তোমাতেই পূর্ণ আমি পর্ব -১২

#তোমাতেই পূর্ণ আমি
#পর্ব -১২
#লেখিকা -আসরিফা সুলতানা জেবা

গভীর রাত।অন্ধকার ছেয়ে আছে চারদিকে। ঘুমে আচ্ছন্ন প্রত্যেকটা মানুষ। তবে ঘুম নেই আমার চোখে। মন পড়ে আছে সেই কারুকাজ নির্মিত ছোট্ট বক্সটার দিকে।জীবনে এই প্রথম কোনো কিছুর প্রতি এতো আগ্রহ পাচ্ছে আমার।হয়তো কঠিন এই জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয় নি বলে। আজকের জিনিসটা আমার জন্য অপ্রত্যাশিত। এজন্যই এতো কিউরিওসিটি কাজ করছে আমার মাঝে। কলেজে ব্ক্স টা খোলে দেখার সময় ও সুযোগ কোনোটাই হয়ে উঠে নি। বাসায় এসে ও মায়ের ভয়ে লুকিয়ে রেখেছি। ওনি যদি এটা দেখেন তবে তুলকালাম বাঁধিয়ে দিবেন। এমনিতেই বাবার কাছে হাজার নালিশ করে আমার নামে। কখন আমাকে এ ঘর থেকে বের করবে সেই ফন্দি আঁটে। কিন্তু এই মহিলার থেকেই খুব ইচ্ছে করে মায়ের আদর পেতে। তা আমার ভাগ্যে নেই। ওনি দু চোখে ও দেখতে পারেন না আমায়। অসভ্য, অপয়া, বেয়াদব মেয়ে এসব সারাক্ষণ ওনার মুখে লেগেই থাকে। অথচ আজ পর্যন্ত এমন কিছুই করি নি যে কেউ অসভ্য,, বেয়াদব মেয়ে বলে আক্ষায়িত করবে। বাড়ি থেকে কলেজ আর কলেজ থেকে বাড়ি এই দুটোই থাকে সবসময় আমার গন্তব্য। কখনও ফ্রেন্ডসদের সাথে কোথাও যাওয়া হয় না। মন চাইলে ও সাধ্য আমার থাকে না। কোথাও ঘুরতে গেলেও টাকার প্রয়োজন। তাই ঘুরতে ভালে লাগে না বলে কাটিয়ে দেই। বাবা হাত খরচ দিলে সেটাও আড়ালে ছিনিয়ে নেই মা। বাসায় সব কাজ করতে হয় বলে নিজের ঘুরার সাধ ও কখনও মেটাতে পারি না। কলেজে যাওয়াটা ও ছলেবলে বন্ধ করতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু বাবার জন্য পারেন নি। বাবার একটু একটু ভালোবাসা ও সাপোর্টই আমার জন্য অনেক।

ছোট বোন রিহা গভীর ঘুমে। রিহা ও আমায় বেশ একটা পছন্দ করে না। মা সারাক্ষণ ওর কান ভরে। কিন্তু মেয়েটা কে খুব ভালো লাগে আমার। ছোট্ট এই বোনটাকে ইচ্ছে করে আগলে রাখি। ভীষণ ভালোবাসি ওকে। ওর ঘুমানোর অপেক্ষায় ছিলাম এতোক্ষণ। ওর সামনে বক্সটা খুললে মায়ের কানে যেতে শুধু সেকেন্ডের দেরি। একটু কাছে গিয়ে ভালো করে চেক করে নিলাম ঘুমিয়েছে কিনা। হে,,গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন রিহা। পা টিপে টিপে কলেজ ব্যাগ থেকে বক্সটা বের করলাম। বক্সটা হাতে নিতেই ভীষণ ভালো লাগা ছেয়ে গেল মনে। আবারও একবার উচ্চারণ করলাম অতি যত্ন সহকারে লিখা ” আমার শুভ্রপরী” নামটা। আশ্চর্য অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছে। বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠল ভীষণ জোরে। মন বলছে এই নামের মাঝে মিশে আছে এক রাশ ভালোবাসা। এক মুঠো আবেগ। আসলেই কি এই নামটার মাঝে নাকি যে এতো সুন্দর নামটা দিয়েছে সেই মানুষটার মাঝে!! আর কোনো কিছু না ভেবে অতি সাবধানে বক্সটা খুললাম আমি।

বক্সটা খুলেই চমকে গেলাম আমি। স্তব্ধ হয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। চোখ দুটো এই বুঝি বেরিয়ে আসবে কোটর থেকে।আবছা আলোতেই কেমন ঝলমল করছে ভিতরটা। এতো সুন্দর পায়েল আমি কখনও দেখি নি। একদম অন্যরকম। বুঝাই যাচ্ছে খুব দামি হবে। কাঁপা কাঁপা হাতে পায়েল টা নিলাম আমি। এতো সুন্দর কেন এইটা?মনটা জুড়িয়ে যাচ্ছে আমার। ভালো করে দেখতেই মনে হলো এটা ডায়মন্ডের। সত্যিই কি ডায়মন্ড? তাড়াতাড়ি করে বক্সের মধ্যে রেখে দিলাম পায়েল টা। ভিতরে থাকা রঙিন কাগজের ভাজ করা চিরকুট টা মেলে ধরলাম।

~ আসসালামু আলাইকুম শুভ্রপরী
তোমাকে এক নজর দেখার আশায় হৃদয় আমার বড্ড তৃষ্ণার্ত। যেদিন থেকে তুমি আশ্রয় নিয়েছ আমার হৃদয় মাঝে সেদিন থেকেই আমি পিপাসিত। তুমি কখনও বৃষ্টিতে ভিজবে না। তুমি কখনও কারো জন্য শুভ্র রঙের ড্রেস পড়বে না।তুমি কখনো কারো জন্য শুভ্রময়ী হয়ে উঠবে না। তুমি আমার শুভ্রপরী। আমার মনের মাঝে ঝড় তোলা এক অনন্যা তুমি। আমার কঠিন মনে কখনও কোনো মেয়ে স্থান পায় নি তবে তুমি কিভাবে এক নিমিষেই কেড়ে নিলে আমার এ মন! সেই মুহূর্ত থেকেই দহন হচ্ছে আমার অন্তরে যেই দহন নিঃশেষের একমাত্র উপায় তুমি। তুমি আমার। আমার শুভ্রপরী। আমার নিদ্রা কেড়ে নেওয়া প্রথম নারী তুমি। পায়েল টা আমার দেওয়া প্রথম উপহার। উহু,,,হেয়ালিপনা করবে না এটাকে মুগ্ধময়ী । তোমার জন্য স্পেশালভাবে বানানো এটা যার মাঝে মিশে আছে আমার এতো বছরের জীবনের জমিয়ে রাখা অফুরন্ত ভালোবাসা। ~

থম মেরে দাড়িয়ে রইলাম আমি। প্রচন্ড বেগে কাঁপছে অন্তর। ছোট্ট মনে জড়ো হচ্ছে নাম না জানা এক অনুভূতি। বিস্মিত হয়ে চেয়ারে বসে পড়লাম। কান্না পাচ্ছে না বরং অসংখ্য ভালো লাগায় ভরে উঠছে মনটা। এ কেমন অনুভূতি! অচেনা একটা মানুষের লিখা চিরকুটে এমন অজানা অনুভূতি কেন জাগ্রত হচ্ছে। পরম যত্নে চিরকুট টা বক্সে রেখে ব্যাগে ভরে রাখলাম আমি।বিছানায় শুয়ে পড়লাম। চোখ বুঝতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল চিরকুটের লিখা গুলো ও ভালোবাসায় ভরপুর অসম্ভব সুন্দর পায়েল টা। কথাগুলো মনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে। সুন্দর হাতের লিখার মুগ্ধকর বাক্য লিখার অধিকারী মানুষ টা না জানি কতো সুন্দর! কে হতে পারে মানুষ টা? সামান্য লিখা পড়েই এতো মুগ্ধ হচ্ছি আমি আর চাচা তো সরাসরি দেখেছেন।সত্যিই আপনি এতো মুগ্ধময় ঠিক আপনার লিখা শব্দ গুলোর মতোই! কে আপনি জানিনা আমি। আর আমায় বা কোথায় দেখেছেন তাও জানা নেই আমার। তবে আপনাকে দেখার ইচ্ছে জেগেছে ভীষণ। ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করেও ঘুম আমার চোখে ধরা দিল না। লাইট টা জ্বালিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। লাইট জ্বালাতেই একটু নড়ে উঠল রিহা। ক্লাস সেভেনে পড়লে কি হবে মেয়েটা ভীষণ পাকা। আয়নায় নিজের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম আমি।মা বলতো রাতের বেলা আয়না দেখতে নেই। তবুও নিজেকে এই মুহূর্তে আয়নায় দেখতে ইচ্ছে হলো। জানতে ইচ্ছে হলো ওনি কি দেখেছেন আমার মাঝে যে এতো আবেগ দিয়ে চিরকুট লিখেছেন। সাদা কালারে কি আমায় এতোই সুন্দর লাগে!

———————————–

ক্লাসে বসে আছি। মন বসছে না কোনো কিছুতেই। বার বার মনে পড়ছে চিরকুটের কথাগুলো। আচ্ছা চিরকুট লেখক কি আজও এসেছিলেন ?কই চাচা তো আমায় কোনো চিরকুট দেয় নি আজ।তার মানে কি ওনি আসেন নি? এসব ভাবনাই ঘুর ঘুর করছে মাথায়। জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া বুঝাচ্ছেন স্যার।কিন্তু সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই। ঘন্টা পড়তেই চলে গেলেন স্যার। টিফিন পিরিয়ড এখন। প্রিয়ুর হাত টেনে বক্স টা নিয়ে চলে আসলাম চার তালায়। চার তালা টা এখনও কম্পলিট হয় নি।তাই এদিক টায় মানুষ তেমন আসে না। এভাবে হাত ধরে টেনে আনায় আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল প্রিয়ু্। ভ্রু কুঁচকে বলে উঠল,,,,

—দোস্ত এভাবে টেনে এনেছিস কেন?কি হয়েছে দোস্ত? তোর চোখে মুখে এতো উৎসাহ ব্যাপার কি?

—আমি তোকে কিছু দেখাতে চাই দোস্ত। –ফিসফিস করে বললাম।

—এভাবে ফিসফিস করছিস কেন নিশ্চয়ই কোনো ব্যাপার স্যাপার আছে। প্রেমে পড়েছিস নাকি রে? পোলা কেডা?ওই আকাশ নাকি!(দুষ্ট হেসে)

—পাগল হয়েছিস। ঐ মস্তান পোলার প্রেমে পড়মু আমি! লম্পট একখান পোলা। মেয়েদের দিকে কু নজরে তাকায়। শুধু পরিবার থেকে সাপোর্ট পাই না বলে নাইলে আমায় উত্যক্ত করার অপরাধে ওই পোলারে জুতা খুলে মারতাম।

—বাহ্ বান্ধুবী আমার প্রতিবাদী রুপ ধারণ করছে। তা ঘটনা কি বইলা ফেলেন আফা।( একগাল হেসে বলল প্রিয়ু)

প্রিয়ুর কথায় হালকা হাসলাম আমি।পেছন থেকে বক্সটা বের করে খুলে ধরলাম ওর সামনে। অবিশ্বাস্য চোখে আমার দিকে তাকালো প্রিয়ু। আলতো করে পায়েল টা হাতে নিল সে। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,,,

—এটাতো ডায়মন্ডের পায়েল শ্রেয়া?কোথায় পেলি?আর বক্সের মাঝে এই চিরকুট টা?বক্সটা ও তো খুব দামি মনে হচ্ছে।

সবকিছু খুলে বললাম ওকে। আনন্দিত কন্ঠে একটু জোরে বলে উঠল প্রিয়ু,,,,

—-সত্যি দোস্ত? কি বলছিস আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। এতো সুন্দর পায়েল। পায়ে পড়েছিস দোস্ত?

—আস্তে প্রিয়ু।কেউ শুনলে হিতে বিপরীত হতে পারে। না পড়ি নি। আমার ভয় লাগে এতো দামি একটা জিনিস পড়লে মা বাবা কি ভাববে বল?

—আচ্ছা বাসায় নাহয় না পড়িস।এখানে তো একটু পড়ে দেখতে পারিস।

কথাটা বলতে দেরি হলেও আমার পায়ে পায়েল টা পড়িয়ে দিতে একটু ও দেরি করল না প্রিয়ু।মুখে হাত দিয়ে বলল,,,

—মা শা আল্লাহ,,,কতো সুন্দর মানিয়েছে পায়েলটা তোর পায়ে। কতো সুন্দর লোকটার চয়েজ।এবার তো আমারও বড্ড ইচ্ছে করছে ওনাকে দেখার।

-পায়েল টা খুলে বক্সে রেখে দিলাম আমি। এক দৃষ্টিতে বক্সটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললাম,,,,

—আমারও।

প্রিয়ু সন্দেহ নিয়ে বলে উঠল,,,

–দোস্ত এটা আকাশ নয়তো!

একদম নিশ্চয়ইতার সাথেই আমি জবাব দিলাম,,,

—কখনও না। অন্য কেউ। যার মনটা অনেক সুন্দর। যার ব্যাক্তিত্ব নিঃসন্দেহে অনেক মুগ্ধময়।

—প্রথম চিরকুট পড়ে,মানুষটা কে না দেখেই প্রেম।বাহ্ তুই তো অনেক ফাস্ট দোস্ত।

প্রিয়ুর মাথায় একটা বারি দিলাম আমি। গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে এলো আমার।আস্তে করে বললাম,,,

—প্রেমে পড়েছি কিনা জানিনা তবে আমি মুগ্ধ হয়েছি। নতুন এক অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়েছি।


কলেজ ছুটি শেষে ধীরে ধীরে আমি আর প্রিয়ু বেরিয়ে এলাম। চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে কিনা। পাঁচ মিনিট যাবত গেইটে দাঁড়িয়ে থেকে ও আমাদের সন্দেহের তালিকায় কেউই এলো না। চলে যেতে নিব পাশের দোকান থেকে দৌড়ে এলেন দাড়োয়ান চাচা। হাত দিয়ে ইশারা করলেন থামতে। অবাক হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম দুজন। তাড়াহুড়ো করে পকেট থেকে একটা খাম বের করলেন চাচা। আমি নিতে যাব তার আগেই খামটা ছিনিয়ে নিল প্রিয়ু। মেয়েটা একটু বেশিই এক্সাইটেড। দাঁত কেলিয়ে বললেন,,,,

—একটু আগে আইছিল সাহেব। আমার হাতে এইডা দিয়া কইল কলেজ ছুটি হইলে তোমারে দিতাম। পোলা একখান। কি সুন্দর লাগছিল! কতো দামি চশমা পইড়া আইছিল।কি জানি কও তোমরা! ক্রেশ,,

ফট করে প্রিয়ু বলে উঠল,,–ক্রাশ চাচা।

—হু ক্রাশ খাইবার মতো পোলা। মেলা বড়লোক হইয়া ও তোমার লায় প্রত্যেকদিন আইয়ে এইহানে। আমার দো মনে কয় পোলাডা তোমারে প্রেম করে শ্রেয়া মা।

চাচার কথায় এই মুহূর্তেই মনে হচ্ছে মাটি ফাঁক করে নিচে ঢুকে যেতে পারলে খুব ভালো হতো।লজ্জায় মাথাটা নিচু করে ফেললাম আমি। একটু হেসে চাচা বললেন,,,

—লজ্জা পাইয়ো না মা। দেরি হইয়া যাইতেছে যাও বাসায় যাও।নাইলে তোমার বাবার দ্বিতীয় বউ তো বকব তোমারে। এতো সুন্দর মাইয়ার লাই একটু ও মায়া হয় না ওই খারাপ মহিলার।যাও মা বাসায় যাও।

চাচা আমাদের পাড়ায় থাকেন। ছোট থেকেই দেখে আসছি তাকে। একটু লোভী হলেও লোকটা খারাপ না।প্রিয়ুর হাত ধরে পা বাড়ালাম আমি। কিছুটা দূরে এসে নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে খামটা খুললাম। হাত বাড়াতেই বেরিয়ে আসল চকচকা এক হাজার টাকার দুটো নোট। খুব অবাক হলাম দুজনে। নোট দুটো প্রিয়ুর হাতে দিয়ে খামের ভিতর থেকে নীল রঙা চিরকুট বের করলাম।

” ভাবছো টাকা কেন দিলাম তাই না? টাকা দিয়ে আমার শুভ্রপরী কে অপমান করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।ভুলেও আমায় ভুল বুঝবে না শুভ্রপরী।শুভ্রপরীর অপমান মানে আমাকে অপমান করা। কারণ তুমি আমার সবটা জুড়ে বিরাজ করছো। তোমার কলেজ ড্রেসের সাথের ওড়না টা আমার কাছে খুব ছোট মনে হয়েছে। চাইলেই ওড়না কিনে গিফট দিতে পারতাম।কিন্তু বার বার গিফট দেওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। কারণ অতিরিক্ত কিছু পেলে মানুষ পরবর্তীতে সেটা কে সস্তা মনে করে। আমি কখনও সস্তা হতে চাই না বরং থাকতে চায় তোমার মন প্রাণ জোরে। বিরাজ করতে চাই তোমার হৃদয়ে। ওড়না কেনার জন্যই টাকা টা দেওয়া। খুব খুশি হব আমি আমার দেওয়া টাকায় তুমি ওড়না কিনলে। আশা করি আমায় বুঝতে পেরেছ তুমি। বড় দেখে একটা ওড়না কিনবে।কখনও যেন তোমার খোলা চুল কেউ না দেখে। ঘোমটা দিয়ে আসবে সবসময়। সকালের হালকা রোদে ভীষণ স্নিগ্ধ লাগছিল তোমায়। ইচ্ছে করছিল একটু ছুঁয়ে দেয় তোমায়। পরম যত্নে আগলে নেয় আমার শূন্য বুকে।””

—–তোমার চিরকুট লেখক❤️

শেষ আর এক পা ও নড়ার সাহস নেই আমার। চেপে ধরলাম পাশে থাকা প্রিয়ুর হাতটা। মন মাঝে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন অচেনা অজানা মানুষটা।

চলবে,,,

(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কোনো প্রকার ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here