তুমি আমার প্রাণ পর্ব -২৪

#তুমি আমার প্রাণ
#পর্বঃ২৪
#Mitu-মিতু

“ও মামাশ্বশুর! ভাগ্নীর জন্য এতো পারফেক্ট পাত্র রেখে অন্য দিকে নজর দিচ্ছেন কেনো? এতো বড় আমিটাকে দেখতে পান না?”

ছেলের কথায় মতিন সাহেবের চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম। তাসরিফ সবসময়ের জন্যই একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষ। কিন্তু তাসরিফের এমন কথায় মতিন সাহেব অবাক না হয়ে পারলেন না।

“বেয়াই সাব! আমার ছেলে নাম তাসরিফ।আর্মির সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে চাকরিরত। আমার এই সোনার টুকরো ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আনলাম আপনার কাছে। আমার ছেলের নাকি আপনার একমাত্র ভাগ্নীকে খুব মনে ধরেছে। ভালোওবাসে।”

সন্ধ্যার পর মেহেন্দী অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ির সকল সদস্য ছাদে উপস্থিত হয়েছে। মতিন সাহেব নিজ ঘরে এমপি মহোদয়ের সাথে বিয়ে বাড়িতে আসা নিয়ে কথা বলছিলেন। কথা শেষে সারাদিনের ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য চেয়ারে বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন। পেছন থেকে ছেলের বলা কথার কিছু বুঝতে না পারলেও স্ত্রীর কথায় অবাকের শীর্ষ চূড়ায় তিনি এখন অবস্থান করছেন।

“তোমাদের হয়েছে টা কি? বলছো টা কি? মামাশ্বশুর,, বিয়ের প্রস্তাব। আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না।”

“এই মাথা নিয়ে আবার আপনি রাজনীতি করেন।সামান্য কথার মানেই বুজতে পারেন না,,সমাজের সেবা করেন কি করে? ”

মুর্শিদার কথায় মতিন সাহেব রেগে গেলেন।তার দিকে তাকিয়ে বললেন

“কাল মেয়ের বিয়ে আর আজ তোমরা মজা করছো আমার সাথে? ”

রান্নাঘর থেকে চার কাপ চা নিয়ে সাহেরা বানু মতিন সাহেবের ঘরে প্রবেশ করলেন। তাসরিফের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাস করলেন

“এখানে ডাকলি কেনো বাবা? ”

তাসরিফ তার মায়ের সাথে পরিকল্পনা করে এসেছে মতিন সাহেবকে চমকে দেওয়ার জন্য। তবে এবার ফুপি আসায় তাসরিফ গাম্ভীর্যতা ধারণ করলো। সবাইকে বিছানায় বসিয়ে সে একটা চেয়ারে বসে সবার দিকে তাকিয়ে বললো

“আমি রিশাকে বিয়ে করতে চাই।”

এতো বলেও যে ছেলেকে বিয়েতে রাজি করাতে পারেননি চেয়ারম্যান বাড়ির কেউ সেই ছেলে বলছে সে বিয়ে করবে তাও আবার যে সে মেয়ে না একেবারে নিজের ফুপির মেয়ে। মতিন সাহেব চুপ হয়ে গেলেন সাহেরা বানু তাসরিফ কে বললো

“এটা হয় নাকি? সবাই জানে তোরা ভাই-বোন। এগুলো শুনলে লোকে কি বলবে?”

“ফুপি! লোকজনের তোয়াক্কা আমি করছি না। রিশা এতোদিন ছোট ছিলো তাই কিছু বলিনি কিন্তু এখন সে ছোট নেই আর আমি আমার পজিশান ঠিক করে নিয়েছি। আমি তোমাদের কাছ থেকে না শুনতে চাই না। কথাটা তোমাদেরকে জানালাম এখন বিয়ের ব্যবস্থা তোমরা করো।”

এ পর্যায়ে মতিন সাহেব বললেন

“আমি রাজি না এতে।রিশা মামনী তোমার থেকে বয়সে অনেক ছোট। দু-তিন বছরের ব্যবধান না গুনে গুনে দশ বছরের ছোট। এছাড়াও আমার মনে হয় রিশা মানবে না এটা।”

মুর্শিদা জানে তাসরিফ আর রিশার ব্যাপারে। মতিন সাহেবের কথায় দুজনেই মুচকি হাসলেন। তাসরিফ বললো

“তোমার মামনীর কথা তুমি বাদ দাও আব্বু। আর কিছুদিন পরে বলতাম কথাটা কিন্তু রায়হানের বিষয়টার পর আমি আর দেরি করতে চাই না। আমার সামনে আমার হবু বউয়ের বিয়ের প্রস্তাব আমি সহ্য করতে পারবো না। ”

“হবু বউ কে তোমার? আমি কিন্তু আমার ভাগ্নীকে বিয়ে দিতে রাজি হইনি।”

“আব্বু পেঁচাইও না তো। রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাবো। একটু ভদ্র ছেলে বলে তোমাদেরকে জানালাম।”

“তোমার ভদ্রতা দেখে আমি গর্বিত। নিজের ফুপাতো বোনের দিকে নজর দিয়ে ভদ্রতার ইতিহাস গড়ে ফেলেছো।”

বাবার কথায় তাসরিফ উঠে দাঁড়ালো। মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো

“আব্বু! আমার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। এখন বাচ্চা কোলে নেওয়ার জন্য বউ দরকার। আর আমার একটা বড় দায়িত্ব হলো তোমাদেরকে দাদা-দাদি হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। ”

কথা সম্পন্ন করে তাসরিফ ঘর থেকে বের হয়ে ছাদের দিকে রওনা হলো। কাজের ব্যস্ততায় অনেকক্ষন হলো প্রেয়সীর সাথে তার দেখা মিলেনি।

_____________

তানিয়া সামিয়ানার নিচে বসে আছে। তাঈবা আর প্রিয়া দুজনে মিলে তার দু-হাতে মেহেদী পড়াচ্ছে। উপস্থিত সকলের পড়নে জলপাই রঙগের শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি। রিশা তানিয়ার পাশেই বসে প্রানপ্রিয় বান্ধবী জুইয়ের থেকে হাতে মেহেদী পরিয়ে নিচ্ছে। নুপুর মজার ছলে রিশাকে বললো

“রিশা তুমি তো এখন আমাদের রায়হানের বউ হতে চলেছো। রায়হান যে দুদিনেই পাগল হয়ে একেবারে আন্টিকে নিয়ে হাজির।”

নুপুরের কথায় রিশা অস্বস্থিতে পরলো। এই বিষয়টা ওর কাছে বিরক্তের।সে তো এখন তাসরিফের প্রনয়ে ভাসছে আর সবসময় ভাসতে চায়। ছাদের রেলিংয়ের সাথে ঠেস দিয়ে রায়হান দাঁড়িয়ে আছে। রিফাত তানিয়ার মামাতো বোনদের সাথে ফ্লাটিং শুরু করে দিয়েছে। অয়ন রায়হানের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো।নুপুরের কথায় রায়হানকে বললো

“তুই দুদিনেই এমন প্রেমে পরে গেলি যে আন্টিকে টেনে আনলি এখানে। কিছুদিন দেরি করলে কি হতো? রিশার সাথে আগে ফ্রেন্ডশিপ করলে বিষয়টা সহজ হতো।”

“আমি আমার পছন্দের ক্ষেত্রে কোনো স্যাক্রিফাইস করতে চাই না অয়ন। আমার মনে হচ্ছে তানিয়ার ভাই ওকে পছন্দ করে। তাই আমি দেরি করতে চাচ্ছি না। ”

“ধুর! ওরা সম্পর্কে ভাই-বোন। তুই বেশি ভেবে ফেলছিস।”

অয়ন তানিয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। রায়হান দূর থেকেই তার মায়াকন্যার সকল কিছু খেয়াল করছে। তাসরিফ ছাদে এসে সোজা তানিয়ার ওপর পাশে বসলো।একপাশ থেকে জরিয়ে ধরলো বোনকে।

“আমার ছোট্ট বনুটা কত বড় হয়ে গেছে। কাল তার বিয়ে। কখনো তো ভাইয়ের কাছে কিছু আবদার করলি না আজ অন্তত কর বনু।”

তানিয়ার চোখ টলমল হয়ে উটলো। প্রত্যেকটা মেয়েই নতুন সংসার নিয়ে স্বপ্ন দেখলেও নিজ বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে থাকতে হবে ভেবে খুব কষ্ট পায়। নতুন পরিবার তার জন্য কেমন হবে এটা ভেবে অস্থির হয়। বোনের টলমল চোখ দেখে তাসরিফ বোনকে জরিয়ে ধরলো।

“কাঁদে না বনু! তুই চোখের পানি ফেলবি না কখনো। আমরা আছি তো। যখন মন চাইবে চলে আসবি বাড়ি আমরাও যাবো। এবার বল কি চাই ভাইয়ের থেকে।”

তানিয়া ভাইয়ের বুকে কিছুক্ষণ মিশে থাকলো।চোখ মুছে হালকা হেসে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো

” এবার আমার একটা ভাবির ব্যবস্থা করে দেও ভাইয়া। এটাই আমার চাওয়া। ”

“আচ্ছা। তোর কথা আমি রাখবো।

রিশা সহ সবাই ভাই-বোনের এই সুন্দর দৃশ্যে মুগ্ধ। তাসরিফের সাথে চোখে চোখ মেলায় তাসরিফ চোখ মারায় রিশা লজ্জায় মাথা নত করে। কেউ বিষয়টা খেয়াল না করলেও রায়হান রিশার তাসরিফের দিকে তাকানো,,লজ্জা পাওয়া ঠিক দেখেছে। মনে মনে বললো

” আমি কি ভুল মানুষের মায়ায় জড়ালাম? সেদিন রাতে হাত ধরে থাকা,,আজকে লজ্জা পাওয়া স্বাভাবিক লাগছে না। মায়াকন্যার সাথে কথা বলতে হবে।”

সাউন্ড বক্সে গান বাজছে

“মেহেদী পেয়ারওয়ালী
হাতো পে লাগাওগি”

গানের তালে তালে কিশোর -কিশোরী নাচে মেতেছে। রিশা জুইয়ের সাথে নাচতে চাইলে তাসরিফ চোখ রাঙ্গায়।

___________

নাচ-গান,, হৈ-হুল্লোর শেষ করে রাত বারোটার দিকে সবাই ছাদ থেকে নিচে নামলো। রাতের খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করে সবাই তাদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমে শুয়ে পরে। রিশা ভুলে তার ফোন ছাদেই ফেলে গেছে। জুই আসায় তাসরিফ রিশার ঘরে না থেকে চিলেকোঠার রুমে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রিশা চেঞ্জ না করেই তাড়াহুড়ো করে সিড়ি বেয়ে ছাদে আসে। ছাদের দরজা পেরুতেই কেউ একজন তাকে টেনে নিজের সাথে চেপে ধরে। ভয় পেলেও তাসরিফকে দেখে চুপ হয়ে যায়। তাসরিফের এতো কাছে আসায় দম আটকে আসলো। বুকের ধুকপুকানি শব্দ বোধহয় তাসরিফও উপলব্ধি করছে। তাসরিফ ফিসফিসিয়ে বললো

“শ্বাস ফেলো প্রাণ। অভ্যাস করে নেও।ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। একা একা ছাদে কেনো? ফোনের জন্য বুঝি।”

“ভুলে ফোন রেখে গেছি। ছাড়ো ভাইয়া। আমি ফোন নিয়ে নিচে যাই।জুই অপেক্ষা করছে।”

“করুক। সবসময় তো দূরে দূরে থাকো এবার সুযোগ হয়েছে একটু তো কাছে থাকো। একটু আদর দিই তোমায়?”

রিশা শিউরে উঠলো এমন নেশালো কন্ঠের কথা শুনে।ছটফটানি শুরু করলো।

“আরে আস্তে। শুধু বলেছি করিনি কিছু। কিন্তু বিয়ের পর এমন করলেও আমি ছাড় দিবো না। এখন একটু গালে আদর দিই প্রাণ। ”

কোমড় টেনে নিজের সাথে আরেকটু জরিয়ে নিতেই রিশা রিতীমত লাফালাফি শুরু করেছে তবে একটু পরে শান্তও হয়ে গেছে।

“শুধুমাত্র দু-গালে দুটো দিলাম তাতেই এই অবস্থা। শাড়ি পরলে তোমাকে কিন্তু বউ বউ লাগে। আমার বউ। যাও নিচে। ”

রিশা ফোন না নিয়েই দৌড়। আর কিছুক্ষণ থাকলে সে শ্বাস আটকে বোধহয় মরেই যেতো। তাসরিফের দেওয়া চুমুর কথা মনে পরতেই দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললো

“কি লজ্জা! কি লজ্জা। ”

___________

সবাই শুয়ে পরলেও মুর্শিদা আর সাহেরা বানু রান্নাঘরেই আছেন। অগোছালো থালাবাসন গোছাচ্ছেন দুজনে। জুইয়ের পানি তৃষ্ণা পাওয়ায় রিশা পানি নিতে নিচে এসেছে। রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে মামীর কথায় থম মেরে গেলো। সন্ধ্যায় নিজের বাবা-মায়ের সাথে কথা শেষ করে তাসরিফ বের হয়ে আসলে ঘরে উপস্থিত সবাই হেসে উঠে। লোকজনের তোয়াক্কা না করে মতিন সাহেব ছেলের কথায় রাজি হোন। সেই কথা মনে পড়ায় মুর্শিদা সাহেরা বানুকে বললো

“উনি ভালোই ভালোই মত দিয়ে দিলেন। আমি খুব খুশি। ভালোই হলো তাই না সারু? তানিয়ার পর এবার রিশার পালা। তোমার কোনো দ্বিমত নেই তো এতে?”

“না ভাবি! এতো ভালো ছেলের সাথে সম্বন্ধ আসলে কোন মা-ই বা দ্বিমত করবে। মেয়ের সুখ-ই বড় পাওয়া আমার জন্য। ”

রিশার চোখ থেকে অনড়গল পানি পরে গাল ভিজে যাচ্ছে। নিজের সমস্ত আবেগ -অনুভূতি সে তাসরিফকে ঘিরে গড়ে ফেলেছে। রায়হানের সাথে বিয়েতে সবাই রাজি হয়েছে ভেবে সে ছন্নছাড়ার মতো দৌড়ে ছাদে গেলো। তাসরিফ দরজা বন্ধ করে কেবলই বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। চোখ বন্ধ করার আগেই দরজা ধাক্কা-ধাক্কিতে উঠে দরজা খুলতেই রিশা ঝাপটে ধরলো ওকে।

“পুতুল! কি হয়েছে তোমার? দেখি তাকাও আমার দিকে? একি চোখে পানি কেনো?”

রিশা অনবরত কেদেই যাচ্ছে। বিয়ের কথাটা কিভাবে বলবে সে।তাসরিফের বদলে অন্যকে সে নিজের সাথে মেনে নিতে পারবে না।

“পুতুল! কান্না থামিয়ে কারণ টা বল প্লিজ। এই পুতুল কাদছিস কেনো বল না? তোর চোখের পানি দেখলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। বুকে ব্যথা করে। এই পুতুল। ”

জড়ানো গলায় রিশা বললো

“মামী বলছে মামা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছে। আমি তোমার জায়গায় অন্যকে মানতে পারবো না ভাইয়া। পারবো না। ”

“কেনো পারবি না?”

রিশা তাসরিফকে আস্টে-পিস্টে জরিয়ে ধরে কান্না স্বরে বললো

“ভালোবাসি তোমাকে আমি। খুব ভালোবাসি। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ভাইয়া মরে যাবো।”

“চুপ! আর না। কান্না বন্ধ কর।”

“আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। ”

“আমিও পারবো না। আমার প্রাণপাখি। তোমার জন্য একটা সুখবর আছে। তোমার মামী আমাদের বিয়ের কথা বলেছে।”

রিশা অবাক হয়ে বললো

“আমাদের মানে তোমারও বিয়ে ঠিক করেছে নাকি?

” পাগলী।আজকে আম্মুকে দিয়ে আব্বুর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম তোর আর আমার বিয়ের। তাতেই রাজি হয়েছে। পাগলী আমার। কেঁদেকেটে মুখটার কি অবস্থা করে ফেলেছো এইটুকু সময়ে। ”

যতটা ভয়ে রিশা ছিলো তার পুরোটাই কেটে গেলো। বাড়ির সবাই এতো সহজে মেনে নেওয়ায় খুশিও হলো। যখন মনে হলো তাসরিফের থেকে সে আলাদা হয়ে যাবে তখন ভেতরটায় কেমন হচ্ছিলো তা সে নিজেই জানে।

“তখন জরিয়ে ধরায় ব্যাঙ্গের মতো লাফালে আর এখন নিজের ইচ্ছেতে ধরলে। আহ! শান্তি। জীবনটা ধন্য হয়ে গেলো। ”

রিশা বেশ লজ্জা পেলো। তাসরিফের থেকে সরে আসতে গেলে তাসরিফ উল্টে জরিয়ে ধরে।

“আর ছাড়ছি না। এসেছো নিজের ইচ্ছেতে আর যাবে আমার ইচ্ছেতে।”

“ভা…..!”

শ্বাসরুদ্ধকর এক অবস্থা। রিশা তাসরিফের পিঠ খামচিয়ে ধরলো। এর আগে দুগাল পর্যন্ত থাকলেও এবার তাসরিফ সরাসরি ঠোঁটের ওপর হামলা চালিয়েছে। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ঠোঁট ছেড়ে আলগোছে জরিয়ে রিশার কানে কানে বললো

“যেহেতু সবাই রাজি সুতরাং ভাই ডাক ডিকশনারি থেকে আউট করে দেও। না হলে যতবার ভাই বলবে ততবার এটা করবো।”

চলবে……

[কেমন হয়েছে বলবেন কিন্তু সবাই 🥰]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here