“কেয়া_পাতার_নৌকো 🍁🍁🍁

গল্পঃ #কেয়া_পাতার_নৌকো 🍁🍁🍁
writing; Md Imran Hossan
পার্টঃ৭
.

🖤🖤🖤
ছাদের চারপাশটা রাতে বারাবরই মিহির ভয় লাগে তবে আজ কিছুতেই তার ভয় লাগছে। আজ ছাদ থেকে লাফ দিতেও কষ্ট হচ্ছে না। মন চাচ্ছে সব কিছু ছেড়ে বহুদূর চলে যাই।পার্টিতে খাওয়ার সময় আরা আহান ভাইয়ার কাছে বসেছিল। ব্যাস আর খাওয়া হলো না মিহির। এই টুকুতেই এতো কষ্ট লাগছে। আর তো সময় পড়ে আছে। আহান ভাইয়ার বিয়ে হবে ফুলশয্যা হবে বাবু হবে,,,,, ন না আর ভাবতে পারছি না। মেয়েটা একটু কথা বলেছে তাই আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে আর সেখানে ফুলশয্যা, বাচ্চা না এ আমি মেনে নিতে পারবো না। এগুলো ভেবেই খুব কান্না পাচ্ছে ও আল্লা উপর দেকে দড়ি পাঠাউ আমি উপরে চলে যেতে চাই।
আরে আপু এমোন মুখ করে চোখ বুজে কি ভাবছো।
তুই,,, এতো রাতে এখানে কি করিস……
আজ না আগান ভাইয়াকে সেই লাগছিলো,,, মন চাচ্ছিলো বলি বাবু খাইছো নাকি আমি খাওয়াই দিবো।
উহু আমি বাচি না আমার জ্বালায় আর এই মেয়েটা আছে ওর উল্টো পাল্টা চিন্তা ভাবনা নিয়ে।
এই কি সব ফালতু কথা বলছিস,, মাথা ঠিক আছে।
হুম আছে তবে ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো এটা মেনে নিতে কষ্ট লাগছে। তাই ঠিক করছি নতুন ভারাটিয়া ছেলেটার সাথেই এবার লাইন মারবো ও তো আমার ক্রাশ। জানো আপু ওর জন্য একটা কবিতা লিখছি।
এই বাচাল টার কথা গুলো একটুও ভালো লাগছে না,, তবুও কিছু বলতেও পারবো না,,, কিছু বললে মা এসে আমাকেই বকবে,,,,,,, সবার ইনোসেন্ট গার্লস অর্পা যে। বাল ভালোলাগে না।
ও আওু শোনো না……
হুম বল….
তোমায় খুজি রোজ আমি,,,
কাচামরিচ ওগো তুমি….
মেঘের পিঠে ভেসে ভেসে
নদিতে পড়ি রোজ
পাবো কি তোমার মুন্ডুর খোজ….
কি হলো আপু কাশতেছো কেনো।
চুপ কর কি সব লিখছিস ওগুলা….. তুই কি ওই ছেলেটাকে এই লেখা গুলো দিবি নাকি।
হুম। কালই দিবো।
লাস্টে কি লিখছিস ওটা মুন্ডু মানে কি জানিস ছাগোল কেথাকার….
না আপু মন চাইলো তাই দিলাম…
ওই সেভেন এ পড়িস মুন্ডু মানে জানিস না। মাথা বুঝলি ছাগল মাথা। এবার পড়ে দেখ কি লিখছিস।আর কেউ কারো কাচা মরিচ হয় নাকি। গাধা।
ও আপু আমি তো মিলানোর জন্য লিখছি।
এই যা পারিস কর। আমি যাই ঘুমাবো। বলেই চলে আসলাম কারন এই প্রেম পাগলের সাথে বকবক করতে একটুও মন চাচ্ছে না।
—————————————–
💐ভেবনা তুমি হয়েছো বহিস্কৃত । আমার গল্পে তুমি চিরকাল স্বীকৃত। তোমার চোখে আমি দেখেছি মেঘের ঘনঘটা। কষ্ট পেওয়া তোমাকেই আমি চাই আর তোমাকে আমি আমার করেই ছাড়বো 💐ঘুমিয়ে পড়ো মেহু পাখি।
অর্পার সাথে কথা বলে রুমে এসে দেখি বেডের ওপর এই কাগজ টা ভাজ করা।আজব এই চিঠি বাজ কি করে জানলো আমার মন খারাপ। তুলির গল্প নিবাস এটা আমার গ্রুপ এডড হবেন আশা করি। এডড না হলে পরের পার্ট পাবেন না কিন্তু৷ এটা কোনো ভাবে আহান ভাইয়া না তো। কিন্তু উনার তো বিয়ে। এটার কি হবে। এমনিতে ঘুম আসছে না। আর এই চিঠি টা পাওয়ার পর ঘুম তো হারিয়ে গেলো। ভালো লাগে না।
এদিকে,,,,,,
কি জানি মিহু কি ঘুমিয়ে পড়ছে নাকি জেগে আছে। হয়তো জেগে আছে।
এর ই মাঝে আহানের ফোনটা ভীষ জোরে বেজে উঠে।
তাকিয়ে দেখে অচেনা নাম্বার।
হ্যালো…
হাই,,, কি করো ঘুমাউনি,,, হবু বউয়ের কথা ভাবছো বুঝি।
চিনলাম না কে ইউ
এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে। আরা বলছি।
ওও
ও কি,,,, আমি নিজে তোমাকে কল করলাম আর তুমি ওও বলছো। অনেক সুইট আর ইনোসেন্ট তুমি।
এই মেয়েটার কি লজ্জা নাই নিজেই ফোন করেছে। কথা বলতে একটুও মন চাচ্ছে না। ) আচ্ছা আমার নাম্বার কই পাইছো।
এটা কোনো প্রশ্ন হলো। হবু বউ এর সাথে কথা বলছো তুমি বুঝলা।
এদিকে……..
আজ আহান ভাইয়াকে বলবো আমার মনের কথা। বলেই ছাড়বো। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। নাম্বার ডায়েল করি।
কি হলো ব্যাস্ত বললো কেনো এতো রাতে ভাইয়া কার সাথে কথা বলছে। ওই আরার সাথে না তো। এবার মনে হচ্ছে আমার কলিজাটা ছিড়ে যাবে।
————————
উপপ এই মেয়েটা এতো বকবক করতে পারে। কি আর বলবো। কে ফোন করেছিলো এর মাঝে আবার। নাম্বার টা দেখে মিহির কল। ও সিট মিহি কল দিছিলো আর ব্যাস্ত পাইছে না এটা হতে পারে না।
কি হলো মিহু ফোন ধরছে না কেনো। ভালো লাগে না।ওকি ভুল বুঝলো। এটা কি করলাম আমি আরার সাথে কেনো কথা বললাম।
———————-
এই মেয়েটা পারেও বটে ঘুমিয়ে পড়েছে আর শুধু শুধু আমাকে ওর বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেলো এতো রাতে। যাক ভালো লাগছে কোনো বিপদ হয়নি।
————————————
আজ পাচ পাচটা দিন হয়ে গেছে রুম থেকে বের হচ্ছি না। কেউ তেমন খবরও নিচ্ছে না,,, সবাই ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত। সেদিন রাতে কতবার কল দিলো ভাইয়া ধরিনি। হয়তো ধরা উচিৎ ছিলো। আর ধরে কিওবা বলতাম। ভাইয়াতো ওই আরাকে বিয়ে করতে রাজি। আর এই পাচদিন ভাইয়াও আসেনি। একটাবার খোজ ও নেয়নি। ।
কং কং কং
পাশে তাকিয়ে দেখি মৌ কল দিয়েছে।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ধরলাম….. হ্যালো
হ্যালো কি,,, তুই কই এ কদিন ফোন ধরিসনি কেনো।
এমনি
কি হয়েছে তোর। মন খারাপ কেনো।
ফোনে বলা যাবে না,,
তাহলে কলেজ এ আয়।
না রে ভালো লাগছে না।
তুই আসচিস অতো কিছু জানি না।
————————————
তার মানে আর মাএ ১০ দিন পর আহান ভাইয়ার বিয়ে।
হুম।
আহান ভাইয়া রাজি।
হুম।
(এটা কি করে হয়। আহান ভাইয়াতো মিহিকে ভালোবাসে। তাহলে,,, হয়তো কোনো ঝামেলা আছে। )
এবার কি করবি।
জানি না।
মিহি চলতো…
পেছন ফিরে দেখে আহান ভাইয়া মুখ কালো করে দাড়িয়ে আছে। ওনার মুখ দেখে বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো।
কোথায় ভাইয়া।
তুমি ও আলো মৌ। আসলে আমি এ বিয়েটা করবো না।
কি। কথাটা শুনে মনে মনে খুব খুশি হলাম।
হুম। আমি একজন ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করবো। বাড়িতে পরে জানাবো। তোরা দুজন বিয়েতে সাক্ষী হবি আর কোনো প্রশ্ন করিস না চল।
কথাটা শুনে মৌয়োর বড় বড় চোখ গুলো পুরো রসগোল্লা করে ফেললো তার মুখ দেকে বোঝা যাচ্ছে সে খুব সক্ট খেয়েছে।
আর মিহির মনে এতো সময় লাড্ডু ফুটছিলো কিন্তু কথাটা শুনে তার মনের লাড্ডু গুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে।
.
চলবে।
.

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here