তুমি_আমার_অধিকার🍂 পর্ব ২

#তুমি_আমার_অধিকার
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ🍂
#পার্ট_2

নিরার চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলো নিলয়.. ..

_আপনার সাহস তো কম নয় । আপনি আমায় পাবেন না বলে রাতে আমায় ভোগ করতে আসছেন । আপনার জন্য আমার যতটুকু ভালোবাসা ছিলো । সব আজ থেকে ঘৃর্ণায় পরিণিত হলো । আমি আপনাকে ঘৃর্ণা করি.. ঘৃর্ণা ।

_এইদিকে নিলয় বেচারা কিছুই বুজতে পারছে না কি করবে সে, তবে নিরার কথা গুলো শুনে খুব কষ্ট পেলো । সে নিরাকে কিছু না বলে, ভিজা কান্না মাখা চোখে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো এক পলক ।

_নিরা বিছানা থেকে ওঠে ওয়াসরুমে চলে গেলো. নিলয়ের ইচ্ছা করে করছে খুব জোরে চিৎকার করে কাদতে, নিলয় নিরার মন পেতে যা যা করার দরকার সব করবে আজ থেকে‌‌‌..

_নিরা ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে তার ভেজা চুল গুলো ঝাড়তে ঝাড়তে আয়নার সামনে গিয়ে ধারালো, নিলয় তো নিরার চুল গুলো দেখে পুরা ফিদা হয়ে গেলো ভিজা চুলে নিরাকে খুব হেব্বি লাগছে । ইচ্ছা করছে তার চুলগুলোর ঘ্রাণ নিতে হাত বুলিয়ে দিতে ।কিন্তু সে অধিকার টুকু নেই তার । তবে সে নিরার থেকে তার অধিকার আদায় করবে । সেটা ভালোবাসা দিয়ে তার যতটুকু ভালোবাসা আছে সব নিরাকে দিবে ।

– নিরা চুল আচড়াতে আচড়াতে খেয়াল করে, নিলয় তার দিকে এক পলক তাকিয়ে আছে । এটা দেখে তার খুব রাগ হয়
সে বলে একটু আগে যে কথা গুলো বললাম আপনাকে তা কি আপনার কানে যায় নি ।

এমন হাবার মতো তাকিয়ে আছেন কেনো রুম থেকে বের হন.

নিলয়ঃ কেনো বের হবো, আমার তুমাকে দেখার আমার অধিকার আছে ?

নিরাঃ ওহ, তাই তো মিস্টার নিলয় সাহেব, আমি তো আপনার বিয়ে করা বউ আপনার তো অধিকার আছে । এই বলে নিরা তার পড়নের ড্রেস টা ছিড়তে লাগলো.. আর নিলয়ের দিকে আগাতে লাগলো..

নিলয়ঃ- কি করছো এইগুলো, তুমি আমি তুমার থেকে এইভাবে অধিকার চাই না আমার..? তুমি আমায় ভুল বুজছো‌

তো কিভাবে চান মিস্টার নিলয় সাহেব বলুন শুনি,

আমি তুমাকে আমার হ্দয়ের যত ভালোবাসা আছে তা দিতে চাই, যেখানে তুমি শুধু থাকবে আমার অধিকার আর কারো নয়, আমার তুমাকে ভোগ করার কেনো ইচ্ছা নেই.

নিরাঃ হুম বুজলাম তবে আপনি তো আমার মন পাবেন না কখনো,

নিলয়ঃ কেনো…?
কারণ আমি আমার সবটুকু ভালোবাসা হদয়কে দিয়েছি । আর আমি তো আগেই বলছিলাম আপনার এইখানে কিছুদিন অতিথি হিসাবে থাকবো । তারপর হদয় আমাকে নিতে আসবে..

নিলয়ঃ ও আচ্ছা.. ( মন খারাপ )

আচ্ছা আমি এখন চলি. ( নিরা বলে উঠলো.)

নিলয়ঃ কোথায়????

সব কথা কি আপনাকে বলতে হবে নাকি হুম ( রেগে বললো নিরা)

নিলয়ঃ না তুমার জন্য আমি আজকে তুমার পছন্দের খাবার রান্না করে তুমাকে খাওয়াতে চেয়েছিলাম..

নিরা বললো তার দরকার নেই । আপনি খেয়ে নিয়েন আমি চললাম হদয় আজকে আসবে তার সাথে দেখা করবো… তার সাথে ঘুরতে যাবো আর কত কি উফ এইগুলো ভাবতে আমর খুশি আটকাতে পারছি না । নিরা চলে গেলো…

_ নিলয় তার চলে যাওয়ার পানের দিকে তাকিয়ে রইলো..
নিলয়ের বিয়ে করা বউ নিরা, যেখানে তার কেনো অধিকার নেই.

নিলয় রুম থেকে বের হয়ে নিচে চলে গেলো দোকান থেকে সিগারেট কিনে একটা মুখে ধরিয়ে হাটতে হাটতে লেকের পাড়ে চলে আসলো, তার মন খারাপ থাকলে সে প্রায় সময়ে এখানে আসে..

এমন সময় বাদাম ওয়ালা হাক হাকলো . বাদমওয়ালা নিলয়ের কাছে এসে বললো…

“স্যার! বাদাম দিবো আপনাকে… ( মুচিক হেসে ‌.)

নিলয় এক পলক চেয়ে ভাবলো না করবে, কিন্তু বাদমওয়ালার হাসি দেখে আর না করতে পারি নি..
নিলয়ঃ দেও..
” আইচ্ছা স্যার ”
এই যে নেন স্যার…
আচ্ছা তুমার কি কেনো জরুরি কাজ আছে না থাকলে এখানে এসে বসতে পারো আমার সাথে..!!!!

বাদমওয়ালাঃ কি কন স্যার আমি আপনার সাথে বসমু আমি এইডা কেমন দেখায়‌‌ না স্যার.???

নিলয়ঃ কেমন দেখাবে কেন? তুমিও মানুষ আমিও মানুষ এতে আপত্তির কি আছে আসো বসেন…

বাদমওয়ালা:- কেনো কথা না বলে নিলয়ের সাথে বসে পড়লো..

নিলয় তার দিকে হাত বাড়িয়ে কয়েকটা বাদাম দিলো..

সে নিতে চায়ছিলো না । কিন্তু নিলয়ের জোরাজোরিতে নিলো…

তুমার বাসা কই. ( নিলয়)

-এই এইখানে বস্তিতে স্যার

আমাকে স্যার স্যার ডাকবে না, আমাকে নিলয় বা অন্য কিছু বলে ডাকতে পারেন ।

– ওকে আইচ্ছা স্যার ( এই বলে বাদমাওয়ালা মুখে কামড় দিয়ে বসলো) আর বললো ভুল হয়ে গেছে ..

নিলয়ঃ হুম

বাসায় তুমার কে কে আছে,

– আমি আমার বউ, নতুন বিয়ে করলাম, দুই বছরের ভালোবাসা আমাদের,

নিলয় বলে উঠলো তো কিভাবে তুমি তুমার ভালোবাসাকে বিয়ে করলে সেই কাহিনি বলো..

: আজকে কিছু জরুরি কাজ আছে মাফ করেন, তবে অন্যদিন বলবো আজকে বউকে মার্কেট নিয়ে যেতে হবে..?তাকে একটা শাড়ি কিনে দিবো.

নিলয়ঃ ও তাই, তবে কেমন শাড়ি দিবা তাকে ?

বাদমাওয়ালাঃ মুখটা মলিন করে বললো, তেমন কেনো দামি শাড়ি দিতে পারবো না তাকে । তবে জমানো কিছু টাকা আছে সেটা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

নিলয়ঃ তার প্যাকেট থেকে হাজের পাচেক টাকা তার হাতে গুজে দিয়ে বললো, যদি না করো তাহলে রাগ করবো । এটা দিয়ে নিজের জন্য আর তুমার বউয়ের জন্য সুন্দর দেখে পান্জাবি আর শাড়ি কিনবা ওকে..

কান্না ভেজা চোখে বললো, আপনে অনেক ভালা, আল্লাহ যেনো আপনাকে সব সময়ে সুখী রাখে । তবে একদিন এই গরীবের বাইত, চারটা ডাল ভাত খাইয়া যেতে হবে, না হলে টাকা নিমু না.

নিলয় মুচকি হেসে বললো ও আচ্ছা ওকে আরে চিন্তা করো না আসবো আসব,

এখন তুমি যাও বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে যে, ভাবি দেখো মুখ গোমড়া করে বসে রয়েছে । যাও তার রাগ ভাঙ্গিয়ে তারপর তাকে নিয়ে মার্কেটে যাও..

বাদমওয়ালাঃ আইচ্ছা,

বাদাম বিক্রেতা চলে গেলো তার প্রিয় মানুষটির সাথে আনন্দ আর ভালোবাসার খুনসুটি করতে ।

নিলয় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, বাদামের খোসা গুলো ছিড়তে লাগলো

এমন সময় এক্সিউজ মিঃ আমি কি এইখানে বসতে পারি..

নিলয় ঘুরে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো তুমি..

মেয়েটিও তুমি এখানে…

( গল্পট কিছুটা অন্যভাবে চলবে, যেমন রোমান্টিকও থাকবে, কিছু রহস্যের ঘেরা কাহিনিও থাকবে,)

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here