দখিনা হাওয়া পর্ব -০৪

#দখিনা_হাওয়া
#মারিয়া_আক্তার
[০৪]

চাপিয়ে রাখা দরজা দিয়ে রুমের লাইট থেকে সরু আলো আসছে বিন্দুর বারান্দায়। বারান্দার ফ্লোরে বিন্দু তার মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে। দৃষ্টি তার আকাশের পানে নিবদ্ধ। আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে উঠে,

– আঙ্কেল এটা অন্যায় আবদার করছে আম্মু।আমি আরাধ মির্জাকে বিয়ে করতে পারবো না।

আসমা বেগম কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। আরাধ ছেলেটাকে তিনি কয়েকবার দেখেছেন। ছেলেটা দেখতে যেমন, পার্সোনালিটিও তেমন। যার কাছে জিজ্ঞেস করা হবে, সে-ই ছেলেটার সুনাম করবে। তবে সমস্যাটা হল আরাধের ফুফুকে নিয়ে। এমন একটা মহিলা যে বাড়িতে থাকেন সে বাড়িতে তার মেয়েটা সুখে থাকবে কি করে? তারউপর শাপলা বেগমের সেদিনের করা অপমানের জন্য কবির শেখ মির্জাবাড়ির নাম শুনতেও নারাজ। আসমা বেগম পড়েছেন বিপাকে। একদিকে বিয়েতে তার স্বামী মেয়ে নারাজ অন্যদিকে আলী আকবর মির্জা সারাক্ষণ বিন্দুকে পুত্রবধূ করার আবদার করছেন তার কাছে। কবির শেখ তাকে বারবার করে না করে দিয়েছেন তাও তিনি পিছু ছাড়ছেন না। এত বড় মাপের একজন মানুষকে কি করে তিনি বারবার মানা করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

– আমার কি মনে হয় বিন্দু। তোর ঠান্ডা মাথায় বিষয়টা নিয়ে ভাবা উচিৎ। আরাধ ছেলেটা সব দিক দিয়েই পার্ফেক্ট। তার উপর ওদের উচ্চবংশীয় পরিবার। আবার ছোটখাট সংসার। নয়না ভাবি আর আলী আকবর ভাই দু’জনেই খুব ভালো। সমস্যা শুধু শাপলা বেগমকে নিয়ে। তবে বিন্দু একটা ব্যাপার ভেবে দেখ সংসারে কত ধরনেরই তো মানুষ থাকে। সবার সাথে মানিয়ে গুছিয়ে চলতে হয়। আরাধ নিজে তোর পাশে থাকলে শাপলা বেগম কি আর করতে পারবেন শুনি। আমি বলছি কি মা তুই রাজি হয়ে যা।

বিন্দুর মায়ের কোল থেকে মাথা তুলে সোজা হয়ে বসে।

– কিন্তু মা সব ঠিক হলেও একটা জিনিস কখনও ঠিক হবে না। শাপলা বেগম কখনও ঠিক হবেন না। আমাকে অপদস্থ করার জন্য সর্বদা তৈরি থাকবেন তিনি। আর তাছাড়া আরো একটা কথা ভেবে দেখেছো? আরাধ মির্জা। আরাধ মির্জা এই বিয়েতে রাজি তো?

বিন্দুর কথায় আসমা বেগমের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেল। তারপর কিছু একটা ভেবে হাসিমুখে বললেন,

– আরে বোকা মেয়ে। আরাধ রাজি না থাকলে কি আলী আকবর ভাই বিয়ের কথা বলতেন নাকি? আরাধ নিশ্চয়ই রাজি আছে।

মায়ের কথার বিপরীতে বিন্দু কিছু বললো না কিন্তু তার মাথায় হাজারও চিন্তারা এসে ভর করেছে। মা যতই বলুক তার মনে হয় আরাধ মির্জা এই বিয়েতে রাজি নয়। যদি সত্যিই রাজি হত তাহলে বিয়ে নিয়ে তার কোনো ভাবান্তরই ছিল না কেন? হ্যাঁ বা না কিছুই বলেনি সে।

_____________

– আরান আমারে তোর ভাবি বানাস নারে, তোর ভাইয়ের জন্য আমারে নিয়ে যা। বিশ্বাস কর ভালো বউ হইয়া দেখামু।

মীমের কথা শেষ হতে না হতেই আরান শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসে। পরীক্ষা দিয়ে এসে একটা ক্লাসরুমে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছিল। আরান ক্লাসরুমের টুলের ওপর আধশোয়া হয়ে মনের সুখে চিপস খাচ্ছিল ।

– বইন মাফ কর। তোর মত প্লে গার্লরে আমার ভাবি বানাইলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী মির্জা বাড়ির ইজ্জত শেষ হয়ে যাবে। জনে জনে লোক এসে বলবে আলী আকবর মির্জার বড় ছেলের বউরে দেখলাম পার্কে কোন ছেলের কোলে শুয়ে আছে। আবার এও বলবে মির্জাবাড়ির বড় বউরে দেখলাম রেস্টুরেন্টে কোন ছেলেরে খাইয়ে দিয়েছে। তাই তোরে আমার ভাবি বানাইয়া আমাদের মান সম্মান খোয়ানোর কোনো ইচ্ছা নাই।

আরানের কথা শেষ হওয়ার পর বিন্দু আর নুশরাত কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে বসে ছিল। খানিকক্ষণ পর দুজনেই দমফাটা হাসিতে মেতে উঠে। হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ের ওপর পড়ে যায়। আর অন্যদিকে মীম রেগে বোম হয়ে আরানের দিকে তাকিয়ে আছে। বিন্দু আর নুশরাতের হাসি দেখে সে এবার আরানের দিকে তেড়ে যায়। তা দেখে আরান এক ছুটে দৌঁড়। মীমও আরানের পিছনে ছুটছে। নুশরাত ওদের দিকে তাকিয়ে আবারও একদপা হেসে নেয়। তারপর বিন্দুর উদ্দেশ্যে বলে,

– বিন্দু চল বাসায় যাই।

– হুম চল। আরান আর মীমকে ডেকে আন।

– আচ্ছা আমি ওদের ডেকে আনছি।

– আচ্ছা।

নুশরাত যাওয়ার পর বিন্দু চুপচাপ ক্লাসরুমে বসে থাকে। তার এখন কিছুই ভালো লাগছে না। বিয়ের ব্যাপারে এখনো কিছু বলেনি। বিন্দুর মা বলেছে তাদের কিছুদিন সময় চাই। সব দিক বিবেচনা করে তার বাবা বলেছে বিন্দু রাজি হলে তিনি রাজি হবেন। বিন্দু কি করবে নিজেই কিছু বুঝতে পারছে না। আর আলী আকবর মির্জা তাদের কথা দিয়েছিল, বিন্দু মির্জা বাড়ির বউ হওয়ার পর তাকে কোনোরূপ অপমানিত হতে হবে না। বিন্দু যথাযোগ্য সম্মানটাই পাবে। আর শাপলা বেগমও কিছুদিন পর মেয়েদের কাছে চলে যাবেন। ততদিন বিন্দুকে একটু মানিয়ে গুছিয়ে চলতে হবে। সে না হয় বুঝা গেল কিন্তু আরাধ? সে রাজিতো এই বিয়েতে? এই ব্যাপারটা নিয়ে আরানের সাথে কথা বললে কেমন হয়? বিন্দুর ভাবনার মধ্যেই তার ফোন বেজে ওঠে। আননোওন নাম্বার থেকে কল এসেছে। বিন্দু ফোনটা কানে তুলে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে কেউ বেশ ঠান্ডা গলায় বলে,

– কোথায় আছেন এখন?

কন্ঠটা কার সেটা বুঝতে বিন্দুর দশ সেকেন্ডের মত সময় লেগে যায়।

– আমি ভার্সিটিতে। আপনি কল দিলেন কোনো দরকার?

– হুম, একটু দরকার ছিল বটে। কোথায় দেখা করা যাবে?

আরাধের কন্ঠটা বিন্দুর কাছে খুব ভালো লাগে। গলার স্বরটা মোটাও না চিকনও না মাঝামাঝি পর্যায়ের। আবার কথা বলার স্টাইলটাও ইউনিক।

– পারবেন দেখা করতে?

বিন্দু কিছুক্ষণ ভেবে বলে,

– আপনি বলুন কোথায় আসতে হবে?

– আচ্ছা আপনি ভার্সিটির গেইটের সামনে এসে দাঁড়ান। আমি আপনায় ড্রপ করে নিচ্ছি।

– আচ্ছা।

বিন্দু কলটা কেঁটে দিয়ে নুশরাতকে একটা টেক্সট করে, যে তার কাজ আছে তাই এখন চলে যাচ্ছে। তারপর বিন্দু ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়।
______________

আজ প্রথম বিন্দু আরাধের গাড়িতে উঠেছে। অনেক বেশি আনইজি লাগছে তার। আরাধ একমনে গাড়ি চালাচ্ছে। বিন্দু বসে বসে জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্যটা উপভোগ করছে।

– নামুন।

বিন্দু অন্য ধ্যানে ছিল তাই হঠাৎ করে আরাধের গলা শুনে ভয় পেয়ে যায়। চারদিকে তাকিয়ে দেখে তারা নদীর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বিন্দু ফটাফট গাড়ি থেকে নেমে আরাধের পাশে দাঁড়ায়। আরাধ আরও আগেই নেমে পড়েছে। বিন্দু চারদিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে আরাধকে উদ্দেশ্য করে বলে,

– আপনি আমায় তুমি করে বলেন। আমার অস্বস্তি হয় বড় মানুষ আমায় আপনি করে বললে। আর হ্যাঁ ইন্টারেস্ট না থাকলেও তুমি করে বলতে হবে, নাহলে কিছু বলারই দরকার নেই।

আরাধ বিন্দুর দিকে ফিরে একটা ক্যাবলামার্কা হাসি দিয়ে বলে,

– ওকে ওকে। তুমি, এবার ঠিক আছে?

বিন্দু মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়। দু’জন কিছুক্ষণ নিরব থাকে।

– কি বলার জন্য এখানে এনেছেন?

এখন সময়টা বিকেলের প্রথমভাগ, তাই নদীর পাড়ে রোদটা সরাসরি এসে পড়ছে। রোদের ঝলকানিতে বিন্দু চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে।

– তোমার কি এখানে অসুবিধা হচ্ছে? অসুবিধা হলে চলো ওইদিকটায় যাই। হাঁটতে হাঁটতে বরং কথা বলি।

বিন্দু আরাধের কথায় সায় দিয়ে বলে,

– আচ্ছা চলুন।

আরাধের পাশাপাশি হাঁটছে বিন্দু। বিন্দু নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। ঢেউয়ের খেলা দেখছে বিন্দু।

– তুমি কখনো কাউকে ভালোবেসেছো? বা সম্পর্ক ছিল কারো সাথে বা আছে?

আকস্মিক প্রশ্নে বিন্দু অবাক হয়ে আরাধের দিকে তাকায়।

– না, এসব নিষিদ্ধ। আর এমনিতেও আমি হালাল সম্পর্কে বিশ্বাসী। তাই কখনো এসবে নিজেকে জড়াইনি।

বিন্দু কথাগুলো বলে কিছুক্ষণ মৌনতা পালন করে। তারপর আবার আরাধের দিকে তাকিয়ে বলে,

– আপনার আছে?

আরাধ যেন এতক্ষণ এই প্রশ্নটার অপেক্ষায়-ই ছিল।

– জানি না তবে একজনকে আমি আজও ভালোবাসি।

আরাধের কথায় বিন্দু একমুহূর্তের জন্য থমকে যায়। পরে কিছু একটা ভেবে তার মুখে এক চিলতে হাসি ফুঁটে উঠে। তার মানে আরাধও বিয়েতে রাজি নয়। এখন তাহলে আর বিন্দুকে বিয়েটা করতে হবে না।

– কোথায় হারিয়ে গেলে বিন্দু?

– আব, কোথাও না তো। আপনি বলুন না আমি শুনছি। যাকে ভালোবাসেন সে কোথায় এখন?

কিছুক্ষণ চুপ করে কিছু যেন ভাবে আরাধ। তারপর বলে,

– আমার সাথে তোমার বিয়ের কথা চলছে,তাই আমি মনে করি এসব জানার সম্পূর্ণ অধিকার আছে তোমার। আমি যখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারে ছিলাম তখন ভার্সিটির থার্ড ইয়ারের একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যাই। মেয়েটা যথেষ্ট রূপবতী প্লাস মেধাবী ছিল। মেয়েটার নাম হলো তানিয়া। সে সময় ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম ওর বাবা একজন জার্নালিস্ট। তানিয়াকে প্রথম দেখায়-ই আমি ভালোবেসে ফেলি। ওকে যখন প্রোপোজ করি তখন ও আমার প্রোপোজাল এক্সেপ্ট করে। টানা ছয় মাস রিলেশন চলে আমাদের। আমি পরে যখন ওকে বিয়ের প্রস্তাব দেই তখন ও সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছিল সে এখন এসবের জন্য তৈরি না। আগে অনার্স কমপ্লিট করবে, তারপর। তার মানে আমাকে আরো এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। আমি করেছিও। ওর সাথে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই ছিল। কিন্তু ওর পরীক্ষা আসায় আমাদের কথা খুব কম হতো। তবে ধীরে ধীরে তানিয়াও আমার সাথে যোগাযোগ করা কমিয়ে দেয়। তানিয়ার যখন অনার্স কমপ্লিট হয় আমি তখন ভেবেছিলাম ফ্যামিলিতে জানাবো। তার আগে ভাবলাম তানিয়ার সাথে একবার দেখা করে নিই। যেই ভাবা সেই কাজ আমি তানিয়াকে কন্ট্যাক্ট করার চেষ্টা করলাম, যাতে ওর সাথে দেখা করতে পারি। কিন্তু আমি ওর ফোন বন্ধ পাই। ভার্সিটি গিয়ে খোঁজ নিয়েছি কিন্তু তাও ওর কোনো খোঁজ পাই নি। সব জায়গায় হন্যে হয়ে খুঁজেছি তবুও ওর দেখা মিলে নি। পরে ওর বন্ধুদের কাছে শুনি অনার্স শেষ হওয়ায় ও ঢাকা থেকেই চলে গিয়েছে। ওরা কেউই জানে না তানিয়ার খোঁজ। কারো সাথেই যোগাযোগ নেই। এখনি খুঁজছি আমি ওকে কিন্তু পাচ্ছি না।

বিন্দু এতক্ষণ মনযোগ দিয়ে আরাধের কথা শুনছিল। সে ব্যাপারটা পুনরায় একবার ভেবে মৃদু হাসে। বিন্দুর মনে হচ্ছে মেয়েটা ইচ্ছে করেই যোগাযোগ করছে না। হয়তো বা আরাধকে ভালোই বাসে না। নাহলে যাকে ভালোবাসে তার সাথে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে কেন? তবে অনেক সময় চোখের দেখা সত্য হয় না। হয়তো এর মধ্যে অন্য কোনো কারণও লুকিয়ে থাকতে পারে। যাই হোক, সব ঠিক আছে কিন্তু আরাধ অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে এটা বিন্দুর মানতে কেন যেন কষ্ট হচ্ছে। তারপরও সেসবে পাত্তা না দিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে আরাধের উদ্দেশ্যে বলে,

– এখন আমি কি করতে পারি?

আরাধ এবার পূর্ণদৃষ্টিতে বিন্দুর দিকে তাকায়। সূর্যের আলোর কারণে বিন্দু নিজের চোখগুলো ছোট ছোট করে রেখেছে। গালদুটো লাল লাল হয়ে রয়েছে। বিন্দু মেয়েটা মারাত্মক সুন্দরী নয়। তবে তাকে সুন্দর বলা চলে। তার মাঝারী আকারের চোখ তবে চোখগুলো গোলগাল। সরু খাঁড়া নাক, চিকন ঠোঁট। উচ্চতায় মাঝামাঝি ধরনের হবে। মেয়েটা তেমন চিকনও না, মোটাও না মাঝামাঝি স্বাস্থের অধিকারী। বিন্দুর চুল দেখার সৌভাগ্য আরাধের হয় নি। কারণ বিন্দু সব সময় হিজাব পরে থাকে।

– কি হলো কিছু বলছেন না কেন?

বিন্দুর আকস্মিক প্রশ্নে আরাধ থতমত খেয়ে যায়। এতক্ষণ সে বিন্দুকে পর্যবেক্ষন করছিল। এর জন্য নিজেকে কতক্ষণ বকাবকি করে মনে মনে।

– হুম বলো।

– আমি কি বলবো? আপনি বলেন, আমি এখন কি করতে পারি আপনার জন্য?

আরাধ নিজের কুচকুচে কালো চুলগুলোকে একহাতে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে। তারপর শূণ্যে দৃষ্টি রেখে বলে,

– আমি অন্য একজনকে ভালোবেসে তোমাকে কি করে বিয়ে করবো বলো? আর তোমার প্রতি আমার কোনো অনুভূতিই নেই।

বিন্দু মাটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।

– তাহলে আপনার বাবাকে বলুন, যে আপনি অন্য একজনকে ভালোবাসেন, তাই আমায় বিয়ে করতে পারবেন না। সিম্পল।

– ব্যাপারটা এতটা সিম্পল হলেতো হতোই। আসল ব্যাপারটাই তোমার এখনো অজানা। আর বাবা আমার কাছে অনুরোধ করেছেন তোমায় বিয়ে করার জন্য। আমি এখন তাকে কি করে ফেরাই?

– আপনার জীবন, তাই আপনি কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইবেন সেটা অবশ্যই আপনি ঠিক করবেন। আপনার বাবা সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।

– আমার বাবা আমার ওপর কোনোকিছু জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছেন না বরং তিনি আমাকে অনুরোধ করছেন। আমি ছেলে হয়ে বাবার অনুরোধকে কিভাবে পায়ে ঠেলে দিই তুমিই বলো?

– তাই বলে যার জন্য আপনার মনে কোনো অনুভূতি নেই তাকে কেন বিয়ে করবেন আপনি?

আরাধ কিছুটা সময় বিন্দুর দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর একটা গাছের শিকড়ের ওপর গিয়ে বসে। বিন্দুকে ইশারা করে পাশে বসার জন্য। বিন্দু ইতস্তত করে আরাধের পাশে গিয়ে বসে।

– তুমি হয়তো জানো না আমার বাবার একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here