কাছে দূরে পর্ব ৪৮

#কাছে_দূরে 🥀
#moumita_meher
#পর্ব___৪৮

দরজায় ঠকঠক কড়া নাড়ল। সিয়াম উঠে এসে জিজ্ঞেস করলো ‘কে?’

ওপাস থেকে জবাব এলো,

—-‘ ভাইয়া আমি মায়া। ঐ আপুটার ঘুম ভেঙেছে।’

কথাটা শোনা মাত্রই সাবাব তাড়াহুড়ো করে দরজার খুলে দিলো। মেয়েটা ভয় পেয়ে দু’পা সরে গেলো। সাবাব সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সোজা ছুটে গেলো হীরের কাছে। হীর বিছানার উপর বসে আছে। একহাতে মাথা চেপে ধরেছে। মাথার ভেতর অদ্ভুত রমকের ব্যাথা করছে। ঝিম ধরে আছে পুরো শরীর। যেন কতকাল শুইয়ে কাটিয়েছে। হাঁটা চলা না করায় এমন দশা হয়েছে।
সাবাব একপ্রকার হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো। হীরকে এমতবস্থায় দেখে বিচলিত হয়ে পড়লো। ছুটে গিয়ে হীরের সামনে হাঁটু ভেঙে বসল। হীরের হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বিচলিত কন্ঠে বলল,

—-‘ হীরপাখি? তুমি ঠিকাছো তো? এখন শরীর ঠিক লাগছে? আর খারাপ লাগছে না তো?’

আচমকা সাবাবের এহেম আচরনে চমকে উঠলো হীর। চোখ দুটো বড়বড় করে ফেলল সে। সাবাবের চোখ মুখ শুঁকিয়ে টানটান করছে। হীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখলো তা। সাবাব ছটফট করছে উত্তরের আশায়। হীর একবার সাবাবের হাতের দিকে তাকালো। সাবাব তার দুই হাত একসাথে করে আঁটকে রেখেছে তার হাত। তবুও নিদারুণ ভাবে কাঁপছে সাবাবের হাত জোড়া। হীর বিষ্ময় নিয়ে মুখ উঁচিয়ে তাকালো। কোমল স্বরে বলল,

—-‘ আমি তো ঠিকাছি। কিন্তু তোমার কি হয়েছে? তোমাকে এমন এলোমেলো লাগছে কেন? কি হয়েছে?’

হীরের প্রশ্ন শেষ হওয়ার মাঝেই একএক করে রুমে প্রবেশ করলো বাকিরা। ইনান,রাতুলকে চোখ ইশারা করতেই রাতুল জোরপূর্বক হেসে এগিয় আসলো হীরের দিকে। সাবাবের দিকে একবার তাকিয়ে আবারও হীরের দিকে তাকালো। হীরের চোখে মুখে বিস্ময়। হীর সাবাবের দিকে ইশারা করে রাতুলের উদ্দেশ্যে বলল,

—-‘ ভাইয়া, আপনার বন্ধুর কি হয়েছে বলুন তো? দেখুন চোখমুখ কেমন শুঁকিয়ে আছে। আর অদ্ভুত ভঙ্গিতে কথাও বলছে। এলেমেলো লাগছে ওকে। কি হয়েছে?’

রাতুল গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,

—-‘ আর বলিয়েন না ভাবি! আপনি সে আধঘন্টা যাবত অচেতন অবস্থায় আছেন। সেই থেকেই ও এমন করছে। মুলত আপনার টেনশনেই-

রাতুলের কথা মাঝপথে আঁটকে দিলো ইনান। বলল,

—-‘ হ্যাঁ ভাবি। ও আপনার জন্য টেনশন করছিলো। তাই এমন অবস্থা হয়েছে।’

হীর ব্যস্ত ভঙ্গিতে সাবাবের দিকে তাকালো। মুহুর্তেই ভুলে গেলো সাবাবের প্রতি সব রাগ-অভিমান। সাবাবের হাতটা শক্ত করে নিজের হাতের মুঠোয় চেপে ধরে বলল,

—-‘ তোমার পাগলামি কি কখনও যাবে না হ্যাঁ? সেই ছোট থেকে দেখে এসছি এসব। তুমি ঠিক হবে কবে বলো তো? আমাকে নিয়ে অকারনে চিন্তা করে কি পাও হু? সিয়াম? একটু জল হবে?’

সাবাবকে বকতে বকতেই জল চাইলো সিয়ামের থেকে। সিয়াম —‘হ্যাঁ এক্ষনি আনছি’ বলে ছুটে গেলো। পেছন পেছন বেরিয়ে গেলো রাতুল এবং ইনানও। ফাঁকা ঘরে আবারও দু’জন একা হয়ে গেলো। সাবাব অবাক দৃষ্টি মেলে দেখলো হীরকে। হীর তাকে শাসন করছে। যা অবিশ্বাস্য। সাবাবের বিশ্বাস হচ্ছে না হীর তার সাথে স্বাভাবিক আচরন করছে। একদম বিশ্বাস হচ্ছে না। হীর চোখ লাল করে তাকালো সাবাবের দিকে। সাবাব অতি ইনোসেন্ট চাহনিতে দৃষ্টি নামিয়ে নিলো। হীর সাবাবের দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে কিছু বলতে নিলেই মনে হলো সাবাবের গায়ের উষ্ণতা তরতর করে বাড়ছে। দূর থেকেই উপলব্ধি করতে পারছে হীর। হীরের মনটা ছটফট করে উঠলো। না চাইতেও তার হাত চলে গেলো সাবাবের কপালে। কপালে হাত রাখতেই চমকে উঠলো হীর। তাড়হুড়ো করে গালে, গলায় হাত রেখেও নিজের উত্তেজনা চাপাতে পারলো না। আর্তনাদ করে বলল,

—-‘ তোমার গায়ে তো খুব জ্বর-

সাবাব দুর্বল চোখে তাকালো। মৃদু হেসে ঢোক গিলে বলল,

—-‘ তুমি কাছে আছো বলে টেরই পায়নি।’

হীর চেতে উঠে বলল,

—-‘ তা পাবে কেন? আমি কাছে থাকলে তো তুমি কিছুই টের পাবে না। আর আমি কাছে না থাকলেই রাজ্যের দুশ্চিন্তার ভার সব তোমার একার। তাই না? আমার কোনো কথা তো তুমি শুনবে না। ঠিক সময়ে খাবেনা। সারাদিন কাজ কাজ আর কাজ। এই কাজ একদিন তোমাকে শেষ করবে দেখে নিও। তখন আবার বলতে এসোনা যেন, হীরপরি জানোতো আজ কাজে আমার এই ক্ষতি হয়েছে,ঐ ক্ষতি হয়েছে। তখণ আমি মোটেও শুনবো না।’

সাবাব দুর্বল হাসলো। বলল,

—-‘ তুমি কখনও আমাকে কিছু বলেছো? কোনো কাজে বারন করেছো? করোনি। তাহলে শুনিনি কেন বলছো?’

—-‘ বলার সুযোগ কোথায় দিয়েছো?’

—-‘ অন্য কাউকে কিছু বলতে বুঝি তুমি সুযোগের জন্য বসে থাকো?’

—-‘ অন্যকাউকে বলতে সুযোগ কেন লাগবে বলো। ও তো অধিকারেই হয়ে যায়!’

—-‘ তাহলে কি বলছো আমাদের কারোর প্রতি কারোর কোনো অধিকার নেই?’

কথাটা খুব করুন শোনালো। হীর থমকে গেলো। সাবাবের এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তার কথা আঁটকে গেলো। সে ভুলে গেলো তার কি বলা উচিত। সাবাব অসহায় ভাবে হাসলো। মাথা নুইয়ে নিয়ে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। হীর আশেপাশে দৃষ্টি ঘোরালো। মনেমনে জবাব খুঁজতে নামলো কিন্তু ভান্ডার খালি রেখেই ফিরতে হলো তাকে। দরজার সামনে কারোর পায়ের শব্দ পেতেই হীর গলা পরিস্কার করলো। উঠে গেল দেখতে। মায়া জলের গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হীর মিষ্টি হেসে বলল,

—-‘ তুমি জল নিয়ে নিয়ে এলে, সিয়াম কোথায়?’

মায়া জলের গ্লাস হীরের হাতে তুলে দিয়ে বলল,

—-‘ আপনাদের রেস্ট নিতে বলেছে।’

এটুকু বলেই ছুটে চলে গেলো মায়া। হীর তার যাওয়ার পানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সাবাবের কাছে ফিরে এলো। সাবাব এখনও মাথা নীচু করেই বসে আছে। সাবাবকে দেখে হীরের বুক ভারী হয়ে এলো। বুক চিঁড়ে তপ্ত দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। সাবাবের ফর্সা মুখ লাল হয়ে এসেছে জ্বরের বাড়াবাড়িতে। কান দুটো মুখের চেয়েও দিগুন লাল হয়ে আছে। পরনে নীল শার্টটা ঘামে অর্ধেক ভিজে উঠেছে। একে জ্বর তার উপর ভেজা শার্ট। হীর যেন আরও বিচলিত হয়ে পড়লো। সে দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে বলল,

—-‘ তোমার শার্ট টা খুলো তো।’

হীরের কথায় সাবাব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। ভেতর থেকে জিভ টেনে বের করে এনে তার শুঁকনো ঠোঁট খানা ভিজিয়ে ঢোক গিলল। আমতাআমতা করে বলল,

—-‘ ম..মানে! শার্ট কেন খুলবো!’

—-‘ খুলতে বলেছি খুলবে। এতো প্রশ্ন করো কেন?’

হীরের কন্ঠ স্বাভাবিক। কিন্তু সাবাবের কন্ঠে অস্থিরতা, ভয়। হীর হঠাৎ করে এসব উল্টো পাল্টা কথা কেন বলছে?

—-‘ আশ্চর্য! এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেন? মনে হচ্ছে যেন কোনো মানুষ খুন করতে বলেছি। শার্টই তো খুলতে বললাম।’

সাবাব অস্থিরতা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। চোর পালানোর মতো পালাই পালাই করে বলল,

—-‘ আমি একটু পর আসছি। তুমি থাকো।’

হীর লাফ দিয়ে সাবাবের সামনে এসে দাঁড়ালো। আঙ্গুল উঁচিয়ে কড়া কন্ঠে বলল,

—-‘ এতো বেশি বেশি বোঝো কেন হুম? বলেছি শার্ট খুলতে খুলবে। এতো প্রশ্ন কেন?’

সাবাব ঢোক গিলে অসহায় কন্ঠে বলল,

—-‘ হঠাৎ শার্ট কেন খুলতে যাবো?’

হীর কপট রাগ দেখিয়ে বলল,

—-‘ বুঝেছি। দাঁড়াও-

হীর হাত থেকে জলের গ্লাস নামিয়ে রেখে দরজার কাছে চলে গেলো। আশেপাশে কেউ আছে কিনা হদিস চালিয়ে দরজা আঁটকে দিলো ভেতর থেকে। যা দেখে সাবাবের চোখ কোটর ছেড়ে বেড়িয়ে আসার উপক্রম। সাবাব চকিতে মুখে হাত চাপল। হীরের মতলব সে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে যেন। কিন্তু যদি কিছু করার ইচ্ছেই থাকে তবে এখানে কেন? কথাটা ভাবতেই আবার আপন মন বুঝ দিলো নিজেকে, ‘ না সাবাব! অনুভূতিরা তো আর বলে কয়ে আসবেনা। আর এমন অনুভূতি ধরেও রাখা যাবেনা।’

হীর সাবাবকে অবাকের শীর্ষে পৌঁছে দিয়ে নিজেই তার শার্ট খুলতে উদ্যত হলো। সাবাব আচমকা ছিটকে পড়ে বলল,

—-‘ পাগল হয়ে গেলে নাকি তুমি? এসব কি করছো?’

হীর অবাক হওয়ার চেষ্টা করে বলল,

—-‘ কি করছি আবার! শার্ট খুলছি?’

—-‘ সেটাই তো! কেন খুলছো?’

—-‘ দরকার আছে তাই খুলছি। চুপটি করে দাঁড়াও ওখানে!’

সাবাব আঁতকে উঠে বলল,

—-‘ না না। ওখানেই থাকো। থাকো। এদিকে এসো না। আমার ইজ্জত-

সাবাবের কথা শেষ করার আগেই হীর তার হাত টেনে নিয়ে গেলো। বিছানায় বসিয়ে দিয়ে কঠোর গলায় বলল,

—-‘ চুপ করে বসো। একদম নড়াচড়া করবেনা।’

সাবাবের চোখ জোড়া ডিম্বাকৃতির আকার নিলো। বারবার ঢোক গিলতে লাগলো। কি হতে চলেছে তার সাথে সে আন্দাজ করতেও ভয় পাচ্ছে। হীর মন দিয়ে সাবাবের শার্টের বোতাম গুলো একটা একটা করে খুলছে। কিন্তু সাবাবের কাছে মনে হচ্ছে তার ইজ্জত গুলো ধাপে ধাপে শেষ হচ্ছে। হীর সাবাবের শার্টটা খুলে দিলো। সাবাব মনে মনে দোয়া পড়ছে যেন হীর ভেতরের সেন্ডো গেঞ্জি না খুলতে বলে। হীর সাবাবের পেশিবহুল হাতের দিকে একবার তাকালো। পরবর্তীতে তাকানোর মতো আর সাহস হলো না। মাথা নীচু করে পাশে সরে গেলো সে। সাবাব অবাক চোখে দেখছে হীর কি করে। হীর তাকে অবাক করে দিয়ে তার শার্টটা খাটের সাথে মেলে দিলো। মাথার উপরের ফ্যান ঘুরছে। আপাতত ফ্যানের বাতাসে যতটুকু শুঁকিয়ে যাবে সাবাবের জন্য ততই মঙ্গল হবে। হীর ঘুরে গিয়ে জলের গ্লাস তুলে এনে সাবাবের সামনে ধরলো। সাবাব শীতল চোখে দেখলো হীরকে। সে হীরকে ভুল বুঝেছে। হীর সেরকম ভাবনা নিয়ে তার কাছে আসেনি বরং তার শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে এসেছে। ঘামে ভেজা শার্ট সে জোর করে খুলে নিয়ে গেছে। যেন সেটা শরীরে শুঁকিয়ে শরীরের অবস্থা আরও খারাপ না হয়। হঠাৎ বিয়েটা হয়ে যাওয়াও সে ততোটাও মুখ ফিরিয়ে নেয়নি তার থেকে। সাবাবের ভেতরটা এক ভালোলাগায় ভরে উঠলো। হীরের তার প্রতি স্বাভাবিক আচরন যেন তাকে ক্রমশ টেনে নিচ্ছে হীরের কাছে। এমন ভালোলাগার মুহুর্তটায় হীরকে খুব কাছে টেনে নিতে ইচ্ছে করছে সাবাবের।

—-‘ জলটা খাও। মুখটা বড্ড শুঁকনো শুঁকনো লাগছে।’

—-‘ অসুবিধা নেই। ঠিকাছি আমি।’

—-‘ তুমি নাকি আমার কথা শোনো? এই হচ্ছে কথা শোনার নমুনা?’

—-‘ হঠাৎ এতো মায়া দেখাচ্ছো কেন আমায়?’

—-‘ মায়া দেখালাম কোথায়? তোমার জায়গায় অন্যকেউ হলে সামান্য জল নিয়েও সাধতামনা? এতো পাষান ভাবো আমায়!’

—-‘ না না। পাষান কেন ভাববো? তুমি পাষান এই কথা যে ভাবে তার বাকশক্তি হারাক। আমি সেটা বলছিনা। বললাম যে, দুইদিন আগে ভীষণ চেঁচামেচি, বকাঝকা করলে। আমাকে মানো না। এই বিয়ে মানো। কোনো অধিকার মানোনা। তবে হঠাৎ এতো মায়া হলো কেন আমায় দেখে?’

—-‘ তুমি অযথাই খুব বেশি বকছো। চুপ করে জল টা খাও। শরীরটা একটু হলেও ভাল্লাগবে।’

সাবাব আর জবাব দিলো না কোনো। হীরের হাতেই জলটা খেলো। সত্যি যেন শরীরটা একটু অন্যরকম লাগছে। কিন্তু জ্বর ছাড়ছেনা। আস্তে আস্তে জ্বরের ঘোর লেগে যাচ্ছে। সামনে সবটা ঘোলাটে লাগছে। আর কেবল মনে পড়ছে ‘কনিকা-রিয়াদের’ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি। হীর সাবাবের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,

—-‘ তোমার শরীরটা মনে হচ্ছে আরও খারাপ হচ্ছে। চলো বাড়ি ফিরে যাই।’

সাবাব হীরের কথা শুনলো। কিন্তু জবাব দিতে পারলো না। জবাব দেওয়ার মতো শক্তি জোগাতে পারছেনা তার জিহ্বা। হীর দাঁড়িয়ে গিয়ে অস্থির হয়ে বলল,

—-‘ খুব কষ্ট হচ্ছে? আমি তোমার বন্ধুদের ডাকবো? আচ্ছা তুমি একটু বসো আমি এক্ষনি আসছি।’

হীর এই বলে ছুটে যেতে নিলেই সাবাব তার হাত ধরে ফেলে। হীরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলে,

—-‘ সবসময় তো পালাই পালাই করেই হারিয়ে গেলে। আজ একটু থাকোনা আমার কাছে!’

হীর সাবাবের হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরলো। কান্নাজড়িত কন্ঠে বলল,

—-‘ আমি আছি তো তোমার কাছে। আর থাকবও। কিন্তু এই মুহুর্তে তোমার শরীরের অবস্থা দেখতে হবে আগে। এখন আমায় এখানে চুপটি করে বসে থাকলে একদম চলবেনা। উনাদের ডাকত হবে। তাই বলছি তুমি এখানে একটু চুপটি করে বসো আমি এক্ষনি আসছি।’

সাবাব হীরকে যেতে দিলো না। তার কথা গুলো ঠিক ভাবে শুনলো কি না সেটাও বোঝা গেলোনা। হীর অস্থির দৃষ্টিতে বারবার দেখতে লাগলো সাবাবকে। সাবাব ঢুলছে। হীর তাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। পাছে মাথা ঘুরিয়ে না পরে যায়। সাবাব হীরকে কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে দেখে আচমকা নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। সাবাবের গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। সাবাবের শরীর হীরের শরীরে সাথে সংস্পর্শ হতেই কেঁপে উঠলো হীর।স্বাভাবিক উষ্ণতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। হীর সাবাবকে জোর করে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিলো। সাবাব যেন আর কিছু বলার সুযোগ না পায় তার জন্যই আর অপেক্ষা না করে ছুটে গেলো রাতুল আর ইনানকে ডাকতে। তারাও যেন সাবাবের শরীরের টেম্পারেচার দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো। মনের দিক থেকে এতো শক্ত মানুষ টা কনিকা-রিয়াদের খুনের বর্ননা শুনে এতোটা ভেঙে পড়লো। এ যেন অবিশ্বাস্য।

#চলবে_ 🖤

[ বিঃদ্রঃ এতদূর কষ্ট করে পড়ে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেননা। যদি ছোট্ট একটা মন্তব্যে আপনার মতামত জানাতে কষ্ট হয়। ধন্যবাদ। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here