চাতকের_তৃষ্ণা_তুমুল_বর্ষা পর্ব ৫

#চাতকের_তৃষ্ণা_তুমুল_বর্ষা-৫
১৮+

দেখতে দেখতে এইচএসসি দিলাম। রেজাল্টও এসে গেলো। এ প্লাস। এমনকী চতুর্থ বিষয়েও এ প্লাস পেয়েছি। এস এস সির রেজাল্টে ভাবা সারা পাড়ায় মিষ্টি বিলিয়েছিল, এবার বড়চাচা আনন্দে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন। মা অনেকটা সহজ হয়েছে আমার সাথে। রেজাল্ট ভালো হওয়াতে আমাকে আদর করে বুকে নিলো অনেকদিন পর। আমি মায়ের কোলে শুয়ে আদর নিতে থাকলাম। মা কপালে গুণে গুণে একশোটা চুমু দিলো। এতো এতো আদর করে বললো ‘ছুটি, চলনা ডাক্তার দেখাই তোকে।’

‘ডাক্তার কেন মা? আমার কী হয়েছে?’

‘যে মেয়ে এতো ভালো রেজাল্ট করে, সে নিশ্চয়ই বোকা না। কিছু একটা ঝামেলা আছে। মনের ভিতর কোথাও একটা জটিলতা আছে। চল ডাক্তারের কাছে যাই। সব ঠিক হয়ে যাবে।’

‘সাইক্রিয়াটিস্টের কথা বলছ, মা? আমি কি পাগল?’

‘পাগল কেন হবি? পাগল হলেই কি সবাই ডাক্তারের কাছে যায়? তুই আমার এতো বুদ্ধিমান মেয়ে, তুই কখনোই পাগল না।’

‘তবে? আমি কেন যাব?’

‘এই বয়সটা খুব খারাপ। নানারকম ফ্যান্টাসিতে ভরপুর মন। স্বপ্নের দুনিয়ায় থাকে। সিনেমার মতো লাগে সবকিছু। মন ছটফট করে একজনের জন্য। শুধু মনে হয় সে ছাড়া কেউ নেই পৃথিবীতে। সে ছাড়া কাউকে ভাল লাগে না। খেতে, ঘুমাতে কিছু ভালো লাগে না। কারো ভালো উপদেশও ভালো লাগে না।’

‘হ্যাঁ, ঠিক বলেছ মা। আমারও এরকম হয়। একদম এইরকম।’

‘তাইতো বলছি। চল ডাক্তারের কাছে যাই।’

‘আচ্ছা, বেশ। ডাক্তার দেখালে কী হবে মা? আমার কোন অসুখটা তারা সারিয়ে দেবে?’

‘এইযে পাগলামিগুলো করছিস, এসব আর থাকবে না। ভুলে যাবি সব। নতুন করে বাঁচবি। তখন এসব পাগলামি মনে করে নিজেই হাসবি।’

‘সব ভুলে যাবো মা?’

‘হ্যাঁ সব ভুলে যাবি।’

‘মিতাভাইকেও?’

‘হ্যাঁ।’

‘তবে সেই জীবন দিয়ে আমি কী করবো, মা?’

মা রেগে যায়। চটাস করে থাপ্পড় পড়ে আমার গালে। আমি আবার নিচের ঘরে আসি। এই ঘরটা এখন আমার হয়ে গেছে। বড় খাট এসেছে। আমাদের দুজনের সুন্দরমতো জায়গা হয়। আমি ঘুরে ঘুরে ঘর গোছাই। একটা বড় আলমারি কিনে দিয়েছে বড়চাচা। গোলাপ ফুল আঁকা দরজার পাল্লায়। আমি গোলাপ ফুলের ধুলো মুছি। তারপর পড়তে বসি। সারাদিন পড়ি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হবে আমাকে। মিতাভাইকে শুধু ঘরে না, বাইরেও দেখতে পাবো প্রতিদিন। পড়ে পড়ে তাকলাগানো রেজাল্ট হবে। মিতাভাই মুগ্ধ হবেই আমাতে! মিতাভাইর আগের বিরক্তভাব চলে গেছে অনেক, কিন্তু যোগ হয়েছে রোবোটিক আর নিস্প্রভ আচরণ। হু হা দিয়ে কথা চালিয়ে নেয় যতটা পারে। আমাকে পড়া দেখিয়ে দিতে বলেছিলাম বলে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে।

আমি প্রাচিন মুনি ঋষিদের মতো ধ্যানে বসেছি যেনো, একদিন না একদিন শিবের বর পাবোই! সব কাঁটার আঘাত নিরবে সহ্য করি। সবাই আমাকে সাইকো বলে, পাগল ভাবে, নির্লজ্জ মনে করে, অকালপক্ব বলে গালি দেয়। আমি শুনেও শুনিনা। আমার ঘর, মিতাভাইর অবহেলা আর আমার পড়াশোনা নিয়ে ভালো থাকি আমি। গুণগুণ করে পড়ি। মাঝেমাঝে রবীন্দ্রনাথ গাই, লালন গাই, ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, হে দয়াময়,
আমায় পাড়ে লয়ে যাও
আমায় পাড়ে লয়ে যাও… ‘

সবাই বলে কী ভালো গানের গলা আমার! মিতাভাই ধমক দেয় ‘আহ, ছুটি? কনসেন্ট্রেশন নষ্ট হয়।’

আমি ছাদে যাই। একা একা অন্ধকারে ভয় লাগে আমার। ভয় কাটাতে কাঁদি আমি। ওড়না ছড়িয়ে গান ধরি “এই ঠুনকো জীবনে, তুমি কাচের দেয়াল…
এক আধটু কারণে যদি হও বেসামাল…
মনে তাই তোমার খেয়াল
মনে তাই তোমার খেয়াল।”

*****
আমার বিয়ে হয়েছে এই কথা কাউকে বলা মানা। আমি বলি সবাইকে। এতো আনন্দের গল্প কি চেপে রাখা যায়? কোচিং-এ সবাই জানে আমার বিয়ে, বর – সবকিছু। ঠাট্টা করে কতজন স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারগুলো নিয়ে। আমি লাজুকলতা হয়ে সায় দেই। কখনো বানিয়ে বানিয়ে রাতের দুষ্টু দুষ্টু গল্প বলি। মুনা আমার বেশ বান্ধবী। ও নিজেও বিবাহিত, তাই হয়তো ওর সাথে মেলে আমার। আমরা পড়ি আর কুটুস কুটুস গল্প করি। মুনার এতো পড়ায় মন নেই। ও উৎসুক হয়ে থাকে ওর বর কখন ওকে নিতে আসবে? প্রতিদিন আসে ওর বর। কোচিং শেষে তাকে দেখা যায় কেঁচিগেটের একপাশে মুখ শুকনো করে দাঁড়িয়ে আছে। মুনাকে দেখেই সে মুখে নদীর উচ্ছ্বাস! আমি বলি ‘এতো প্রেম! প্রেমের বিয়ে?’

‘না তো! দেখাদেখির বিয়ে।’

‘তাতেই এতো প্রেম?’

লাজুক হাসে ও। ‘প্রেম হয়ে যায়!’

‘কিভাবে?’

‘ওইভাবে।’ লাজুক হেসে অন্য ইঙ্গিত দেয় ও। ফিসফিস করে বলে ‘মেকিং লাভ বলে একটা টার্ম আছে জানিস? ওভাবেও প্রেম হয়।’

গুগল করে আমি অবাক হই। এভাবেও প্রেম হয়?

দেশ-বিদেশ ঘুরে ছয়মাস পরে কনক আপা আসে বাপের বাড়ি। আমি দেখতে যাই ওকে। একটু মোটা হয়েছে কনক আপা। লাবণ্য ঢলেছে যেন আরও। কনক নামটা সার্থক মনে হচ্ছে। আদুরে দেখা যাচ্ছে। সুখি সুখি মুখ। আমি ফিসফিস করে বলি ‘তাকে ভালোবাসোতো, কনক আপা?’

‘বাসি।’

‘কিভাবে? তাহলে মিতাভাইকে ভুললে কি করে?’

‘হয়ে যায়, ছুটি। তোর বিয়ে হোক, তুইও বুঝবি।’

আমার তো বিয়ে হয়েছে। কই প্রেম তো জাগেনি। আমি মরিয়া হই ‘মিতাভাই তো তোমাকে ভোলেনি?’

‘ভুলবে। সবাই ভুলে যায়। ওর বউ আসবে। বউয়ের প্রেমে পড়বে। সব ভুলে যাবে।’

‘বউয়ের প্রেমে পড়বে?’

‘পড়বেই তো। সবাই পড়ে। জলজ্যান্ত মেয়ের শরীর পেলে পুরুষমানুষ সব ভুলে যায়।’

‘শরীর পেলেই প্রেম হয়, কনক আপা?’

‘হয়ইতো? কখনো কখনো শরীরের সুখ থেকেই প্রেমের শুরু। দেখিসনা আমাদের বাবা-মায়েরা। এরা কি চিনত কেউ কাউকে? আগে বিয়ে হলো, শরীরের প্রেম হলো, তারপরে না মনের প্রেম হলো!’

ভাবিসম্পর্কের মেয়েগুলো পঁচা পঁচা ইয়ার্কি করতে থাকে। আমার কান লাল হয়ে যায় লজ্জায়। তাও কিযে ভালো লাগে! আমি উৎসুক হয়ে শুনতে থাকি সেসব। কনক আপা বলে ‘বুঝলি ছুটি, বর হলো ফুলের মাছি। যত মধু তোর ফুলে তত বেশি তোর মাঝে আটকে থাকবে বর। তুই করবি কি, মধু ফুরাতেই দিবি না!’

‘কিন্তু মধু কোথায়, কনক আপা?’

‘ওরে আমার দুধের বাচ্চা! যাহ যাহ তুই বাড়ি যা। তোর মা পরে বলবে, তার মেয়েকে আমরা কুবুদ্ধি দিই।’ এক ভাবি ফোঁড়ন কাটল।

কনক আপা কাছে টেনে নিলো আমাকে। আস্তে আস্তে বলল ‘মধুর কলসি নিয়েই মেয়েরা বরের ঘরে যায়। এই দেখ তোর মধুর কলস। চাইলে পুরো মৌচাকের মধু রাখা যায় এখানে। যত মধু, বর তোর তত বশ।’

‘এতেই বশ হবে? ধরো সে যদি অনেক কঠিন হয় বা অন্য কাউকে ভালোবাসে?’

কনক আপা আমার কথা হয়তো বুঝল না। না বুঝেই বলল ‘এমন কোনো পুরুষ নেই যে মৌচাক পাবে আর মধু খেতে আসবে না।’

বাহ, লজ্জা পেলেও অল্প পড়াশোনা করা কনক আপার কথাটা অশ্লীল হলেও বেশ মনে ধরল আমার।

পড়াশোনার বাইরে মিতাভাইকে মুগ্ধ করার নতুন আয়োজন করলাম। কারণে অকারণে মিতাভাইর সাথে ধাক্কা লাগে আমার। ধাক্কা দিতে গিয়ে আস্তে করে নিজের শরীরে মিলিয়ে নেই মিতাভাইকে। যদি প্রেম জাগে! মিতাভাইর প্রেম জাগে না। অস্ফুটে বলে ‘আহ, অন্ধ হয়েছিস নাকি?’

আজকাল প্রায়ই ওড়না গলায় রাখতে ভুলে যাই আমি। মিতাভাই ঘরে আসলে সেই ওড়না যে কোথায় হারায় খুঁজেই পাইনা আর! জামার গলার বোতামগুলো খুলে দেই কোনো কোনোদিন, গরম লাগে তো আমার!

টেইলার্সে গিয়ে নতুন ডিজাইনের জামা বানাই। কোনোটার হল্টার নেক, কোনোটার ফ্রন্ট জিপ। টেইলার বারবার জানতে চায়, ‘আট দিবো, আপা? আট দিলে কিন্তু গলা অনেক বড় হয়ে যাবে। বুইঝেন কিন্তু।’

‘হ্যাঁ, আটইতো বলেছি আমি। আপনি আট ইঞ্চি দিয়েই গলা সেলাই করবেন।’ বিরক্ত গলায় বলি আমি।

ফ্রন্টজিপ জামার জিপ পুরোপুরি লাগাতে পারিনা আমি। অর্ধেক উঠে জিপ জ্যাম হয়ে যায়। ডিপ নেক জামায় আমার ক্লিভেজ দেখা যায়। বলিউড নায়িকাদের মতোন ফিটিং জামায় শরীরের সব ভাঁজ আকর্ষণীয় হয়ে ফুটে ওঠে। গুণগুণ করে গানের কলি গাই

‘এমনও অঙ্গের বিষ যে ঝাড়িতে পারে
সোনার এ যৌবনখানি দান করিব তারে।’

মৃদু সৌরভের পারফিউম মাখি শরীর জুড়ে। মিতাভাইকে ভোলাতে কতশত আয়োজন করি। কই সে তো ভোলে না! মাতেনা আমার নেশায়। দেহের ভাঁজে ভাঁজে কত মাদক লুকিয়ে রেখেছি আমি, কত মধু, একবারও তো খোঁজে না। তবে, আমাতে মাতোয়ারা সে কিভাবে হবে? হতাশ হতে থাকি আমি।

শরীর জুড়ে বিষের প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে রাতে আমার ঘুম আসেনা। উঠে বসে আলো জ্বালি। মিতাভাইর ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। এমন নিশ্চিন্ত ঘুম দেখে রাগ হয় আমার। তার জীবনে আমার কোনো জায়গা নেই। আমি তার জীবন জুড়ে, তার ঘর জুড়ে আছি, তার পাশে পাশে থাকি, কাছে কাছে ঘুরি, সে যেন দেখেই না আমাকে। আমি মি. ইন্ডিয়া তার কাছে। অদৃশ্য। আমার কোনো অস্তিত্বই নেই তার কাছে। আমি না থাকলেও তার কিছু আসে যায় না আমি আছি তাতেও তার কোনো হেলদোল নেই। আমি চলে গেলেও তার কিছু ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আমাকে সে কাছেও টানে না, দূর করেও দেয় না। আমি নেই তার কাছে। নিজের এই নেই হওয়াটা পোড়াতে লাগল আমাকে। বিছে হয়ে কামড়ে দিতে ইচ্ছে করল মিতাভাইর ঠোঁটজোড়া। চুমুর বিষে কেমন নিল হতো সে দেখতে ইচ্ছে করলো। অনেকক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। রূপকথার গল্পের সেই সূচরাজা সে। আর আমি কাঁকনদাসী। তার চোখে গাঁথা সুঁইদুটো খুলে নিলেই সে আমাকে দেখবে। চোখ মেলে আমাকে ডাকবে। আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবে, বুকের সাথে মিশিয়ে নেবে। রাঙা হওয়া চোখে হালকা হেসে বলবে ‘তুই ছাড়া আমার কেউ নেই। শুধু তোকে চাই।’

কল্পনার লজ্জায় আমি চোখমুখ ঢেকে শুয়ে পড়লাম। মোবাইল টেনে ফেসবুক স্ক্রোল করতে লাগলাম। মিতাভাইর আইডিতে ঘুরলাম। কিছু নেই সেখানে। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি থেকে ছবি করা ফটোটা প্রফাইল পিকচারে ঝুলছে। ফেসবুকে কাজ নেই তার। তাই আইডিতে কোনো পোস্টও নেই, সেই একাউন্ট খোলার সময়ের দুটো পোস্ট ছাড়া। মিফতাহুল ইসলাম জয়েনড ফেসবুক আর মিফতাহুল ইসলাম এডেড এ ফটো টু হিজ প্রফাইল পিকচার, এই দুটো পোস্ট সারা দেয়াল জুড়ে। আমি সবগুলো অক্ষর একটা একটা করে পড়ি। মুখস্থ হওয়া ছবির মিতাভাইকে দেখে প্রেমে পড়ি। মোবাইল বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।

ঘুমাতে গিয়ে আমি এলোমেলো শুই। কিন্তু চোখে কাজল আঁকতে ভুলি না। স্লিপিং বিউটির মত আদুরে লাগে আমাকে, আমি জানি। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইচ্ছেস্বপ্ন দেখি আমি। সেই স্বপ্নে মিতাভাই আসে আদুরে রাজকন্যার ঘুম ভাঙাতে। সোনার কাঠি, রূপার কাঠি বদল করে আদরে ঠোঁট ছোঁয়ায় সে রাজকন্যার কপালে। সেই প্রেমস্পর্শে শিহরণ জাগে আমার। কাঁপতে কাঁপতে ঘুম ভেঙে দেখি সকাল হয়ে গেছে। মিতাভাই নেই কোথাও। বড়চাচির ছাদফাটানো চিৎকারে ঘুম ভাঙে আমার। টেবিলে নাস্তা দিয়ে চেঁচাচ্ছেন তিনি ‘ছল করে বিয়ে তো করলি। বশ করতে পারলি কই? শান্তসৌম্য ছেলেটা আমার, রাক্ষসী গলায় ঝুলেছে। নিজে গান্ডেপিন্ডে গিলবে। ছেলে আমার না খেয়ে অফিস যায়।’

মুনা বলেছিল পুরুষের মনের রাস্তাটা পেট হয়ে যায়। তখন পাত্তা দেইনি কথাটায়, এখন কথাটা মনে ধরল আমার। শুধু অংক করে মিতাভাইর মন পাওয়া যাবে না। তার পছন্দের রান্না শিখে ফেলতে হবে। কিন্তু কিভাবে? মা তো কিছু শেখায়নি আমাকে। গরম তেলে ডিম ভাজতে গেলে ছ্যাৎ করে ছলকে ওঠে, লাফ দিয়ে সরে আসি আমি। মাছভাজতে গেলে, গরম তেলের একহাত উপর থেকে ছুঁড়ে দেই, আরও বেশি তেল ছিটে আসে। কি করে আমি মাছের কালিয়া আর ডিমের কোরমা করব?

আমাকে দিয়ে কিছছু হবে না! মিতাভাই কখনো বলবে না, ‘বাহ ছুটি, তুই তো দারুণ!’

চলবে…
afsana asha
কপি করা যাবে না।

(পাঠক, যদি আমার লেখা ভালো লাগে তো বইমেলায় ৫১৫-৫১৮ নম্বর এশিয়া পাবলিকেশন্স এর স্টলে আমার লেখা প্রেমের উপন্যাস ‘অপ্রেমের রাতগুলো দীর্ঘ হয়’ পাবেন। নেড়েচেড়ে দুপাতা পড়ে দেখার অনুরোধ রইল। ভালো লাগবে জানি, অনেক যত্ন করে, সময় নিয়ে সাজিয়েছি আমার আনন্দিতাকে। যারা বইমেলায় যাচ্ছেন না, আমার ওয়াল থেকে কয়েক পাতা পড়ে নিতে পারেন আর সহজেই রকমারি, দূরবীন বা বইপরী বুকশপে অর্ডার করে নিতে পারেন। আমাকেও ইনবক্স করতে পারেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here