“কেয়া_পাতার_নৌকো পার্টঃ৩

গল্পঃ #কেয়া_পাতার_নৌকো
.
পার্টঃ৩
.

যদি পুরোনো খামে নতুন করে কোনো চিঠি আসে তবে তুমি ভুলে যেও না আমায়। কারণ আমি এখন যেমন তোমাকে ভালবাসি পরেও তেমনটাই ভালোবাসবো. ….শুভ সকাল মিহুপাখি❤❤❤❤
সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গতেই এই চিঠি টা পাওয়ায় বেশ বিরক্ত হয়ে গেছিলাম কিন্তু এই চিঠি টা পড়ে অতটাও খারাপ লাগেনি। এই চিঠি বাজ এর চিঠির প্রেমে পড়ে যাচ্ছি কেন এমন লুকোচুরি খেলছে কেনো। আর আমি তো আহান ভাইয়াকে ভালোবাসি তা হলে এই চিঠি বাজ এর চিঠির প্রেমে পড়ে যাচ্ছি এটা ঠিক না। কিন্তু আহান ভাইয়া তো আমার দিকে ফিরেও তাকায় না। আহান ভাইয়া প্রেম করলে বা বিয়ে করলে ছ্যাঁকা খাওয়ার পর ওই চিঠি বাজ কেই বিয়ে করে নিবো। ধ্যাত কি সব ভাবছি আজ ফাস্ট ডে ভার্সিটিতে….. এ সব না ভেবে রেডি হয়ে নেওয়াই ঠিক হবে।
——————————————–
——————————————–
উপপ মা এভাবে ঠেসে ঠেসে গালের ভেতর ভাত ঢোকাচ্ছ মনে হচ্ছে আমি এ জীবনের প্রথম বা খাচ্ছি আর এই ভাত গুলো না খেলে মারা যাবো…..
ওরে মিহি কথা বলিস কেনো,,, দিন দিন রোগা হয়েযাচ্ছিস বিয়ে দিতে হবে তো। বেশি বেশি করে খেয়ে মোটা হ বুঝলি।
ও দাদী তুমি আমার বিয়ে নিয়ে পড়লে সবে ভার্সিটি তে উঠলাম একটু লাইফ টা নিজের মত এনজয় করবো তা না।
ভুলকি বলেছে,, তোমার বিয়ে দেওয়া লাগবে নাতো কি। বড় হয়ে গেছিস, বিয়ে তো দিতেই হবে।তোর বাবাকে বলবো বিয়ের জন্য পাএ খুজতে….
মা কিসব বলো। আমি বিয়ে করবো না ব্যাস।
বলে রাগ করে চলে আসলাম….. আমাকে নাকি বিয়ে দিবে।
ও আমার মিহি রাগ করে না মা আর কিছুটা খেয়ে যা।
মা ডাকতে থাকুক আমি কথা বলবো না।
রুমে গিয়ে নিজের ব্যাগ বিয়ে বের হতেই অর্পার সাথে দেখা,,, এই ফাজিলের হাড্ডি মার্কা মেয়ের সাথে এখন কথা বলা ঠিক হবে না। পাশ কেটে চলে যেতেই ও বললো
আরে আপু এটা কি অবস্থা তোমার……
কেনো কি অবস্থা….
এটা কি পরেছো,,,,,, জিন্স প্যান্ট, লাল ক্ষয়রি কালারের লং জামা ওরনা গলায় পেচানো খোলা চুল, আর কাজল….
তো… কি হয়েচে তাতে,,,,
আরে প্রথম দিন ভার্সিটি যাচ্ছো একটু সাজবা গোর্জিয়াস জামা পরবা এতে ছেলেরা তোমাকে দেখবে তোমার প্রতি ইমপ্রেস হবে। আর তুমি সবার নজরে পড়বে বুঝলা।
ওই আমি ভার্সিটি পড়তে যাচ্ছি কোনো বিয়ে বাড়ি যাচ্ছি না আর তুই এই ইম্প্রেস এর ব্যাপারে কি বুঝিস রে। সব আমার সময় নেই তোর ফালতু কথা শোনার।
ও আপু আর একটা কথা শোনোনা
বল।
তোমার ভার্সিটি তে তো আহান ভাইয়া ও পড়ে তাইনা।
হুম তো।
এতো তো তো করো কেনো.. যতই হোক মাই ক্রাশ আহান ভাইয়া। তুমি একটু আমার হেল্প করতে পারবে। আহান ভাইয়াকে একটু পটিয়ে দিতে পারবে।
এই বদ মেয়ে বলে কি আমি নিজের জন্যই পটাতে পারলাম না ওনার জন্য নাকি আহান ভাইয়াকে পটিয়ে দিবো যতো দেশের বাজে কথা এর কাছে আছে মনটা চায় ফ্যানের সাথে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারি।
কি হলো আপু চুপ করে আছো কেনো।
এই তোর স্কুল নেই যা স্কুলে যা সব সামনে থেকে না হলে আমি কিন্তু ছোট মাকে ডাক দিলাম । ছোট মা কিন্তু রান্নাঘরে আছে।
তুমি না আপু আনরোমান্টিক
তুই যাবি।
যাচ্ছি বলে মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে চলে গেলো।
মন চাচ্ছে ওর ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দি।
——————————
—————————-
কিরে মৌ তুই তখন থেকে হা করে দাড়িয়ে আছিস কেন। এবার হা বন্ধ না হলে কিন্তু একটা লাথি মারবো।
তুই এসব কি শোনালি। ভাই এত ভালবাসা দিয়ে আমাকে কেউ দু লাইন লিখলে আমি তো পটে যেতান রে। আর তুই আহান ফাহান এর পেছনে পড়ে আছিস যে তোকে পাত্তা দেয় না।
কি বললি তুই। শোন আহান ভাইয়া সম্পর্কে একটাও বাজে কথা আমি মানবো না। তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড না অন্যকিছু
কেনো আমি কি করলাম।
আহান ভাইয়াকে নিয়ে পড়ে আছি মানেকি আর সে আমাকে পাত্তা দেয় না মানে কি।
সত্যি ই তো বললাম। সে তো তোকে…
ওইওই সত্য বাদী তুলসি পাতা সর সামনে থেকে। কৈ আমাকে একটু সাপোট দিবি তা না। বাল একটা সর কাছে আসবি না।কেনো যে তুই এই কলেজে চান্স পালি।
——————————
—————————–
আআআআ কে জানি মুখটা চেপে ধরে রেখেছে। এই রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম আর মৌকে বকা দিচ্ছিলাম….. এই মৌ টার ওপর ও বেশ রাগ হচ্ছে। বাল একটা সব সময় আমার মনোবল ভাঙে দেয়। ও নাকি আবার আমার বেস্ট ফ্রেন্ড …..
কিন্তু রুমটা এতই অন্ধকার যে হাত ও দেখা যাচ্ছে না। কে জানি মুখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে আমার ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট লাগিয়ে দিলো। এতো জোরেই চেপে ধরেছে যে আমি একটুও নড়তে পারছি না। আর চেচাতেপ পারছি না সে তার ঠোটের সাথে আমার ঠোঁট টা লাগিয়েছে তো লাগিয়েছে ছাড়ার নাম পর্যন্ত নিচ্ছে না। খুব ভয় করছে,,,,,, কিন্তু এই পারফিউম টা আমার চেনা লাগছে মনে হচ্ছে আহান ভাইয়াই আমাকে এভাবে ধরেছে। কিন্তু উনি তো আমার দিকে ফিরেই তাকায় না উপপপ। এই লোকটা কে।
কিছু সময় পর আমাকে ছেড়ে দিলো…. আর আমি চেচামেচি করছি কিন্তু কেউ আসছে না। একটু পরই দটজা টা খুলে গেলো বাইরে বের হয়েই দেখলাম একটা ভাজ করা কাগজ…. খুলতেই দেখলাম তাতে লেখা…
❤❤ভালবাসা যদি শস্যক্ষেত হয় তাহলে বিশ্বাস তার বিজ আর পরিচর্যা হলো তার আবেগ। মনে করো আমি সেই আবেগের বসেই আমি তোমার এতোটা কাছে এসেছি। আর বিশ্বাস করো অনেক বার নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। ও আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। না সাজলেই সুধু কাজলেই আমার মিহু পাখি কে অপ্রসির মতো লাগে ❤❤
এটা কি ছিলো। আমার মাথাটা আর বোধ হয় কাজ করবে না।আহান ভাইয়া এ কলেজে পড়ে আর এই চিঠিবাজ ও এই কলেজে পড়ে। আহান ভাইয়া জানতে পারলে তো দুনিয়া লয় করবে এবার আমি কি করবো।মন চাচ্ছে এখান থেকে ছুলে পালিয়ে যাই। মায়ের কথা মতো বিয়ে করেফেলি।
—————————————-
ভাই এটা তুই কি করলি মেয়েটাকে প্রথক দিনই…… ছোট মানুষ ভয় পেয়েছে হয়তো। আজকেই এমটা না করলেও পারতি….
উপপ থামবি সাওন। ও আমাকে পাগল করে দিচ্ছিলো জানিস আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা। ওর কথা ভেবে। কি করবো মনতো মানছিলো না। ভাবছি কি করে ওকে প্রপ্রোজ করবো। ও কি ভাবে নিবে যতই হোক ও আমার বোন। যদি বাসায় বলে দেয়। আমি তো সব সময় ওর সামনে এমন ভাবে থাকি ও কিছু বুঝতেই পারে না আমার অনুভূতি।
.
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here