“তুমি_যে_আছো_অন্তরে_মিশে💔 Part : {11}

#তুমি_যে_আছো_অন্তরে_মিশে💔
#Writter_Ishanur_Tasmia[Mira]
# Part : {11}

রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে নিরবের,,,কে করেছে তাদের সাথে এমন,,তা জানা সত্ত্বেও সে এখনো কিছু করতে পারছে না। সেটা আরও রাগিয়ে তুলছে নিরবকে,,,নিরা আর তূর্য শান্ত থাকতে পারলেও নিরব নিজেকে শান্ত করতে পারছে না,,,,তার আপন জনরাই তার শত্রু,,এটা সে কিভাবে মানবে,,??।নিরার মনও ভালো নেই।বুঝতে পারছে না,, এটা কি আদও সম্ভব,,,??এমন করার কারন কি,,তা সবার জানতে হবে,,,নাহলে যে মনটা শান্ত হবে না,,,খুব কষ্ট হচ্ছে নিজেকে শান্ত রাখতে,,,,

তারা বাসায় ডুকতেই দেখে সবাই টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে,,,তারা যে এতক্ষন বাসায় ছিল না,, এতে কারো কোনো কিছু যায় আসে না,,, কোনো চিন্তার ছাপই নেই তাদের মাঝে,,,আরাম করে খাবার খাচ্ছে তারা,,,,

সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো মিস্টার আজিজ [ নিরবের বাবা ] ও আছেন সাথে,,,তিনি এখানে কেন,,,??বা তারা নেই তা জানা সত্ত্বেও এত শান্ত কিভাবে,,, তা নিয়ে নিরা,,নিরব বা তূর্যের কোনো মাথা ব্যথা নেই,,,কারন তারা জানে,, তিনি এখানে কেন,,আর কেনই বা এত শান্ত,,,,

মিস্টার আজিজকে দেখে নিরা,,নিরব আর তূর্যের মুখে এক রহস্য জনক হাসি চলে আসে,,,,এবার -এনা খেলা জমবে,,,,তাদের আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না,,,চোর তো নিজেই ধরা দিয়েছে তাদেরকে,,,এবার সব সত্যি জানার পালা,,,,

নিরা,নিরব, তূর্য টেবিলে বস্তেই মিসেস মুজমাল বলে উঠেন,,,,

মিসেস মুজমালঃ কিরে তোরা এত সকাল সকাল কই গিয়েছিলি,,আর নিরা যাওয়ার সময় বলে তো যাবি কই গিয়েছিস,,এত ডাকলাম,,তাও তোর কানে যায় নি,,,দেখ তো কত বার কল দিয়েছি,,,আর নিরব,,তোর কোনো খেয়াল আছে,,,তোর বাবা কতক্ষন ধরে তোদের জন্য বসে আছে,,,,

রাগি ভাব নিয়ে গড়্গড় করে কথা গুলো বললেন মিসেস মুজমাল,,,এতে নিরবের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই,,,সে তো রাগে আগুন হয়ে আছে,,,এদিকে মিসেস মুজমাল ছেলের উত্তরের আসায় বসে আছেন,,,কিন্তু নিরব কিছু বলছে না দেখে তূর্য বলে উঠে,,,,

তূর্যঃ আসলে আন্টি,, একটা কাজে ব্যস্ত ছিলাম তো তাই,,,

মিসেস মুজমাল কিছু বলতে যাবে,, তার আগেই মিস্টার আজিজ বলে উঠেন,,,,

মিস্টার আজিজঃ নিরব,,আমি শুনেছি,, তোর আর নিরার বলে বিয়ে হয়েছে,,,এটা কি সত্যি,,,,??

নিরবঃ……….

মিস্টার আজিজঃ তুই তো আমাকে তোর সব কথা বলতি,,,এটা কেন বলিস নি,,,,আমাকে বলতি,, আমি তোর আর নিরার বিয়ে করিয়ে দিতাম,,,,এভাবে না করলেও তো পারতি,,,

নিরবের সহ্য হচ্ছে না কথাগুলো,,,সে কোনো মতে নিজের রাগ কন্ট্রোল করছে,,, নিরবকে কিছু বলতে না দেখে মিস্টার আজিজ আবার বলে উঠেন,,,,

মিস্টার আজিজঃ কিরে আমি তোকে কিছু বলেছি,,,,

নিরবঃ আপনি এত নাটক কিভাবে জানেন মিস্টার আজিজ,,,লজ্জা করে না এগুলো বলতে,,,,

মিস্টার আজিজঃ কি বলছিস তুই এগুলো,,,,

নিরবঃ আমি কি বলছি আপনি জানেন না,,,[ চিল্লিয়ে ] ইচ্ছা তো করছে আপনাকে মাটিতে পুটে দি,,,

বলেই নিরব হাতের কাছে থাকা মগ ফ্লোরে ছুড়ে মারে,,,সাথে সাথে সবাই উঠে দাঁড়ায়,,,,নিরবের এমন বিহেভে মিসেস মুজমাল বলে উঠেন,,,,

মিসেস মুজমালঃ কি করছিস তুই নিরব,,,বাবার সাথে কেউ এমন করে কথা বলে,,,😠😠

নিরবঃ মা তুমি চুপ থাকো,,,😠😠আমি যা করছি তা শুধু দেখো,,,আজ তুমি তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যির মুখামুখি হবে,,,,

মিসেস মুজমালঃ মানে,, কি বলছি,,,,[ বলতে না দিয়ে ]

নিরবঃ নিরা মাকে চুপ থাকতে বল,,,,আর মিস্টার আজিজ,, বুঝেই তো গিয়েছেন,,,আমরা সব জেনে গেছি,,,তাহলে এখন সুন্দর করে বলে দিন আপনি এমন কেন করেছেন,,,আমি চাই না আপনার গায়ে হাত তুলতে,,,,

নিরবের কথা শুনে আজিজ ভয় পেয়ে যায়,,,কিছু বলতে নিবে তার আগেই রুমি [ নিরার মা ] বলে উঠেন,,,,

রুমিঃ নিরব বাবা,,শান্ত হও,,, কি হয়েছে,,তা একটু খুলে ব….

নিরাঃ বাহ্ মা,,,তুমিও তো দেখি ভালো নাটক জানো,,,যেভাবে বলছ,, যেন তুমি কিছুই জানো না,,,বলো না,, এমন কেন করলা,,, নিজের মেয়ের সাথে এমনটা করতে পারলা তুমি,,,আর রিয়া,,[ রিয়ার দিকে তাকিয়ে ] আপনাকে তো আমি নিজের বোন মত ভালাবাসতাম,,,বিশ্বাস করতাম,,,আপনি এভাবে ঠকালেন আমাকে,,,,

নিরার কথা শুনে রিয়া কেঁদে দেয়,,,,কান্না করতে করতে বলে,,,,

রিয়াঃ আমি ইচ্ছা করে করি নি নিরা৷ আমাকে ওরা ব্লেকমেইল করেছে,,,তুমি তো জানো,,,আমার বাবা অনেক অসুস্থ,,,বাবার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে,,,ওরা আমাকে বলেছে,, আমি যদি এমন করি,,তাহলে ওরা আমাকে বাবার চিকিৎসার জন্য টাকা দিবে,,,[ কান্না করতে করতে ]

তূর্যঃবুঝলাম তুমি টাকার জন্য এমন করেছো,,,কিন্তু মিস্টার আজিজ আর মিস রুমি,,,আপনারা এমন কেন করেছেন,,,??নিজেদের ছেলে মেয়ের সাথে এমন কেউ করে,,,??মিস রুমি,, আপনি তো নিরাকে এত ভালোবাস্তেন,,তাকে আপনি এভাবে কেন করলেন,,,??

রুমিঃ কে বলেছে নিরা আমার সন্তান,,,,

নিরবঃ মানে,,,,??[ অবাক হয়ে ]

রুহিঃ হ্যাঁ,, নিরা আমার সন্তান না,,নিরব আমার সন্তান,,,,

মিসেস মুজমাল চুপ হয়ে সব শুনছিল,,,রুমির এমন কথা শুনে কিছু বলতে যাবে,, তার আগেই নিরা ইশারা দিয়ে চুপ থাকতে বলে,,, আর যা হচ্ছে তা চুপচাপ দেখতে ,,,এতে মিসেস মুজমাল চুপ হয়ে যান,,আর রুমি আবার বলতে থাকে,,,,

রুমিঃ সব তো জেনেই গেছো,,,তাই সব লুকিয়ে রেখে কি লাভ,,,তাছাড়া তোমাদেরও জানা উচিত,, আমরা কতটা চালাক,,,,[ বাঁকা হেসে ]

তূর্যঃ এত কথা না বলে,, আসল কারন টা বলবেন,,,,নাকি হাত তুলব,,,,

আজিজঃ মুখ সামলে কথা বল,,,,

নিরবঃ জাস্ট সাট আপ মিস্টার আজিজ,,,আর এ-ই যে রুমি,,,বলা শুরু করুন,,,নাহলে তূর্য যা বলল তা করব,,,[ প্রচন্ড রেগে ]

রিমুঃ আমার যখন আজানের [ নিরার বাবা ] সাথে বিয়ের কথা হচ্ছিল,,, তখন আমার আজানকে পছন্দ হয় নি,,,আজিজকে হয়েছিল,,,কিন্তু আজিজ আগে থেকেই মেরেড ছিল,,,এতে আমার ভীষণ রাগ হয়,,,প্রতি নিয়ত এ-ই মহিলার [ মিসেস মুজমাল ]উপর হিংসে হতো,,,আমার আজিজকে চাই -ই চাই,,,তাই আমি আজানকে বিয়ে করি,,তারপর নানা ভাবে আজানের সাথে সম্পর্কে জড়াতে চেষ্টা করি,,,আজিজ প্রথমে না,,না,, বললেও,, পড়ে সেও আমাকে ভালোবেসে ফেলে,,,তারপর থেকে শুরু হয় আমাদের প্রেম,,,বিয়ের কয়েকদিন পরই আমি জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট,,, আমি খুব ভালো করেই জানতাম,,, এটা আজানের না আজিজের সন্তান,,,কারন আজানের সাথে আমার তেমন কোনো সম্পর্কই ছিল না,,,,কিন্তু বোকা আজান ভেবেছিল এটা ওরই সন্তান,,,,খুব যন্ত করা শুরু করে আমার,,, তখন আবার এ-ই মহিলাও প্রেগন্যান্ট ছিল,,, আমি আর আজিজ,, কিছুতেই এ-ই মহিলা আর আজান কে জানতে দিতাম না যে আমাদের ২জনের মাঝে এগুলো চলছে,,, আমার আর এ-ই মহিলার ৯ মাসের সময় ২ জনেরই এক সাথে লিভার পেন হয়,,,২ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,,,আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো,,২জনেরই ছেলে হয়,,,বাট এ-ই মহিলার ছেলেটা মারা যায়,,,এতে এ-ই মহিলা একদম পাগল হয়ে যায়,,,আমি তো মনে মনে খুব খুশি হয়েছিলাম,,,কিন্তু কোথ থেকে যেন আজিজের এ-ই মহিলার প্রতি আবার ভালোবাসা জাগে,,আমাকে রিকুয়েষ্ট করে আমি আর আজান যেন এ সন্তান আজিজকে দিয়ে দি,,,আজান রাজি হচ্ছিল না,, দেখে আমি ওকে নানাভাবে রাজি করাই এ বাচ্চা টা যেন আজিজকে দিয়ে দি,,শেষ পর্যন্ত আজান রাজি হয়,,এর ৩ বছর পরেও যখন আজান দেখে,, আমি তার সাথে কোনো শারীরিক সম্পর্কে জরাচ্ছি না,,,তাছাড়া আজিজের সাথে আমার কিছু হয় নি,,তাই আমার বাচ্চা হচ্ছিল না,,,তাই আজান একটা মেয়েকে আনে অনাথ আশ্রম থেকে,,তার নাকি মেয়েটাকে অনেক ভালো লেগেছে,,,আর সে এ মেয়েটাকে পালতে চায়,,,তখন আমি মানা করা সত্ত্বেও ও মেয়েটাকে বাসায় এনে বড় করা শুরু করে,,,আমার ও-ই মেয়েটাকে জাস্ট সহ্য হতো না,,,ইচ্ছা করত গলা টিপে মেরে ফেলি,,,আচ্ছা তোমারা জানো এ মেয়েটা কে,,,,??

নিরাঃ আমি,,,

রুমিঃ এক্সেক্লি,,,,তোকে আমার আগেও সহ্য হতো না,,এখনো হয় না,,,,

নিরবঃ তাহলে এত দিন নাটক কেন করলেন,,,,

নিরবের কথা শুনে রুমি একটা মুচকি হাসি দেয় তারপর বলে,,,

রুমিঃ আজান অনেক সাতির ছিল,,,ও প্রথম থেকেই জানত আমার আজিজের সাথে কিছু চলছে,,,কিন্তু কিছু বলে নি,,,যখন দেখে আমি নিরার সাথে খারাপ ব্যবহার করি তখন ও আমাকে থ্রেট দেওয়া শুরু করে,,,আমি যদি নিরাকে ভালোব্যবহার না করি,,,তাহলে ও এ-ই মহিলাকে সব বলে দিবে,,,আমিও বলি,,যে বললে কি হবে,,এ-ই মহিলা তো আমাদের কিছু করতে পারবে না,,কিন্তু আজিজকে যখন বলি আজান এমনটা বলেছে,, তখন আজিজ বলে আজানকে মেরে ফেলবে,,,,আমি চাই নি আজান কে মেরে ফেলতে,,, আজিজ কে বলি যে আজানকে কেন মারতে হবে,, ও যদি এ-ই মহিলাকে সব বলে দেয় তাহলে তো আমাদেরই ভালো হবে,,,এ মহিলা আমাদের জীবন থেকে চলে যাবে,,আর আজান পরে থাকবে এক কোণায়,,,কিন্তু আজিজ রাজি হয় নি,,,কারন আজিজের সব সম্পত্তি এ-ই মহিলার নামে,,,একে যদি মেরে ফেলে,, তাহলে সব সম্পত্তি অনাথ আশ্রমে চলে যাবে,,,তাই বাধ্য হয়ে আজানকে মেরে ফেলি,,আজান যখন অফিসে যাচ্ছিল তখন একটা ট্রাক দিয়ে ওর গাড়ি এক্সিডেন্ট করাই,,আর এমন ভাবে করাই,, যাতে এটা দেখে মনে হয় এটা এক্সিডেন্ট,,, প্লেন মোতাবিক কেউ জানতে পারে নি,,,সবাই এক্সিডেন্টই মনে করেছে,,,কিন্তু বিপত্তি হয় নিরাকে নিয়ে,,,আজান জানত ওর যদি কিছু হয়,, তাহলে আমি নিরাকে বাসায় আর রাখব না,,,তাই ও আগে থেকেই ওর নামের সব সম্পত্তি নিরার নামে করে দেয়,,,আর সে সম্পত্তি নিরা ১৮ বছর পরই পাবে,,তার আগে যদি নিরার কিছু হয়,, তাহলে সব সম্পত্তি অনাথ আশ্রমে দিয়ে দেওয়া হবে,,,তাই আমি নিরার সাথে নাটক করা শুরু করি,,যাতে বড় হলে ও আমাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেয়,,,এরই মাঝে আজিজ আমাকে বলে যে তার বাসায় থাকতে,,আর এমন ভাব করতে যে আমার আর কোথাও থাকার জায়গা নেই,,,আর এ সুযোগ আমি হারাতে চাই নি,,তাই আমিও রাজি হয়ে যাই,,কিন্তু সমস্যা হয় এ-ই মহিলাকে নিয়ে,,সব সময় আমাকে কথা শুনাত,,যা আমি একমাত্র আজিজের জন্য সহ্য করতাম,,,,সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ডায়েরী ” পেজে পাবেন।

নিরব আর নিরা ২ জনেই বড় হতে থাকে,,,বড় হওয়ার সাথে সাথে ভাই-বোন থেকেও ওদের মাঝে আরও গভীর সম্পর্ক হওয়া শুরু করে,,যা আমি আর আজিজ কেউই চাইতাম না,,,কারন নিরব অনেক বদমেজাজি,,,আর ও সবসময় নিরাকে বলত যে ও যেন কেউকে ওর ভাগ না দেয়,,আরও অনেক কিছু,,,এতে আমি আর আজিজ খুব ভালো করেই বুঝে গিয়েছিলাম,,যদি নিরার সাথে নিরবের বিয়ে হয়,,,,তাহলে সে কখনও চাইবে না নিরা তার সম্পত্তি আমাকে দিয়ে দেয়,,,,তাই প্লেন করি নিরবকে বিদেশে পাঠিয়ে দিব,,আর তাদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করব,,,আর তার জন্য আমরা তূর্যকে ব্যবহার করি,,,,আমি খুব ভালো করেই জানতাম তূর্য নিরার প্রতি দুর্বল,,ওর নিরার প্রতি এত এত কেয়ারে আমি আরও সিউর হয়ে যাই,,,,তূর্য যখন নিরার কেয়ার করত,,তখন আমরা সবাই মিলে তা ছবি তুলতাম,,আর নিরবকে এডিট করে পাঠাতাম,,,,যা দেখে নিরব নিরার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়,,,আমরাও আমাদের প্লেনে সাকসেস হয়ে যাই,,,কিন্তু যখন নিরার ১৮ বছর হয়,,তখন নিরাকে নানাভাবে বলতাম,, যেন সে আমার নামে সম্পত্তি লিখে দেয়,,,কিন্তু আমার সাতির মেয়ে,,বলে কিনা তার যখন বিয়ে হবে তখন সে আমাকে তার সব সম্পত্তি উপহার দিবে,,,তাই এখন দিবে না,,,,কোনো ভাবেই আমার নামে সম্পত্তিগুলো করতে পারছিলাম না,,,,,,এর মাঝে আবার নিরব চলে আসে বাংলাদেশে,,সে আবার নিরার প্রতি দুর্বল হতে থাকে,,,তাই এবার প্লেন করি যে তূর্যের সাথে নিরার বিয়ে দিব,,আর তখন নিরার কাছ থেকে সব সম্পত্তি আমার নামে লিখে নিব,,,কিন্তু বিয়ের দিন নিরব তোকে বিয়ে করে ফেলে,,,আর আমরা জানতাম,,,নিরা এখন আর আমাদের সম্পত্তি দিবে না,, কারন নিরব দিতে দিবে না,,,তাই এবার প্লেন করি নিরবকে এমন একটা ঔষুধ খাওয়াবো,,যাতে ও বাবা হতে না পারে,,,প্রথমে চেয়ে ছিলাম নিরার সাথে এমন করব,,কিন্তু ভয় ছিল তূর্য যদি জানে নিরা মা হতে পারবে না,, তাহলে হয়তো ও নিরাকে বিয়ে করবে না,,, কিন্তু নিরবকে এমন করলে আমরা সম্পত্তি পাবো,,,কারন আমরা জানতাম,,নিরব যদি জানে ও কখনো বাবা হতে পারবে না তাহলে সে নিরাকে ছেড়ে চলে যাবে,,আর আমরা এতে সিউর ছিলাম,,কারন আজিজকে নিরব তার সব কিছু বলত,,ইভেন নিরাকে যে ও ভালোবাসে তাও বলেছে,,তাই আজিজ আন্দাজ করেছিল এমন করলে নিরব চলে যাবে,,আর এর জন্য রিয়াকে মহোরা বানাই,,,ওর অসহায়েত্তের সুযোগ নিয়ে ওকে দিয়ে নিরবের খাবারে একটা করে ঔষধ দিতাম,,,প্লেন মোতাবিক,, সব হয়,,আর নিরব চলেও যায়,,কিন্তু সকালে যখন আমি নিরার রুমে যাই,, তখন নিরাকে দেখতে পাই না,,,ফ্লোরে একটা চিঠি পাই,,যা দেখে বুঝে গিয়েছিলাম নিরা নিরবকে খুজতে বের হয়েছে,,,তাই আজিজকে বলি,,ও যেন ইন্ডিয়া থেকে এখনি আসে,,,ও আমার কথা মত চলে আসে,,,আসার পরই আমরা আরেকটা প্লেন করি যে নিরাকে আজানের মত ট্রাক দিয়ে মারব,,তাই ও-ই আগের ট্রাক ডাইভারকে ফোন দি আর বলি যে সে যেন তোদের গাড়ি এমন ভাবে ধাক্কা দেয়,,যাতে তোরা পুরাপুরি না মরস,,,তাহলে আমরা তোদের হাসপাতালে নিয়ে যাবো,,এন্ড এমন বিহেভ করব,, যেন আমরা কিছু জানি না,,তারপর ধীরে ধীরে নিরাকে কথার জালে ফাসিয়ে ওর থেকে সব সম্পত্তি আমার নামে করব,,আর পরে তোদের সবাইকে মেরে ফেলব,,, কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না,, তোরা বাঁচলি কিভাবে আর তোরা জানলি কি করে,, আমরা এসব করেছি,,,,??

তূর্যঃ কারন,,, চালাক থেকে চালাক চোররাও ভুল করে,,,[ বাঁকা হেসে ]
,
,
,
,
,
#চলবে🌸

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here