ক্রাশ ডাক্তার বউ পর্ব ৫+৬+৭

#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:5
সারা ওদের খাইয়ে দিতে শুরু করে। রোদ আর রোদ্রি ঘুরতে গিয়ে কি কি করবে ওসব বলছে তা শুনে সবাই হাসতে হাসতে শেষ।
.
রোদ্রি : ডেডা আজ আমালে আতক্রিম তিনে দিবে?
.
মাহিন : না আজ তোদের একটা মজার খাবার খাওয়াবো!
.
রোদ : তি থাবার ডেডা?
.
মাহিন : এখন বলা যাবে না সারপ্রাইজ!( ভাব নিয়ে )
.
রোদ্রি : আমালেও না?
.
মাহিন : না তোকেও না। ( ভাব নিয়ে )
.
রোদ্রি : নাগবে না তুমার থারপ্রাইজ!( মুখ ভেংচি দিয়ে )
.
রোদ্রির কথা শুনে সবাই হা হা করে হেসে দেয়।
.
হসপিটালে
সারার বাড়ির সবাই অনেক চেষ্টা করেছে হসপিটাল থেকে ওর এড্রেস নেওয়ার জন্য কিন্তু সারা হসপিটালে বলে গেছে ওর এড্রেস যেনো কাউকে না দেওয়া হয়।
.
আরফিন : কি রে আরাফ পেলি আপুর এড্রেস?
.
আরাফ : না আপু। আমার মনে হয় হসপিটালে সবাই কে তার এড্রেস দিতে বারন করে গেছে।
.
জারা : এখন আর আপুর এড্রেস খুঁজে কি হবে তাকে তার দুনিয়া শান্তিতে থাকতে দাও।( চোখ মুখ শক্ত করে )
.
নিশাত : আর কত কথা শুনাবি আমাকে? আমি তো না বুঝে ওকে…..
.
জারা : মাম্মা তুমি আপুর মা পুরো দুনিয়া আপুকে ভুল বুঝলেও তুমি কি করে ভুল‌ বুঝতে পারো? তুমি জানো না তোমার মেয়ে কেমন?
.
আরফিন : থাক এসব কথা এখন!
.
ঝুমুর : কিন্তু সারা সাথে ছেলেটা কে ছিলো? সারা কি বিয়ে করেছে?
.
আরফিন : এই তোমাদের এক দোষ সত্যি না জেনে নিজের মন ঘোরা কথা তৈরি করা।আর যদি বিয়ে করেও থাকে তাহলে বা কি? সারাজীবন মানুষ তো আর একবারে কাঁটায় না।যাই হোক আমি এখন এসব বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।জারা তুই আমার ভার্সিটিতে যাবি? তাহলে চল আমার আর এখানে থাকতে ভালো লাগছে না।
.
জারা : হ্যা চল আপু আমিও যাবো তোর সাথে!
.
আরফিন আর জারা কারো উত্তরের অপেক্ষা না করে ভার্সিটির জন্য বের হয়ে যায়।
.
খান বাড়ি
ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবাই চুপচাপ খাবার খাচ্ছে কেউ কোনো কথা বলছে না।নিলিমা হঠাৎ করে মাহির কে বলে উঠে।
.
মামনি : মাহির আমি তোর কাছে কিছু চাইবো দিবি তুই?
.
মাহির : এমন করে বলছো কেনো মামনি! বলো না তোমার কি চাই?
.
মামনি : আমি চাই আমার বাড়ির লক্ষী আবার বাড়ি ফিরে আসুক। আমার নাতি নাতনি এই খান বাড়ি মাথায় করে রাখুক।পারবি তুই আমার চাওয়া পূর্ণ করতে?
.
মাহির ভাবনায় পড়ে গেলো সারা কি কখনো ওকে ক্ষমা করবে?ক্ষমা করলেও কখনো ওর জীবনে ফিরে আসবে? নানান প্রশ্ন ওর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
.
মাহির : মামনি ও কি…..( আর বলতে না দিয়ে )
.
মামনি : তুই পারবি কি না তাই বল?
.
মাহির চোখ বন্ধ করে ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলে।
.
মাহির : কথা দিলাম মামনি ওকে আবার আমার জীবনের ফিরিয়ে আনবো। তোমার বাড়ি আবার আনন্দ উৎসবে ভরে উঠবে।( বলে উঠে চলে যায় )
.
মাহিরের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিলিমা আর শোহান স্থির নিঃশ্বাস ফেলে শোহান নিলিমা কে বলে।
.
বাবাই : চিন্তা করো না। তোমার ছেলে কখনো কথার খেলাপ করে নি। এবার আমাদের দুঃখের অবসান ঘটবে।
.
মামনি : তাই যেনো হয়।
.
এদিকে সারা রা সকাল থেকে অনেক জায়গায় ঘুরা ঘুরি করে। রোদ আর রোদ্রি আজ খুব খুশি। সারা বললো আজ অনেক ঘুরা ঘুরি করেছে রোদ রোদ্রি কে নিয়ে এবার বাড়ি যাওয়া দরকার। মাহিন বলে।
.
মাহিন : আপু ওদের আগে সারপ্রাইজ দিয়ে নি তারপর না যাবো!
.
সারা : তুই আবার কি সারপ্রাইজ দিবি?( ভ্রু কুঁচকে বললো )
.
মাহিন : চল না এত কথা বলছিস কেনো?
.
সারা আর কোনো কথা বলে না। কিছুক্ষণ পর গাড়ি গিয়ে ফুসকার দোকানের সামনে থামে। মাহিন ওদের গাড়ি থেকে নামতে বলে ও নেমে পড়ে। সারা বাচ্চাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে চারপাশে তাকিয়ে বলে।
.
সারা : এখানে কেনো আনলি?
.
মাহিন : কেনো আবার আমার রোদ আর রোদ্রি প্রথম বার বাংলাদেশে এসেছে ওদের যদি বাংলাদেশের বিখ্যাত ফুসকা না খাওয়াই তাহলে ওরা এটা মিস করবে।
.
সারা : হা হা হা তাই নাকি?( হেসে দিয়ে )
.
রোদ : মাম্মা ফুকা তি?
.
সারা : ফুকা না বাবা ফুসকা খুব মজার একটা খাবার।
.
রোদ : অহহহ….
.
রোদ্রি : ডেডা এই তুমার থারপ্রাইজ?( চোখ ছোট ছোট করে )
.
মাহিন : হ্যা মামনি। জানো ছেলেরা না কি তেমন ফুসকা খায় না কিন্তু আমি আর আমার এক বন্ধু কম্পিটিশন দিয়ে ফুসকা খেতাম।
.
সারা : এত বক বক না করে ফুসকা অর্ডার কর।আর পিচ্চি দুটো টায় ঝাল ছাড়া।
.
মাহিন : তোরা চেয়ার গুলোতে বস আমি অর্ডার করে আসছি।
.
মাহিন ফুসকা অর্ডার করতে চলে যায়। সারা রোদ আর রোদ্রি কে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। রোদ আর রোদ্রি তো কথার ঝুড়ি খুলে বসেছে। মাহিন ওদের পাশে বসে বলে ফুসকা দিতে দেরি হবে। সারা বসে থাকতে ভালো লাগছে না বলে উঠে আশেপাশে হাঁটা শুরু করে। মাহিনদের থেকে অনেকটা দূরে এগিয়ে এসেছে তা সারা খেয়াল করে নি। সারা আশেপাশের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত। একটা গাড়ি এসে সারার পাশে থামে সারা সেদিন না তাকিয়ে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে।কেউ একজন পিছন থেকে দৌড়ে সামনে এসে সারা কে জড়িয়ে ধরে। এতে সারা খানিকটা অবাক হয়ে তাকে নিজের থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে।
.
সারা : কে আপনি? আমাকে এইভাবে জড়িয়ে ধরেছে কেনো?
.
– কুত্তি আর একটা কথা বলবি তো থাবরাইয়া তোর দাঁত ফেলে দিমু।
.
সারা সামনের মানুষটাকে দেখে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
সারা : মিথিলা …..
.
মিথিলা : এই তুই আমারে ছার তোর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। ( সারা কে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে )
.
সারা : মিথু জানু সোনা আমার রাগ করিস না। আমি তোকে সব বলবো!
.
মিথিলা : এখন জানু সোনা। কোথায় ছিলি এতদিন? আমার কথা মনে পড়েনি তোর?এই এত বছরের বন্ধুত্ব আমাদের?( কাঁদো কাঁদো হয়ে )
.
সারা : তখন পরিস্থিতি এমন ছিলো আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তুই আর রাজ এখানে ছিলিস না। তোদের দুই ফ্যামিলির টুরে গেছিলো। আমি আর কিছু না ভেবে দেশ ছেড়ে চলে যাই।
.
মিথিলা : আমি আর রাজ প্রথমে মনে করেছি প্রেগন্যান্সির করানে তুই বাড়িতে আছিস আর তোর ফোনও বন্ধ ছিলো।পরে একদিন রাজ আর আমি শপিং থেকে ফেরার পথে মাহির ভাইয়ার সাথে দেখা তাকে তোর কথা জিজ্ঞেস করলে বলে সে জানে না।পরে রাজ জোর করায় সব বলে দেয় তোর সাথে ঠিক কি কি হয়েছে‌।পরে আমি আর রাজ ওখান থেকে রেগে চলে আসি তোকে অনেক জায়গায় খোঁজ করছি আমরা কিন্তু কোথাও পাইনি।ঐ ঘটনার এক বছর পর তোর দুই ফ্যামিলির আসে আমার আর রাজের কাছে আমরা তোর কোনো খবর জানি কি না। তখন রাজ ওদের বলে ও জানলেও কখনো ওদের বলবে না।
.
সারা : ওসব কথা ছাড়। এখন বল তুই আর রাজ বিয়ে করেছিস?
.
মিথিলা : না রে।
.
সারা : কেনো তোরা দুজন দুজনকে সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসিস তাহলে?
.
মিথিলা : আর বলিস না শয়তানটার কথা। শয়তানি ছাড়া আর কিছু পারে না।হারামিটা আরো এক বছর পর বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি বলেছি এক মাসের মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আমার পাশের বাড়ির ছেলের সাথে পালিয়ে যাবো।তাই সে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। পনের দিন পর বিয়ে। তুই তো জানিস আমার স্বপ্ন ছিলো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করার তাই আমার স্বপ্ন পূরন করতে কক্সবাজার ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্লান করা হয়েছে। শোন আমি কোনো কথা শুনতে চাই না তুই কাল আমার সাথে কক্সবাজার যাবি।আর রাজ তোকে দেখে পাগল হয়ে যাবে।
.
সারা : তাই বলে কালকেই?( চিন্তিত হয়ে )
.
মিথিলা : শাকচুন্নী তোকে তো আমি….. এই এক মিনিট এক মিনিট তোর আর আমার বেবি কই?( ভ্রু কুঁচকে )
.
সারা : জানু বেবি নয় বেবিস।( মুচকি হেসে )
.
মিথিলা : মানে?( অবাক হয়ে )
.
সারা : আমার টুইট বাচ্চা হাদি কোথাকার!
.
মিথিলা : ও মাই গড সারু। কোথায় ওরা?( খুব খুশি হয়ে। )
.
সারা : চুন্নী শোন ওদের সামনে আবার আমাকে পচানো শুরু করে দিস না।
.
মিথিলা : না না ওদের কি বলতে পারি ওদের মা কত বড় কুত্তি।( মিটমিট করে হেসে )
.
সারা : তুই কি বললি?( রেগে তাকালো )
.
মিথিলা : কিছু না জানু তোর প্রশংসা করলাম। এখন চল।( সারার হাত ধরে হাঁটা দেয় )
#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:6
মাহিন ফুসকা অর্ডার করতে চলে যায়। সারা রোদ আর রোদ্রি কে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। রোদ আর রোদ্রি তো কথার ঝুড়ি খুলে বসেছে। মাহিন ওদের পাশে বসে বলে ফুসকা দিতে দেরি হবে। সারা বসে থাকতে ভালো লাগছে না বলে উঠে আশেপাশে হাঁটা শুরু করে। মাহিনদের থেকে অনেকটা দূরে এগিয়ে এসেছে তা সারা খেয়াল করে নি। সারা আশেপাশের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত। একটা গাড়ি এসে সারার পাশে থামে সারা সেদিন না তাকিয়ে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে।কেউ একজন পিছন থেকে দৌড়ে সামনে এসে সারা কে জড়িয়ে ধরে। এতে সারা খানিকটা অবাক হয়ে তাকে নিজের থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে।
.
সারা : কে আপনি? আমাকে এইভাবে জড়িয়ে ধরেছে কেনো?
.
– কুত্তি আর একটা কথা বলবি তো থাবরাইয়া তোর দাঁত ফেলে দিমু।
.
সারা সামনের মানুষটাকে দেখে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
সারা : মিথিলা …..
.
মিথিলা : এই তুই আমারে ছার তোর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। ( সারা কে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে )
.
সারা : মিথু জানু সোনা আমার রাগ করিস না। আমি তোকে সব বলবো!
.
মিথিলা : এখন জানু সোনা। কোথায় ছিলি এতদিন? আমার কথা মনে পড়েনি তোর?এই এত বছরের বন্ধুত্ব আমাদের?( কাঁদো কাঁদো হয়ে )
.
সারা : তখন পরিস্থিতি এমন ছিলো আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তুই আর রাজ এখানে ছিলিস না। তোদের দুই ফ্যামিলির টুরে গেছিলো। আমি আর কিছু না ভেবে দেশ ছেড়ে চলে যাই।
.
মিথিলা : আমি আর রাজ প্রথমে মনে করেছি প্রেগন্যান্সির করানে তুই বাড়িতে আছিস আর তোর ফোনও বন্ধ ছিলো।পরে একদিন রাজ আর আমি শপিং থেকে ফেরার পথে মাহির ভাইয়ার সাথে দেখা তাকে তোর কথা জিজ্ঞেস করলে বলে সে জানে না।পরে রাজ জোর করায় সব বলে দেয় তোর সাথে ঠিক কি কি হয়েছে‌।পরে আমি আর রাজ ওখান থেকে রেগে চলে আসি তোকে অনেক জায়গায় খোঁজ করছি আমরা কিন্তু কোথাও পাইনি।ঐ ঘটনার এক বছর পর তোর দুই ফ্যামিলির আসে আমার আর রাজের কাছে আমরা তোর কোনো খবর জানি কি না। তখন রাজ ওদের বলে ও জানলেও কখনো ওদের বলবে না।
.
সারা : ওসব কথা ছাড়। এখন বল তুই আর রাজ বিয়ে করেছিস?
.
মিথিলা : না রে।
.
সারা : কেনো তোরা দুজন দুজনকে সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসিস তাহলে?
.
মিথিলা : আর বলিস না শয়তানটার কথা। শয়তানি ছাড়া আর কিছু পারে না।হারামিটা আরো এক বছর পর বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি বলেছি এক মাসের মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আমার পাশের বাড়ির ছেলের সাথে পালিয়ে যাবো।তাই সে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। পনের দিন পর বিয়ে। তুই তো জানিস আমার স্বপ্ন ছিলো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করার তাই আমার স্বপ্ন পূরন করতে কক্সবাজার ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্লান করা হয়েছে। শোন আমি কোনো কথা শুনতে চাই না তুই কাল আমার সাথে কক্সবাজার যাবি।আর রাজ তোকে দেখে পাগল হয়ে যাবে।
.
সারা : তাই বলে কালকেই?( চিন্তিত হয়ে )
.
মিথিলা : শাকচুন্নী তোকে তো আমি….. এই এক মিনিট এক মিনিট তোর আর আমার বেবি কই?( ভ্রু কুঁচকে )
.
সারা : জানু বেবি নয় বেবিস।( মুচকি হেসে )
.
মিথিলা : মানে?( অবাক হয়ে )
.
সারা : আমার টুইট বাচ্চা হাদি কোথাকার!
.
মিথিলা : ও মাই গড সারু। কোথায় ওরা?( খুব খুশি হয়ে। )
.
সারা : চুন্নী শোন ওদের সামনে আবার আমাকে পচানো শুরু করে দিস না।
.
মিথিলা : না না ওদের কি বলতে পারি ওদের মা কত বড় কুত্তি।( মিটমিট করে হেসে )
.
সারা : তুই কি বললি?( রেগে তাকালো )
.
মিথিলা : কিছু না জানু তোর প্রশংসা করলাম। এখন চল।( সারার হাত ধরে হাঁটা দেয় )
.
সারা আর মিথিলা মাহিনদের ওখানে যায়। সারা মিথিলার সাথে মাহিন এর পরিচয় করিয়ে দেয়। রোদ আর রোদ্রি তো ওদের খালামনি কে পেয়ে খুশি দেখে কে।ওরা সবাই মিলে মজা করে একসাথে ফুসকা খায়। সারা এখন ওর বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ফিরবে বলে মিথিলা কে বলে।
.
সারা : তোরা তো কাল সকাল সকাল বেরিয়ে পড়বি কক্সবাজারে উদ্দেশ্যে তাই না?
.
মিথিলা : আমরা মানে তুই ও যাবি!
.
সারা : শোন সোনা আমার কথায় রাগ করিস না। তোরা কাল সকালে বেরিয়ে যা। কাল সকালে আমার একটা কাজ আছে।আমি না হয় বিকালের ফ্লাইটে কক্সবাজার যাবো।
.
মিথিলা : কিন্তু….( কথা থামিয়ে )
.
সারা : প্লিজ!
.
মিথিলা : ওকে। কিন্তু কাল রাতে মধ্যে যদি আমি তোকে আমার সামনে না পাই। দেখে নিস আমি তোর কি অবস্থা করি।
.
সারা : ওকে মেরি মা!( হেসে দিয়ে )
.
মিথিলা : রোদ,রোদ্রি আমি এখন যাই কেমন। কালকে তো আবার দেখা হবে তাই না।( দুজনকে আদর করে )
.
রোদ,রোদ্রি : আথা থালামনি।
.
সারা মিথিলার থেকে বিদায় নিয়ে ওরা বাড়ি ফিরে। সন্ধ্যার পর রোদ আর রোদ্রি সারাদিন কি কি করছে তা দাদু ভাই আর দিদা কে গল্প করে শোনাচ্ছে।ওরা কথা বলতে বলতে কখন যে রাতে খাবার সময় হয়ে গেছে কেউ খেয়ালই করেনি। সারা সবাইকে ঢেকে নিয়ে যায় খাবার টেবিলে।সবাই খাওয়া দাওয়া করে যে যার রুমে চলে যায়। সারা রোদ আর রোদ্রি কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ওদের পাশ থেকে উঠে ওদের গায়ে চাদর দিয়ে বারান্দায় চলে আসে। সারা ছোট নিঃশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে একা একা বলতে থাকে।
.
সারা : আমার মনে হচ্ছে তুমি আমার আশেপাশে আছো মাহির। আবার সেই আগের মত অনুভূতি তুমি আমার আশেপাশে থাকলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। কিন্তু কোথায় তুমি?
.
সারা দৈর্ঘ্য শ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে ওর খুব প্রিয় একটা গান গাইতে শুরু করে।
.
🎵মম জিবনও যৌবনও,
মম আঁখিলো ভবনও, তুমি ভরিবে গৌরবে।
নিশি দিনের সময়,
“তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মম,
তুমি রবে নিরবে নিবিড় ও নিভিত পূর্নিমায় 🎶
নিশি দিনের সময়,
“তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মম “তুমি রবে নিরবে,🎶

জাগিবে কাগি, তব করুন ও আখিঁ। তব অন্ঞ্চল ও ছায়ায়, মোরে এএ রহিবে ঠাকি 🎶(২)

মম দুঃখ বেদন ও মম সপল ও সভন ও, তুমি ভরিবে সৌরভে, নিশি দিনে এসময়।🎶

“তুমি রবে নিরবে হ্নদয়ে মম, তুমি রবে নিরবে নিবিড় ও নিভিত পূর্নিমায়।
নিশি দিনে এসময় “তুমি রবে নিরবে ”
হুহুহ🎶
তুমি রবে নিরবে 🎶🎵
.
সারা গান শেষ করে ওর আর মাহিরের সাথে কাটানো মূহুর্তগুলো মনে করতে থাকে।
.
.
.
অতীত 🍁
সারার বৌ ভাতের দিন সারা কে আর মাহির কে নিতে সারাদের বাড়ি থেকে লোক এসেছে। মাহির তাদের জানিয়ে দেয় ওরা এখন যেতে পারবে না কিছুদিন পর যাবে। সারা কিছুটা কষ্ট পেলেও তা প্রকাশ করে না। মাহির ঠিকই বুঝতে পারে সারা কষ্ট পেয়েছে। রাতে ঘুমানোর সময় সারা মাহিরের উল্টো দিকে ঘুরে ঘুমিয়ে থাকে। মাহির এক টান দিয়ে সারা কে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে। সারা মাহিরের থেকে নিজেকে ছাড়াতে চাইলে মাহির সারা কে বলে।
.
মাহির : বউ আমি জানি তুমি আমার কথায় কষ্ট পেয়েছো। আমি যা করছি তোমার ভালোর জন্য করছি।
.
সারা : ( মনে মনে ভালো না ছাই জানা আছে আমার। )
.
মাহির : কাল তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে!
.
সারা মাহিরের বুক থেকে মাথা তুলে মাহিরে দিকে তাকিয়ে বলে।
.
সারা : কি সারপ্রাইজ?
.
মাহির : তা কাল সকালে ই দেখো।
.
মাহির সারা কপালে একটা চুমু দিয়ে ঘুমতে বলে। সারা আর কথা না বাড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মাহির সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সারা কে তাড়া দিয়ে রেডী করিয়ে ব্রেকফাস্ট করে ওকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে যায়। সারা গাড়িতে অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছে ওরা কোথায় যাচ্ছে কিন্তু মাহির কিছু বলেনি। মাহির সারা কে কোচিং এ ভর্তি করিয়ে দেয় মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য। ওখান থেকে বেরিয়ে এসে সারা ঝড়ের গতিতে মাহির কে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
সারা : থ্যাংক ইউ।থ্যাংক ইউ সো মাচ।আজ আমি খুব খুশি আমার স্বপ্ন পূরন হতে যাচ্ছে।
.
মাহির ওর বউ পাগলামি দেখে মুচকি হেসে সারা কে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
মাহির : আমার থ্যাংক ইউ চাই না। আমার অন্য কিছু চাই।
.
সারা মাহির কে ছাড়িয়ে নিয়ে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করে।
.
সারা : কি চাই আপনার?
.
মাহির : এখন থেকে আমাকে তুমি করে বলবে।পারবে?
.
সারা : ( মনে মনে ইশ আমার তো লজ্জা করে। )
.
মাহির : কি হলো বলো।
.
সারা মাথা নেড়ে হ্যা বলে। মাহির হেসে দিয়ে সারা কে জড়িয়ে ধরে।
.
মাহির সারা কে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে সারা ফুসকার দোকান দেখে মাহির কে গাড়ি থামাতে বলে। মাহির গাড়ি থামিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করবে তার আগে সারা গাড়ি থেকে নেমে পড়ে। মাহির তাকিয়ে দেখে সারা ফুসকার দোকানের সামনে। মাহির গাড়ি থেকে নেমে রেগে সারা কে কিছু বলতে যাবে কিন্তু সারার হাসি মুখ দেখে মাহির আর কিছু বলতে পারে না। সারা ফুসকা খেতে খেতে মাহির কে ফুচকা খেতে বলে কিন্তু মাহির খাবে না বলে। সারা আর কিছু না ভেবে মাহিরে মুখে ফুসকা ঢুকিয়ে দেয়। মাহির ফুসকা খেয়ে ঝালে বাঁদরের মত লাফালাফি শুরু করে দেয়। সারা মাহিরের অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ। সারা ওর বেগ থেকে চকলেট বের পুরোটা মাহিরের মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে আবার হাসতে শুরু করে।
.
.
.
বর্তমানে 🍁
সারার চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে।
.
সারা : জানো মাহির আমি আমার সবটা দিয়ে তোমাকে ভালোবাসে ছিলাম।আর এখন আমি আমার সবটা দিয়ে তোমাকে ঘৃণা করি।আই জাস্ট হেট ইউ।
.
দূর থেকে দুটো চোখ সারা কে দেখে চোখের জল ফেলছে।সে আর কেউ নয় মাহির। মাহির ওর মামনি কথা দিয়ে লোক লাগায় সারা কোথায় থাকে কি করে সব জানার জন্য। কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়ে ছুটে আসে এখানে এক নজর সারা কে দেখার জন্য। সারা রুমে চলে গেলে মাহির চোখ মুছে বলে।
.
মাহির : যা শাস্তি দেওয়ার আমার পাশে থেকে দেবে। আমার থেকে তোমাকে আর আলাদা করছি না। খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে আসছি আমি।
.
খান বাড়িতে
রাত বারোটা বাজে নিলিমা আর শোহান হল রুমে বসে আছে মাহিরের জন্য। এখনো মাহির বাড়িতে ফিরে নি। কিছুক্ষণ পর মাহিরের গাড়ির শব্দ শোনা যায়। মাহির হল রুমে এসে দেখে ওর মামনি আর বাবাই বসে আছে মাহির সোজা গিয়ে তাদের সামনে ফ্লোরে বসে তাদের হাত ধরে বলে।
.
মাহির : তোমরা কি চাও আমি আবার সারা কে আমার জীবনে ফিরিয়ে আনি?
.
মাহিরের এমন কথায় দুজনেই চমকে যায় তারপরও নিজেদের সামলে বলে।
.
মামনি : হ্যা চাই আমাদের বাড়ির লক্ষী আবার এই বাড়িতে ফিরে আসুক।
.
মাহির : তাহলে তোমাদের আমাকে সাহায্য করতে হবে।
.
বাবাই : সারা যদি এই বাড়িতে ফিরে আসে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এখন বল কি করতে হবে?
.
মাহির : তোমার আর সারা বাবার বিজনেস পার্টনার নিলয়ের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে আমাদের পরিবার আর সারাদের পরিবারের সবাইকে ইনভাইট করছে। আমি চাই আমরা সবাই ওখানে যাবো।
.
বাবাই : কিন্তু….( কথা থামিয়ে )
.
মাহির : ছোট পাপা অসুস্থ সে না হয় কিছুদিন পর যাবে।
.
মামনি : কিন্তু কেনো?
.
মাহির : নিলয় আঙ্কেলের ছেলে আর যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তারা দুজন সারার দুই বেস্ট ফ্রেন্ডে। কাল সারা ওদের ওখানে মানে কক্সবাজার যাবে।এটা শেষ সুযোগ মামনি এই বিয়ের মধ্যে আমি যদি সারার রাগ না ভাঙতে পারি তাহলে সব আশা শেষ হয়ে যাবে। এমনকি সারা ইউকে যাবার টিকেট পর্যন্ত কেটে ফেলছে।( কান্না করে )
.
বাবাই : ঠিক আছে কাল আমরা যাবো নিলয়ের সাথে কক্সবাজার।
.
মামনি : এখন কান্না বন্ধ কর।( চোখ মুছে দিয়ে )
.
মাহির : ( মনে মনে তৈরি হয়ে নেও জান। তোমার লুচ্চা, নির্লজ্জ,রোমান্টিক মাহির আবার ফিরে আসছে তোমার কাছে। তোমার সব অভিমান ভাঙাতে আসছি আমি। )

To#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:7
মাহির : ( মনে মনে তৈরি হয়ে নেও জান। তোমার লুচ্চা, নির্লজ্জ,রোমান্টিক মাহির আবার ফিরে আসছে তোমার কাছে। তোমার সব অভিমান ভাঙাতে আসছি আমি। )
.
পরেরদিন মাহির,মাহি ওদের বাবা-মা জারা আরফিন আরাফ এরা সবাই মিথিলাদের সাথে কক্সবাজার যায়। মাহির অনেক রিকোয়েস্ট করে মিথিলা আর রাজ কে যেনো এখনি সারা কে কিছু না বলে তাহলে ও আর কক্সবাজার আসবে না।ওরা মেনে নিয়ে মাহির কে শেষ একটা সুযোগ দেয়। সারার বাবা মা ছোট মাম্মা এরা সবাই সারার ছোট পাপা সুস্থ হলে পরে আসবে। এদিকে সারা কাজ সেরে নিয়ে রেডী হয়ে নেয়। মাহিন সারার সাথে যেতে চেয়েছিল কিন্তু সারা বারন করেছে কারণ মাহিন আর ওর বাবার একটা বিজনেস মিটিং আছে। সারা চায় না ওর জন্য ওদের বিজনেসর কোনো ক্ষতি হক।তাই মাহিন দুই দিন পর কক্সবাজার যাবে। মাহিন বিকালে সারা কে airport পৌঁছে দিয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা কক্সবাজার পৌঁছে যায়। সারা কে নিতে রাজ আসতে চেয়েছিল কিন্তু হঠাৎ করে কাজ পড়ে যাওয়ার কারণে ওর আসতে পারে নি।রাজ গাড়ি পাঠিয়ে দেয় সারার জন্য। airport থেকে রিসোর্ট বেশি দূরে না হওয়ায় সন্ধ্যার পর ই পৌঁছে যায় সারা।ড্রাইভারকে সারা ওর ট্রলি নিয়ে আসতে বলে রোদ আর রোদ্রি কে কোলে নিয়ে পা বাড়ায় রিপোর্টের ভিতরে। সারা একটু এগিয়ে দেখে মিথিলা বাগানে দাঁড়িয়ে ফোনে কার সাথে কথা বলছে। রোদ আর রোদ্রি সারার কোল থেকে নেমে গুটি গুটি পায়ে দৌড়ে গিয়ে মিথিলা কে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
রোদ,রোদ্রি : থালামনি।
.
মিথিলা ফোন কেটে হাসি মুখে ওদের কোলে নিয়ে বলে।
.
মিথিলা : আরে আমার সোনারা তোমরা এসে গেছো। তোমাদের আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো?
.
রোদ : না থালামনি মাম্মা থিলো তো থাতে!
.
সারা ওদের কাছে এসে বলে
.
সারা : কি করে তুই এখানে কি করছিস?আর তোর বরটা কোথায়?
.
মিথিলা : সামনে ই আছে চল।তোর উপর খুব রেগে আছে।
.
সারা মিথিলার কথা শুনে একটা হাসি দিয়ে ওর সাথে রিসোর্টে গেলে কোথা থেকে কেউ একজন এসে সারা কে কোলে নিয়ে চারদিকে ঘুরানো শুরু করে দেয়। মিথিলা, রোদ আর রোদ্রি তো খিলখিল করে হেসে দেয়। সারা চিৎকার করে বলে।
.
সারা : রাজের বাচ্চা ছাড় আমাকে। আমার মাথা ঘুরতেছে।( রাজ কে কিল ঘুষি মারতে মারতে )
.
রাজ : এটা তোর শাস্তি এত বছর আমাদের থেকে দূরে থাকার।( জোরে ঘুরানো শুরু করে )
.
সারা : শয়তান ছাড় আমাকে। ভালো হচ্ছে না কিন্তু।ছাড় বলছি। ( রাজের চুল টানতে টানতে বললো )
.
রাজ : ও মমমমা গেলাম রে চুল ছাড় আমি তোকে নামিয়ে দিচ্ছি।( সারা রাজের চুল ছেড়ে দিলে রাজ সারা কে নামিয়ে দেয় )
.
রাজ : তুই এখনো আগের মত আমার উপরে অত্যাচার করিস।( কাঁদো কাঁদো হয়ে )
.
সারা : আর তুই আগের মত শয়তান আছিস।( হেসে দিয়ে )
.
রাজ : এরজন্যই জানু‌ তোরে এতগুলো লাভ করি।তোর মত কেউ আমারে বোঝে না।তোর জন্য এই বুকটা ( বুকে হাত দিয়ে ) খা খা করছিল এতদিন।আয় জানু আমার বুকে আয়।( মজা করে বললো )
.
সারা তেরে গিয়ে রাজকে মারতে মারতে বলে।
.
সারা : তোর লজ্জা করে না দুই বাচ্চার মা উপর লাইন মারতে।
.
রাজ : জানু তুই একশো বাচ্চার মা হলেও আমি তোর উপর লাইন মারবো এতে কোনো ভুল নেই।( হেসে দিয়ে )
.
সারা : মিথিলা শোন তোকে এই লুচ্চাটাকে বিয়ে করতে হবে না। আমি তোর জন্য পাত্র ঠিক দেখবো।
.
রাজ : জানু তুই আমাকে লুচ্চা বলতে পারলি।( কাঁদো কাঁদো হয়ে )
.
সারা : হইছে আর ঢং করতে হবে না। আমি জানি তুই কেমন।( ভেংচি দিয়ে )
.
রাজ : জানু আমাদের বেবিরা কই?
.
মিথিলা : এইতো আমার কোলে ই আছে।
.
রাজ : মাশআল্লাহ! সারা বেবি দুটো একদম তোর মত হয়েছে।( রোদ আর রোদ্রি কে কোলে নিয়ে )
.
সারা : আমার বাবুরা আমার মত হবে না তো কি তোর মত হবে।( হেসে দিয়ে )
.
রোদ্রি : মাম্মা এই লোতা তে?( রাজ কে দেখিয়ে )
.
সারা : ওর তোমাদের মামা প্লাজ আঙ্কেল হয় এবার তোমরা ঠিক করে নেও ওকে কি ডাকবে?
.
রাজ : আমি বলি?
.
সারা : বল!
.
রাজ : আমাকে বাবাই আর মিথিলা কে মামনি বলে ডাকিস তাহলে হবে।আর খালামনি ডাকতে হবে না।
.
মিথিলা : হ্যা এটাই ঠিক হবে!
.
সারা : তোরা যা মনে চায় তাই কর।( হেসে দিয়ে )
.
– বউ
.
কেউ একজন বউ বলে ডাক দেয় সারা কে। চিরচেনা কন্ঠ শুনে থমকে দাঁড়ায় সারা।ধীর পায়ে পিছন ঘুরে দেখে তার প্রিয় মানুষটি দাঁড়িয়ে আছে। সেদিন হসপিটালে ভালো করে খেয়াল করে নি সারা। আগে তুলনায় মাহির অনেক শুকিয়ে গেছে, চোখে আগের মত মায়া নেই, চুলগুলো রুক্ষ শুষ্ক হয়ে গেছে এখন আগের মত স্টাইল ও করে না। হঠাৎ করে মাহির এক কদম এগিয়ে আসলে সারা কল্পনার জগত থেকে বেরিয়ে এসে মাহিরের থেকে দুই পা পিছলে যায়। নিজেকে শক্ত হয়ে মাহিরের পিছনে তাকিয়ে দেখে মাহিরের বাড়ির আর সারাদের বাড়ির লোকগুলো মাহিরের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। সারা রক্ত চোখ রাজ আর মিথিলার দিকে তাকায়।রাজ আর মিথিলা সারার চোখ দেখে ভয় পেয়ে যায়। সারা ভাবছে রাজ আর মিথিলা ওকে মিথ্যা বলে এখানে এনেছে। সারা দূত পায়ে রাজের কোল থেকে রোদ আর রোদ্রি কে কোলে নিয়ে রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে মিথিলা সারা হাত ধরে বলে।
.
মিথিলা : সারা আমার কথা শোন প্লিজ তুই আমাকে ভুল বুঝছিস। আমি আর রাজ এসবের কিছু জানতাম না।আজ সকালে এসব জানতে পারি।তোর বাবা আর মাহিরের বাবা আমার আর রাজের বাবার বিজনেস পার্টনার তাই আমাদের বিয়ে উপলক্ষে ওদের ইনভাইট করছে।
.
সারা : ঠিক আছে তোরা বিয়ে ইনজয় কর।আসছি আমি।( কৃত্রিম হাসি দিয়ে )
.
রাজ : আসছি মানে?( অবাক হয়ে )
.
সারা : আজ রাতেই ঢাকা বেক করবো তাই।
.
মিথিলা : তুই কোথাও যাবি না।
.
সারা : তুই সব জেনেও….( আর বলতে পারে না )
.
এরমধ্যে রাজ আর মিথিলা পরিবারের সবাই এখানে চলে আসে। রাজের মা আর মিথিলার মা সারা কে দেখে সারা কে জড়িয়ে ধরে রোদ আর রোদ্রি কে কোলে নিয়ে বলে।
.
রাজের মা : সারা মামনি আমাদের সোনামনিদের দেখতে তো খুব মিষ্টি।কি নাম রেখেছিস ওদের।
.
সারা : রোদ আর রোদ্রি।
.
মিথিলার মা : এই নাম দুটো ওদের জন্য একদম পারফেক্ট।
.
মিথিলা সারা কানে কানে বলে।
.
মিথিলা : তুই যদি আমাদের বিয়েতে উপস্থিত না থাকিস তাহলে তোর সাথে বন্ধুত্ব শেষ।
.
সারা কি করবে ভেবে পায়না একটা মানুষের জন্য এতগুলো মানুষকে তো আর কষ্ট দেওয়া যায় না।তাই সারা ঠিক করে ও যাবে না এখন থেকে। সারা কিছুক্ষণ ওদের সাথে কথা বলে রাজ কে বলে ওর রুম দেখিয়ে দিতে।রাজ সারার রুম দেখিয়ে দিয়ে চলে যায়। সারা ফ্রেশ হয়ে রোদ আর রোদ্রি কে ফ্রেশ করিয়ে ডিনার করে নেয় তিন জন একসাথে। সারা রোদ আর রোদ্রি কে গল্প করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সারা ভাবছে কি করে মাহিরের সামনে শক্ত থাকা যায়।সারার ভাবনা ছেদ করে দরজা নক করার শব্দে। সারা উঠে রোদ আর রোদ্রি কে ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে দরজা খুলে মেজাস বিগড়ে যায় সারার। মাহির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
.
সারা : কি চাই?( ঝাঁঝালো কন্ঠে )
.
মাহির : তোমার কাছে একটা অনুরোধ আছে বউ!
.
সারা : বউ? ( তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে )

To be continue…🍁 be continue…🍁
To be continue…🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here