চেনা রোদে বসন্ত পর্ব -০২

#চেনা_রোদে_বসন্ত
#পর্ব_২
#নিশাত_জাহান_নিশি

“তুমি এখনই, এই মুহূর্তে আমার সাথে আমার বাড়ি ফিরে যাবে রিয়াশা। আমার অনুমতি ছাড়া তুমি এই বাড়িতে আসলে কেন হুম? তুমি জানো না? তোমাকে একটি পলক না দেখলে আমার দিন কাটে না? রাত কাটে না? আমাদের বাচ্চার সাথে কথা না বললে আমার এক দন্ড ঘুম আসে না? আমি এতো কিছু জানি না তুমি এক্ষনি, এই মুহূর্তে আমার সাথে আমার বাড়ি ফিরে যাবে। আমি তোমাকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছি!”

বিস্মিত না হয়ে পারলাম না! একটু আগেও তো লোকটি আমার সাথে যা নয় তা বলে আচরণ করছিল। আমার চরিত্রে পর্যন্ত আঙুল তুলছিল। মুখের উপর আমাকে এবং আমার অনাগত সন্তানকে দিব্যি অস্বীকার করে আমাদের দুজনকে স্বয়ং মৃত্যু নামক যন্ত্রণার দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। তার সামনেই তো মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিলাম আমি। শরীরের সর্বশক্তি হারিয়ে মেঝেতে পর্যন্ত লুটিয়ে পড়েছিলাম। অথচ তখন একটি বারের জন্যও তিনি আমার পাশে এসে দাঁড়ান নি! সেই অকথিত যন্ত্রণা থেকে আমায় একটু খানি পরিত্রান দিতে আসেন নি। এখন আবার সেই জালিম লোকটিই ছুটে এসেছে আমাকে ঐ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য? বাড়ির সকলের সামনে নির্লজ্জের মতো আমাকে জড়িয়ে ধরতে পর্যন্ত কুন্ঠা বোধ করেন নি তিনি? আবার জোর গলায় বলছেন আমাকে ছাড়া তার দিন কাটে না রাত কাটে না! বাচ্চার সাথে কথা না বললে তার ঘুম আসে না! এই তরুনকে তো আমি মোটেও চিনতে পারছি না! সম্পূর্ণ অপরিচিত লাগছে লোকটিকে। আচ্ছা তিনি আমার সাথে আবার ছলনা করছেন না তো? আমাকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আমার বিশ্বাস অর্জন করে আমাকে আবার ঐ বাড়ি নিয়ে গিয়ে অকথিত নির্যাতন করতে চাইছেন না তো? তখন তো রাগ, জেদ, ঘৃণায় বড় আপুর ননদের বিষয়টি আমি মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলাম! তারই রিভেঞ্জ নেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এসব করছেন না তো তিনি? ভয়ে দেহের লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেল আমার! লোকটিকে ক্রমাগত আতঙ্কের কারণ হিসেবে মনে হতে লাগল! তাছাড়া এর মধ্যে একটি প্রশ্ন রয়েই গেল, আমি কখন এই বাড়িতে এলাম? আর কীভাবেই বা এলাম? কে নিয়ে এলো আমাকে এই বাড়িতে? যতদূর মনে আছে জ্ঞান হারানোর আগ পর্যন্ত তো আমি ঐ বাড়িতে ছিলাম!

এসব জল্পনা কল্পনার মাঝেই আমার বাবার তেজী কন্ঠস্বর আমার কর্ণকুহরে অতি রুক্ষ ভাবে প্রতিধ্বনিত হলো! গলায় গাম্ভীর্যতা এনে তিনি তরুনকে স্পষ্ট ভাষায় বললেন,,

“তুমি এখন বাড়ি ফিরে যাও তরুন। রিয়াশা কিছুদিন আমাদের সাথে এই বাড়িতে থাকতে এসেছে। যখন তার মন ঠিক হয়ে যাবে তখন আমি নিজেই রিয়াশাকে তোমাদের বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসব।”

মুহূর্তের মধ্যেই রাগে ফোঁস করে উঠলেন তরুন! তড়িৎ বেগে আমাকে বুকের পাঁজর থেকে উঠিয়ে বাবার মুখোমুখি দাঁড়ালেন। ঘাড়ের রগ টান টান করে তিনি হিংস্রাত্নক গলায় বাবার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন,,

“আমাদের মাঝখানে আপনি কথা বলছেন কেন হুম? আমাদের মাঝখানে আপনি কথা বলার কে? তাছাড়া আপনি আমার অনুমতি ছাড়া আমার ওয়াইফকে ঐ বাড়ি থেকে নিয়ে এলেন কেন? কে দিয়েছে আপনাকে এতো বড় সাহস এতো বড় অধিকার?”

উপস্থিত সবাই আশ্চর্যিত হয়ে তরুনের দিকে তাকিয়ে আছে! বাবা থতমত খেয়ে চক্ষু জোড়া প্রকান্ড করে নির্বোধ দৃষ্টিতে তরুনের দিকে চেয়ে আছে। তার ব্যবহার দেখে সবাই হয়তো এতক্ষণে তাকে বেয়াদব ভাবতে শুরু করেছে! তরুনের ব্যবহারে বিশেষ করে আমিই খুব বেশি আশ্চর্যিত। এর আগে কখনো তরুনকে আমি এভাবে বেয়াদবের মতো আচরণ করতে দেখি নি। কারো সাথে গলা উঁচিয়ে কথা বলতে দেখি নি! আমার সাথেও কখনো খারাপ আচরণ করে নি সে। সবসময় ভালোবেসে আচরণ করেছে। প্রয়োজনে যতটুকু সম্ভব পাশে থেকেছে। জানি না হঠাৎ কী হলো তার! রাতারাতি এতো কঠোর ভাবে কীভাবে সে পাল্টে গেল? যদিও বড় আপুর ননদের সাথে তার কিছু একটা সম্পর্ক আমি আন্দাজ করতে পারি! তবে এর খারাপ প্রভাব কখনো আমার উপর পড়ে নি। যদিও জানি না তাদের সম্পর্কটা আদৌতে এক তরফা নাকি দুতরফা! আন্দাজের বসে আমি একটু বেশিই ভেবে ফেলছি না তো? তবে এসবের মধ্যে একটা জিনিস ক্লিয়ার হয়ে গেল আমার বাবাই আমাকে ঐ বাড়ি থেকে এই বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। হয়তো শ্বাশুড়ী-মা কল করে বলেছিলেন তাই!

তরুনের রাগের পরিমাণ বেগতিক বাড়তে লাগল! রাগে এক প্রকার বিষধর সাপের মতো গোঙিয়ে উঠছে সে। বাবাও এবার রাগে ফোঁস করে উঠলেন। দাঁতে দাঁত চেপে রূঢ় গলায় তরুনকে কিছু বলার পূর্বেই আমার শ্বশুড় বাবা তরুনের বুকে হাত রেখে কান্নাজড়িত গলায় বললেন,,

“শান্ত হ তরুন। প্লিজ শান্ত হ। বড়দের সাথে এভাবে আচরণ করতে নেই বাবা। তোর শ্বশুড় বাবা তো বলেছেন কিছুদিন পর তিনি নিজেই রিয়াশাকে আমাদের বাড়িতে রেখে আসবেন। বিশ্বাস কর তোকে ছেড়ে রিয়াশা কোথাও যাবে না। এইবার অন্তত রিয়াশা তোকে ছেড়ে কোথাও যাবে না! প্লিজ বাবা শান্ত হ তুই, প্লিজ।”

তরুন এখনও তার জেদে অনড়! তার বর্তমান এক রোঁখা ভাব ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে না শ্বশুড় বাবার কথা সে আদৌতে কানে তুলেছে বলে! হুট করেই শ্বশুড় বাবাকে ডিঙিয়ে তিনি পুনরায় আমার মুখোমুখি দাঁড়ালেন! রক্তিম আঁখি জোড়ায় আকস্মিক আমার হাত দু’খানা চেপে ধরে মিনতির স্বরে বললেন,,

“তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না রিয়াশা। প্লিজ কোথায় যেও না। খুব ভালোবাসি আমি তোমাকে! শুধু তাই নয়, আমাদের বাচ্চাকেও আমি ভীষণ ভালোবাসি! তোমাদের দুজনকে ছাড়া আমি অচল প্রায়। প্লিজ তুমি আমার সাথে এবার বাড়ি ফিরে চল। তোমাদের দুজনকে ছাড়া আমার এক মুহূর্ত ভালো লাগে না রিয়াশা! দম বন্ধ লাগে। মরে যেতে ইচ্ছে করে!”

রাগটা যেন চট করে মাথায় চড়ে বসল আমার! নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে আমি রাগান্বিত মুখমন্ডলে চোয়াল শক্ত করে প্রত্যত্তুরে তরুনকে বললাম,,

“নাটক করতে এসেছ তুমি আমার সাথে না? নাটক করতে এসেছ? একটু আগেই তো আমাকে এবং আমার অনাগত সন্তানকে মেরে ফেলার প্ল্যানিং করছিলে তুমি! এখন আবার ভালো স্বামী সাজার অভিনয় করতে এসেছ? আমাকে এবং আমার পরিবারকে বোকা বানাতে এসেছ?”

কিয়ৎক্ষণের মধ্যেই তরুন চমকে উঠলেন! তাৎক্ষণিক তিনি মুখমন্ডলে নির্বোধ ছাপ ফুটিয়ে তুললেন। ভ্রু যুগল অবিলম্বে কুঁচকে তিনি আমার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন,,

“কী বললে তুমি? আমি তোমাদের মেরে ফেলার প্ল্যানিং করছিলাম?”

“হ্যাঁ করছিলেন। আপনার চোখের সামনে আমি মেঝেতে পড়ে যন্ত্রনায় ছটফট করছিলাম। ফিরেও তাকান নি আপনি। পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনও বোধ করেন নি তখন। উল্টো আমার চরিত্রে আঙুল তুলেছিলেন আপনি! আমাদের সন্তানকে নষ্ট করতে চাইছিলেন। আমার থেকে মুক্তি চাইছিলেন!”

সঙ্গে সঙ্গেই তরুন আমার হাতের শক্ত বাঁধনটি ছেড়ে দিলেন! দু’চোখে টলমল জল নিয়ে তিনি নিচু গলায় আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,,

“আমি সত্যিই এসব বলেছিলাম তোমাকে? চোখের সামনে তোমাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলাম? তোমার থেকে মুক্তি চাইছিলাম? বাচ্চাকেও নষ্ট করতে চাইছিলাম?”

হেঁচকি তুলে কেঁদে আমি চিৎকার করে বললাম,,

“হ্যাঁ চাইছিলেন। আমাদের দুজনকেই প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছিলেন আপনি। এর কারণও আমার জানা আছে! বড় আপুর ননদের সাথে যে আপনার প্রেমের সম্পর্ক আছে তাই আপনি আমাকে এবং আমার সন্তানকে মেরে ফেলতে চাইছিলেন! এখন আবার এসেছেন আমাকে ঐ বাড়ি নিয়ে গিয়ে আমার সাথে দ্বিগুন অত্যাচার করতে? আপনার নষ্টামির কাহিনী ধামা চাপা দিতে? যদি আমার সন্দেহই ঠিক হয়ে থাকে, তবে শুনে রাখুন তরুন? আমি কিছুতেই আপনার সাথে কোথাও যাব না। আপনার বাড়িতে তো ভুলেও না!”

তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন তরুন! চোখের কোণে লেগে থাকা অশ্রু কণা গুলো মুছে তিনি পুনরায় আমার বাঁ হাতটি শক্ত করে ধরে আমাকে নিয়ে সদর দরজার দিকে এগিয়ে চলছেন আর তেজী গলায় বলছেন,,

“আমি জানি রাগ করলে তোমার মাথা ঠিক থাকে না! তদ্রুপ এখনও ঠিক নেই। তাই তুমি এতো সহজে আমাকে যা তা বলতে পারছ! আমার সাথে বাড়ি ফিরে গেলেই তোমার মাথা ঠান্ডা হয়ে যাবে রিয়াশা। তখন আমার সম্পর্কে আর যা তা কথা বলতে পারবে না তুমি! তুমি তো চিনোই তোমার তরুনকে হুম?”

পাগলের মতো জোরাজুরি করে আমি করুন কন্ঠে তরুনকে বললাম,,

“প্লিজ তরুন ছাড়ুন আমায়। আমি আপনার সাথে ঐ বাড়ি ফিরে যেতে চাই না। আমি জানি আপনি আমার বাচ্চার ক্ষতি করতে চাইছেন। আমাদের দুজনকেই একসাথে মেরে ফেলতে চাইছেন। বিশ্বাস করতে পারছি না আমি আপনাকে। আপনার প্রতি এখন শুধু আমার বিশ্বাসহীনতা এবং ভয় কাজ করে।”

পেছন থেকে আমার বাবা, মা, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী, ছোট বোন সবাই তরুনকে উচ্চ শব্দে ডেকে চলছেন। তবে তরুন কারো কথাই কানে তুলছেন না। ননস্টপ নিজের মতো পাগলামী করেই চলছেন। এর মধ্যেই হঠাৎ মনে হলো পেছন থেকে কেউ আমার অন্য হাতটি খুব শক্ত ভাবে টেনে ধরল! আগ্রহ নিয়ে আমি অশ্রুসিক্ত চোখে পিছু ফিরে তাকাতেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে রাফায়াত ভাইকে দেখতে পেলাম! সঙ্গে সঙ্গেই তরুন থমকে দাঁড়ালেন। রক্তিম চক্ষুদ্বয়ে পিছু ফিরে তাকাতেই তিনি স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা রাফায়াত ভাইকে দেখতে পেলেন! একই সঙ্গে দুজনের দৃষ্টি মিলে যেতেই রাফায়াত ভাই দাঁতে দাঁত চেপে তরুনকে বললেন,,

“রিয়াশা আপনার সাথে কোথাও যাবে না! ছেড়ে দিন ওর হাতটা!”

তরুন গর্জে উঠলেন। তীক্ষ্ণ গলায় রাফায়াত ভাইয়ার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,,

“তুই কে হ্যাঁ? আমাকে বাঁধা দেওয়ার তুই কে? রিয়াশা আমার ওয়াইফ। আমার অধিকার আছে রিয়াশাকে আমার সাথে আমার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার। ভালো হয় যদি তুই আমার ওয়াইফের হাতটা ছেড়ে দিস।”

“অধিকার আছে বলেই যে সবক্ষেত্রে জোরপূর্বক অধিকার খাটাতে হবে তার কিন্তু কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই মিস্টার তরুন। রিয়াশা এখন আপনার সাথে কোথাও যেতে চাইছে না। তাই এই মুহূর্তে রিয়াশার ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আপনার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আর স্বামী হয়েছেন বলেই সবক্ষেত্রে অধিকার খাটানোটা এবার বন্ধ করুন! মন থেকে মেয়েদের একটু বুঝার চেষ্টা করুন। মেয়েরা যখন ‘না’ বলে তখন সেটা ‘না’ ই। ‘না’ মানে ‘না’ বুঝতে পেরেছেন আপনি?”

“তুই যেই হোস না কেন তোকে আমি রিকুয়েস্ট করে বলছি আমাদের সাংসারিক ব্যাপারে নাক গলাতে আসিস না প্লিজ। এখানে যা হচ্ছে সবটাই আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ব্যক্তিগত বিষয়!”

রাফায়াত ভাই ক্ষিপ্র হয়ে উঠলেন। হেঁচকা টানে তরুনের হাত থেকে আমার হাতটি ছাড়িয়ে তরুনের মুখোমুখি দাঁড়ালেন! রুদ্রাক্ষের ন্যায় লোহিত গলায় তিনি তরুনের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন,,

“কোনটা ব্যক্তিগত বিষয় হ্যাঁ? কোনটা ব্যক্তিগত বিষয়? দুই পরিবারের সবার সামনে, বিশেষ করে গুরুজনদের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের রীতিমতো অপমান করে বউকে জোর জবরদস্তি করা এখন ব্যক্তিগত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই আপনি জানেন না? ব্যক্তিগত বিষয় শুধুমাত্র নিজেদের বেডরুম অবধি সীমাবদ্ধ থাকে? চার দেয়ালের বাইরে বের হয় না?”

অনর্গল কথা গুলো বলে রাফায়াত ভাই তেজী চক্ষু জোড়া নিয়ে আমার দিকে তাকালেন! দ্বিগুন ক্ষিপ্ত হয়ে থাকা তরুনকে কোনো প্রত্যত্তুর করার সুযোগ না দিয়ে তিনি আঙুল নাচিয়ে সশব্দে চিৎকার করে বললেন,,

“তুই রুমে যা রিয়াশা। এই মুহূর্তে তোর পর্যাপ্ত রেস্ট প্রয়োজন। খবরদার, আমি না বলা অবধি রুম থেকে বের হবি না তুই! এখানে যা হবে আমি সব সামলে নিব। এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই এতে, কান্না করারও কিছু নেই। ভুলে যাস না রাফায়াত এখনও বেঁচে আছে! আগের মতোই তোর পাশে আছে! জীবনের শেষ নিশ্বাস অবধি রাফায়াত চেষ্টা করবে তোর পাশে ছায়া সঙ্গী হিসেবে থাকতে!”

চোখে দল বেঁধে থাকা অশ্রুজল গুলো লুকিয়ে আমি মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানালাম। রাফায়াত ভাইয়ার কথায় মোটামুটি আশ্বস্ত হলাম। কোনো দিকে কালক্ষেপণ না করেই আমি আঁচলে মুখ চেপে এক ছুটে নিজের বেড রুমে এসে প্রবেশ করলাম!

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here