্টা কিছু বলে তাহলে সে তা সহ্য করতে পারবেনা।মাহিয়াত ফিমাকে ধরে বসিয়ে দিলো আর পিঠের নিচে একটা বালিশ দিয়ে দিলো যাতে বসতে সুবিধা হয় আর খাবারের প্লেট তার হাতে দিয়ে দিলো। ফিমা প্লেট ধরলো ঠিকই কিন্তু তার হাত অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে লাগলো যার কারণে খাবার হাতে নিতে পারছেনা কিন্তু তবুও বারবার চেষ্টা করছে।মাহিয়াত এগুলো একবার দেখে চিন্তা করলো মা কে ডাক দিয়ে বলবে তাকে খাইয়ে দেয়ার জন্য পরবর্তীতে আবার চিন্তা করলো নিজের হাতেই খাইয়ে দেই তাহলে তার এমন ছোট ছোট কেয়ারিং গুলো দেখলে এমনি এমনি মন ভালো হয়ে যাবে।তাই যেই ভাবা সেই কাজ সে ফিমার হাত থেকে প্লেট নিয়ে নিজেই তাকে খাইয়ে দিতে শুরু করলো।

ফিমার এখনো বিষ্ময়ই কাটছে না। হঠাৎ মাহিয়াত এতো কেয়ার করছে কেনো?সে অসুস্থ বলে নাকি তার সন্তান তার গর্ভে বড় হচ্ছে এই জন্য?আর দরজার আড়াল থেকে আজমীন বেগম এই দৃশ্য দেখে মনে মনে খুশি হলো।যাক ছেলে আস্তে আস্তে ফিমার সাথে সহজ হচ্ছে হোক সেটা বাচ্চার কারণে একসময় ঠিক তাকে আপন করে নিবে এমনিতেও ছেলের বউ হিসাবে নুহাকে তার একটুও পছন্দ না।ফিমা তার চেয়ে ঢের ভালো।




ফিমাকে ঔষধ খাইয়ে মাহিয়াত চলে এলো নুহার কাছে,

—তুমি যা করছো ভেবে চিন্তে করছো তো?

—হ্যা এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই, বাচ্চার জন্য হলেও আমাকে এমনটা করতেই হবে।আমি চাইনা আমাদের কারণে আমাদের সন্তানের কিছু হোক।আর মেয়েটার অবস্থা আসলেও খুব খারাপ তাই এ ছাড়া উপায় নেই।

—যদি তুমি সত্যি সত্যি ঐ মেয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে যাও?

—তারজন্যই তো তোমাকে আগে সব বললাম তুমি শুধু আমার উপর বিশ্বাস রাখো।আর মাত্র কয়েকটা মাসের ব্যপার পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।

—হুম।মাহি আমি তোমার সবটা চাই সবটা তোমার সকল অনূভুতি গুলো যেন শুধু আমাকে ঘিরেই হয় থোক সেটা মায়া ভালোবাসা বা করুনা।

—আমার সব কিছুই তোমার নুহা। আর আমার সব অনুভূতিও শুধু তোমার জন্য।আর আমি নিজেও সম্পূর্ণ তোমার। আমার মন দেহ সব কিছুতেই শুধু তোমার অধিকার আর কারো না।

নুহা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

—আচ্ছা আমাদের ছেলে বা মেয়ের কি নাম রাখবো সেটা ভেবেছো?

—উহু,এখনো ভাবা হয়নি। তুমি ভেবেছো?

—হুম আমাকে যদি ছেলে হয় তাহলে আমার নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখব নেহাল আর মেয়ে হয় তাহলে তোমার নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখবো মিফতি সুন্দর না?

—হুম,
মাহিয়াত করুন সুরে বলল,
নুহা আমরা কোনো ভুল করছি না তো?

—না, কোনো ভুল করছি না শুধু শুধু আমরা এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করছি এ সব মেয়েদের আবার ফিলিংস বলে কিছু আছে নাকি টাকাই এদের কাছে সব দরকার হলে কিছু টাকা বাড়িয়ে দেবে তাহলেই দেখবে খুশি হয়ে যাবে।

তারপর আবার কিছুক্ষণের জন্য দুজনেই নীরব হয়ে বসে একে অপরের হৃদ স্পন্দন শুনতে ব্যস্ত হয়ে গেল, আবার নীরবতা ভেঙে নুহাই আদুরে কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,

—মাহি তোমার সন্তানের মা আমিই হবো তাইনা?

—হুম তুমিই আমার বাচ্চার মা।

কথাটা শুনে নুহা খুশি হয়ে গেলো আর মাহিয়াতের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।উভ,

সেদিন রাতেও মাহিয়াত নুহার সাথে থেকে গেলো সকালে বাসায় চলে গেলো আর ফিমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিজ হাতে খাইয়ে দিলো তারপর রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলো আর সেখান থেকে ঘরে বসে কাজ করার পারমিশন নিয়ে এলো যেন ফিমার পুরোপরি দেখাশুনা করতে পারে। তার বেশিরভাগ কাজ যেহেতু কম্পিউটারে হয় আর সে একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাই বেশি বেগ পোহাতে হয়নি পার্মিশন গ্রান্টেড হয়ে গেলো শুধু দিনে 2 থেকে 3 ঘন্টা উপস্থিত থাকলেই চলবে।

সাত দিন পর,

ইদানিং মাহিয়াতের আচরণ ফিমার সাথে খুবই স্বাভাবিক যা ফিমাকে প্রচুর ভাবায় আজ সাতদিন যাবৎ সে বেড রেস্টে আছে মাহিয়াত নিজের কাজ কর্ম ফেলে এ কয়দিন ফিমার দেখাশোনা করেছে। ছায়ার মতো তার পাশে থাকছে।আর খুবই স্বাভাবিক ভাবে কথা বার্তা বলছে।যা এক দিক থেকে কিছুটা ভাবালেও অন্য দিকে খুব ভালোও লাগছে।তার মধ্যে যে একাকীত্ব ভাবটা আছে মাহিয়াত পাশে থাকলেই তা যেন মুহূর্তেই দূরে চলে যায়।

ফিমা এখন একাই হাঁটা চলা করতে পারে শারীরিক দুর্বলতা টাও কিছুটা কমে গিয়েছে। আজ কাল ঘুমও ভালো হয়। হয়তো মাহিয়াত পাশে থাকে বলে। মনের বিষন্ন ভাবটাও কমে গিয়েছে কিন্তু যখনি তাদের চুক্তির কথা মনে হয় তখন দম বন্ধ হয়ে আসে।



প্রতিদিনের মত আজও ফিমা বারান্দায় তার প্রিয় জায়গাটায় বসে আছে। আজ অমাবস্যা, চাঁদ নেই আকাশে তবুও জেন অপরুপ সুন্দর লাগছে আকাশটা। যদিও সেখানে মেঘ বা তারার কোনো অস্তিত্ব নেই তবুও অকারণেই ভালো লাগে। হঠাৎ বারান্দায় অন্ধকারে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে ফিমা ঘাবড়ে গেলো।এই সময় সাধারণত কেউ বারান্দায় আসে না আর আজমীন বেগমও তার বোনের বাড়ি গেছেন মাহিয়াত এখনো ফেরেনি বাড়িতে সে সম্পূর্ণ একা।

হঠাৎ ঘাড়ে কেউ হাত রাখতেই ফিমা পিছনে ঘুরে আশ্চর্য হয়ে গেল…

চলবে…

(গল্পটা গুছিয়ে লিখতে পারছিনা পরবর্তী পর্ব গুলো ভালো ভাবে সাজানোর জন্য আমার সময় দরকার হয়তো গল্প দিতে দেরি হবে।তাই কিছু মনে করবেন না প্লিজ। ভালো কিছু পেতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে।আর আসল কথা হচ্ছে আমি ঝগড়াকে সুন্দর করে লিখে দিতে পারি কিন্তু ভালোবাসা লিখতেই যত সমস্যা সৃষ্টি হয়।তাই প্লিজ সবাই একটু কম্প্রমাইজ করিয়েন। গল্পটা আর খুব বেশি বড় হবেনা তিন থেকে চার পর্বে শেষ করে দেব।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here