“কেয়া_পাতার_নৌকো 🍁🍁🍁 পার্টঃ৬

গল্পঃ #কেয়া_পাতার_নৌকো 🍁🍁🍁
writing; Md Imran Hossan
পার্টঃ৬
.

💛💛💛
❤❤তুমি কেমন করে তাকাউ মনে হয় যেন হারিয়ে যাচ্ছি তোমার ওই দুচোখের অতলে। ইচ্ছা করছে তোমার ওই ময়াবি নয়নে হারিয়ে যাই,মিলেমিশে একাকার হই তোমার স্পর্শে❤❤
আরে তুই এতোটা সিরিয়াালি নিচ্ছিস কেনো। আমার মনে হয় চিঠিটা আহান ভাইয়াই লিখছে।
জানি না। তবে আমার দিন দিন হাল খারাপ হয়ে হয়ে যাচ্ছে।
কেনো।
বলদের মতো কথা বলিস না। এই চিঠিবাজ এর চিঠি গুলো পড়তে বেশ লাগে আমার এ কয়দিনে অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু আহান ভাইয়া উনি এই কয়দিন এমন একটা ভাব করছেন মনে হচ্ছে ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে।
আমি জানি না।তবে আমার মাথায় কিছু ডুকছে না। ( মিহিকে বলা যাবে না আমি সব জানি তা,,, মিহিকে আমি সব বলে দিলে আহান ভাইয়া আমাকে পুরো আস্তো গিলে খাবে)
————————————-
ধ্যাত ভালোলাগে না। ইদানীং কলেজরাও কেমন রসকষহীন হয়ে উঠেছে কিন্তু কিছু দিনকয়েক আগেও খুব ভালোলাগতো কলেজটা। খারাপ লাগার একমাত্র কারণ হলো আহান ভাইয়ার পড়া শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা এখন আর কলেজ যায় না। মার কাছে শুনেছি ভাইয়ানাকি তার আব্বুর বিজনেস এর কাজে মন দিবে। তার মানে এখন আর দেখা হবে না। কতো ভালোই নাছিলো সে কয়টা দিন। না ভোলা যাবে না। কখনই ভুলতে পারবো না আহান ভাইয়ার সাথে ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া। ফুসকা খাওয়া। মৌআর ভাইয়ার সাথে চোখ বেধে কানামছি খেলা। আচ্ছা ভাইয়াতো গম্ভীর একটা মানুষ তাহলে একয়দিন এতো পরিবর্তন কেনো। না আর এসব ভাববো না একতরফা ভাবলে শুধু প্রশ্ন এসে জমাট বাধে তার উওর খুজে পাওয়া যায় না।
যাই একটু ছাদে যাই।
ছাদে যেতেই চোখে পড়ে অর্পাকে, উকি ঝুকি দিচ্ছে চোরের মতো।
ওই এখানে কি করছিস রে তুই।
কে কে কে পপছন ফিরে দেখে মিহি দাঁড়িয়ে,,,,, ও আপু তুমি,,,, আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
কিন্তু তুই এখানে কি করছিস।
আরে আপু আস্তে বলো…. তুমি জানো না পাশের বাসায় নতহন ভারাটিয়া আসছে।
কই না তো। আসছে তো কি হয়েছে।
একটা লাড্ডুস ছেলেও আসছে৷ ।
লাড্ডুস ছেলে মানে কি,,, হা টা চলা করতে পারে না নাকি।
কি যে বলো আপু,, তুমি কোন জগতে থাকো। লাড্ডুস মানে হলো কিউট।
জানতাম না তো।
তুমি তো কিছুই জানো না। শুধু শুধু বড় হইছো। ভিরমি শাখ খাবা বুন্ধি বাড়বে।
ওই তুই খা বুঝলি। কিন্তু এখানে কি করছিস তাই বল….
ছেলেটা এই সময় ছাদে থাকে তাই খুজতেছি,,, জানো কাল ছাদে এসে জীম করছিলো,,, ওপ কি মাসল…..
ওই দাড়া দাড়া তুই কি এর ও প্রেমে পড়ে গেছিস।
হুম আপু এ আমার ৫৬ নাম্বার ক্রাশ… লাজুক লাজুক মুখ করে বললো…
ওর কথা শুনে আমার ছাদ থেকে লাফ দিতে মন চাচ্ছে। আমার এখনও পর্যন্ত একটা ক্রাস ও হলোনা। আহান ভাইয়াকে ভালোবাসি কিন্তু সে আমার ক্রাশ কি না তা জানি না। বুঝিনা এই বাদর মেয়েটা বড় হয়ে কি হবে ছোট মার কপালে দুঃখ আছে।
——————————————
আজ আহানের বার্থডে। সবাই ওদের বাসায় এসে হাজির খুব বড় করে পার্টি দিচ্ছে খালামনি।
আজ মিহি মেরুন কালারের একটা শাড়ি পরেছে সাথে হালক সেজেছেও। বেশ লাগছে তাকে। অর্পা তো মিহি কে বলেছে আপু তুমি আমার ৫৭ নাম্বার ক্রাশ। তবে তুমিই এক মাএ মেয়ে ক্রাশ আমার খুব সুন্দর লাগছে।
আর আহান বজ হালকা গোলাপি রং এর শার্ট পরেছে। সাথে কালো প্যান্ট ফর্সা চেহারায় গোলাপি রং টা তার সাথে খুব ভালো মানিয়েছে।
তবে আহানের চোখ দুচো লালচে লালতে হওয়ায় কেমন যেনো লাগে। উপপ খুব সুন্দর লাগছে তাকে।
আজ অনেক মানুষ আসছে আহানের বার্থডে তে। তার বাবার বিজনেস পাটনার ও আসছে তার পুরো ফ্যামিলি নিয়ে আর মওহির খালাম্মু ওই লোকের মেয়েটাকে নিয়ে বেশি মাতা মাতি করছে। বেশ রাগ হচ্ছে মিহির। মেয়েটার কি যেনো নাম বললো হ্যা হ্যা মনে পড়েছে আরা। তুলির গল্প নিবাস **এটা আমার গ্রুপ এডড হবেন ,,,, এডড না হলে পরের পার্ট আর দিবো না কিন্তু,,, কমেন্টে গ্রুপ লিং দিব,,, এডড হবেন,,, এটা আবার কেমন নাম আরা। ভালোলাগেনি নাম টা। আচ্ছা আজ আহান ভাইয়া আমার দিকে তাকাচ্ছে না কেনো। ভাইয়া কি ওই মেয়েটাকে চেনে। ধ্যাত আমি যখন ই কিছহ ভাবি তখন শুধু ভুরি ভুরি প্রশ্ন এসে জড় হয় তার কোনো উওর ই পাই না।
এর মাঝেই হাতে টান পড়ে। পাশ ফিরতেই দেখি বহান ভাইয়া ইশারা দিয়ে বললো ওয়াশ রুমের দিক যেতে।
**************
কি হয়েছে ভাইয়া আপনি এভাবে এগোচ্ছেন কেনো। ডাকলেন ই বা কেনো।
বলতে বলতে ভাইয়া আমার খুব কাছে চলে এসেছে,,, আমার মুখের দিক একটু ঝুকে এসে বললো তোর নাবি টা তো খুব সুন্দর আগে খেয়াল করিনি।
আমি চোখ বড় বড় করে বললাম আপনি আমার নাবি দেখলেন কি করে।
ওমনি ভাইয়া আর একটু কাছে এসে আমার কোমরে তার হাত রাখলো। আমি কেপে উঠতেন তিনি বললো তোর পেট বের হয়ে আছে। এভাবে সবাইকে তোর পেট দেখাস না সবাই তো আমার মতো প্রেমে পড়ে যাবে। বলে মুচকি হাসলো।
তার হাসিটাও আজ আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। কি বললো বুঝতেছি না কেমন যেনো লজ্জা লাগছে । লজ্জায়মাথা নিচু করে ফেললাম।
ওমনি মাইকের আওয়াজ পেলাম সবাইকে ডাকছে কি যে বলা হবে।
ভাইয়া ততক্ষনে চলে গিয়েছে। আমি ও চলে এলাম।
গিয়ে দেখি খালুর একপাশে আরা নামের মেয়েটা দাড়ানো আর তার পাশে আহান ভাইয়া। কেমন একটা খটকা লাগলো।
খালো এবার ববললো ,,,,,,,,, আমার একমাএ ছেলের সাথে আমি আরা মামানির বিবাহ দিতে চাই খুব শিঘ্রই। আরা আমার বিজনেস পাটনার আর আমার প্িয়ো বন্ধুর মেয়ে।
কথাটা শুনে সবাই খুব খুশি হলো। হাত তালির আওয়াজ হলো কিন্তু আমি এক নজরে আহান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাইয়াও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি হলো এটা আমি মিহুকে পাবো না। বাবা তো একবার আমাকে বলতেই পারতো। কিছু বললো না। না এটা হতে পারে না। আমার মিহুও আমাকে ভালেবাসে।
আর এদিকে আহানের আব্বু বিয়ের দিন তারিখ ও বলে দিয়েছে মাএ ১৫ দিন পর ই তার আর আরার বিয়ে।
এটা আহানের কাছে সপ্ন মনে হচ্ছে। কি করবে সে। বাবার বিরুদ্ধে যাওয়াও তার পক্ষে সম্ভব না । এদিকে মিহুর দিক তাকাতেই খুব কষ্ট লাগছে। মিহুর চোখ দুটো ছল ছল করছে মনে হচ্ছে এখনই পানি পড়বে হয়তো। এই কয় মাস মিহুর অনেকটা কাছে চলে গিয়েছে আহান,,,,,,, না মিহুকে এই ভাবে ভোলা সম্ভব না ।
হয়তো আহান ভাইয়া আমাকে কখনো ভালোই বাসেনি। আচ্ছা আমি ওনাকে দোষ দিচ্ছি কেনো উনি তো কখনো বলেনি আমাকে ভালোবাসে তাহলে বিয়ে করতেই পারে। আমারই ভুল নিজের মনে আমি একটু বেশিই ভেবে ফেলেছিলাম আসলে যা হওয়ার নয় তাকি কখনও হয়। কিন্তু আমি কি পারবো নিজেকে সামলাতে। না আর দাড়াতে পারছি না। মাথাটা কেমন যেনো ঘুর পাক খাচ্ছে ।
.
চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here