এক্সিডেন্টলি প্রেম পর্ব ১০

#এক্সিডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-১০♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥

—- কিই! নিশান্ত আর সিগারেট! ও তো এসবের ধারের কাছেও ঘেঁষে না। সিগারেটের গন্ধে কাশি উঠে যায় ওর। তুমি ঠিক দেখেছো তো? আমি ওর মা, ছোট দেখে দেখে আসছি, কখনোও তো ওকে সিগারেটের আশেপাশেও ঘেঁষতে দেখিনি। তবে কি ও লুকিয়ে লুকিয়ে এসব করে বেড়োচ্ছে?

—- তা আর বলতে আন্টি! কোন ছেলেই বা তার নিজের কু-কীর্তি পরিবারের সামনে দেখিয়ে বেড়োবে? আপনার ছেলেও তাই। বাইরে থেকে যতোটা ভোলাভালা বোঝা যায় উনি ঠিক তার উল্টো। ভেতরে ভেতরে জিলাপির থেকেও বেশি প্যাচ রয়েছে উনার। আর আপনার বিশ্বাস না হলে আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, এতোটা কাঁচা কাজ অন্বিতা করে না আন্টি। ভরসা রাখতে পারেন।

বলেই তড়িঘড়ি করে ব্যাগের চেইন খুলে নিজের বাচ্চাবাচ্চা টাইপ এন্ড্রয়েড ফোনটা বের করলো অন্বিতা। গ্যালারি থেকে নিশান্তের হাতে সিগারেট ধরে রাখা ছবিটা স্ক্রিনে বের করে বাঁকা হাসলো সে। মোবাইলের স্ক্রিন আফসানা বেগমের দিকে ঘুরিয়ে দেখতে ইশারা করে সে বললো,

—- এই দেখুন আন্টি, নিজের ছেলের কুকর্ম! একদম জলজ্যান্ত প্রমাণ, একেবারে আগুনের শিখার মতো দপদপ করে জ্বলছে।

আফসানা বেগম অন্বিতার কথানুযায়ী ফোনের স্ক্রিনে তাকালেন। নিজের ছেলের হাতে জলন্ত সিগারেট দেখে চোখ বড়বড় করে ফেললেন। বিস্ময় বদলে চোখে রক্তিম বর্ণ ফুটিয়ে তুললেন তিনি৷ রাগে-দুঃখে, ঘৃণ্যতা ভরা চাহনিতে ছেলের হাতে সিগারেট থাকার দৃশ্য দেখে নিয়ে গম্ভীর কন্ঠে তিনি বললেন,

—- আজ ওর একদিন কি আমার একদিন! তোমায় অসংখ্য ধন্যবাদ অন্বিতা মা। তুমি ঠিক সময়ে এসে আমার চোখের অন্ধবিশ্বাসের পর্দা না সড়ালে হয়তো এর থেকেও বেশি পস্তাতে হতো আমায়। আজই এর একটা হেস্তনেস্ত করে ছাড়বো আমি। বাপ যেখানে সিগারেটের নামে মুখ সিটকায় সেখানে ছেলে মনের আনন্দে সিগারেট টানবে তা তো হতে পারে না, কখনোই না!

আফসানা বেগমের কথায় আস্বস্ত হলো অন্বিতা। তার আগুনে ঘি ঢালার ৯০% কাজ যে ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে তা বেশ বুঝতে পারছে সে। এমনিতেই আজ সকালের বিহেভিয়ার এর জন্য আফসানা বেগম ছেলের ওপর রয়েছেন চরম ক্ষিপ্ত! তার ওপর এই সিগারেটের হাল্কা ধোঁয়া যেনো ম্যাজিকের মতো কাজ করলো নিমিষেই। সে জানে বাকি কাজ আফসানা বেগম নিজ দায়িত্বে সুন্দরমতো সেড়ে ফেলবেন তাই প্রশান্তির উত্তেজিত দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালো অন্বিতা। সালোয়ার কামিজের হাতা ঠিক করতে করতে বললো,

—- আন্টি আমার যা বলার ছিলো তা তো বলা হয়েই গিয়েছে এখন বাকি কাজ আপনার। ছেলেকে সামলান আন্টি, এখনকার জামানা ভালো নয়। এখনই যদি বিপথে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেন তাহলে তো হয়েই গেলো নয়তো পরে পস্তাতে হবে। আমি তাহলে এখন আসি। আবার নামায পরে আসতে হবে।

কথাগুলো বলে নিয়েই মুচকি হাসলো অন্বিতা। আফসানা বেগম গম্ভীর মুখে ভ্রু কুঁচকে ছেলের ব্যাপারে ভাবতে ভাবতে অন্বিতার মিষ্টিহাসি মাখা মুখের দিকে তাকালেন। চোখের পলক ফেলে সম্মতি জানাতেই কিছু একটা মনে পড়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো অন্বিতা। গলা খাকারি দিয়ে আফসানা বেগমের ডান হাত নিজ হাতের মুঠোয় পুরে সে বললো,

—- আন্টি একটা রিকুয়েষ্ট ছিলো। ইয়ে মানে, উনার সিগারেট খাওয়ার বিষয়টা যে আমিই আপনাকে বলেছি তা উনাকে বলবেন না প্লিজ। নাহলে…

অন্বিতাকে থামিয়ে দিয়ে আফসানা বেগম মিষ্টি হাসলেন। অন্বিতার হাতের ওপর হাত রেখে চোখের পলক ফেলে তাকে আস্বস্ত করে বললেন,

—- তুমি একদম চিন্তা করো না মা! আমি তোমার নাম বলবো না।

বিনিময়ে প্রশান্তি মাখা হাসি হাসলো অন্বিতা। দুষ্টু হাসি হাসতে হাসতে চলে এলো সে নিজের ঘরে। আজ বড্ড শান্তি শান্তি ফিলিংস আসছে তার। নিশান্তের পরিণতির কথা ভেবেই বাঁকা হাসলো সে। ভ্রু উঁচু করে একা একাই সে বলতে লাগবো,

—- আব তুঝে কোন বাচায়েগা বাচ্চু? খুব তো বড় বড় ডায়ালগ মারোস তাইনা! এখন দেখ তোর কি হাল হয়!

_________________________

মাথা থেকে টুপি খুলে নিজের ব্রাউন সিল্কি চুলগুলোতে হাত চালাতে চালাতে ঢুকছিলো নিশান্ত। বাড়ির দরজা আগে থেকেই খোলা থেকে কিঞ্চিৎ অবাক হলো সে। তবুও তেমন পাত্তা না দিয়ে মা কে ডাকতে ডাকতেই ভেতরে ঢুকলো। তবে তাকে দু বারের বেশি ডাকতে হলো না আর। ঘরের নিস্তব্ধ পরিবেশে মায়ের হাতে ডাল ঘুটনি দেখে থমকে দাঁড়ালো নিশান্ত।

আফসানা বেগম হাতে ডাল ঘুটনি ঘোরাতে ঘোরাতে বিস্ফোরিত চোখে তাকালেন। নিশান্তের পাজি হয়েও হাজী সাজার ভাব দেখে রাগান্বিত চোখ দুটো থেকে লাভা নিসৃত হতে শুরু করলো তার। ভাইয়ের আগমনে আফসানা বেগমের পাশে গুটিগুটি পায়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়লো নূহা। ভাইয়ের দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ঠোঁট উল্টালো সে। নিশান্ত মা-বোনের এমন অদ্ভুত মুখশ্রী দেখে কপাল কুঁকালো। কপালে যে ভালো কিছু নাই জেনেও প্রশ্ন ছুড়লো,

—- আম্মু তুমি কিচেনে না গিয়ে এখানে ডাল রান্না করবার জন্য এসেছো নাকি? আর এভাবে চেয়ে আছো কেনো আমার দিকে? এই নূহা! হয়েছে টা কি রে? বাসায় সব ঠিক তো?

বিনিময়ে নুহা ঠোঁট উল্টানোর পরিধি বৃদ্ধি করলো। ঝড় উঠার পূর্বেই ভাইকে সাবধান হতে বলার আগেই তেড়ে গেলেন আফসানা বেগম। চোখ থেকে গরম আভা ছড়াতে ছড়াতে রাগেশ্বরী রূপ ধারণ করে নিশান্তের কাছাকাছি যেয়ে তিনি বললেন,

—- ডাল ই তো বানাবো তবে বুটের নয়, তোর! এতোদিন মায়ের আড়ালে থেকে আদরে আদরে বাদর হয়ে গিয়েছিস। বাইরে বাইরে আকাম-কুকাম করে বেড়োচ্ছিস! কি ভেবেছিস মা কিছু জানতে পারবে না? মায়ের চোখকে ফাঁকি দেওয়া কি এতোটাই সোজা?

মায়ের কথার কোনো অর্থই খুঁজে পেলো না নিশান্ত। মায়ের এমন অগ্নিমূর্তি রূপ দেখে বিস্ময়ে চোখ বড়বড় করে ভয়ার্ত কন্ঠে সে বললো,

—- তুমি এসব কি বলছো আম্মু, কি করেছি আমি?

—- কি করেছিস? আরে বল কি করিস নি তুই! ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ! লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে আমার।

—- আরে আম্মু কি করেছি সেটা তো বলবে নাকি? আজব!

—- আজব? হ্যাঁ আজবই তো। যার বাপ আজ পর্যন্ত সিগারেটে টান দেয় নি তার ছেলে হয়ে তুই এতো জঘন্য কাজ করলি কি করে? সিগারেট খাওয়ার আগে আম্মু-আব্বুর কথা মাথায় আসে নি তোর?

“সিগারেট” শব্দটা শ্রবণগোচর হতেই সচেতন চোখে তাকালো নিশান্ত। যেই শব্দটাকে সে নিজেই ঘৃণা করে আজ সেই শব্দটাতেই নিজের নাম জড়িয়ে পড়ায় চরম হতাশ সে। তবে যা করে নি তার জন্য শাস্তি দেওয়া এবং ভোগ করা দুটোই তো অন্যায়! তাই চুপ থাকাকে সমর্থন না করে প্রতিবাদ স্বরূপ নিশান্ত বললো,

—- কি বলছো এসব আম্মু? সিগারেট আর আমি? লাইক সিরিয়াসলি! তুমি জানো না সিগারেটের গন্ধে আমার শ্বাস নিতে প্রবলেম হয়? ওসব তো আমি ছুঁয়েও দেখি না আম্মু।

নিজ চোখে দেখা ছেলের হাতে সিগারেটের জলজ্যান্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ছেলের কথাগুলো বিশ্বাসযোগ্য হলেও বিশ্বাস করলেন না আফসানা বেগম। বরং সত্যিটা স্বীকার করার বদলে উল্টে মিথ্যে বলেই যাওয়ায় চরম ক্ষিপ্ত হলেন তিনি। রাগ সাত-আসমান অবধি পৌঁছায় হাতে থাকা ডাল-ঘুটনি দিয়ে নিশান্তের গায়ে আঘাত করে বললেন,

—- কতো বড় শয়তান হয়েছিস তুই! একে তো অলিগলি তে সিগারেট খেয়ে বেড়োচ্ছিস তারওপর ধরা পড়ার পরও সত্যিটা স্বীকার করছিস না!

বলেই আবারও নিশান্তের বাহুতে ডাল-ঘুটনি দিয়ে বারি মারলেন আফসানা বেগম। বাহুতে আঘাত লাগায় ব্যাথায় কুঁকিয়ে উঠলো নিশান্ত। সে বুঝতে পারছে এভাবে কাছে থেকে বোঝাতে গেলে কথা কম মাইর বেশি খেতে হবে তাই এক ছুটে সোফার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো সে। মায়ের বিপরীতে ভয়ার্ত গলায় সে বললো,

—- আরে আরে আম্মু করো কি? আমি তোমার ছেলে! এতো বড় হবার পরও গায়ে হাত তুলছো তাও আবার যেই কাজটা আমি করিই নি?

ছেলের কথায় মেজাজ থামকবার বদলে তেড়ে এলেন আফাসানা বেগম। লাঠি নিয়ে ছেলেকে তাড়া কর‍তে করতেই বললেন,

—- একে তো চোরি উপার সে সিনাচোরি। ভালোয় ভালোয় বলছি নিশান্ত, এসব ছাইপাঁশ খাওয়া ছেড়ে দে সত্যিটা স্বীকার করে নে, নয়তো আজ তোর কপালে দুঃখ আছে।

—- আরে আম্মাজান, ফিল্মি ডায়ালগ মারার হলে মারো না কে মানা করছে, আমায় মারছো কেনো? আরে আমি ওসব খাই নি ট্রাস্ট মি।

নিশান্তের কোনো কথাতেই কোনো কাজ হলো না, মায়ের সাথে গোল্লাছুট খেলায় একটু পর পরই বারি খেতে খেতে ছুটেই চলেছে সে। মাঝখান থেকে নূহা গালে হাত দিয়ে কমেডি দেখছে। কেনো যেনো ভাইয়ের এমন করুণ অবস্থায় মন খারাপ করার বদলে বড্ড মজা লাগছে তার।

হাজারও কাকুতি-মিনতি করবার পরও কোনো পজিটিভ ফলাফল পেলো না নিশান্ত। মাত খেতে খেতে শহীদ হয়ে যাবার ভয়ে এক ছুটে ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ফেললো সে। পিঠ দিয়ে দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে কপাল বেয়ে গড়িয়ে পরা ঘামগুলো হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুছতে লাগলো সে।

আফসানা বেগম এখনোও বাইরে থেকে একই ভাবে দরজা ধাক্কাতে ধাক্কায়ে চেঁচিয়ে যাচ্ছে তবে প্রাণ থাকতে ভুলক্রমেও দরজা না খুলাবার পণ করেছে নিশান্ত। যাই হয়ে যাক না কেনো এই সিডর-আইলা থামবার পূর্বে দরজা খুলে৷ নিজের বাঁচাকুচা জীবনটাও খোয়াতে চায় না সে কোনো মতেই।

_____________________________

বই-পুস্তক দুহাতে কভার করে বুকে চেপে ধরে উঁকিঝুঁকি মারতে মারতে ড্রয়ই রুমে প্রবেশ করলো অন্বিতা। এতোক্ষণে যে কোনো বড়সড় ঝড় পুরো বাড়ির ওপর দিয়ে চলে গিয়েছে তা এই নিস্তব্ধতায় বেশ উপলব্ধি করতে পারছে সে। তবে ঘরের আশেপাশে কাউকে দেখতে না পারায় কপালে কিঞ্চিৎ চিন্তার ছাপ ফুটে উঠলো তার। “এইরে ঝড়ে কি সবাই তবে উড়ে গিয়ে কোনো গাছের ডগায় জুড়ে বসলো নাকি?” প্রশ্নটা বার কয়েক নিজ মনে আওড়ে নিয়ে আরো দু-ধাপ এগোলো অন্বিতা। ড্রয়ই রুমে কারো পদধ্বনি শ্রবণগোচর হতেই ঘর থেকে টেডিবিয়ার হাতে ছুটে এলো নূহা। তার মিষ্টিপুকে দেখেই মুখে মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে তুললো সে। অন্বিতার কাছে গিয়ে তার ওড়না টেনে ধরে নূহা বললো,

—- মিষ্টিপু মিষ্টিপু জানো আজ ভাইয়ুর ওপর শুধু ঠাডা না সাথে গোলাবারুদ ও পড়েছে।

নূহার কথায় বিস্মিত চোখে তাকালো অন্বিতা। তার এই বিস্ময় বোধহয় ততোদিনই সৃষ্টি হতে থাকবে যতোদিন সে নূহার পাকাপাকা কথা নিজ কানে শুনতে থাকবে। বিস্ময় ফেলে নিশান্ততের পরিণতি শুনে নিজ মনে হাসলো অন্বিতা। নূহার গাল দুটো টেনে দিয়ে সে বললো,

—- তা তোমার ভাইয়া কোথায়? আর আন্টি?

বিনিময়ে ঠোঁট উল্টালো নূহা। নিশান্তের ঘরের দিকে হাত দেখিয়ে বললো,

—- ভাইয়ু ভয়ে দরজা আটকে ঘাপটি মেরে রয়েছে আর আম্মু নিজের ঘরে রাগে ফুঁসতেছে৷ ভাইয়ু বের হলেই আবারও হাল্লা বোল শুরু করবে।

নূহার কথায় বিষম খাওয়া শুরু করলো অন্বিতা। বার কয়েক কেশে নিয়ে বিস্ময় ফেলে নিশান্তের ঘরের দরজায় গিয়ে করাঘাত করলো সে। তবে ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া গেলো। আবারও হয়তো আফসানা বেগম এসেছে ভেবে নিশান্ত দরজা খুলছে না ভেবেই দরজায় মুখ লাগিয়ে ফিসফিসে অন্বিতা বললো,

—- দরজা খুলুন মাস্টার মশাই, ভয় নেই আমি আপনার ছাত্রী অন্বিতা।

এতোক্ষণ দরজায় কান লাগিয়ে বাইরে কে তা অনুভব করবার চেষ্টা করছিলো নিশান্ত। অন্বিতার মৃদু গলা কানে পৌঁছোয়েই তটস্থ হয়ে দরজা খুলেই হেঁচকা টান মেরে অন্বিতাকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেললো সে। সেকেন্ডের মাঝেই এমন আকস্মিক ঘটনায় টাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে আলমারির স্ট্যান্ড চেপে ধরে দাঁড়ালো অন্বিতা। দরজা বন্ধ করে উল্টো দিকে ঘুরতেই নিশান্তের চেহারার বিকৃতি দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো সে।

এভাবে নিজেকে ভেঙিয়ে হু হা করে ঘর কাঁপিয়ে হাসায় তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো নিশান্ত! সে জানে তার চুল বর্তমানে এলোমেলো হয়ে কাকের বাসায় পরিণত হয়েছে তবু অন্বিতার হাসি পছন্দ হলো না তার। সন্দিহান চোখে তাকিয়ে অন্বিতার দুবাহু চেপে ধরে দেয়ালে তার পিঠ লাগিয়ে ফেললো নিশান্ত। চোখ থেকে রক্তিম আভা ছড়াতে ছড়াতে দুহাতে অন্বিতার দুবাহু চেপে ধরলো সে। নিশান্তকে নিজের এতোটা কাছাকাছি এতোটা হিংস্ররূপে আবিষ্কার করে ভয়ে জমে গেলো অন্বিতা। সাথে বেড়ে গেলো বুকের ডিবডিবে ধ্বনি! কেঁপে উঠলো সে। কেঁপে উঠলো তার পুরো শরীর!
.
.
.
.
চলবে………..💕

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here