“কেয়া_পাতার_নৌকো পার্টঃ২

গল্পঃ #কেয়া_পাতার_নৌকো
writing; Md Imran Hossan
পার্টঃ২
.

আমাকে কাগজ টা ফিরিয়ে দিন।
আরে দাড়া না,,, এতো জ্বালাস কেনো..
★★★
প্রিয়োসি তুমি কি জানো তোমার ওই মায়া মাখা মুখটি দেখার জন্য কতো বাহানা করি। তোমার অভিমানি রাগি রাগি মুখটা দেখতে আমার কতো ভালো লাগে। তোমার সাথে এমন লুকোচুরি করতেও ভিষণ একটা ভালোলাগা কাজ করে। মনে হয় প্রতি নিয়তো তোমার ওই দুচোখের অতলে আমি তলিয়ে যাচ্ছি………
আমার মিহু পাখি…… সবাই তোমাকে মনু বলে ডকে আর আমি তোমাকে আমার মিহু পাখি বলে ডাকবো★★★
বাহ বাহ এই সব ও করা হচ্ছে। খালি গায়ে নিজের রুমে বসে থাকিস আবার এই প্রেম পএ নিয়ে ঘুরছিস কি ব্যাপার। খালাম্মুকে কি তোর বিয়ের কথা ভাবতে বলবো…… দুই ভ্রু নাচিয়ে বললো
ভাইয়ার এই ভ্রু নাচিয়ে হালকা দুষ্টু হাসিময় মুখটাও ভীষন ভালো লাগছিলো….. যত বার দেখি ততবার নতুন করে তার প্রেমে পড়ি।
আমার ভাবনার ভেতর ভাইয়া হাত দিয়ে তুড়িবাজিয়ে বললো কিবে বিয়ের সপ্ন দেখছিস নাকি হুম……
ধ্যাত কি যে ভাবছি……….. …..আমার বিয়ে নিয়ে অতো টেনশন নাই বুঝলেন,,,,,,,, নিজে বুড়ো হচ্ছেন দেখেছেন যানতো নিজে বিয়ে করে বেড়ান…….
কি বললি…… আমি বুড়ো…. যানিস কলেজের মেয়েদের বাদ দিলাম ছেলেরা পর্যন্ত আমাকে দেখলে ক্রাশ খায় আর সবাই চকলেট বয় বলে বুঝলি ……….
হুম চকলেট বয় না গবর বয় বলে….. মুখভেঙ্গচিয়ে বললাম……
মারবো টেনে একটা থাপ্পর মাইরা ভুতের চ্চৌদ্দো ঠ্যাং দেখাই দিবো…… যা তো আমার জন্য চা নিয়ে যায়…..
পারবো না…….৷
কথায় কথায় পারবো না বলিস কেনো…. শোন দশ মিনিটের ভেতর চা নিয়ে বসবি আর তা না হলে সবাইকে বলবো প্রেম করে বেড়াচ্ছিস…….ও আর শোন তুই আজ শাড়ি পরিসনি কেনো…… শাড়ি পরে খোপা করে তার পর চা নিয়ে আসবি না হলে মনে আছে তো…. চিঠির ব্যাপার ফাস হয়ে যাবে
কিন্তু শাড়ি পরবো কেনো….. এটা কোন ধরনের কথা……
পরতে বলছি পরবি বুঝলি……
বলেই চলে গেলো একটু চোখ টিপ দিয়ে…….
উপপ এই ছেলেটাকে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারি না। কেনো যে আমার এমন হয়। যত দিন যাচ্ছে ভাইয়াকে ততো বেশি ভালোবেসে ফেলছি। না এটা ঠিক না। এটা তো”কেয়া পাতার নৌকৌ”র মতো…….যেমন কেয়ার পাতা দিয়ে নৌকা বানালে তা শিধুই খেলা করার পাএ হয়,,,, সেই নৌকা কোনো কাজের না,,,,,,,,, তেমন ই আহান ভাইয়াও আমার প্রতি কোনো ফিলিংক্স নেই। তবুও মনটা বড়ই বেহায়া কিছুগেই কথা শোনে না………..
****★★★★-************
উপপ মনু এটা কি চা না শরবত……….. ওয়াক থু
এটা কি কথা এই নিয়ে পাচ কাপ চা আনলাম তোমার হয় একবার বেশি গরম হয়ে যায় না হয় বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় আর তা না হলে চিনি কম, লিগার কড়া উহুু এতো কম্প্লেন না করে নিজে বানিয়ে যান না।
এই চুপ তোকে বলেছি তুই করবি। বুঝলি এখন যা তুই আমার পোড়া কপাল,,,,, এখন এই শরবত বনাম চাই খেতে হবে…….
আমিও মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে চলে আসলাম……. কি আর করবো দিন দিন এই মানুষটার মায়ায় খুব বাজেভাবে জড়িয়ে যাচ্ছি।
******★★★**********
ভাইয়ার বিয়েটা খুব ভালোভাবেই হয়ে গেলো। বাড়ি পুরো ফাকা তবে বহান ভাইয়া আর খালামনি আছে। তারা কিছু দিন পর যাবে। খালামনির বাসা আমাদের বাসার থেকে বেশি দূরে না। বাড়িতে কেউ নেই বললেই চলে ভাইয়া আর ভাবি আজ সকালে ভবির বাপের বাড়ি গিয়েছে। এই নতুন ভাবিও একদিন এসে জেনে গিয়েছে আমার নাম মনু আর আমি নিজের রুমে খালিগায়ে বসে থাকি। উপপ মনটা আমার তেজপাতা হয়ে যায় এই কথাগুলো শুনলে…………..
হটাৎ জানালা দিয়ে কি যেনো একটা রুমের ভেতর পড়লো। কেউ হয়তো কিছু ছুড়ে মেরেছে…
ওমা এটা তো একটা ভাজ করা কাগজ……… খুলে দেখি সেম হাতের লেখা…. তাতে লেখাছিলো……
তুমি কি চাও মিহুমনি আমি পাগল হয়ে যাই….. তুমি কি জানো তোমার অগোছালো শাড়ি আর ভাবলেশহীন ভাবে কাচা হাতে বাধা খোপা সাথে লেপ্টে যাওয়া কাজল আমাকে কতোটা টানে। যানো তোমার ওই ঘুম ঘুম চোখ দুটোও আমাকে খুববাজে ভাবে পাগল করে। এই ছোট ছোট অনুভূতি গুলো দিন দিন এতটা বাড়ছে তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। ★★★★
উপপ আমি আছি আমার জ্বালায় আর এই চিঠিবাজ আছে তার পাগলামিতে মঙ্গনো…….. ও আমার মা তুই কে ভাই…… একটু বলবি। তুই যে কে জানতে পারলেও হতো কারন আহান ভাইয়ার কাছ থেকে ছ্যাকা নমক যান্ত্রনা পেয়ে এই চিঠিবাজকেই বিয়ে করে নিবো….. কথা গুলো আমার দারুন লাগে। সে যেই হোক না কেনো……………. মিহি এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে না হেসে চিঠিটা লুকিয়ে ফেল……. না হলে আহান ভাইয়ের নজরে পড়লে এবার তোর কপালে দূরভোগ আছে।
এই এই কেরে…….
আমি আপু আমি…….
উপপ অর্পা তুই…. এভাবে চোরের মতো আমার রুমে আসলি কেনো……..
তোমার সাথে হোপন কথা আছে…….
কি কথা……
আমি কবিতা লিখছি…..
কি
হুম আহান ভাইয়াকে নিয়ে…..৷৷
কি লিখছিস…….
আমি তোমাকে পড়ো শোনচ্ছি……..
অর্পা দিগুণ উৎসাহ নিয়ে শুরু করলো…………..
তুমি আমার মনের মানুষ….. তোমার সাথে ফুচকা খাবো ঘাপুষ ঘুপুস….. তুমি আমার বর্ষার ছাতা আমি তোমার গায়ের খেতা……. তুমি আমার……
থাম থাম……. কাশতে কাতে বললাম…..
কি হলো আপু……….
কিছু না…. তুই এ সব কি লিখেছিস……
সুন্দর হয়েছে না বলো আপু………
এই সব বাদ দিয়ে বই পড়ায় মন দে ছাগল কোথাকার……
কেনো আপু আমি তো মনে করি আমার ভবিষ্যতে কবি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০তে ১০০%।আর তুমি তো সব টুক শুনলে না……
না পরে তুই যা ( তোর এই হাবলু মার্কা কবিতায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো আর শুনলে আমি মারা পড়বো)
এরই মাঝে হাসি মুখে মা আর খালামনি আমার রুমে ডুকলেন।।।।।
কি ব্যাপার তোরা দুবোন কি করিস……
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে অর্পা বললো আপুর কাছথেকে ম্যাথ পড়বো তাই কখন আসবো শুনতে আসছি…….
ওলে আমার এই ছোট মেয়েটা খুব লক্ষি……..
হুম ওর মতো ভালো মেয়ে আর হয়না……
অর্পা দাত কেলিয়ে বললো… আমি যাই আমাকে আবার পড়তে হনে সামনে এক্সাম…….
বাহ খুব ভালো এইটুকু বয়সে কতো পড়ায় মোনো যোগ…..
এই মা আর খালার কথা শুনে আমার যে কি হচ্ছে তা আর বলে বোঝাতে পারনো না……….আর এই মেয়েটাও কত ডং যে যানে।
শোন না মিহি….
বলো…….
তোর তো দুই তিন টা ভার্সিটিতে চান্স হইছে। আহান যে ভার্সিটিতেপড়ে ওই কলেজেও চান্স হইছে দেখলাম তাই তোর খালাম্মু আর আহন মিলে তোকে ওই ভার্সিটি তেই ভর্তি করবে বুঝলি এতে আহান তোকে অনেক হেল্প করতে পারবে………..
মা আর খালাম্মু আর কিছু সময় কথা বলে চলে গেলো….. আর আমার হৃৎস্পন্দন ঠক ঠক করছে। যাকে দেখতে চাই না তাকেই দেখতে হবে। আর আহান ভাইয়াও আছে তার কি দরকার ছিল আমাকে মাতব্বাবি করে তার কলেজে ভর্তি করতে।
.
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here