তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব -০৪

#তুমি_নামক_প্রশান্তি
#লেখনীতে_জেনিফা_চৌধুরী
#পর্ব_চার

দুইদিন পর ভার্সিটিতে এসে ইংরেজি ক্লাসে স্যার রুপে নিজের প্রাক্তন স্বামী রাফিনকে দেখে বজ্রাহত চোখে তাকিয়ে রইলো বেলী। ও কি সত্যি দেখছে? নাকি চোখের ভ্রম? যার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য এ শহরে আসলো। আর, আজ তাকেই কিনা ভার্সিটির স্যার হিসেবে চোখের সামনে দেখতে হচ্ছে। কি নিষ্ঠুর নিয়তি? আবার কেনো ফিরে আসলো এই লোকটা? মাথার মধ্যে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো। দম বন্ধ হয়ে আসলো। অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি হলো। পুরনো স্মৃতি ভেসে উঠলো চোখের পাতায়। বিষাক্ত অনুভূতি গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো। সে এক বিষাদময় যন্ত্রণা! বেলী তানিশার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো। এত শক্ত যে, তানিশার হাতে নখ বিঁধে গেলো। আচমকা হাতে যন্ত্রণার টের পেতেই তানিশা নড়ে উঠলো। বেলীর দিকে তাকাতেই দেখলো, বেলীর দৃষ্টি সামনের দিকে স্থির। চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়ছে। মুখের রঙ ফ্যাকাশে। তানিশা বেলীর অবস্থা বুঝতে পারলো না। চেষ্টা ও করলো না। এই মুহূর্তে ব্যাথা উপশম করা সবথেকে জরুরী। ক্লাসে স্যার থাকায় শব্দ করতে পারলো না। বেলীর থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে চাপা স্বরে বললো,
“ব্যাথা পাইতাছি বেলী। তুই কি করতাছোস? এমনে ধইরা আছোস কেন? ছাড় কইতাছি। ”
কথাগুলো কানে যেতেই বেলী থামলো। হুঁশে এলো। চারদিকের কোলাহল শুনতে পেলো। পাশ ফিরে তাকালো। দেখলো তানিশার হাতটা এতই জোরে ধরেছিলো যে, নখের ক্ষত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। নিজের প্রতিই নিজের রাগ হলো। শরীর জ্বলে যাচ্ছে। তানিশা হাতে ফুঁ দিচ্ছে। ব্যাথায় মুখটা লাল হয়ে গেছে। বেলী নিশ্চুপে ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে তানিশার দিকে এগিয়ে দিলো, অপরাধী ভঙ্গীতে বললো,
“স্যরি দোস্ত। প্লিজ মাফ করে দে। আমি একদম বুঝতে পারিনি। বিশ্বাস কর আমার একটুও খেয়াল ছিলো না। আসলে, চোখের সামনে…।”
এইটুকু বলে আর বলতে পারলো না বেলী। তার আগেই তানিশা ওর দিকে সন্দিহান চোখে তাকালো। শান্ত স্বরে বলল,
“কি হইছে তোর? মন খারাপ কেন? আমার লগে শেয়ার না কইরা চুপ কইরা আছোস কেনো? না কইলে আমি বুঝুম ক্যামনে?”
দুজনের কথার মাঝেই রাফিন ওদের সামনে এসে দাড়ালো। রাফিনকে দেখেই বেলী আঁতকে উঠলো। হাত-পা কাঁপতে শুরু করলো। চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেলো। ঘৃণায় মুখটা তেতো হয়ে উঠলো। রাফিন বেলীর দিকে তাকিয়ে কেমন বিশ্রী করে হাসলো। পরক্ষণেই মুখভঙ্গি পরিবর্তন করে রাগী স্বরে বললো,
“এটা ক্লাস। তোমাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা নয়। তাই মনোযোগ দাও ক্লাসে।”
বলে সামনে চলে গেলো। রাফিনকে দেখেই বেলীর গলা চেপে আসছে। চোখ থেকে অনবরত পানি পড়ছে৷ এই লোকটা কি ওকে শান্তিতে বাঁচতে দিবে না? মাথা নত করে অশ্রু বিসর্জন দেওয়া ছাড়া, বেলীর কাছে আর কোনো উপায় নেই। ক্লাস শেষ হতেই রাফিন রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, বেলীর দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি দিয়ে চলে গেলো। রাফিন চলে যেতেই বেলী দেরি করলো না, বেরিয়ে এলো রুম থেকে। ক্যাম্পাসের মধ্যে একটা গাছের নিচে বসে পড়লো। রাগে, ক্ষোভ, দুঃখ, যন্ত্রণা মিলিয়ে বিষাক্ত লাগছে সব কিছু। তানিশা বেলীর পাশে এসে বসতেই বেলী সময় নিলো না। তানিশাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে উঠলো। হঠাৎ কি হলো বুঝতে না পেরে তানিশা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো? অস্থির কন্ঠে প্রশ্ন করলো,
“কিরে কান্না করতাছোস কেন? কি হইছে? ”
কান্না থামলো না। বেড়ে গেলো। উওর দিলো না। নিশ্চুপ থাকলো। কিছুসময় কেটে গেলো। তানিশা অধৈর্য গলায় বললো,
“বা’লডা আজকে এখানে বইয়া বইয়া খালি কানবি? আমারে কবি তোর কি হইছে?”
চোখের পানি গুলো মুছে নিলো বেলী। মনটাকে শান্ত করলো। রাগ মিশ্রিত স্বরে বললো,
“রাফিন এই ভার্সিটিতে কি করে আসলো তানিশা?”
বেলীর প্রশ্নে তানিশার ভ্রু যুগল কুঁচকে গেলো। চোখের পাতা ঝাপটালো বার কয়েক। অবাক স্বরে বললো,
“রাফিন কে? ”
বেলী তানিশার উত্তরটা না শুনেই অন্যমনস্ক হয়ে বললো,
“আমার প্রাক্তন স্বামী।”
‘প্রাত্তন স্বামী’ কথাটা সম্পূর্ণ তানিশার কান অব্দি গেলো কিনা বুঝতে পারলো না বেলী। তার আগেই তানিশা চেঁচিয়ে বললো,
“কিহ? তোর স্বামী।”
এবার বেলীর সম্বিৎ ফিরলো যেন। চুপসানো মুখটা আরো চুপসে গেলো। বিষন্নতায় জর্জরিত, মলিন স্বরে বলতে লাগল,
“আমাদের ইংরেজি স্যার রাফিনেই আমার স্বামী ছিলো ”
তানিশার চোখ কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো। নিজের কানকে অবিশ্বাস করতে চাইলো। ঠিক শুনছে? নাকি ভুল? নাকি সত্যি? প্রশ্ন গুলো মস্তিষ্কে নাড়াচাড়া দিলো কিছুক্ষন। অবিশ্বাস্য গলায় বললো,
“কি কইতাছোস? আমার তো বিশ্বাসেই হইতাছে না।”
বেলী শক্ত গলায় বললো,”এটাই সত্যি। ”
তানিশা কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে হাত রেখে বললো,
“আমি তো এই পোলারে এক বছর আগে ছবিতে দেখছিলাম। তাই, সামনাসামনি দেইখা চিনিনাই। এই হাবুল কইত্তে টপকাইলো বল তো?”
তানিশার কথাবার্তা দেখে বেলী বুঝলো, ও এই ব্যাপারে সিরিয়াস না। সিরিয়াস হওয়ার মতো কারণ ও নেই। কারন, তানিশার কাছে অনেক ব্যাপার লুকিয়ে গেছে বেলী। বেলী মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো ও এই ভার্সিটিতে কিছুতেই থাকবে না৷ কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে। বেলীকে অন্যমনস্ক হয়ে ভাবতে দেখে তানিশা ওরে ধাক্কা দিয়ে বলল,
“কিরে বুলবুলি, কি ভাবতাছোস?”
হঠাৎ ধাক্কায় বেলী পড়ে যেতে নিলেও সামলে নিলো নিজেকে। তানিশার দিকে তাকিয়ে চাপা রাগ দেখিয়ে বললো,
“চুপ থাকলে কি তোর মুখ ব্যাথা করে? এত বকবক করিস কেনো?”
বেলীর কথা শুনে তানিশা মুখ বাঁকালো। ভেংচি কে’টে বললো,
“আহ! মরণ। চুপ থাকুম কেন? আমার মুখ, আমার ইচ্ছা, আমার ভাষা, আমি কথা কইমু তোর কি? ”
বিরক্তিতে বেলী কপাল কুঁচকালো। এই মেয়েটা এত বেশি বকবক করে কেনো? মুখে বললো,
“আচ্ছা বইন তুই কথা বল?”
এইবার তানিশা ভাবলেশহীন ভাবে বললো,
“নাহ কমু না। তোর কি?”
এইবার বেলী ক্ষিপ্ত চোখে তানিশার দিকে তাকালো। পরমুহূর্তেই রাগটাকে গিলে নিলো। ব্যাগ নিয়ে সোজা হাঁটা ধরলো। তানিশা বেলীর পেছনে ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে যেতে যেতে বললো,
“হোন তুই ওই হাবলাকান্ত রাফিন, কফিনের কথা ভাবা বাদ দে। ওয় কোন ক্ষেতের মূলা যে, ওর কথা ভাবতে হইব। ওর লগে কি তোর কোনো সম্পর্ক আছে? তাইলে ওর কথা ভাইবা সময় নষ্ট করবি কেন? আজব!”
তানিশার কথা শুনে বেলী এক নজর ওর দিকে তাকালো। উওর দিলো না। চুপচাপ হাঁটতে লাগলো। বেলীকে চুপ থাকতে দেখে তানিশা বললো,
“বুলবুলি জানোস, আজকে নীলাভ্র ভাইরে যা জোস লাগতাছিলো না। উফফ! আমি তো অবাক হইয়া চাইয়া ছিলাম! ব্লু শার্টের সাথে কালো জিন্সটা তার শ্যামবর্ণ গায়ে যা মানাইছেনা, কি বলবো আর? আজকে দেখলাম চোখে মোটা ফ্রেমের একটা চশমা লাগাইছে। এতে আরো বেশি জোস লাগছিলো। পুরাই আগুন!”
কথাগুলো শুনে বেলীর পা থেমে গেলো। হৃদযন্ত্রটা লাফানো শুরু করলো। ঢিপঢিপ শব্দ করছে। এই মানুষটার নাম শুনলেও ইদানীং নিজেকে সামলাতে পারেনা। তাও বে’হায়া মন তার কথা শুনলেই আনন্দে নাচানাচি শুরু করে দেয়। বেলী কিছু বলার জন্য প্রস্তুত হলো, এর মধ্যেই নীলাভ্রর কন্ঠস্বর ভেসে আসলো,
“দুইজন মিলে রাস্তায় দাড়িয়ে বকবক করছিস কেনো?”
অতি চেনা কন্ঠস্বর শুনে, পাশ ফিরে তাকালো। দেখলো নীলাভ্র গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা বের করে তাকিয়ে আছে। নীলাভ্রকে দেখেই তানিশা থতমত খেয়ে গেলো। সব শুনে ফেললো নাকি? ভেবে লজ্জায় ওর মুখটা চুপসে গেলো। এই কথা গুলো শুধু বেলীর মনোযোগ পাওয়ার জন্য বলছিলো। এখন যদি নীলাভ্র শুনে ফেলে, ভাবতেই তানিশার আচমকা হেঁচকি উঠে গেলো। হয়তো তানিশার এমন আচরণ নীলাভ্র বুঝতে পারলো। তাই বললো,
“বুঝলে তানিশা, আমি ইদানীং কানে কম শুনি । এত চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।”
বলে মুখ টিপে হাসলো। বেলী প্রথমে বুঝতে পারলো না নীলাভ্রর কথাটা, যখন বুঝলো তখন অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে হেসে দিলো। আর তানিশার হেঁচকি অটোমেটিক থেমে গেলো। নীলাভ্রর দিকে তাকিয়ে অসহায় স্বরে বললো,
“আপনি সত্যি কিছু শুনেন নি?”
তানিশা যখন ফ্রেন্ডসদের সাথে থাকে তখন আঞ্চলিক বা অদ্ভুত সব ভাষায় কথা বললেও, বাইরের সবার সাথে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। নীলাভ্রর সাথে আগে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতো। ইদানীং শুদ্ধ,আঞ্চলিক সব মিলিয়েই কথা বলে। আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু আজকাল আঞ্চলিক ভাষাটা অনেকটাই হারিয়ে গেছে। নীলাভ্র তানিশার প্রশ্নে একদম নিস্পাপ ভঙ্গীতে দুইদিকে মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ, সে কিছু শুনেনি। তা দেখে তানিশা হাফ ছাড়লো। খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,
“আপনার এত সুন্দর কানকে তো ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা দরকার। কি সুন্দর অপ্রয়োজনীয় কথা গুলো এড়িয়ে যায়। এমন কান সকলের হওয়া উচিত। ঘরে ঘরে হওয়া উচিত। ”
তানিশার কথায় বেলী আর নীলাভ্র দুজনেই একসাথে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতেই নীলাভ্র বললো,
“আমি তোমাদের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি। গাড়িতে উঠে এসো। ”
বলে গাড়ির দরজা খুলে দিলো। বেলী আমতা আমতা করে বললো,
“সমস্যা নেই। আপনি চলে যান৷ আমরা দুজন বাসে চলে যাব।”
বেলীর কথা শুনে নীলাভ্রর হাসি, খুশি মুখটা নিমিশেই গম্ভীর হয়ে গেলো। বেলীর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে বললো,
“বেশি কথা বলা আমার পছন্দ নয়৷ এক মিনিট সময় দিলাম উঠে আয়। যদি না আসিস তাহলে, কোলে করে এনে বসাবো।”
নীলাভ্রর কথা শুনে তানিশা হেসে দিলো। বেলীর মুখটা একেবারেই ছোট হয়ে গেলো। কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে উঠার জন্য পা বাড়াতেই পেছন থেকে একজন বেলীর নাম ধরে ডাকলো। বেলী পেছনে তাকিয়ে দেখলো শাওন বেলীর দিকেই এগিয়ে আসছে। শাওন বেলীর ক্লাসমেট। ছেলেটার সাথে টুকটাক কথা হয়েছিলো প্রথমদিন। এই সময় ও কেনো ডাকবে? শাওন বেলীর সামনে এসে বেলীর দিকে একটা ছোট্ট কাগজ এগিয়ে দিতে দিতে বললো,
“এটা তোমাকে নতুন স্যার দিতে বললো। তাই ডেকেছিলাম।”
বলে আর কথা না বাড়িয়ে শাওন চলে গেলো। বেলী বিস্ফোরিত চোখে ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে। নীলাভ্রর চোখ জোড়ায় লাল আভা ভেসে উঠলো। বেলীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ধমক দিয়ে বললো,
“দাঁড়িয়ে আছিস কেনো? নাকি আরো প্রেমপত্র পাওয়ার ইচ্ছে আছে?”
নীলাভ্রর ধমক শুনে বেলী কথা বাড়ালো না। চুপচাপ এসে নীলাভ্রর পাশে বসে রইলো। নীলাভ্রর মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ও রেগে আছে। ভীষণ রেগে আছে। তানিশা ও সেই মুখপানে তাকিয়ে আর কথা বাড়ালো না। কয়েক মিনিট পরে বেলীকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে নীলাভ্র গাড়ি নিয়ে চলে যায়। কোথায় গেলো কে জানে? হাতের কাগজটা খোলার ইচ্ছে জাগলো না।

তখনের পর সন্ধ্যার কিছু সময় আগে নীলাভ্র বাসায় ফিরলো। বাসায় ফিরেই সোজা বেলীর রুমের দিকে চলে গেলো। দরজায় কয়েকবার করাঘাত করতেই বেলী দরজা খুলে দিলো। চোখের সামনে ক্লান্ত চেহারার নীলাভ্রকে দেখে অবাক হলো। ওর চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে, ছেলেটা বেশ ক্লান্ত। ঘামে ভেজা শরীর। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ। মলিন স্বরে প্রশ্ন করলো,
“নীলাভ্র ভাই, আপনি কোথায় ছিলেন সারাদিন? বড় মামি কত চিন্তা করছিলো জানেন?”
বেলীর প্রশ্নের উত্তর দিলো না নীলাভ্র। সোজাসাপ্টা প্রশ্ন করলো,
“ওই কাগজটায় কি লেখা ছিলো?”
নীলাভ্রর এহেতুক প্রশ্নে বেলীর কপালে ভাঁজ পড়লো। ওই কাগজটায় কি লেখা আছে তা ও নিজেই জানেনা। খুলে দেখা হয়নি কাগজটা। এখন কি বলবে? ভেবে না পেয়ে বললো,
“খুলে দেখিনি ভাইয়া।”
নীলাভ্র কিছু বললো না। শব্দ করে পা ফেলে চলে গেলো। বেলী নিষ্প্রাণ চোখে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। এই ছেলেটাকে ও একটুও বুঝতে পারেনা। কখন কি করে? কি বলে নিজেও জানেনা হয়তো? বেলীর এখন ইচ্ছে হলো কাগজটা খুলে দেখার। ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে কাগজটা নিয়ে খুলতেই ওর চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। কারন কাগজটা একদম ফাঁকা। এর মধ্যে কিছু লেখা নেই। তাহলে যে শাওন বললো এই কাগজটা ওকে রাফিন দিতে বলেছে? মিথ্যা বলেছে নাকি? মজা করেছে? ভাবতে ভাবতে খাটের উপর বসে পড়লো বেলী। আনমনেই বললো,
“নীলাভ্র ভাইকে কি বলবো? এই কাগজটা ফাঁকা। কিছু লেখা নেই এতে। বিশ্বাস করবে সে? নাকি ভাববে মিথ্যা বলছি তাকে?”

#চলবে

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here