এক মুঠো গোলাপ পর্ব ২৬

এক মুঠো গোলাপ
Sinin Tasnim Sara

২৬
_____
ছোটোবেলা থেকেই দেখেছি মা আমার ব্যাপারে ভীষণ প্রোটেক্টিভ। লাইক, আমাকে কারো সাথে মিশতে দিচ্ছে না-কোনো ফ্যামিলি অকেশানে আ্যাটেন্ড করতে দিচ্ছে না এমনকি নিজেও আ্যাটেন্ড করছে না; কেউ কিছু খেতে দিলে তা ফেলে দিচ্ছে। সবসময় বড়মণি আর ছোটো মামীর থেকে দূরে থাকতে বলছে, কতশত রেস্ট্রিকশন।
আমি সবসময়ই ভাবতাম মা এরকম কেন করে? কেন আমাকে স্বাধীনতা দেয় না! বাট কখনোই কোনো এক্স্যাক্ট কারণ খুঁজে পাইনি। বাপি ম্যাজিস্ট্রেইট হওয়ায় বহুবার ট্রান্সফার হয়েছে তার। আমি খেয়াল করেছি যখনই বড়মণি কিংবা আত্মীয়স্বজনদের দেখা পাওয়া যায় এরকম শহরে ট্রান্সফার হতো তখন মা যেতে চাইতো না। এ নিয়ে খুব ঝগড়া হতো তাদের মাঝে। মা কে রাজি করানোই যেত না। মান অভিমান ভয়ানক পজিশনে চলে যেত।
বাপি আবার মা কে ভীষণ ভালোবাসতেন,তার ডিসিশানকে রেসপেক্ট করে একটা সময় নিজেই থেমে যেতেন, কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ চলে যেতেন। মনে মনে ঠিকই খারাপ লাগতো তার। ফ্যামিলি ছেড়ে একা থাকাটা কেমন একটা ব্যাপার তাইনা!
কিন্তু কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তো নিয়ে যাওয়া পসিবল না।
বাপি সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন। দুই মেয়েকে নিয়ে শহরের বুকে ভাড়া বাসায় থাকা একটু ভয়েরই ব্যাপার। মা আবার সাধাসিধে মানুষ।
সেবার যখন টাঙ্গাইলে বাপির ট্রান্সফার হলো তখন উনি সিদ্ধান্ত নিলেন শহরে আমাদের একটা নিজস্ব বাসা থাকুক। কিন্তু নতুন বাসায় দ্রুত ভাড়াটিয়া পাওয়া দুষ্কর। সেদিক থেকে আমরা আবার একলা পড়ে গেলাম।
বাপির চিন্তা তিল পরিমাণও কমলো না। পরিস্থিতি এমন সিকিউরিটি গার্ড রেখেও বিশ্বাস করেন না।
এমতাবস্থায় নানু পরামর্শ দিলেন মেজো খালামণির ছেলেমেয়েরা আমাদের বাসায় এসে উঠুক। নানুর নিজেরও শরীর ভালো থাকেনা, উনিও খুলনা থেকে চলে আসবেন।
বাড়িটা ভরা ভরা থাকলে চিন্তা-ভয় একটু দূর হবে বাপির।
সবাই ভেবে দেখলো কথাটা ঠিক। কিন্তু মা আবারও বেঁকে বসলেন। যদিওবা নানুর মুখের ওপর কথা বলবার স্বভাব তার নেই কিন্তু বাপির সাথে রাগারাগি করার সুযোগ তো আছে।
প্রতিবারের মতো সেবারও বাপির সাথে এক পশলা ঝগড়া হলো। এবার বাপি নিজ সিদ্ধান্তে অটল রইলেন।
বাসায় ভরে গেলো আপনজনদের দ্বারা। আমার খুশির মাত্রাটা সবচাইতে বেশি ছিলো। কারণ এই মানুষগুলোর সাথে আমার দেখাসাক্ষাৎ হয় কদাচিৎ। বিশেষ করে নানুর সাথে। আমি কখনো নানুর কোলে মাথা রেখে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়েছি কি না, কখনো তার হাতে খেয়েছি কি না! আমার মনে পড়ে না।
এতটা বছর পর আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে, আমি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না!
এতটাই এক্সাইটেড থাকতাম ওদের ব্যাপারে জানার জন্য কি বলবো!
নানুও আমায় ভীষণ ভালোবাসতেন। এত দিন পর বঞ্চিত হওয়া সুখগুলো ফেরত পেয়ে আমার নানুর সাথে গভীর সম্পর্ক হয়ে গেলো। তাকে ছাড়া কিছুই বুঝি না। শুরু শুরুতে তো মা কিছুই বলতো না কিন্তু উত্তরোত্তর নানুর নিকটে যেতে দেখে মায়ের পুরানো রাগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।
এটাকে রাগ বলে ভুল করলাম, আসলে হারানোর ভয়টা বেড়ে গেলো।
মা পুনরায় রেস্ট্রিকশন দিতে লাগলেন, নানুর সাথে মেশায় রেস্ট্রিকশন। এবারেরটা আমার মোটেই পছন্দ হলো না। আমি মনে হয় প্রথম তখন মায়ের সাথে জিদ আর তর্ক করতে শুরু করি।
মা সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে নিজের রায় কায়েম রাখতেন। আমি আবার এটা মানতে পারতাম না। শুরু হতো ঝামেলা, রাগারাগি। নানু-আমি একদিকে, মা অন্যদিকে। ক্রমাগত ঝামেলা বাড়ছিল বৈ কমছিল না।
এর মাঝেই আপুর এইচএস এর রেজাল্ট বেরুলো। এত ভালো স্টুডেন্ট ছিল যে দিনাজপুর বোর্ডে ফার্স্ট হলো। আত্মীয়স্বজন নিয়মিত কল করে কংগ্রাচুলেট করছে, দাওয়াত চাইছে।
বাড়ির সবাই ভীষণ খুশি। বাপি এলেন টাঙ্গাইল থেকে। ফাইনালি একটা প্রোগ্রামের আয়োজন করা হলো বাসায়।
বলতে পারো আমার এতখানি বয়সে এটাই প্রথম ফ্যামিলি প্রোগ্রাম তবুও আমাদের বাসায়ই। আমার উৎফুল্লতা একবার চিন্তা করো!
যাহোক এবার কেন যেন মা কোনো রেস্ট্রিকশন ক্রিয়েট করলেন না।
নির্দিষ্ট সময়ের প্রোগ্রাম হলো। বড়মণি;মেজোমণিরা একদিন আগেই বাসায় এসেছিলেন।
ওনারা তো রাতে এসেছিলেন তাই আমার সাথে দেখা হয়নি বাট পরেরদিন হয়েছে।
আপু, অন্যান্য কাজিন রা বড়মণিকে খুব ভালোবাসতো দেখতাম। উনি এতই আদর করতেন যে সবাই তাকে “বড় মা” বলে ডাকতো।
আমার ছোট্টো মন ভাবলো আমাকেও বোধহয় মণি ওদের মতই আদর করবেন। খুশি হয়ে আমিও গেলাম তার সান্নিধ্যে, আহ্লাদ করে “বড় মা” বলে ডাকলাম।
প্রতুত্তরে ওনার ব্যবহার টা কিরকম ছিল জানো?
কান্নায় কণ্ঠরোধ হয়ে আসতে লাগলো সুপ্তর। বড় একটা শ্বাস নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
— ওনার হাতে আমি হাত দিয়েছিলাম। উনি ঝটকা মেরে আমার হাতটা সরিয়ে দিলেন। তড়িৎ উঠে রাগত্ব স্বরে বললেন_
— এই বেয়াদব তোর এতবড় সাহস কি করে হয় আমায় বড় মা বলে ডাকিস?
অকস্মাৎ ধমক খেয়ে আমি সহসাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভীতু দৃষ্টিতে আশেপাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, আমার দ্বারা কি কোনো ভুল হয়ে গিয়েছে!

আমার সাথে সাথে বাকি সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো।
আমি জানিনা আর কারো এই বয়সে হয় কি না বাট আমার খুব অপমান বোধ হলো। ভয় সরে, মনে অভিমানের জন্ম নিলো। মাথা নিচু করে কাঁদতে কাঁদতে আমি বাড়ির ভেতরে চলে এলাম।
পুরো প্রোগ্রাম আমি ঘর ছেড়ে বেরুইনি।
রাত্রিবেলার দিকে বাপি আমার রুমে এলেন, হয়তোবা কারো থেকে শুনেছিলেন ঘটনা। পায়ের ওপর বসিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আমার মান ভাঙানোর চেষ্টা করছিলেন। আমি বাপিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম_
— সবাই বড়মণিকে ”বড় মা” ডাকতে পারলেও আমি পারবো না কেন?
উত্তরে বাপির মুখ কালো হয়ে গিয়েছিল। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমার মাথাটা ওনার বুকে চেপে ধরে বলেছিলেন_
— এসব নিয়ে মন খারাপ করেনা বাবু। তুমি বরং বড় মণির থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখো।
,
সেদিন রাতটা যেনতেন প্রকারে কেটে গেলো। পরদিন সকালে বাড়ির পরিবেশ গাম্ভীর্য্যপূর্ণ। কেউ কারো সাথে বিশেষ কথা বলছে না। শুধু থেকে থেকে বড় মণির ঘর থেকে অস্পষ্ট কিছু কথাবার্তা আর খটখট শব্দ হচ্ছে। আমরা ছোটরা আগ্রহ চেপে বসে আছি। আমাদের একরাশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা’র সমাপ্তি ঘটিয়ে বড় মণি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। হাতে তার মাঝারি সাইজের লাগেজ যেটা আসবার দিন সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন, বেশ কয়েকদিন থাকবেন বলে। কিন্তু আজ হঠাৎই রেডি হয়েছেন চলে যাবেন বলে।
আমার বুঝতে অসুবিধা হলো না সে কেন চলে যাচ্ছে। আমি তবুও নিশ্চুপ রইলাম। নওশাদ ভাই পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আপুকে জিজ্ঞেস করলেন_
— বড় মা এত সকালে কই যায়?
আমি চেহারায় গাম্ভীর্য্যতা বজায় রেখে সংক্ষেপে উত্তর দিলো_
— নিজের অট্টালিকায়।
আপুর উত্তরখানা সম্ভবত বড় মণির কান অবধি পৌঁছেছিল, কারণ সাথে সাথেই সে এদিকটা ঘুরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো।
মুখভঙ্গি বিকৃত করে আপু আর মা কে উদ্দেশ্য করে আমায় দেখিয়ে বললো_
— এই রাস্তার মেয়েটা তোদের মাথা খেয়েছে তাই না?
ওনার কথার প্রেক্ষিতে আপু অত্যন্ত রূঢ়ভাবে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দেয় তাকে। মুহুর্তেই একটা তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অবশ্যই এখানে তার দোষ ছিলো বেশি তাই তার পক্ষে তো কেউ ছিলো না। উল্টো নানু ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আরো দুটো কথা শুনিয়ে দেয়।
একসময় সে নিজেই থেমে যায়। আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলে,
“একটা আউটসাইডার, জারজের জন্য সবাই মিলে আজ আমাকে কথা শোনালে৷দেখো একদিন এই মেয়ে তোমাদের অনিষ্টের কারণ হবে”
আমি না তখন বুঝতাম না জারজ কি! হয়তোবা বাপি-মা কিংবা আপুকে জিজ্ঞেসও করেছি বাট কেউই কোনো উত্তর করেনি, পাশ কাটিয়ে গেছে।
কিন্তু শব্দটা আমার মাথায় সেট হয়ে গিয়েছিল। মনে মনে খুঁজে যাচ্ছিলাম এর মানে।
কিন্তু জানতে পারিনি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সম্ভবত ক্লাস এইট কিংবা নাইনে জানতে পারি জারজ মানে কি!
আর তখনি আমার জীবনের সবচাইতে বড় সত্যিটার মুখোমুখি হই আমি।
সুপ্তর কথায় ওর দিকে বিস্ফোরিত নয়নে তাকায় নিদ্র। ও হয়তো কল্পনাও করেনি একদিন এতবড় সত্য ওর সামনে আসবে। সুপ্ত মাথা নিচু করে কান্না সংবরণ করার চেষ্টা করছে। ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে, ঢোক গিলে পুনরায় চোখ তুলে তাকায় নিদ্রর দিকে।
— হ্যাঁ নিদ। আমি হুমায়ুন কবির এবং নিশাত কবিরের আপন মেয়ে সুপ্ত কবির নই। আমি তো.. আমি তো একটা জারজ। যে নিজের আসল বাবা-মায়ের পরিচয় ই জানে না।
কথা শেষ করে, ফুঁপিয়ে ওঠে সুপ্ত। নিদ্র তড়িৎ ওকে বুকে টেনে নেয়। মাথায় হাত বুলিয়ে ক্ষীণ স্বরে বলে_
— শশস্ একদম এসব বলবে না। তুমি হুমায়ুন কবির এবং নিশাত কবিরের’ই মেয়ে। সারা পৃথিবীর তা-ই জানে।
— কিন্তু তা তো সত্যি নয় নিদ্র।
— অবশ্যই সত্যি। শুধুমাত্র জন্মদিলেই মাতা-পিতা হওয়া যায়না সুপ্ত। এই যে এতটা বছর পরম মমতায় তোমায় আগলে রেখেছেন ওনারা, তোমার সকল দুঃখ-কষ্ট আপন করে নিয়েছেন। তোমার সকল খুশিতে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছেন। তাদের কি তুমি মাতা-পিতা হিসেবে অস্বীকার করতে পারবে?
তোমার শরীরে হয়তোবা তাদের রক্ত বইছে না কিন্তু তোমার পুরো জীবনটাই তো ওনাদের দান সুপ্ত। তোমার বাবা-মায়ের সর্বস্ব তুমি।
যার উদর থেকেই তোমার জন্ম হোক না কেন, তোমার জীবনের সবচাইতে বড় সত্যি তুমি হুমায়ুন কবিরের পরম আদরের সন্তান সুপ্ত কবির।
এর বাইরে সব কিছু তুমি ভুলে যাবে সুপ্ত।
— তুমি আমাকে এভাবেই মেনে নিলে নিদ্র?
— তোমাকে আমি সব পরিস্থিতিতেই মেনে নেবো সুপ্ত। ঐ যে কথায় আছে না? ভালোবাসা জাত-ধর্ম দেখেনা। আমিও আমার ভালোবাসা জাত-বেজাত দেখি না। আমারও জীবনের সবচাইতে বড় সত্যি, সুপ্ত আমার ভালোবাসা।
সব পরিস্থিতিই তাকে আমি ভালোবাসি।
— বিয়ে করবে আমায় নিদ্র?
প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকালো সুপ্ত। নিদ্র মৃদু হেসে বললো_
— করবো।
— আজ?
— উঁহু, এভাবে নয়। সকলের সম্মতিতে। তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো আমি।
— বাবা মানবেন না নিদ।
— পায়ে পড়বো ওনার। কতদিন মুখ ফিরিয়ে থাকবেন তিনি? মেয়ের সুখ সকল পিতা মাতাই চায়।
— যদি না মানেন?
এ পর্যায়ে নিশ্চুপ রইলো নিদ্র। সুপ্ত অধৈর্য হয়ে পুনরায় প্রশ্ন করলো_
— না মানলে?
নিদ্র এবার মলিন মুখে জবাব দিলো_
— বাবা-মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া সংসারে সুখ আসেনা সুপ্ত।
— তার মানে তুমি আলাদা হয়ে যাবে আমার থেকে?
— হয়তোবা।
— ভালোবাসলে লড়াই করতে হয় নিদ।
— আমি লড়াই করবো সুপ্ত।
— তোমাকে ছাড়া কিন্তু আমি থাকতে পারবো না বলে দিলাম।
নিদ্রর খুব ইচ্ছে করলো বলতে, ” কখনো আমাকে ছেড়ে যেও না সুপ্ত,আমিও তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না”
কিন্তু বললো না। মনের কথা মনেই লুকিয়ে রেখে, সুপ্তর কপালে আলতো করে একটা চুমু খেয়ে প্রসঙ্গ পাল্টে ফেললো।
— চোখ মুছে নাও তো। রাফনিদের বাসায় যাবে তো তাই না? কান্নাকাটি করতে দেখলে কত প্রশ্ন করবে সে ভাবো!
— হু। দেখেছো আমি ভুলে গিয়েছি একদম। ক’টা বাজে গো?
— উমম সাড়ে পাঁচটা। আচ্ছা চলো আমি তোমাকে নামিয়ে দিই?
— আমি ব্যাগটা নিয়ে আসি হল থেকে।
— আচ্ছা যাও। চোখেমুখে পানি দিও একটু।
— ঠিকাছে তুমি বসো।
নিদ্র সম্মতি দিতেই সুপ্ত মৃদু হেসে হলের দিকে পা বাড়ালো।
ওর যাবার পানে তাকিয়ে থেকে নিদ্র ভাবতে লাগলো,”খুব দ্রুত বাসায় সম্পর্কের কথাটা জানাতে হবে। তবে সুপ্তর জন্মপরিচয় নিয়ে কখনোই কাউকে বলবে না। এসব জানতে পারলে হয়তোবা মা মানতে চাইবেন না। সুপ্তকে হারাতে পারবে না নিদ্র। মায়ের কানে কিছুতেই যাতে এসব না আসে তারও ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ গোপনীয়তা বজায় রেখেই সব কাজ করতে হবে ”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here