কুঞ্জলতা পর্ব -০৪ ও শেষ

#কুঞ্জলতা (পর্ব-৪)
লেখনীতে–ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

সেরনিয়াবাত পরিবারের এবং সৌহার্দ্যর পরিবারের সবাই গোল বৈঠকে বসেছে। সেরনিয়াবাত পরিবারের লোকজন অনেকটা আশাহত দৃষ্টি নিয়ে কুঞ্জলতাকে দেখছে। তাদের অতি আদরে বাঁদর হওয়া কন্যা যে বিয়ে করবে এমন এক সময়ে এবং তাদের অনুমতি না নিয়ে তারা তা কখনোই ভাবেনি। তবে সত্যি বলতে বীর সেরনিয়াবাত ওরফে কুঞ্জলতার পিতা মহোদয় সৌহার্দ্যর মতো সুপুরুষকে মেয়ে জামাই হিসেবে পেয়ে মনে মনে খুশি অনেক। তবে তা এখন প্রকাশ করবার নয়! কারণ এই মুহূর্তে তার গাম্ভীর্যতা আর কড়া শাষণ প্রয়োজন মেয়ের উপর। ছেলে যত ভালোই হোক না কেন মেয়ে তো তার অমতে এবং তাকে না জানিয়ে হুট করে বিয়ে করেছে। এতে তার সম্মান এবং মর্যাদা দুটোরই যথার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। নিজ ভাই মোতালেবের দিকে একবার হতাশার দৃষ্টি ফেলে ঘোষণা দিলেন,

“বিয়ে যখন হয়েছে তখন এই বিয়ে আমাদের মেনে নিতেই হয়। ছেলে মেয়ে উভয় একে অপরকে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছে তাই এই বিয়েতে আর আপত্তি করতে পারছিনা। ছেলেও মন মতোই তাই এই নিয়ে আর মাতামাতি করতে চাইনা। তবে ছেলের বাবা-মায়ের মতামতটাও জানতে চাই আমি।”

সৌহার্দ্যর বাবা সাজ্জাদ সাহেব হাসি মুখেই বললেন,

“আপনাদের পরিবার আমার অতি প্রিয়। ভাইয়ের ঘরে যখন একটা মেয়ে নিয়ে যাচ্ছি এই পরিবার থেকে নিজের ঘরের জন্যও নিতে আপত্তি নেই আমার। বরং আমি এবং আমরা সবাই খুব সন্তুষ্ট। ছেলেকে তিন বছর যাবৎ বিয়ের চাপ দিয়েও করাতে পারলাম না। তখন কী আর বুঝেছি আমার এই গম্ভীর ছেলেটা প্রেম করছে! কুঞ্জকে আমাদের ভিষণ পছন্দ হয়েছে। তাহলে আজ আমরা মেয়ে নিয়ে…..

“না আমি এখন মেয়েকে বিদায় করব না। আমি প্রস্তুত নই একসাথে দুই মেয়ের বিদায় দিতে। আপনাদের কাছ থেকে আমি খানিকটা সময় চাই ভাই সাহেব!”

“আচ্ছা বেশ! সমস্যা নেই তো। পরেই না হয় যাবে তবে আজ ইমরানের বউই তুলি শুধু।”

“জ্বি! তা-ই ঠিক।”

সৌহার্দ্য খুব বিচলিত হয়ে পড়েছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে সে কখনো পড়তে পারে তা ভাবেওনি। আত্মীয় স্বজনের কাছে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে। সে ভিষণ লজ্জিতও! কারণ তার চরিত্র তার জীবনের চলাফেরা এবং সব কিছু মিলিয়েই এমন আহাম্মকের কাজ করা বেমানান খুবই। “চাইল্ডিশ!” শব্দটি উচ্চারণ করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে চলে আসে। খুঁজতে থাকে ঐশ্বর্য নামক মানুষটিকে যে তাদের বিয়ের ব্যাপারটা পরিবারকে জানিয়েছে। লোকটার হাবভাব মতিগতি কিছুই সৌহার্দ্য পছন্দ হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে সে কুঞ্জলতার উপর কিছু নিয়ে ক্ষিপ্ত আর সে হয়তো চেয়েছিল পরিবারকে জানিয়ে তাকে কোনো সমস্যায় ফেলতে। তবে কুঞ্জর পরিবার তার ভাবনার বিপরীত করেছে তাই তো সে রাগ দেখিয়ে চলে এসেছিল। সৌহার্দ্য আর ভালো লাগছেনা এদিক ওদিক খুঁজেও ঐশ্বর্যকে না পেয়ে সে গেট পেড়িয়ে বাহিরে চলে যায় তার গাড়ির কাছটায়। গাড়িতে ঢুকবে এমন সময় চোখ যায় তিন তলার কর্ণারের রুমের বড় জানালার পাশে তার বিবাহিতা স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছে। চুল হয়তো খোলা রেখেছে তাই তো এমন উঁড়ছে। লাল শাড়িটা কেমন অগোছালো হয়ে আছে। তার দৃষ্টিও দূর আকাশে তবে চোখে নেই মুগ্ধতার কোনো ছাপ। বিষাদময় দৃষ্টিতে সে কেন ঐ সুন্দর আকাশটিকে দেখছে? সে কি বুঝছেনা এই সৌন্দর্যে ঘেরা সাদা নীল আকাশটা ক্ষুদ্ধ হয়েছে তার উপর করেছে অভিমানও! কেন নেই তার চোখে মুগ্ধতা! অবহেলা আর বিষাদই কি এই আকাশের প্রাপ্য! সৌহার্দ্যের হঠাৎ করেই মনে হয় আকাশটি সে নিজেই। আর তার দিকেই কুঞ্জলতার বিষাদময় চাহনী। ইশ! যদি সে রঙধনু হতে পারতো তবে নিশ্চয়ই সে হাসতো! খুশি হতো! মুগ্ধ হতো! হ্যাঁ, সে কুঞ্জলতার জীবনের রঙধনু হবে তার জীবনের সেই গুরুত্বপূর্ণ সাতটি রঙ হবে। আকস্মিক প্রতিজ্ঞাতে নিজেই বিস্মিত হয়। সে কি কুঞ্জর প্রতি কিছু অনুভব করে?

সময় খুব দ্রুতই পার হয় তবে সবার ক্ষেত্রে দ্রুত নয়। সময় হয়তো ঠিকই গড়িয়ে যায় কিন্তু পরিস্থিতি আর মানুষের মন, চিন্তা-ভাবনা সেই একই থেকে যায়। এটা প্রকৃতি খত নিয়ম বলা চলে, হ্যাঁ তা হয়তো সবার ক্ষেত্রে হয়না কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হলো “বিয়ে”। এই ছোট্ট শব্দ তবে বড় দায়িত্বটি সবাই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারেনা। কুঞ্জ এবং সৌহার্দ্য স্বামী-স্ত্রী হয়েও একে অপরের থেকে বহুদূর। দুই মাসে একবারও তাদের দেখা সাক্ষাৎ তো দূরের কথা কথাও হয়নি। পরিবারের সবাইও এমন ভাবে আছে যে তাদের যে বিয়ে হয়েছে এটাই বোধ হয় কারো মাথায় নেই। জামাই হিসেবে ইমরানকেই যত্ন করে কুঞ্জর পরিবার আর বউ হিসেবেও কুঞ্জর বোনকেই মানে সৌহার্দ্যের পরিবার। এতে অবশ্য সৌহার্দ্য ও কুঞ্জ দুজনেরই টনক নড়ে। তবে বেশি মাথা ঘামায়নি এই বিষয়ে। সেদিনের পর তো কুঞ্জর বাবা শাস্তিস্বরূপ তাকে বউভাতের অনুষ্ঠানে পর্যন্ত নেয়নি। সত্যি বলতে কুঞ্জর তা নিয়ে কোনো দুঃখ কষ্ট হয়নি বরং সে যেন বাবার আদেশে প্রসণ্ণ হয়েছিল।

দীর্ঘ পঁয়ষট্টি দিন পর আজ কুঞ্জ দেখা করতে যাচ্ছে নিজ স্বামীর কার্যালয়ে। বিশেষ কোনো কারণ নেই তবে যেই কারণ টা আছে তা আলাদা সব কারণ থেকে। সৌহার্দ্যকে দেখতে ইচ্ছে করছে তার! সৌহার্দ্যের মুঁচকি হাসি দেখতে চায় সে। কাল সারারাত সে সৌহার্দ্যকে নিয়ে ভেবেছে। এতদিন ঐশ্বর্য নামক মরিচিকা তাকে সৌহার্দ্য নামক মানুষটিকে ভুলে থাকতে বাধ্য করছিল। তবে কাল সে সব যুদ্ধ জয় করেছে যেন! মনে মনে ঠিক করেছে,

“চুলোয় যাক সব! আমি এবার আমার স্বামীর কাছে ফিরব দেখি কে আটকায়!”

অফিসে ব্যস্ত সময় কাটানোর পর চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বুজে কিছুটা বিশ্রাম করছিল সৌহার্দ্য। তখনিই পিয়ন এসে তার বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটায়। সৌহার্দ্য মৃদু রাগ দেখিয়ে বলল,

“সিয়াম! তোমার এই হুট হাট বিরক্ত করার অপরাধটির জন্য আমি কিন্তু তোমায় চাকরিচ্যুত করতে পারি।”

“আসলে স্যার আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে। বলেছে দেখা করতেই হবে অতি জরুরী।”

“যত জরুরী হোক না কেন আমি এখন ক্লান্ত তাই তাকে আগামীকাল আসতে বল গিয়ে।”

“স্যার তিনি বলেছেন যে তিনি আপনার ব্যক্তিগত মানুষ।”

“ব্যক্তিগত মানুষ?”

“তা-ই তো বলেছে স্যার।”

সৌহার্দ্যর শ্বাস ঘন হয়ে যাচ্ছে। তার ব্যক্তিগত মানুষ তো তার কুঞ্জলতা! তবে কি সে এসেছে? কিন্তু সে কেন আসবে! তার তো হয়তো এতদিনে সৌহার্দ্যকে ভুলে যাওয়ার কথা। তাহলে সে কীভাবে আসতে পারে? দু’টো মাস সে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। তবে আজ কেন? পিয়ন সিয়ামের কথাতেও এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে মানুষটি কুঞ্জলতাই। কারণ এমন উশৃঙ্খল আর ঠোঁটকাটা জবাব সে কুঞ্জর থেকেই আশা করে। তাও সে প্রশ্ন করেই ফেলে,

“নাম কী?”

“কুঞ্জলতা সেরনিয়াবাত!”

সৌহার্দ্য চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তারপর চোখ খুলে সিয়ামের দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে বলল,

“ডেকে আনো তাকে।”

“জ্বি স্যার।”

সৌহার্দ্য চট করেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। তড়িৎ গতিতে ওয়াশরুমে ঢুকে চোখে মুখে পানির ঝাপটা দেয়। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নেয়। পকেট পারফিউমটি ফুস করে দুই কাঁধে স্প্রে করে দেয়। শার্টের ইন ঠিক করে নেয়। টাই টা টেনে নেয়। কেমন উদভ্রান্তের ন্যায় আচরণ শুরু করে।

ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে তার সোফায় বসে আছে রূপালী জামদানি পড়া রমনী। চুল গুলো এলোমেলো খোপায় আবদ্ধ তার। হাতে কালো কাঁচের চুড়ি। গলায় আর কানে মিলানো গহনা। কুঞ্জলতা আজ বউ সেজে এসেছে। একদম তার নতুন বউ যেন! সৌহার্দ্য মুঁচকি হাসি দেয়। হুট করে মাথা তুলে সেই মুঁচকি হাসিটি দেখে ফেলে কুঞ্জ। এই তো সেই হাসি! নিজেও হেসে দেয় সে। উঠে গিয়ে সৌহার্দ্যকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। সৌহার্দ্য যেন তাতে বিস্মিত হয়, কিন্তু কুঞ্জকে ভুল করে সে নিজেও তাকে জড়িয়ে তার কপালে, মুখে, ঠোঁটে, ঘাড়ে, গলায় চুমু দিতে থাকে। চুমু বর্ষণ শেষে সে কুঞ্জকে ছেড়ে দেয়। তারপর নিজেই সোফায় গিয়ে শরীরের ভার ছেড়ে দেয়। কুঞ্জ সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। স্বামীর থেকে প্রাপ্ত প্রথম ভালোবাসার ছোঁয়া গুলো তাকে অকল্পনীয় সুখ এনে দিয়েছিল। চোখের কার্ণিশে পানি জমে তার। এই অতি সুদর্শন এবং ভদ্র পুরুষটিকে সে এতগুলো দিন কীভাবে দূরে সরিয়ে রাখতে পারল? ঐশ্বর্য কোনো কালেই তার ভালোবাসা ছিল না এটা এখন সে মনে প্রাণে বিশ্বাস করছে। এমন প্রশান্তি তো কখনোই সে ঐশ্বর্যের কাছে গেলে পায়না! পায় তো সৌহার্দ্যের কাছেই। তবে সৌহার্দ্যই তার প্রেমিকপুরুষ। ঐসব ঐশ্বর্য চুলোয় যাক। সে আর ভাববেনা তাকে নিয়ে। তার স্বামী-ই তার সব।

সৌহার্দ্যর পাশে বসে মিষ্টি হেসে তাকে প্রশ্ন করে,

“দুপুরে খেয়েছেন?”

“না সেই সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি।”

“ভালোই হয়েছে। আমি আপনার জন্য রান্না করে এনেছি।”

“তাই না কি!”

“হ্যাঁ।”

“খাওয়া যাবে তো?”

“অবশ্যই যাবে! রান্নাটা আমি খুব ভালো করি।”

“আমার তো শক্তি নেই আর যে নিয়ে খাবো।”

“আমি খাইয়ে দিব। দাঁড়ান হাত ধুয়ে আসছি আর পিয়নকে বলুন তো প্লেট পাঠিয়ে দিতে।”

সৌহার্দ্য মাথা নেড়ে সম্মতি প্রকাশ করে। কুঞ্জও হাত ধুয়ে আসে পিয়নের থেকে প্লেট নিয়ে ভাত তরকারি সাজিয়ে নিজ হাতে সৌহার্দ্যকে খাইয়ে দেয়। সৌহর্দ্যও তৃপ্তি নিয়ে খায়।

“তুমি খাবেনা?”

“খেয়ে এসেছি। আম্মা না খেয়ে বের হতে দেয়নি। আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছে।”

“উনি জানেন তুমি যে এখানে আসছ?”

“সবাই জানে। ইভেন আব্বার সাথেই গাড়িতে করে এসেছি। জামা কাপড় নিয়েই এসেছি আপনার সাথে আপনার বাসভবনে যাচ্ছি তো।”

সৌহার্দ্য চমকায়। আজ একদিনে এত চমক পাবে সে আশা করেনি। কুঞ্জর বাবা কী তবে এখন সব মেনে নিয়েছেন? হতে পারে! কুঞ্জ এখন থেকে তার সাথে থাকবে ভাবতেই তার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। সে কখনোই ভাবেনি এ কুঞ্জ কখনো সত্যিই তার সাথে থাকবে তার স্ত্রী হয়ে!

“পাশের নীল বিল্ডিংটা আপনার বাসভববন?”

“হ্যাঁ!”

“আর কোনো কাজ আছে? চারটা বেজে গেছে তো।”

“আপাতত নেই।”

“তাহলে বাসায় চলুন।”

“তুমি সত্যিই যাবে?”

“না মিথ্যে যাব!”

খানিক রাগ দেখিয়েই কথাটা বলল কুঞ্জ। সৌহার্দ্য হেসে পিয়নকে ফোন লাগায় কুঞ্জর লাগেজ বাসায় দিয়ে আসতে বলে দুজনে একসাথে হেঁটে বাসায় চলে যায়। সরকারি বাসভবনটা দেখতে খুবই সুন্দর। চারপাশে ফুল আর ফলের গাছ বড় একটি দোলনাও আছে দোতলা বিল্ডিংটি দুজন মানুষ হিসেবে সত্যিই খুব বড়। তাহলে আজ থেকে শুরু হোক তাদের টোনাটুনির সংসার।

রাতে কুঞ্জ রান্না করে আবার। কারণ সৌহার্দ্যর রাঁধুনী ছিল না তাই আজ কোনো রান্নাই হয়নি। কুঞ্জও বারবার আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে ঠিক দিনে এসেছে বলে। নাহলে তো আজ লোকটা না খেয়েই থাকত।

দুজনে এক বিছানায় শুয়ে পড়ে ঠিকই তবে দূরত্ব রেখে। কুঞ্জর ভয় করছে হঠাৎ করেই। তাই সে দূরে দূরে থাকছে। বেড সাইড ল্যাম্প নিভে যাওয়ার পর সে শাড়ি খামচে ধরে। পেটের মধ্যে সৌহার্দ্যর হাত লাগতেই চোখ বন্ধ করে নেয়। মনে মনে আওড়ায় “যা হচ্ছে হোক না! আমি আজ তার হয়েই যাই না! ক্ষতি কী তাতে?” ক্রমশ স্পর্শ গাঢ় হতে থাকে আর সেই সাথে নিজের দেহের বস্ত্রের ঘাটতিও অনুভব হয়! ইশ, এই মুহূর্তটা এমন কেন?
সকালে যখন তার ঘুম ভাঙে তখন সে দেখে তার স্বামী নেই তার পাশে! তবে তার স্পর্শ গুলো এখনো জাগ্রত মনে হয়। দূরে দরজার কাছে নিজের পরিধেয় বস্ত্র দেখে ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলে,

“এত দূরে ছুড়তে হয় না কি!”

#পরিশিষ্ট:
সৌহার্দ্য এবং কুঞ্জলতা দীর্ঘ ছয়বছর একে অপরের সাথে সংসার করছে। দুইটা ছেলে নিয়ে তাদের সংসার খুব ভালোই চলছে। কুঞ্জ সৌহার্দ্যের কাছে আসার পর ঐশ্বর্যও হুট করে বিয়ে করে নেয়। কুঞ্জর মতে ঐশ্বর্য তার উপর রাগ করেই বিয়ে করেছে হঠাৎ। নয়তো যে ছেলেকে শত বলেও বিয়ের জন্য রাজি করাতে পারেনি সেই ছেলে এমন হুট করে বিয়ে করে নেয় না কি! আসলে আমরা মানুষের কদর তাকে হারিয়েই বুঝি। এটাই নিয়ম!

~~~~সমাপ্ত~~~~

(এতদিন পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here