“কেয়া_পাতার_নৌকো🍁🍁🍁 পার্টঃ৫

#কেয়া_পাতার_নৌকো🍁🍁🍁
writing; Md Imran Hossan
পার্টঃ৫
.

হটাৎ আহান ভাইয়া আমার হাত ধরে এতো জোরে টান দিলো যে আমি তার বুকে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। অবাক হয়ে তাকিয়ে দিখে উনি আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছেন। আহান ভাইয়া এমন ভাবে তাকাচ্ছেন আমি তার চোখের দিক ভালো করে তাকিয়ে দেখি উনি কেমন যেনো নেশা ধরা চোখে তাকিয়ে আছেন,,,,,,,, দু হাত দিয়ে নিজের চোখ দুটো কচলে নিলাম আসলে এটা আমার সপ্ন না সত্যি………. হুট করে উনি তার এক হাত দিয়ে আমার কোমর টা জড়িয়ে ধরলেন আমি আরও ওনার কাছে চলে এলাম,,,,,,, আর এক হাত দিয়ে আমার কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দিচ্ছেন। এবার ওনার দিক তাকাতেই খুব লজ্জা লাগছে। উহু কি যে করি। ভাইয়ার হটাৎ কি হলো বুঝতেও পারছি না। আমার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। এতত চেষ্টা করছি কিন্তু কিছু বলতে পারছি না।
কি রে অমন করে তাকিয়ে আছিস কেনো।
ভাইয়ার কথায় কেমন যেন কেপে উঠলাম। তবুও কিছু বলতে পারছি না হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
ভাইয়া মুচকি হেসে বললেন….
🌹পুর্নিমার সন্ধ্যায় আমার মায়াবিনিকে পেতে মনটা আরও উদাস হচ্ছে। রূপসাগরের পাড়ে উদাসি মন টাকে তার ভালবাসায় মুড়ে দিতে ব্যাকুল এ হৃদয় 🌹🌹🌹
এ কথা টার আগা গোড়া কিছু না বুঝতে পারলেও আহান ভাইয়ার মুখে কথা টা শুনতে বেশ ভালো লাগলো……..
ভাইয়া মুচকি হেসে আমার ঘাড়ে ওনার মুখটা আচমকা ডুবিয়ে দিলো।
আমার সারা শরীলে কেমন যেনো বিদ্যুৎ শট এর মতো করছিলো।
আর ভাইয়া ক্রমাগত তার ঠোঁট আর নাক আমার ঘাড়ে ঘসতে লাগলেন।
এদিকে আমার মনে হচ্ছে আমার সব ইন্দ্রিয় কাজ করা বন্ধ করে দিবে। হটাৎ মনে হলো দরজা তো খোলা কেউ যদি দেখে ফেলে কথাটা ভাবতেই ভাইয়াকে খুব জরে বললাম কি করছেন ভাইয়া, আপনার মাথা ঠিক আছে। বলে ঝাকি দিলাম।
তখন উনি মুখ উচু করে এদিক ওদিক দেখে। মুখ টা ঝাকি দিয়ে আমার দিক এ একটু তাকালেন তার পর আমার হাত টা ধরে তার কাছে এনে বললেন এই মিহু তোর শরীর থেকে এমন বাজে গন্ধ বের হচ্ছে কেনো। গোসল করিসনি বুঝি। যা গোসক করে আয়। বলে হন হন করে চলে গেলো। এক মিনিট ও দাড়ালেন না।
এটা কি হলো আর একটু আগে কি হলো,,,,,,,,,,, সব তাল গোল পাকিয়ে যাচ্ছে । তার মানে আমি কি সপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু ,,,, সে যাই হোক অতো ভেবে কাজ নাই সত্যি কি শরীল থেকে বাজে গন্ধ আসছে। আমি তো বাসায় এসে ফ্রেশ হলাম ,,,,, থাক ভাইয়া যখন বলছে তখন হই,,,,,,,,, রাত হয়েছে তো কি হয়েছে।
———————————
——————————–
এই রাতে ফ্রেশ হয়ে চুল গুলো আচড়ে আকাশী রং এর একটা জামা আর সাদা রং এর প্লাজু আর ওরনা পরে ভাইয়ার সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করেছি আধঘন্টা যাবত কিন্তু ভাইয়া একবার ও আমার দিক এ ফিরেই তাকালেন না। আর ও খেয়ে দেয়ে চলে গেলেন একবার বললেন ও না। তা হলে কি ওই টা মিথ্যা ছিলো কি জানি হতে পারে। কনফিউজড। ধ্যাত ভালোলাগে না।।।
এদিক এ……….
উরে বাবা যাক এবারের মতো বেচে গেছি। ছি ছি কি করছিলাম মন চাচ্ছে নিজের গালে নিজেই দুইটা থাপ্পড় মারি। নিজেকে কন্ট্রোল করতেও পারি না। মিহু যদি বাড়ি বলে দেয় বা কিছু বুঝতে পারে। কি যে করি….. কিছু দিন ওর সামনে যাবো না আজ কি যে হচ্ছে ওর কাছে গেলেই সব উল্টো পাল্টা হয়ে যাচ্ছে শুধু মন চাচ্ছে ওকে কাছে পেতে কি যে করি। কথা গুলো মনে মনে আউরাতে আউরাতে আহান ঘড়ির দিকে তাকালো৷। ও সিট ৩ টা বাজে এখন ও ঘুম তো ঘুম ঘুমের ঘ ও আসছে না। কেমন কেমন যেনো লাগছে। মাকে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে মা আমার বউ বউ পাচ্ছে তা শুদু মাএ মিহু কেই লাগবে আর কাউকে না।
–++++———————–
আজ ১৫ দিন হয়ে গেলো মিহি এখন ও কনফিউজড হয়ে আছে। এর ভেতর একদিন ও আহানের সাথে কথা হয়নি ও বলতে চাইলেও আহান বলেনি। বেশ রাগ হচ্ছে। তুলির গল্প নিবাস… আমার গ্রুপ এর নাম আপনারা এডড হবেন। আমার গল্প আগে পেতে হলে এডড হতে হবে… তবে এই ১৫ দিন এ ১৫ টা চিঠি ও পেয়েছে। সব কথাই তার বেশ ভালো লেগেছে উপপ সে যাই হোক সে দিন রাতের কথা কিছুতেই ভুলতে পারছে না…….. ধ্যাত আর এই মৌ গেলো কই। আমি আর কতো সময় একা একা বসে থাকবো ক্লাসে যেতে হবে তো। কিন্তু মেয়েটার খবরই নেই।
এদিক এ,,,,,,
আহান আর সাওনের সামনে দাড়িয়ে আছে মৌ,,,,,
চুক কেনো শালি,,,
মামামা মানে
মানে তুমি কাল দেখেফেলেছো তাই না মিহুকে চিঠি দেওয়ার সময়
চুপ
কি হলো চুপ কেনো বলো……
হুম দেখছি….
তো এখন তোমার কাজ হলো আমাকে সাহায্য করা বুঝলা আমি যা বলবো তাই করবা আর মিহু যেনো যানতে না পারে ওকে চিঠি গুলো আমি দিয়েছি তা।
আআচ্ছা ঠিক আছে। আমি এখন যাই ও আমার জন্য ওয়েট করছে।
হুম যাবে তো অবশ্যই৷ তবে সময় হলে কাজ টা ঠিকঠাক ভাবে করবে বুঝেছো তা না হলে সারা দিন রোদে দাড়িয়ে রাখবো বুঝলা……
———————————
ওই কুত্তা কই ছিলি চল ক্লাস শুরু হয়ে গেছে মনে হয়…..
চল….
ওরা পেছন এ ফিরতেই দেখে আহান দাড়ানো…..
ভাইয়া…
শুন মিহি
বলেন….. কথা আছে তোর সাথে ফুচকা খাবি…..
কিন্তু ক্লাস …
কই থেকে এলো রে আমার বিদ্যাসাগর চল…….
ভাইয়াকে আর না করলাম না কারন ফুচকা আমার খুব ভালো লাগে আর ফ্রী তে হলে সব কিছু একটু এক্সটা ভালো লাগে।
——
আহান, তার পর মিহু তার পাশে মৌ,,,, তিন জন হাটছে নদীর পাশ দিয়ে….
আহান মিহির সাথে এ ও নিয়ে কথা বলছে আর মিহির ও খুব ভালো লাগছে আহানের সাথে ঘুরতে….
আহান মিহির সাথে কথা বলার সময় মৌকে ইশারায় বলে মৌএর পা দিয়ে মিহির পা বাদিয়ে দিয়ে মিহি কে ফেলে দিতে …..
মৌ করবে না বলছে।
কিছুসময় পর মৌ আহানের ভয়ে রাজি হয়ে যায়।
মিহির পা মৌএর পায়ে বেধে গিয়ে মিহি পড়ে যায়…..
ও মাগো ওই মৌ এর বাচ্চা হাটতে পারিস না বুঝি ওঠা ব্যাথা লাগছে…
হুম হুম তুমি দেখে হাটেতে পারো না… আয় মিহু তোকে আমি ওঠাচ্ছি তুই মনে হয় হাটতে পারবি না থাক আমি তোকে কোলে নিচ্ছি বলেই মিহি কে কোলে তুলে নেয়…..
মৌ তো অবাক আর সাথে রাগ ও হচ্ছে । মন চাচ্ছে আহানের মাথা ফাটায় দিতে………..
.
চলবে……

কেমন লাগলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here