“কেয়া_পাতার_নৌকো পার্টঃ৪

গল্পঃ #কেয়া_পাতার_নৌকো
.writing; Md Imran Hossan
পার্টঃ৪
.

তোকে ভাবতে চেয়ে মনে যদি প্রেম হতো কেমন হয় তবে অন্য কিছু ভাবছি ইশারায়,,,,,, বেহায়া মন কেনো খোজে অকারণে তোকে,,,,,,,, আমার সাজানো গল্পরা শুধুযে তোকে ঘিরে………… খুব ভালোবাসি তোকে মিহু পাখি………..❤❤………..ওর সামনে গিয়ে এভাববে বললে হবে না দোস্ত….. অমন হা করে আসছি কেনো বাল…..
না আসলে তুই একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে দিন দিন কবি হয়ে যাচ্ছিস এটা নিতে পারছি না ভাই।
কেনো এটা বললে ওকি বাড়ি নলে দিবে। রাজি হবে না।
সে আমি জানি না। ওর ছোট মাথায় তোর এই কবি মার্কা কথা ঢুকবে কিনা সন্দেহ আছে। তার ওপর তুই ওকে যে পরিমানে জ্বালাস কি জানি কি করবে।
কি বলিস,,,, কিস করে আসলাম আর ও এখন রাজি না হলে আমি তো পাগল হয়ে যাবো ভাই। কিছু তো একটা করতেই হবে। কি যে করি।।।।।
কি করবা আহান……..
কে
আমি…. চিনতে পারছো না।
ও নিরা….. ( আহানের ক্লাস ফ্রেন্ড…..আর আহান কে ভালবাসে কিন্তু আহান পাত্তা দেয় না)
কি করবা,,,,, আর কি সব ভাবছো???
কিছু না…..
বলো না…..
তোমার না জানলেও চলবে বুঝলা।
সেটা সময় বলবে। আর তুমি যে কেনো আমাকে ইগনোর করছো তা ও আমি জানতে পারবো। কার জন্য তুমি আমার থেকে দূরে থাকো। নলে চলে গেলো নিরা।
উপপ এই মেয়েটা ও না পারে বটে আমি বাচিনা আমার জ্বালায় আর ও আছে ওর উল্টো পাল্টা কাজ নিয়ে।
যাই বলিস তোর মার কিন্তু নিরাকে বেশ পচ্ছন্দ।
কি….
বলিসনি কেনো
মনে ছিলো না।
সে যাই হোক কিন্তু মিহু কে প্রপোজ করবো কি করবো না এটাই ভেবে কূল পাচ্ছি না।যদি বাড়ি বলে দেয়।
————————————-
—————————————
এ সব কি মিহি।তোর চিটিবাজ এখানেও। আই মিন…..
ইউ মিন কি। তখন থেকে আই মিন আই মিন করে যাচ্ছিস বলবি বাল একটা।
আসলে আই মিন এটা তোর আহান ভাইয়া না তো।
কি যে বলিস উনি হলে তো আমি নাচতে নাচতে গিয়ে ওনার কোলে উঠতাম।
কি তুই ভাইয়ার কোলে উঠবি।
হুম,,,,,,,, ভাইয়া হলে তো উঠতাম। কিন্তু উনি তো আমার দিকে ফিরেও তাকায় না।
যাই বলিস আমার কেমন কেমন লাগছে এটা আহান ভাইয়াই। মুচ্ছিস
আমাকে মিথ্যা শান্তনা দিস না। কষ্টে আমির বুক টা ফাটে যায়।
যাই হোক কিন্তু তুই বার বার টিস্যু দিয়ে ঠোঁট মুচ্ছিস কেনো…. কি হয়েছে দেখি
কই কিছু হয়নি,,,,,
না না দেখা…..
মিহির ঠোঁটের ওপর থেকে হাত সরিয়ে দেখে কামড়ের দাগ।
এটা কি মিহি তোর ঠোঁটে কামড়ের দাগ কেনো……
কই না তো। ও কিছু না,,,,,, অনেক দেরি হয়ে গেছে চল বাড়ি যাই মাঠের মাঝখানে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। মা টেনশন করবে। বলেই উঠে দাড়ালো।
পেছন থেকে কে যেনো মিহির মাথায় টোকা মারলো…..
কে রে….বলে পেছন ফিরতেই দেখে আহান।
আহান ভাইয়া আপনিনি…..
কেনো অন্য কাউকে আশা করছিলি নাকি।
না মানে,আসলে……
কি মানে মানে করছিস….. আর এখানে বসে কি করিস ছেলে দেখছিস নাকি……. আর তুই আমার সাথে দেখা করিসনি কেনো সকালে কলেজে এসে আমার তোকে খুজে বেড়াতে হলো তাও এই দুপুরে তোকে খুজে পেলাম,,,,,,, সত্যি কথা বল কি করছিলি। কোথায় ছিলি………..
(এমা ভাইয়া এমন ভাবে বলছে কেনো ভাইয়া কি আমার সেই রুমের ব্যাপারে জেনে গেলো। ওরে বাবা তা হলে তো আমি শেষ,,,,, মা কালই বিয়ে দিয়ে দিবে। ভাইয়ার সামমে আজ ঠান্ডা থাকলে চলবে না। )
কি হলো বল…….
হবে।
আমি এ কলেজের সিনিয়ার। আর তুই এখন থেকে কলেজে এসে আমাকে সালাম দিয়ে ক্লাস এ জাবি আর ক্লাস শেষ হলে আমার সাথে দেখা করে তাই যাবি।
এএএ আমার ঠ্যাকা পড়ছে আপনাকে সালাম করতে।
করবি না।
না।
খুব বেশি বাড় বেড়েছিস….. দাড়া তোর ব্যাবস্তা করছি।
কি কচু করবেন আপনি।
দেখিস কি করি।
দেখবানি……………..
আহান চলে গেলো। মিহি যেনো হাপ ছেড়ে বাচলো এই ছেলেটা শুধু জ্বালায় ভালো লাগে না।
———————-
——————————–
❤❤তুমি গল্প হয়েও গল্প নাতুমি সত্যি হয়েও কল্পনা ❤❤ জানো তোমার ওই চোখ দুটো আমায় কতটা টানে তোমার প্রতি,,, তুমি জানো না…. আমি সেই দিন এর অপেক্ষায় আছি যেদিন তোমার কোলে মাথা রেখে শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবো যেখানে থাকবে না কোনো বাধা…………. 🌺🌺
হায় আল্লাহ একটু বই পড়তে বসেছিলাম মায়ের বিয়ে বিয়ে কথা শুনবো না বলে নিজে থেকে পড়তে বসলাম আর এই টিঠিবাজ আমাকে এখনই চিঠি কেনো পাঠালো,,, ভেরি ব্যাড। আমার গ্রুপ,, তুলির গল্প নিবাস এডড হবেন আশা করি.. এটা ঠিক না আমার মোনোসংযোগ নষ্ট করা একদম ঠিক হয়নি……….. আমার ভাবনার ভেতর দরজায় টোকা পড়লো চিঠি টা লুকিয়ে দরজা খুলতেই দেখি মা আর আহান ভাইয়া দাড়িয়ে ।
কিন্তু এরা এখানে কেনো। আহান ঋাইয়া আমাদের বাড়ি কি করতে এসে।এ অসময় …………
এই সর তো দরজার সামনে হাবার মতো দাড়িয়ে আছে। আমাকে ঠেলে দুজনই রুমে ডুকলো।
কি হয়েছে মা তোমরা এখানে। মা দাতকেলিয়ে বললো কিছু হয়নি আহান তোকে কি দেবে দেখ।
আহান ভাইয়া প্যাকেট থেকে একটা কালো ফ্রেম এর বড় একটা চশমা বের করে আমার চোখে পরিয়ে দিলো।।
এটা কি হলো চোখতো ঠিক আছে তাহলে চশমা কেনো আর এমন দাদু মার্কা চশমা আমি পরবো না।
চুপ কর,,,, এটা পরেই প্রতি দিন কলেজে যাবি,,,,,,,, আর এই চশমা পরলে তোকে বুড়ি বুড়ি লাগবে ছেলেরা তাকাবে না।
এ্যা কাদো কাদো ফেস এ মায়ের দিক তাকিয়ে দেখি মা এখনও দাতকেলিয়ে দাড়িয়ে আছে।
মা এটা কি হলো,,,,,,,,,
ঠিক হয়েছে,,,,,,,, আমি তোর বিয়ের ব্যাপারে বলেছিলাম আহানকে যে তোর বিয়ে দিবো। কিন্তু তুই পড়তে চাস তাই আহান বললো তোর এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার দরকার নাই তোকে তোর দাদির মতো একটা চশমা পরিয়ে কলেজে পাঠালে ছেলেরা তাকাবে না আর আমিও চিন্তা মুক্ত।
আমার আইডিয়া টা কেমন খালামনি
আমার সোনা ছেলে,,,,, খুব ভালো। আমার আর মিহিকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
কিন্তু আমি এই চশমা পরবো না ব্যাস।
শোন এই চশমা না পরে কলেজে গেলে তোকে আমি বিয়ে দিবো ব্যাস বুঝলি। আমার অনেক কাজ আছে যাই। বলে মা চলে গেলো।
তাকিয়ে দেখি আহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
দেখে মন চাচ্ছে ওনার খোচা খোচা দাড়ি গুলো সান্না দিয়ে তুলে দি ফাজিল একটা।
হটাৎ আহান ভাইয়া….
.
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here