ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড পর্ব ১২

#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_১২

মিসেস রাহেলা লোহার কুলিটা গরম করা শেষে শয়তানি হেসে ড্রাইনিং রুমে আসেন। তার আসা দেখে মেহরান বাঁকা হেসে জারার দিকে তাকায়।

জারার চোখ বন্ধ হয়ে এসেছিল। কিন্তু কারো পায়ের আওয়াজে জারা ধীরে ধীরে নিজের চোখ খুলে সামনে তাকায়। সামনে তাকাতেই দেখল মিসেস রাহেলা লোহার কুলি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

মিসেস রাহেলার চোখেও মেহরানের মতো হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে। জারা ছলছল চোখে তার চাচির দিকে তাকায়। তবে জারার প্রতি মিসেস রাহেলার কোনো মায়া লাগছে না। কারণ কখনোই তিনি জারাকে নিজের মেয়ের চোখে দেখে নি। শুধু এক কুফা,বেকার,নষ্টা,নাজায়েজ মেয়ে এ ভেবেই থাকতেন।

জারার কাছে হাটু গেড়ে বসেন মিসেস রাহেলা। তিনি তার মাথায় হাত বুলিয়ে ন্যাকা আদর দেখাতে লাগেন।

—“কি হয়েছে মা? মেহরান বেশি ব্যথা দিয়েছে। আজ তাকে শাস্তি দেবো। মেহরানননন…..নিজের মেয়ার দিকে রাগী চোখে তাকায়। কিন্তু মেহরান স্বাভাবিক ভাবে টেবিলের উপর বসেই থাকে।

—“মম আমি তেমন কিছুই করি নি কারণ শাস্তি যে তুমি দিবে। আমি তো শুধু পায়ের অবস্থা খারাপ করেছি এর বেশি কিছুই করিনি। বাকিটা তুমি করো।

মেহরান ফোন নিয়ে তার বন্ধু সাহেলকে কল করে।

—“হ্যা বল মেহু।
—“শুন তোর মালটাকে মেরে ফেলব। তাই লাশের করুণ ব্যবস্থা করতে তোকে লাগবে।

—“এই এই কি বলছিস তোর বোনকে তুই মেরে ফেলবে? তাহলে আমার টেস্টের কি হবে!

—“আরে ইয়ার মেরে কি সাথে সাথে দাফন করব? আগে তো তোকেই দেবো তাই না? তুই রুমে লাশের সাথে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবি।

—“ওওও আইডিয়াটা বেস্ট আছে কিন্তু। এমনেই মেয়েটাকে ধর্ষণ করতে গেলে চিৎকার দিতো……হুমম ভালোই হবে মরলে শান্তিভাবে আমি টেস্ট করে একসাথে মিলে লাশটাকে করুণভাবে দাফন করে দেবো।

—“হুমমম তাই তো ইয়ার রেডি থাকিস আমার কলের জন্যে। জারার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে।

জারা এতোক্ষণ মেহরান আর সাহেল এর সব কথা শুনছিল। কারণ মেহরান কলটা লাউড স্পিকারে দিয়ে কথা বলছে। সাহেল যা যা বলেছে সব শুনে জারার গা ঘৃণ ঘৃণ করছে। সে সাহেলকে তেমন একটা চিনে না তবে একবার রেস্টুরেন্টে কিছু বখাটেদের থেকে বাঁচিয়ে ছিল। তখন থেকে সাহেলকে ভালোভেবে আসছে সে।

—“বাহ্ জারা বাহ্ আজ নিজেকে ঘৃণ লাগছে। যাদেরকেই নিজের আপন ভাবতি…..ভালো ভাবতি তারাই আমার পিঠে ছুড়ি চালাতে চাচ্ছে। সত্যি আপন সাজে সকলেই কিন্তু ততোটা আপন সে নয় – কথাটা চিরন্তন বাস্তব।

জারা ভেবে স্বাভাবিক ভাবেই বসা আছে। না লড়ছে না নাড়ছে একদম স্ট্যাচুর মতো হয়ে আছে। চোখজোড়া শুকিয়ে পাথর হয়ে গেছে।

মিসেস রাহেলা জারার গলা থেকে থ্রি-পিচের উরনা টেনে ছুঁড়ে ফেলে দে। তিনি জারার পায়ে হাত দিয়ে ব্যথা পাওয়ার ভান করে বলে।

—“ওহ কি বেশি ব্যথা? দেখি দেখি। তিনি জারার পা জোরে চেপে ধরে দেখার ভান করে চাপ দিয়ে রক্ত বের করতে থাকে।

জারা পায়ের ব্যথায় কাপড়ের আড়ালে চিৎকার করে নাআআআআআ প্লিজজ ছাড়ো আমাকে। বলছে কিন্তু তার কোনো কথায় তাদের কর্ণে পৌঁছাচ্ছে না। উনি উনার মতো করে রক্ত বের করে লোহার কুলিটা ধীরে ধীরে পায়ের কাছে আনে।

ফায়যান গাড়ি পার্ক করে জারার বাসার সামনে এসে দরজার বাহিরে দাঁড়াল।

—“বেল দেবো নাকি দেবো না? কিয়ের দেবো না ! আমি তো এই ঘরের একমাএ জামাই বাবু হবো। ঘরে ঢুকা ফরজ কাজ। আহেম……ফায়যান নিজেই বির বির করে হালকা কেশে দরজায় বেল দে।

মিসেস রাহেলা লোহার কুলিটা জারার পায়ে লাগাতে গিয়ে থেমে যান। মেহরান হকচকিয়ে উঠে দাঁড়ায়। তার মা লোহার কুলিটা ড্রয়ারের কোণায় রাখে। মেহরান দরজার কাছে এসে জোরে জোরে জিগ্গেস করে।

—“কে…….কে বাহিরে?

—“জ্বী আমি ফায়যান এসেছি।

ফায়যানের নাম শুনে জারা চট করে চোখ খুলে দরজার দিকে তাকিয়ে ছুড়াছুড়ি করে ডাক দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মিসেস রাহেলা জারাকে টেনে টেনে স্টোর রুমের দরজার পিছে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দে।

জারা ছুড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলে ও পারছে না। কারণ হাতের দড়ি খুব শক্ত ভাবে বাঁধা। সে আশপাশে কোনো ভারি ধারালো কাঁচ আছে কিনা খুঁজতে থাকে।

মেহরান নিজেকে ঠিক করে জারার পায়ের রক্তের জায়গায় পাটি বিছিয়ে দরজার কাছে এসে ধীরে ধীরে দরজা খুলে দিল।

—“জ্বী আপনি? আমার সাথে কোনো কথা ছিল? আমি কিন্তু ফ্রি আছি।

—“কথা না শুনে কথা বলা মেয়েদের আমি একদম সহ্য করি না। গম্ভীর কণ্ঠে ফায়যান বলে।

মেহরান আমতা আমতা করে বলে।

—“ওহ না…মানে বলছি যে কোনো কাজ ছিল কি? হঠাৎ আমাদের বাসায়…..

—“কেনো আপনাদের বাসায় আসা কি বারণ?

—“নাহ নাহ তা কেনো হবে? বাসায় আসতে পারবেন তবে একটা কল করে জানিয়ে দিতেন সবাই ঘুমও থাকতে পারে usual.

—“আমি আসতে কারো পারমিশন নি না। গট ইট? ঘাড় বাঁকিয়ে মেহরানের দিকে রুড নজরে তাকিয়ে ফায়যান বলল।
আর বাই দ্যা ওয়ে জারার সাথে দেখা করতে আসছি। সে কোথায় ডাক দাও!

—“জারা নেই তার বাপের বাড়ি গেছে।
কড়া গলায় মিসেস রাহেলা সরু নজরে ফায়যানের দিকে এসে বলল।

ফায়যান কারো আওয়াজ পেয়ে সেদিকে ফিরে দেখে মিসেস রাহেলা দাঁড়িয়ে আছেন।

—“জারা বাপের বাড়ি গেছে? এটা কিভাবে সম্ভব এতো জলদি কেউ বাড়ি কিভাবে যেতে পারবে?
ফায়যান হিসাব মিলাতে পারছে না। জারার চাচি সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা। কিন্তু সে যাওয়ার আগে ফোন দে নি কেনো?

—“উফ আপনাকে একবার বললে বুঝেন নাহ? জারা বাপের বাড়ি গেছে এখানে নেই কথা শেষ বার বার ঐ কুফা…..বাকিটুকু বলার আগেই ফায়যান উনাকে থামিয়ে দেন।

—“আন্টিইই কড়া গলায় ডেকে। মিসেস রাহেলা ফায়যানের দিকে তাকিয়ে কিছুটা ভয় পেয়ে যান। তার চোখজোড়া রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে।
জারার নামে আজেবাজে কোনো কথাই আমি শুনবো না গেট ইট ইন ইউর মাইন্ড মিসেস রাহেলা।

মিসেস রাহেলা নিজের মাথা হ্যাঁবোধক নেড়ে সম্মতি জানায়। ফায়যান ব্যাগটা মেহরানের হাতে দিয়ে বলিও আমি এনে রাখছিলাম।

জারা বদ্ধ রুমে দরজার পিছে বসে ফায়যানের সব কথা শুনছিলো। সে জোরে জোরে কাপড়ের ভেতর থেকে আওয়াজ দিতে থাকে ফায়যানকে। কিন্ত ফায়যান কিছুই শুনতে পারছে না তবে তার হার্টবিট হচ্ছে খুব ফাস্টলি।

ফায়যান বাহিরের দরজার দিকে আগাতে থাকে। সে যত বাহিরের দিকে যাচ্ছে তত তার হার্টের স্পন্দন অতিমাএায় স্পন্দদিত হতে থাকে। মন বার বার থাকে থেমে যেতে বলছে। সে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেরিয়ে যায়।মেহরান সাথে সাথে ডোর লক করে দে।

মেহরান হাঁফ ছেড়ে তার মায়ের সাথে তড়িঘড়ি স্টোরে রুমে এসে দেখে জারা নেই দড়ি খুলা। ভেবে নিল যে পালিয়ে গেছে কিন্তু পরক্ষণেই বুঝলো জারা বাসার মধ্যে লুকিয়ে আছে।

—‘জারা বের হও যেখানে লুকিয়ে আছিস সেখান থেকে বের হও নইতো অনেক বড় শাস্তি দেবো। মিসেস রাহেলা পুরো রুম খুঁজতে খুঁজতে ডেকে বলে।

জারা মেহরানের বেলকণির পিছের দরজায় পর্দা আড়ালে দাঁড়িয়ে অপর পাশের রুমের থেকে মিসেস রাহেলার বলা কথা শুনছে।

জারা কান্নায় মুখ চেপে ধরে বসে আছে। মেহরান ড্রয়িং রুমের মধ্যে।
—“জারা বেপ্পি কই তুমি বের হও সোনা আপ্পি জানো না তোমাকে না দেখলে আমার ভালো লাগে না আপ্পি ওওওও আপ্পি কই তুমি?

মেহরান ন্যাকা আদরের মতো ডাকছে জারাকে।

—“আল্লাহ এবার তুমিই কিছু করতে পারবে প্লিজ প্লিজ। জারা হাটুজোড়া চেপে ধরে নিচে বসে মাথা দিয়ে রাখে।

ফায়যান গাড়িতে বসল।

—“ধ্যাত কি ভাবছিলাম আর কি হলো? আচ্ছা জারা কি সত্যি তার বাপের বাড়ি গেছে?……ফায়যান গাড়ির হ্যান্ডেলে হাত রেখে ভাবতে থাকে। তখনই তার মনে পড়ে যায় গাড়িতে সে আর জারা কথা বলছিল। জারা বলেছিল তার আপন বলতে শুধু চাচাই।
ইয়েস তার পরিবার নেই। জারা বাসার মধ্যেই আছে। কিন্তু উনারা মিথ্যে কেন বলল। কিছু একটা গ্যাবলা তো আছেই।

—“ভুউউউউউ মেহরান জারার গায়ে হাত রেখে তাকে চমকিয়ে দেয়ে। জারা মেহরানের হাত চেপে ধরতে গেলে তার আগেই মেহরান জারার ব্যথা পাওয়া পায়ে নিজের হাই হিল দিয়ে চাপ দেয়ে। এতে জারার পায়ের সেই অংশ আরো ফেটে রক্ত বের হতে থাকে।

—“কি ভাবছিলি তুই লুকাবি আর আমরা তুকে ধরতে পারব না হুমম? জারার চুলের মুঠি ধরে টেনে টেনে ড্রয়িং রুমের সামনে এনে জোরে ফ্লোরে ধাক্কা দে মেহরান।

—“আম্মু আম্মু তাড়াতাড়ি লোহার কুলিটা আনো। আর সহ্য হচ্ছে না এর কারণে ফায়যান শুধু আমার উপর রাগ ঝাড়ে। ফায়যানকে নিজের করবই তুই শুধু দেখ। আমার ধন-দলতে হাত দিতে দেবো না।
মেহরান এটিটিউট লুক দিয়ে বলল।

জারা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে।

—“সে যদি তোকে ভালো না বাসে তাহলে মনে রাখিস কখনো তুই ফায়যানের হতে পারবি না। নেভারররররর
মেহরানের দিকে তাকিয়ে নিজের আত্নবিশ্বাসের জোরে বলল।

মিসেস রাহেলা লোহার কুলিটা আনতে জারা সরে উঠার চেষ্টা করে কিন্তু মেহরান চেপে ধরায় পারে না। তার চাচি জোরে জারার পায়ে লোহার কুলিটা লাগিয়ে দে। জারার মুখে তখন কাপড় পেঁচানো ছিল না। সে যখন স্টোর রুমে বন্ধ ছিল তখন এক কাঁচের টুকরার মাধ্যমে দড়ি কেটে ফেলে সাথে মুখ থেকে কাপড়টা সরিয়ে নিয়ে ছিল। সরিয়ে মুখের ভিতর থেকে মেহরানের খাওয়ানো আপেলটা ফেলে লুকাতে যায়। লুকানোর সময় তার পায়ের রক্তের চাপ ফ্লোরে লেগেছিল। যার কারণে মেহরান ফ্লোরে রক্তগুলোর চাপ দেখেই জারাকে ধরে ফেলে। মেহরান জারার চিৎকার দেখে জোরে জোরে হাসতে লাগে খুশিতে সে শয়তানের মতো তাকিয়ে থাকে।

জারার পায়ের চামড়া পুড়ে জ্বলছে যাচ্ছে।

মিসেস রাহেলা সেখান থেকে লোহার কুলিটা সরিয়ে জারার ঘাড়ে যখনই লোহার কুলিটা লাগাতে যায় তখনই সেই কুলিটা হাত দিয়ে ধরে ফেলে ফায়যান।

মেহরান আর তার আম্মু ফায়যানকে দেখে ভয়ে হাত থেকে লোহার কুলিটা ফেলে দে। ফায়যান এতো গরম কুলিটা ধরে থাকায় তার হাতের খানিকটা অংশ জ্বলছে রক্তাক্ত ভাব ফুটে উঠে। সে রক্তিম হিংস্র চোখজোড়া গরম করে চাচি আর মেহরানের দিকে তাকায়।

তারা ভয়ে একে অপরকে জড়িয়ে আছে। ফায়যান জারার দিকে তাকিয়ে হাটু ঘেড়ে বসে তার পা চেক করে দেখে। পায়ের অবস্থা কিভাবে কি হলো সব সে আন্দাজ করে ফেললো।
জারার পায়ে করাঘাতে সে জ্ঞান হারালো। ফায়যান স্বাভাবিক ভাবে তাকে কুলে করে বের হয়ে ট্রিটমেন্টের জন্যে মেডিক্যাল এ নে। মেহরান আর তার আম্মু ফায়যানকে চুপ থাকতে দেখে। কিছুটা অবাক হলো।

—“আম্মু কিছু বুঝছো? ফায়যান চুপ তার মানে আমাদের কিছু করবে না।

—“না রে মামুনি আমার লাগছে এই চুপ থাকা কোনো এক বড় বিপদের সংকেত।

ফায়যান মেডিক্যাল এ তাড়াতাড়ি জারাকে ট্রিটমেন্ট দে। ডক্টর জারাকে ট্রিট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ফায়যান জারার ওয়ার্ডের সামনে এসে লুকিং গ্লাস দিয়ে জারার কমল মুখখানির দিকে চেয়ে আছে।
তখন তার নজর পড়ল জারার পায়ের দিকে। তার পায়ে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।

রাগে দুই হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে বলে—“জারা তোমার কিছু হবে না তোমার সাথে এসব যারা করেছে তাদের সাথে কিছু না কিছু হতে চলেছে। তোমার থেকে হুঁশ আসতে হবে নিজ চোখে দেখে হাত দিয়ে এদেরকে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু……আমার কিছু পাওনা সুদ তুলবো।

ফায়যান বিরবিরিয়ে কথাগুলো বলে। ফোন বের করে রাহুল কে কল দে।

রাহুল অলরেডি অরিতার সাথে পার্টি শেষ করে তার সাথে অফিসে চলে আসে। যে যার কেবিনে কাজ করতে থাকে। ফায়যানের কল আসায় সে ফোন উঠাতেই অপরপাশ থেকে ফায়যান বলে।

—“স্পেশাল লেডিস স্কাউটকে নিয়ে জারার বাড়িতে আয়। আমি এড্রেস সেন্ড করছি। বি ফাস্ট যদি একটু লেইট করিস তাহলে মনে রাখিস! গম্ভীর উচ্চ কড়া গলা শুনে রাহুল এক ঢোক গিলে জোরে হ্যা স্যার আসছি এখনই!

ফায়যান কল রাখতেই ওয়ার্ড ডোর খুলে ডক্টর বেরিয়ে আসে।

—“মিস্টার ফায়যান আপনি পেসেন্টের কি হোন?

—“আমি পেসেন্টের ফিউন্সে।

—“ওহ কংগ্রেস ফোর ভেরি সুন হেপ্পি ম্যারেড লাইফ এন্ড কংগ্রেস এগেইন আপনার ফিউন্সে এখন ঠিক আছে ব্যথা একটু বেশিই লেগেছিল তাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। আর কয়দিন উনাকে উইলচেয়ারে বসে কাটাতে হবে। কারণ উনার পায়ে তিনটা স্ক্রু ঢুকেছে সেগুলো বের করাতে পায়ের কন্ডিশন অনেকটা খারাপ। দুইমাস খুব টেক কেয়ার করতে হবে। সো নো টেনশন সুস্থ হয়ে যাবে। এখন পাঁচ ঘণ্ঠা ঘুম থাকবে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এরপর দেখা করতে পারবেন।
ফায়যানের কাঁধে হাত রেখে শান্ত্বনা স্বরুপ ডক্টর বলল।

ফায়যান নিজের মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানায়। ডক্টর যেতেই ফায়যান ওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে বলে।

—“তারা তোমার পায়ের বেহাল করেছে এবার আমি তাদের পায়ের কাহিল অবস্থা করব।

ফায়যান মেডিক্যাল থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা জারার বাসার দিকে রওনা দে। জারার বাসায় রাহুলও লেডিস স্কাউট নিয়ে ভেতরে ফায়যানের জন্যে ওয়েট করে। মেহরান ভয়ে ঘামতে থাকে মিসেস রাহেলা তো মাথায় হাত দিয়ে বেডের মধ্যে বসে আছে।

ফায়যানের গাড়ির হর্ন শুনতেই মেহরান আর মিসেস রাহেলার রুহ কেঁপে উঠে। উনারা বুঝতে পারছেন না যে কেনো ফায়যান লেডিস স্কাউট বাসার মধ্যে আনালো।

ফায়যান……

………চলবে…….

[বিঃদ্র—আহ আজ হাত চলছে না বেশি একটু কেমন কালকে চাচি আর মেহরানের করুণ অবস্থা পড়ার জন্যে সবাই রেডি থেকো। কাল আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ গল্পের নেক্সট পার্ট নিয়ে। ভুল হলে ক্ষমা অবশ্যই করবে। ওকে হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here