এক মুঠো গোলাপ পর্ব ২৭

এক মুঠো গোলাপ
sinin tasnim sara

২৭
_____
সম্পর্কের ব্যাপারটা খুব সহজেই মেনে নিয়েছে নিদ্রর বাসায়। সামনে নুহা’র বিয়ে। তারপরেই নিদ্রর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবেন অনিমা । তবে তার পূর্বে সুপ্তর সাথে দেখা করতে চেয়েছেন উনি ।
আজ বৃহস্পতিবার। আগামীকাল অফিস নেই। তাহলে সুপ্তকে বাসায় নিয়ে আসাই যায় ভাবলো নিদ্র।
অফিসে বিশেষ কাজের চাপ নেই। ডেস্কে বসে আপন মনেই এসব ভাবছে নিদ্র। তার চিন্তা ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে কেবিনের দরজায় নক পড়লো।
চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে স্থির হয়ে বসলো নিদ্র। স্বাভাবিক ভাবেই বলল_
— কাম ইন।
দরজা খুলে তার কলিগ প্রবেশ করলো কেবিনে।
— ভাই কি ব্যস্ত?
— আরে মাহমুদুল ভাই। আসুন আসুন বসুন।
— বসি না। আপনি ফ্রী থাকলে ক্যান্টিনের দিকটায় যাই?
— যাবেন? আচ্ছা চলুন।
ল্যাপটপ বন্ধ করে উঠে পড়লো নিদ্র। ডেস্কের ওপর থেকে ফোন আর ওয়ালেট নিয়ে মাহমুদুল সাহেবের পেছন পেছন বেরিয়ে গেলো।
মাহমুদুল সাহেব এখানকার আ্যাকাউন্টটেন্ট। প্রায় বারো বছর ধরে চাকরি করে যাচ্ছেন ভদ্রলোক। বেশ শান্তশিষ্ট এবং একজন সৎ এমপ্লয়ি। সততার কারণেই মূলত এতটাদিন টিকে আছেন এরকম প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। লোকে বলে প্রাইভেট জব স্বপ্নের মত। এই আছে তো এই নেই।
সেদিক দিয়ে ভদ্রলোক লাকি বলা চলে।
মাহমুদুল সাহেবের সাথে গল্প করতে করতে ক্যান্টিনে গিয়ে বসলো নিদ্র।
হালকা খাবার অর্ডার দিয়ে ভদ্রলোক তার সংসার জীবনের গল্প শোনাতে লাগলেন। নিদ্রর বেশ মজাই লাগে ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে।
ওনার লাভ ম্যারেজ। সেই কলেজ লাইফ থেকে সম্পর্ক ছিল। ওনার ওয়াইফ সম্ভান্ত্র হিন্দু পরিবারের মেয়ে। এলকায় তাদের পরিবারের বেশ নাম-ডাক। ছোটোবেলা থেকেই ওদের পরিবারের গল্প শুনে শুনে বড় হয়েছে মাহমুদুল সাহেবেরা। সেই কৈশোর বয়সেই ছেলেমানুষী স্বপ্ন ছিল ঐ বাড়ির মেয়েকে ঘরনি করে আনবে। যদিও হিন্দু-মুসলমান বিয়ে সমাজ-ধর্ম কোনোটাই স্বীকৃত নয় তবুও..
অবশ্যি মাহমুদুল সাহেবের পরিবার যে ইসলামি রীতিনীতিগুলো বিশেষ মেনে চলে তা কিন্তু নয়।
মূলত ইসলাম শিক্ষাটা সে বাড়ি থেকেই ঠিকমতো পায়নি। যার ফলে কম বয়স থেকেই নিজ ধর্মের প্রতি একটা অনীহার সৃষ্টি হয়।
ফলস্বরূপ অন্য ধর্মের মেয়ে উজ্জ্বয়িনীকে জীবনসঙ্গী বানাবার পণ করে। তাদের মিলনের পথটা মোটেই সহজ ছিলো না। উজ্জ্বয়িনীর বাবা-কাকারা যখন জানতে পারে এক মুসলিম ছেলের সাথে তাদের মেয়ের প্রণয়ের সম্পর্ক, তখন তারা ভীষণ রকমের ক্ষেপে যায়। মারও খেতে হয়েছিল মাহমুদুল সাহেব কে। এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচার সালিশ হয়ে তাদের স-পরিবারে এলাকা ছাড়ার হুকুম হয়। এতখানি অপমান নিতে পারেন না মাহমুদুল সাহেবের বাবা। সেদিন রাতেই হার্ট আ্যাটাকে ভদ্রলোক মারা যান। দু বোন এবং মা কে নিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে যান মাহমুদুল সাহেব।
পিতার আলয় ছেড়ে মামার বাসায় উঠতে হয়। তার মামা আবার একজন ইসলামি মন মাইন্ডের মানুষ ছিলেন। ধর্মীয় রীতিনীতি গুলো স্ট্রিক্টলি ফলো করার চেষ্টা করতেন উনি। তার সান্নিধ্যে থেকে সুমতি হয় মাহমুদুল সাহেবের। উজ্জ্বয়িনীকে একপ্রকার ভুলতেই বসে তখন কিন্তু সৃষ্টিকর্তার চিন্তাভাবনা অন্যকিছুই ছিলো।
এক দাঙ্গায় উজ্জ্বয়িনী পিতৃহারা হয়। কাকাবাবু চক্রান্ত করে সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করেন। মা তো তাকে জন্ম দিতে গিয়েই পরলোক গমন করেছেন। পিতার বিয়োগের পর সত্যিকার অর্থে সে অনাথ হয়ে যায়। মাথা গোঁজার ঠাঁই ও নেই এমন অবস্থা ।
বেশ ক’দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘোরবার পর কি করে যেন মাহমুদুল সাহেবের সাথে দেখা হয়ে যায়। প্রিয়তমার মুখে তার দূর্বিষহ জীবনের গল্প শুনে এক মুহুর্ত দেরি করেন না আর। মামার বাসায় নিয়ে অভিভাবকদের সামনে বিয়ের কথা বলেন। মামাবাবু মেনে নেন ঠিকই কিন্তু শর্ত দেন মেয়েকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। উজ্জ্বয়িনীর কাছে এ ছাড়া কোনো পথও তো খোলা ছিলো না। অবশেষে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আজীবনের জন্য মাহমুদুল সাহেবের সাথে বিবাহ নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয় ।
মাহমুদুল সাহেব তার নিকটস্থ বন্ধুদের প্রায়ই জীবনের এই গল্পটা শোনায়, তার ভালো লাগে। স্রষ্টার পৃথিবীতে কত রকমের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে।
এজন্যই বুঝি বলে, “জীবন নাটকের চাইতেও নাটকীয়”
গল্প শেষে হাসতে হাসতে মাহমুদুল সাহেব বলেন, “বুঝলেন ভাই আমার জীবন কাহিনি নিয়ে ফিল্ম বানানো সম্ভব, নিজ চোখে না দেখলে মানুষ বিশ্বাস করবে না স্রষ্টা কত রকমের মিরাকল ঘটাতে পারেন মনুষ্য জীবনে”
নিদ্র মনযোগ দিয়ে তার গল্প শোনে তারপর মৃদু হেসে বলে,
— আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। আমরা একেকজন একেক ঘটনার সাক্ষী।
— হ্যাঁ। তো একদিন আসুন না আমাদের বাসায়? আপনার ভাবীর কিন্তু রান্নার হাত ভীষণ ভালো।
— আসবো অবশ্যই আসবো।
সৌজন্যমূলক হাসি দেয় নিদ্র।
__
অফিস শেষ হয় সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টার দিকে। বেরুবার সময় হুট করে রাস্তার ওপাশে চোখ যায় নিদ্রর। একজন মাঝ বয়সী মহিলা ঝুড়ি ভর্তি কাঁচের চুড়ি নিয়ে বসে আছেন। সুপ্তর চুড়ি বিশেষ একটা পছন্দ নয়, তবে মাঝেমধ্যে পরতে দেখেছে। কি ভেবে রঙ বেরঙের কয়েক ডজন চুড়ি কিনে নেয় সে।
ভালোবাসার মানুষের কাছে পাওয়া সব উপহারই আনন্দ দেয়, স্পেশাল মনে নিজেকে। সুপ্তও নিশ্চয়ই খুশি হবে!
ওর হাসিমাখা মুখটা কল্পনা করে নিদ্র। বড্ড আনন্দ হয় নিজেরই।
ফোন বের করে ছোট্ট একটা মেসেজ করে দেয়,
“আজ রাত বারোটায় আসবো কিন্তু, ঘুমিয়ে পড়ো না যেন!”
সুপ্ত ঐ মুহুর্তে রাফনিদের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছিল আর গল্প করছিল। নিদ্রর মেসেজ ঠোঁটের কোণের হাসিটাকে আরো প্রসারিত করে দেয়। মনে মনে ভাবে ওর জন্য কিছু একটা রান্না করে রাখবে। ও নিশ্চয়ই চমকে যাবে!
উফফ ওকে চমকে দিতেও আনন্দ লাগবে সুপ্তর।
,
ঘড়ির কাঁটা যখন এগারোটার ঘর পার করে তখন থেকেই অদ্ভুত উত্তেজনা শুরু হয় সুপ্তর মাঝে। এ উত্তেজনা দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রিয়তমকে কাছে পাওয়ার, তার আঙুলের ভাঁজে আঙুল গুঁজে পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকার।
অপেক্ষা যে বড়ই খারাপ জিনিস। মনে হয় এক প্রহর কাটতেই এক যুগ পার হয়ে যাচ্ছে!
প্রকৃতিতে হালকা শীতের আমেজ। বাসায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর জ্যাকেট গায়ে জড়িয়ে চুড়িগুলো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে নিদ্র। তার বাসা থেকে রাফনিদের বাসার দূরত্ব খানিক বেশি হওয়ায় গাড়ি নিতে হয়।
পথিমধ্যে সুপ্তকে কল করতে নেয় তারপর কি ভেবে আর করেনা। অপেক্ষা করছে বুঝতে পারছে। থাকুক না খানিক চাতকিনী’র ন্যয় বসে, সরাসরি তার সামনে উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বাসটা দেখা যাবে!
এদিকে সুপ্তর অবস্থা শোচনীয়। ঘর টু ব্যালকনি পায়চারি করতে করতে পা ই ব্যাথা হয়ে গিয়েছে বেচারির। উফফ বারোটা বাজে না কেন!
বিরক্ত হয়ে ডিভানে বসে পড়ে সুপ্ত। কিছুটা সময় অতিবাহিত হবার পর গাড়ির হর্ণের শব্দ ভেসে আসে। ছুটে যায় রেলিংয়ের কাছে। উৎসুক দৃষ্টি দ্রুতই চিনে ফেলে গাড়িটা।
ঘর থেকে ফোনের রিংটোন পাওয়া যায়। কাঙ্ক্ষিত মানুষটা এসেছে বুঝতে পেরে লজ্জামাখা একটা হাসি দেয় সে। চপল পায়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে কল রিসিভ করে, ফিসফিসিয়ে বলে, “আসছি”
বিছানার ওপর পড়ে থাকা শাল টা গায়ে জড়িয়ে চুপচাপ বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।
বাসার নিচে নেমে দৌড় লাগায় মূল ফটকের দিকে।
এক দৌড়ে নিদ্রর বুকে এসে পড়ে। নিদ্র ওর মুখখানা আঁজলা ভরে নিয়ে হাসতে হাসতে বলে,
— এভাবে দৌড়াতে আছে! আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না।
— আমি কতটা সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম জানো!
— আমি কিন্তু ঠিক টাইমেই এসেছি। দেখো ঘড়িতে বারোটা বাজে।
হাত ঘড়িতে সময় দেখায় সুপ্তকে। সুপ্ত ঠোঁট কামড়ে হাসে।
— তুমি দেখা করবে বললে দেখা না হওয়া অবধি আমার শান্তি লাগে না।
— তুমি একটা পাগল। এটা জানো!
— তুমি এই পাগলের প্রেমে মাতোয়ারা এটা জানো?
কথাটা বলে খিলখিলিয়ে হাসে সুপ্ত। নিদ্রও হেসে দেয়।
ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে_
— তোমাকে আমি একদমই চিনতে পারিনা।
— চিনতে পারবেও না। আমাকে চেনা এত সহজ নাকি!
— আচ্ছা দেখা যাক। ঘরে তুলি একবার, আদ্যপান্ত চিনে যাবো। চিনতেই হবে।
— আচ্ছা বলো খেয়ে এসেছো?
— উঁহু । তুমি খেয়েছো?
— নাহ্। দাঁড়াও তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। আমি আসছি।
নিদ্রকে আর কিছু বলবার সুযোগ না দিয়ে পুনরায় ছুটে যায় সুপ্ত।
ফিরে আসে থালা ভর্তি খাবার নিয়ে। বিরিয়ানির গন্ধ পেয়ে ভ্রু জোড়ায় কুঞ্চন পড়ে নিদ্রর।
— মাই গড। তুমি খাবার আনতে গিয়েছিলে?
— হ্যাঁ। আমি নিজের হাতে বানিয়েছি।
— সত্যি!
— অবশ্যই। টেস্ট করে দেখো।
সোৎসাহে থালা এগিয়ে দেয় সুপ্ত।
— ওয়েট। গাড়ির ভেতরে চলো, এভাবে খোলা আকাশের নিচে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে নেই।
— তুমি বুঝি এসব মানো!
— মানি না বাট সতর্ক থাকা ভালো। তাই না?
— হু। চলো।
বাধ্য মেয়ের মত নিদ্রর পিছু পিছু গাড়িতে ওঠে সুপ্ত।
দুজনে হাত ধুয়ে একে অপরকে খাইয়ে দেয়। খাওয়া শেষে নিদ্র চুড়িগুলো সুপ্তর হাতে পরিয়ে দেয়।
সত্যিকার অর্থেই সারপ্রাইজড হয়ে যায় সুপ্ত তার সাথে ভীষণ রকমের খুশি। খুশির চোটে চোখে পানি চলে আসে।
নিদ্রর প্রতিটা কাজই তাকে অদ্ভুত আনন্দ দেয়। সুন্দর মুহুর্তটা আরো স্মরণীয় করে রাখতে নিদ্র ওকে বলে,
— চলো কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে চন্দ্রবিলাস করি৷
— কীভাবে?
— এভাবে..
সুপ্তর হাত ধরে গাড়ি থেকে নামায় নিদ্র। ডিক্কি বেয়ে গাড়ির ওপরে উঠে বসে। এক হাত বাড়িয়ে ডাকে,
— এসো?
— এভাবে! পড়ে গেলে?
— আমি আছি না? এসো।
ভয়ে ভয়ে নিদ্রর হাতে হাত রাখে সুপ্ত। টলতে টলতে উঠে পড়ে ওপরে।
নিদ্র জামু ফেলে ইশারা করে কোলে বসতে। সুপ্ত প্রথমে বসতে চায়না লজ্জায়। নিদ্র চোখ গরম করে তাকালে আর দ্বিমত করতে পারেনা।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে লজ্জা পাওয়ার প্রবণতাটা বেড়েছে। নইলে আগেও তো বসেছিল ওর কোলে, কই লজ্জা তো লাগে নি এরকম।
নিদ্র দু’হাত দিয়ে ওর পেট জড়িয়ে ধরে। অজানা শিহরণে কেঁপে ওঠে সুপ্ত। ধাতস্থ হয়ে আবদারের স্বরে বলে_
— একটা গান শোনাও তো নিদ।
নিদ্র কোনো রকম দিরুক্তি না করে গলা খাঁকারি দিয়ে গেয়ে ওঠে_
I found a love for me
Darling, just dive right in and follow my lead
Well, I found a girl, beautiful and sweet
Oh, I never knew you were the someone waiting for me

‘Cause we were just kids when we fell in love
Not knowing what it was
I will not give you up this time
But darling, just kiss me slow
Your heart is all I own
And in your eyes you’re holding mine

Baby, I’m dancing in the dark
With you between my arms
Barefoot on the grass
Listening to our favourite song
When you said you looked a mess
I whispered underneath my breath
But you heard it,
Darling, you look perfect tonight..

গান শেষ হলেও মুগ্ধতার রেশ কাটেনা সুপ্তর। নিদ্র খুব ভালো গান করে। সুপ্ত মাঝেমধ্যে ভাবে একটা মানুষ চতুর্দিক দিয়ে এত পারফেক্ট হয় কি করে?
— কি ভাবছো ম্যাডাম?
ফিসফিসিয়ে প্রশ্ন করে নিদ্র। সুপ্ত ঘাড় ফিরিয়ে ওর দিকে তাকায়।
— তুমি এত পারফেক্ট কেন?
— তুমি যে আমাকে ভালোবাস এজন্য পারফেক্ট মনে হয়। নতুবা আমার মধ্যেও কিন্তু অনেক খামতি রয়েছে।
— কই আমি তো দেখতে পাই না।
— ভালোবাসার মোহে মোহাবিষ্ট তুমি। অন্য কিছু নজরে আসবে কি করে!
হাসতে হাসতে বলে নিদ্র। ওর উত্তর পছন্দ হয়না সুপ্তর। প্রসঙ্গ পাল্টে বলে_
— কই চাঁদ দেখবে না?
— দেখছি তো। সেই তখন থেকে।
— কই! তুমি তো আমার দিকে তাকিয়ে আছো।
— তুমিই আমার চাঁদ।
সুপ্তর চোখে চোখ রেখে বলে নিদ্র। ওর কথায় নিশ্চুপ হয়ে যায় সুপ্ত। কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না। লাজ লজ্জা ভুলে অনিমেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে নিদ্রর পানে।
নিদ্র ভ্রু নাচিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করে,
— কি?
সুপ্ত ফট করে ওকে জড়িয়ে ধরে। কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে_
“ভালোবাসি, ভালোবাসি। এক হাজার বার ভালোবাসি”

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here