জেদ পর্ব -৩০+৩১

#জেদ(A Conditional Love Story)
#পার্ট৩০
#আফরিন_ইনায়াত_কায়া
.
.
কয়েকদিন থেকে বাসায় বেশ তোড়জোড় চলছে।আরাজ আমেরিকা চলে যাচ্ছে।না সে একা যাচ্ছে না আমাকে নিয়েই যাচ্ছে।তোড়জোড়ের পরিমানটা সেজন্যে যেন আরও বেশি ।যদিও আরাজের মা আর বড় বোন চেয়েছিল আমাকে এখানেই রেখে দিতে কিন্তু আরাজের বাবা বাধা দিলেন।
-ছেলেটা ওখানে একা থাকে ।কখন খায় ,কখন ঘুমায় তার ঠিক নেই ।সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ ।বউটাকে নিয়ে গেলে অন্তত বউ তার সেবা যত্ন করবে।
আরাজের জোড়াজুড়িতে আর তার বাবার নিষেধে তার মা আর বোন খুব একটা জোরখাটাতে পারেন নি ।কিন্তু তারা যে সম্মতি জানিয়েছেন তাও নয় ।
আরাজ বলেছিল আমাদের মধ্যকার স্বামী স্ত্রীর কথাগুলো চার দেওয়ালের মধ্যেই থাকবে।আমাকে জোর গলায় বললেও আরাজ নিজেই সেই কথা রাখেনি ।জানিয়েছে আমার বাবা মাকেও।সেরাতের জন্যে সে আমার কাছে নয় মাফ চেয়েছে আব্বু আম্মুর কাছে।তার মতে আব্বু আম্মুর কাছ থেকে নিয়ে আসা আমানতের সে ঠিক ভাবে যত্ন নিতে পারেনি ।আব্বু আম্মুও ব্যাপারটাকে হাওয়ায় উড়িয়ে দেন নি ।আমাকে বাসায় ডেকে বিশাল এক মজলিশ সালিশের মাধ্যমের সুরাহা করেছেন এই ঘটনার ।আম্মু আমাকে অনেক করে বুঝালেন যে স্বামিদেরকে কিভাবে হাতের মুঠোয় রাখতে হয়।সব সময় স্বামির মন যুগিয়ে চলতে হবে।তার প্রতিটা কথামাথা নিচু করে কোন প্রশ্ন না করেই পালন করতে হবে। ।আব্বুর একটাই কথা ঘরের গিন্নি ঠিক না থাকলে ছেলেরা বাইরে যাবেই।আমি নির্বোধের মত কোন কথা নাবলেই চুপচাপ সব শুনে গেলাম।কারন আমার এখানে বলার কিছু নাই ।আমার কথায় কেউ কোন ভ্রুক্ষেপ করবে না।আমার অস্তিত্বই যেন সবার কাছে অনুপস্থিত এখন।
.
.
আরাজের মা আজকে সকাল থেকে কান্না করছেন।এর আগেও তার ছেলে আমেরিকা গিয়েছে।কিন্তু তার মাথা ব্যথা সেটা নিয়েনয়।ছেলে এবার বউ নিয়ে যাচ্ছে।তার নিজের সংসার হবে।বাচ্চা কাচ্চা হবে।তখন মা বাবাকে ভুলে যাবে সে।ছেলের বউ আর ছেলেকে দেশে আসতে দিবে কিনা এই নিয়ে তার সন্দেহ আর আশংকার কোন শেষ নেই।আরাজের মা থেমে থেমে কান্নায় ভেংগে পরছে।আরাজ বার বার গিয়ে তাকে সামলাচ্ছে। রাত ১২ টায় আমাদের ফ্লাইট।একটু পরেই আমরা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব। আমি সব গুছিয়ে রেডি করছি৷ এমন সময় আরাজের মা রুমে এলেন।
-ইনায়াত।
-জ্বি আন্টি। কিছু বললেন?
-দেখো ইনায়াত। আমি জানি তোমার আর আরাজের বিয়েটা অনেকটা তাড়াহুড়োর মধ্যেই হয়েছে।তোমার হয়তোবা বিয়েতে মত ছিল না কিন্তু তোমার বাবা মা জানেন তোমার জন্যে কি ভালো আর কি মন্দ। যাক গে আসল কথায় আসি।আরাজকে আমরা অনেক আদর করে বড় করেছি। আমার দুই মেয়ের চেয়ে আরাজ আমার কাছে বেশি আদুরে।আরাজের বিয়ে বউ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের।যদিও তার কিছু পূরন হয়েছে কিছু হয়নি।কিন্তু সেসব পূরোনো কথা তুলে কোন লাভ নেই।এখন বিয়ে হয়ে গেছে।ধর্মীয় ভাবে তুমি আরাজের স্ত্রী।তোমার দায়িত্ব হচ্ছে আরাজের সাথে সংসার গোছানো।বাংগালি মেয়েদেরপ্রধান দায়িত্ব হলো স্বামীর সেবা করা আর বাচ্চাদের মানুষের মত মানুষ করা।তোমাদের বিয়ের আট মাস পার হয়ে গেছে।বলি এখন বাচ্চাকাচ্চার প্লান করো।আরাজ আমার ছোট ছেলে।আমাদেরও সুযোগ দেও নাতি নাতনীর মুখ দেখার।একটা বাচ্চা নিয়ে নেও দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।আগের অত কিছু মনে থাকবে না।
আরাজের মা একগাদা জ্ঞান দিয়ে চলে গেলেন।একটু পর মা বাবা এলেন ।বাবা এসেই আরাজের বাবার সাথে রাজনীতি আর দেশের অবস্থা নিয়ে গল্প করতে ব্যস্ত ।মা আমার কাছে এসে খানিকক্ষন বসলেন।সব ঠিকভাবে গুছিয়েছি কিনা চেক করলেন ।তারপর খপ করে আমার হাতটা ধরে তার পাশে বসালেন।আমি জানি মাও এখন আরদ্ধর মায়ের বুলি আওরাবে।আমি মায়ের কথায় মন না দিয়ে নিজের চিন্তায় মগ্ন হলাম ।
আরদ্ধর খুব শখ ছিল বিয়ের পর হানিমুনে সে আমাকে নিয়ে আমেরিকা যাবে।সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করবে।যেসব বাচ্চা অন্ধ ,বধির তাদের জীবনে সে প্রযুক্তির আলোকে কাজে লাগাবে।এটা নিয়ে তার মাতামাতি দেখলে মনে হতো যেন সে নিজেই একটা ৫ বছরের বাচ্চা।আরদ্ধ এসব কাজ করত আর আমি চুপচাপ তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম।মুগ্ধ চোখে চেয়ে দেখতাম তাকে ।আরদ্ধ বার বার বলত
-ইনা যখন তুমি এইভাবে এক মনে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো I feel like এটলিস্ট কেউ তো আছে যে আমাকে বিশ্বাস করে ।তুমি আমার জন্যে বড় সড় একটা অনুপ্রেরনা ।
আল্লাহ জানে ছেলেটা কোথায় আছে।কি করছে ।মাস দুয়েক আগেও আরদ্ধ কল দিয়েছিল।ইচ্ছা করেই ধরিনি।কি হবে কথা বলে?ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করবে।কষ্ট পাবে ।তার চেয়েও বেশি কষ্ট দিবে আমাকে।অযথা কষ্ট বাড়ানোর কোন মান নেই ।অপূর্নতাকে খুচিয়ে বিষাদ ছাড়া কেউ কখনো হর্ষ পায় নি।আমার বেলায়ও ব্যতিক্রম কিছু হয় নি ।
আম্মু তার মনের কথা বলে বিদায় নিলেন।সবাই কত খায় ফরামেশ খাটালেন ।অথচ কেউ আমি কেমন আছি কথাটা জিজ্ঞেস করার ফুরসত পেলেন না।
.
.
রাত ১১টা ।আমি এয়ারপোর্টে পাসপোর্ট হাতে বসে আছি।ঠিক একটু পরেই আমাদের ফ্লাইট।একটু পর আমরা সবার থেকে বিদায় নিয়ে প্লেনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।ইমিগ্রেশন এর সময় হঠাত একটা চিরচেনা গন্ধ ভেসে আসল ।আমি পাত্তা না দিয়ে একবার পিছনে ফিরে তাকালাম ।মা বাবা একটা তৃপ্তির হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি ভেজা চোখে মুখ ফিরিয়ে সামনের দিকে পা বাড়ালাম।প্লেনে উঠতেই সেই চেনা গন্ধটা নাকে এসে আবার ধাক্কা খেল।আমি খানিক খন এদিক ওদিক করলাম ।কিন্তু কাউকে পেলাম না।ছেলেটা আমার ঠিক কতটা জায়গা জুড়ে আছে হয়তো তাকে আমি কখনো বলে বুঝাতে পারব না।আরাজ আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল।আমি চুপচাপ সিটে বসে পরলাম।চোখ মেললাম জানালার বাইরের আকাশে ।নীল আকাশের মাঝে সাদা মেঘ ভাসছে ।তার ফাক দিয়ে উকি দিচ্ছে নিচের শহরের চাকচিক্য।প্লেন উড়ে চলছে নিজের গতিতে…..#জেদ(A Conditional Love Story)
#পার্ট৩১
#আফরিন_ইনায়াত_কায়া
.
.
ফ্লাইট নিউ ইয়র্কে পৌছালো রাত ১২ টায়।আমরা গাড়ি করে ছোট একটা এপার্টমেন্টে এসে পৌছালাম।এপার্টমেন্ট টা খুব বেশি বড় না।দুই রুমের ছোট একটা বাসা।একটা কিচেন ড্রয়িং রুম আর এটাচড বাথ।বাসাটা বেশ সুন্দর তবে অগোছালো। আরাজ দরজা খুলেই কোন কথা না বলে সোজা রুমে গিয়ে শুয়ে পরল।আমি চারদিক ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। প্রায় বছর খানেক হচ্ছে এই বাসাটা বন্ধ কিন্তু কোন কিছুর উপর ধুলোর চিহ্ন মাত্র নেই৷ মনে হচ্ছে যেন এতদিন এই বাসায় কেউ ছিল।জিনিসপত্র কোন সাজানো গোছানো নেই।সব এদিক ওদিক এলোমেলো ভাবে ছোড়ানো। আমি এক এক করে সব গোছাতে লাগলাম।কাজ করতে করতে কখন সকাল হয়ে গেছে টেরই পাইনি।আরাজ এখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। আমি এককাপ কফি বানিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়ালাম।
নিউইয়র্কে সূর্যোদয় দেখা অনেক দুসাধ্য ব্যাপার ।চারদিকে শুধু উচু উচু দালানের সমারোহ ।দুই একটা দালানের ফাক গলিয়ে হালকা সূর্যালোক চারদিকে ছড়িয়ে পরছে ।চারদিকে ছেয়ে যাচ্ছে দিনের শুভ্র ছায়া ।আমি কফি শেষ করে পাশের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
.
.
কতক্ষন ঘুমিয়েছি জানি না।ঘুম ভাঙ্গল দরজা ধাক্কানোর শব্দে।আরাজ খুব জোরে জোরে দরজা ধাক্কাচ্ছে।আমি ঢুলতে ঢুলতে গিয়ে দরজা খুললাম
-কি হয়ে…….
-ইনা আমরা এখানে হলিডে করতে আসিনি যে তুমি দুপুর দুইটা পর্যন্ত ঘুমাবে।আমি শপিং করে নিয়ে এসেছি তাড়াতাড়ি কিছু রান্না করে ফেল।সেকেন্ড শিফট থেকে আমাকে অফিসে জয়েন দিতে হবে।
আমি আরাজের কথার জবাব না দিয়ে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালাম ।আরাজ কোন রকমে খেয়েই বের হয়ে চলে গেল ।আমাকে সাধার কোন প্রয়োজন এ মনে করল না।যদিও এওসব নতুন কিছু না।
এভাবেই সপ্তাহ খানেক কেটে গেল।আরাজ খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যায় ।ফিরে দের রাত করে ।এই কয়দিনে তার সাথে কোন কথা হয়েছে বলে আমার মনে পরে না।একদিন শুধু বলেছিলাম আমাকে একটা নতুন সীম এনে দিও।আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলব ।আরাজ শুধু হু কালকে দেব বলে চলে গিয়েছি ।আল্লাহ জানে তার কাল কবে হবে।
এখানে আসার পর থেকে যেন কয়েদী হয়ে গেছি আমি ।চারদেওয়ালে বন্দী ।নিশ্বাস নিতেও যেন কষ্ট হয় ।আরাজ বাসায় ফেরার আগেই টুকিটাকি জিনিস নিয়ে আসে।কিন্তু এভাবে বেশি দিন থাকা সম্ভব না ।খেতে বসে আরাজকে বললাম
-এখানে আসার পর একদম ঘরে বন্দী হয়ে আছি।তোমাকে একটা সীম এনে দিতে বলেছিলাম তাও দেও নি ।বাসায় একা একা সময় কাটে না।তুমি কালকে একটু অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এলে হাটোতে যেতাম ।চারপাশ টা একটু ঘুরে দেখতাম।
আমার কথায় আরাজ ঝাঝিয়ে উঠল আরাজ
-তোমার সারাদিন বাসায় বসে কাজ না থাকতে পারে কিন্তু আমার অনেক কাজ আছে ,অফিসে সারাদিন অনেক কিছু ডিল করতে হয় আমার।আর কিসের বাইরে ঘোরা তোমার?পর পুরুষকে চেহারা না দেখালে পেটের ভাত হজম হয় না তাই না?ঘরে স্বামী পরে আছে তার খেদমত নাই আর যাবে বাইরে ঘুরতে ।যতসব ন্যাকা।
একনাগারে কথাগুলো বলে আরাজ উঠে চলে গেল ।এমন কিছু একটা হে আমি আগে থেকেই কিছুটা আন্দাজ করে রেখেছিলাম ।কিন্তু আরাজ ঠিক এত নিম্নমানের ব্যবহার করবে এটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল।চোখ না ভিজলেও কান্নার একটা দলা আমার গলা পর্যন্ত এসে থেমে গেল।আমি নিজেকে সামলে নিয়ে সব কিছু গুছিয়ে রুমে চলে গেলাম ।
.
.
দুপুরে রান্না করতে গিয়ে দেখি তেল শেষ হয়ে গেছে।তেল ছাড়া কোণভাবেই চলবে না ।উপায় না পেয়ে টাকা হাতে বের হলাম বাইরে ।এই প্রথম বার এই শহরের বাতাসে মুক্তভাবে নিশ্বাস নিচ্ছি আমি ।শহরটা অনেকটা যান্ত্রিক ।যে যার মত ছুটছে।।ফিরে তাকানোর যেন সময় নেই কারও ।আমি একজন লোককে জিজ্ঞেস করলাম আশে পাশে কোন গ্রোসারী শপ আছে কিনা।সে অকপটে আমাকে ঠিকানা বলে দিয়েনিজ গন্তব্যে পা বাড়ালো ।মিনিট দশেক হাটতেই আমি একটা সুপার শপ দেখতে পেলাম ।দোকানটা বেশ বড় আর নানা রকম জিনিস সাজানো ।আমি এক পা দুপা করে সব কিছু ঘুরে দেখতে লাগলাম ।হঠাত কেন জানি মনে হতে লাগল কেউ আমাকে ফলো করছে ।একটা অন্যরকম অস্বস্তি কাজ করতে লাগল।পিছন ফিরে তাকাতেই মনে হল কেউ যেন একজন চোখের আড়ালে চলে গেল।আমি আর মুহুর্ত দেরী করলাম না সেখানে ।তেল কিনে সোজা বাসায় চলে আসলাম ।
আরাজের এই বাড়িটা অনেকটা বস্তি এলাক্কার মত ।আশেপাশের পরিবেশ বেশ স্যাতস্যাতে আর ঘিঞ্জিতে ভরা ।আমি বাসায় এসে বাকি কাজ শেষ করে ফেললাম ।কিন্তু তখনকার ঘটোনাটা কোন ভাবেই মাথা থেকে বের করতে পারছিলাম না।
আমি আরাজকে এই ব্যাপারে কোন কথা বলিনি।তাকে কোন কথা বলার কোন মানে হয় না ।উল্টা সে নানা রকম কথা বলে কথা বাড়ীয়ে রাখবে।আমি সুন্দরমত বাজারের লিস্ট বানিয়ে আরাজের সামনে রেখে চলে আসলাম ।আরাজ কোন কথা বলল না।যাওয়ার সময় বলে গেল আমার ফিরতে রাত হবে ।টেবিলে টাকা রাখা আছে তোমার যা যা লাগে নিয়ে এসো ।সামনেই একটা দোকান আছে।হাতের ডানে ১০ মিন হাটলেই পেয়ে যাবে ।যা লাগে সেখান থেকে নিয়ে এসো ।কথাটা বলেই আরাজ বের হয়ে চলে গেল।
.
.
চার দেওয়ালে বন্দী থেকে সেদিনের ঘটোনা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম ।দোকানে গিয়ে আমি আবার এটাওটা দেখায় ব্যস্ত হয়ে গেলাম ।হঠাত করে একটা গন্ধ এসে নাকে লাগল ।নতুন কিছু না এই সুবাস আমার অনেক পরিচিত।খুব কাছ থেকে আমু অনুভব করেছি ।আমি মাতালের মত ছুটতে লাগলাম গন্ধটার পিছে ।প্রায় পুরোশপ আমি উথাল পাথাল করে ফেললাম কিন্তু কাউকেই খুজে পেলাম না।নাহ এখানে আর বেশিক্ষন থাকা যাবে না ।আমি দরকারি জিনিস্পত্র নিয়ে বিল পে করে শপ থেকে বের হয়ে আসলাম ।রাস্তা পার হয়ে বাসার দিকে পা বাড়াবো মাত্র তখনি পেছন থেকে একটা চেনা স্বর ভেসে এল
-ইনা…।
আমি যেন মুহুর্তের মধ্যে জমে গেলাম ।নিজের কানকে অবিশ্বাস্য মনে হতে লাগল।মনে হচ্ছে আমি কোন ঘোরের মধ্যে আছি ।পা নড়তে চাচ্ছে না আমার ।অনেক কষ্টে পিছনে ফিরে তাকালাম ।সাথে সাথে যেন চমকে উঠলাম আমি ।থমকে গেল আমার সময় ।প্রায় বছর খানেক আগে যে মানুষ টা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল সে আজ আমার সামনে দাড়িয়ে।আচ্ছা আমি কি স্বপ্ন দেখছি!খুশিতে চকচক করে উঠল আমার চোখ দুটো ।সামনে পা বাড়াতে যাব তখনই একটা বাস সামনে দিয়ে চলে গেল আর সেই সাথে অদৃশ্য হয়ে গেল রাস্তার ওপাশে দাড়িয়েথাকা সত্ত্বা।আমি অনেক ক্ষন ঘাড় বাকিয়ে এদিক ওদিক খুজলাম।কিন্তু কারও হুদিশ পেলাম না ।চোখ বন্ধ করে নিজেকে সান্তনা দিতে লাগলাম ।কিন্তু ঠোট গুলোকে কোনভাবেই আটকাতে পারলাম না ।অজান্তেই যেন বলে উঠলাম
-I miss you Aroddho …..
চলবে.।
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here