দ্বিতীয় অধ্যায় পর্ব -শেষ

#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#Writer_Tahsina_Islam_Orsha
#Part_8 (Last_part)

হঠাৎ পুলিশ দেখে ঘাবড়ে যায় সে। কিন্তু পুলিশের সাথে আসা মানুষকে দেখে আফাকের মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। শান্তার পরিবারের প্রায় সবাই-ই এখানে এসেছে। কিন্তু হঠাৎ এইখানে এই ভাবে পুলিশ নিয়ে কেন আসবে ওরা? শান্তা চলে যাবার পর ওদের ফ্যামিলি থেকে অনেকেই এসেছিলো শান্তা কোথায় জানার জন্য, আফাক বলেছিলো শান্তা ডিভোর্স দিয়ে কোথায় চলে গিয়েছে আফাক জানে না। আফাক জানতো শান্তা ওর পরিবারের কাছেই গিয়েছে কিন্তু ওর আব্বু আম্মু বলে ওদের কাছে যায়নি। এরপর আর আফাক নিজেই ঠিকমতো বাসায় থাকেনি। শান্তার খোঁজও নেয়নি। কিন্তু হঠাৎ শান্তার ফ্যামিলি পুলিশ নিয়ে কেন আসলো! তাহলে কি শান্তার সাথে তাদের আর যোগাযোগ হয়নি? নাকি আফাক নতুন বিয়ে করেছে শুনে ওদের পরিবার এমন করছে৷

আফাকের ভাবনার পানি ঢেলে একজন পুলিশ এগিয়ে এসে
‘ আপনি আফাক আজওয়ার?

আফাক একটু চিন্তার রেশ টেনে
‘ জ্বী আমি আফাক আজওয়ার। আমি কি জানতে পারি কি হয়েছে? আর আপনারা সবাই এখানে কেন এসেছেন?

শান্তার বাবা রাগে আর ক্ষোভে ফেটে পড়ে
‘ এই বদমাশই আমার মেয়েকে নিখোঁজ করেছে এখন বলে জানে না। আমার মেয়ে নাকি ডিভোর্স নিয়ে চলে গিয়েছে। বানোয়াট গল্প বলে বেড়ায় লোকের কাছে।

কথা গুলো শুনে অনিন্দার ভীষণ রাগ হলো। নিজের স্ত্রীর সামনে তার স্বামীকে কেউ অপমানিত করলে হয়তো এইভাবেই ক্ষিপ্ত হয় স্ত্রী। অনিন্দা রাগে কটমট করে
‘ মুখ সামলে কথা বলুন। কথা বলার কোন তরিকত নেই। আমার স্বামীকে আপনি এই সব বলতে পারেন না। আর আপনি কে যে এই ভাবে বলবেন তাকে?

আফাক বুঝতে পারছে অনিন্দা এদের চিনতে পারেনি। চিনবেই বা কি ভাবে আগে তো ও শান্তার মা বাবাকে দেখেনি। দেখতে হবে কখনো সেটাও আফাক ভাবেনি। কিন্তু হঠাৎ আজ আবার!!

একজন পুলিশ আফাকের সাইড দিয়ে ঘুরে সামনে এসে
‘ আমাদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট আছে আপনার বাসা আমরা চেক করবো। আপনার প্রথম স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে শুনেছেন নিশ্চয়। উনার বাবা মা থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করেছিলো। আমরা কিছু ইনফরমেশন পেয়েছি। এখন আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দিন।

আফাক মুখখানি অন্ধকার করে পুলিশের জবাবে
‘ না আমি জানি না ও কোথায়, আর না জানতে চাই।

অনিন্দা এতক্ষণে বুঝে গিয়েছে ওরা শান্তার বাবা মা।আর এখন আফাক কে ফাঁসাতে এসেছে। অনিন্দা দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশের কর্ম কান্ড। প্রতিটা ঘর বিছানার নিচে সব তন্নতন্ন করে কি যেন খুঁজছে তারা।

কিন্তু অনিন্দা এটা বুঝতে পারছে না শান্তা যদি নিখোঁজ হয়েই থাকে তাহলে এখানে কেন খুঁজছে তাকে। সে তো এখানে নেই।
এইদিকে আফাকের মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। পুলিশের এসব তদারকি ভালো লাগছে না তার।

হঠাৎ একজন পুলিশ আরেকজন পুলিশকে ডাক দিয়ে উঠে একটা রুমের ভিতর থেকে। সবাই ওই রুমের দিকে অগ্রসর হয়৷ অনিন্দার ভিতরে কেন যেন ভীষণ ভয় লাগছে সাথে অদ্ভুত লাগছে। সবার পিছনে পিছনে অনিন্দাও অগ্রসর হয় সেই রুমের দিকে। রুমের সামনে যেতেই অনিন্দার পা থমকে যায়। এই সেই রুম যার কাছে আসতেই অনিন্দার বমি পেয়েছিলো। ভীষণ রকমের দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিলো। ভিতরে সবাই কি যেন দেখাচ্ছে একজন আরেকজনকে। অনিন্দা কাঁপা কাঁপা হাত পা নিয়ে ভিতরে গিয়েই বিকট চিৎকার করে উঠে। মানুষের শরীরের কাটা কাটা অংশ ফ্রিজের ভিতর থেকে বের করছে। একটা অংশ বাহিরেই পড়ে ছিলো যেটা কিনা পচে গন্ধ বের হয়েছে বেগতিক।

শান্তার মা জোরে আর্তনাদ করে উঠে। শান্তার বাবা কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরে বসে পড়ে। বিলাপ করে কান্না শুরু করে শান্তার মা। অনিন্দার ভিতরে ঝড় বইছে এই মুহুর্তে। এতো বড় ফ্রিজ এই রুমে! কি সুন্দর করে সাজানো রুম। শান্তার হাতেই হয়তো সাজিয়েছিলো এই রুম। অনিন্দা কান্না করছে। তার কান্নাও থামছে না শান্তার মায়ের মতনই।

হঠাৎ শান্তার বাবা উঠে আফাক কে মারতে গেলেই পুলিশ উনাকে আটকায়। কেউ উনাকে আটকে রাখতে পারছে না, নিজের মেয়ের এমন
দুর্দশা হয়তো কোন বাবারই কাম্য নয়। থমথমে পরিবেশ হয়ে গিয়েছে মুহুর্তে।

আফাক স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশে কেউ বসে কেউ দাঁড়িয়ে আছে আফাক কি বলে তা শুনার জন্য । ড্রয়িং রুমের কোন জায়গায় আর ফাঁকা নেই সমাবেশ এর জন্য। অনিন্দার চোখ দিয়ে শুধু টপটপ করে পানি পড়ছে। কিছু বলার ভাষা তার নেই। একজন পুলিশ আফাকের দিকে তাকিয়ে
‘ তো মিস্টার আফাক। আপনি কিছু বলবেন?

আফাক চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এমন নিশ্চুপ যেন সে-ই আসামি। অনিন্দা কান্না মাখা মুখে তাকিয়ে আছে আফাকের মুখের দিকে। আফাক মাথা উঁচু করে অনিন্দার দিকে তাকিয়ে
‘ অনিন্দা বিশ্বাস কর আমি কিছুই করিনি। এখন আমার সব কথাই মিথ্যা মনে হবে। বিশ্বাস কর তুমি।

অনিন্দা চোখের পানি না মুছেই আফাকের দিকে করুণ দৃষ্টি দিয়ে
‘ আমি আপনাকে বিশ্বাস করতে চাই আফাক। কিন্তু তার জন্য একটা কারণ দিন! কি করবো আমায় বলুন!

আফাক মাথা নিচু করে ফেলে। হঠাৎ একজন পুলিশ অফিসারের কাছে ফোন আসে। সে কথা বলে আরেকজনকে কি যেন বলে।

তারপর তিনি মরিয়মের দিকে তাকিয়ে
‘ তো মিসেস মরিয়ম আপনি কিছু বলবেন নাকি আমরাই সব সব বলবো?

মরিয়ম আশে পাশে তাকয়ে ভয়ে ঢুক গিলছে। একজন মহিলা পুলিশ গিয়ে উনাকে জোরে কষিয়ে একটা থাপ্পর দিতেই উনি কান্না করে

‘ আমি আর আমার মেয়ে খুন করেছি ওই শান্তাকে। বিশ্বাস করুন আমি চাইনি এমনটা। কিন্তু ওই শান্তা কিছুতেই ডিভোর্স দিচ্ছিলো না আফাক কে। আমার মেয়ে ছোঁয়া আফাক কে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছিলো।

আফাকের চোখ বড় বড় হয়ে যায় মরিয়মের কথা শুনে। শান্তার বাবা মা কান্না থামিয়ে দেয় উনার কথা শুনে। আর অনিন্দা থমকে যায়। উপস্থিত সবাই হড়বড়িয়ে উঠে। শান্তার পরিবার ভেবেছিলো আফাকই তাকে মেরেছে। কিন্তু কি শুনছে এসব!

তারপর মরিয়ম আবার বলতে শুরু করে
‘ আমার মেয়ে আফাককে ভালোবাসতো। কিন্তু কাজের মহিলার মেয়ে বলে আফাক কখনো তেমন চোখে দেখেনি আমার মেয়েকে। ভালোবেসে বিয়ে করে আনে শান্তাকে। আমার মেয়েকে অনেক বুঝায়। কিন্তু সে বুঝ মানে না। দিন যেতে থাকে আর আমার মেয়ের ভালোবাসা যেন আফাকের প্রতি আরো বাড়তে থাকে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেই শান্তাকে সরিয়ে দিতে হবে। ওদের ডিভোর্স করিয়ে দিতে পারলেই হয়তো আমার মেয়ে আফাককে পেয়ে যাবে। তারপর আফাকের মনে যেন শান্তাকে নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় তার সব রকম ব্যবস্থা করি। আফাকের ছোট ভাই আরিফের সাথে ছবি ইডিট করে আফাকের কাছে কানাডা পাঠাতাম। আরিফ শান্তাকে বোনের মতো দেখলেও আমরা এমন ভাবে উপস্থাপন করি যেন ওদের সন্দেহ করে আফাক। এক সাথে দুজনের ফোনে আননন নাম্বার থেকে কল দিয়ে ব্যস্ত রাখতাম। আফাক দেশে এসেও শান্তাকে ডিভোর্স দিচ্ছিলো না। তারপর একদিন রাতে আরিফের একটা সিম চুরি করে শান্তাকে আরিফ হয়ে মেসেজ দেই যে ‘ ভাবি আমি অনেক বিপদে পড়ে গিয়েছি একটু রুমে আসেন। এতো রাতে শান্তা আরিফের রুমে যেতে নিলেই তখনি আফাকও বিষয়টা দেখে ফেলে দুই ভাইয়ের মাঝে ঝগড়া লেগে যায়। কিন্তু আফাক শান্তাকে ডিভোর্স এর ব্যপারে কিছু বলেনা।

এতো কিছুর পরও দুজন দুজনকে ছাড়ে না। শান্তা খুব ভালো মেয়ে ছিলো নয়তো নিজের ভাইয়ের সাথে এমন সন্দেহ করার পরও অন্য মেয়ে থাকতো না। সে আফাককে ক্ষমা করে দেয়। তারপর শান্তাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যায় আফাক। আমি আফাকের মাকে মেনেজ করে ওদের সাথে এই বাসায় চলে আসি। আর আমার মেয়ে ওই বাসায়, ছোঁয়া এই বাসায়ও আসতো মাঝে মাঝে। আফাককে দিয়ে যখন কাজ হচ্ছিল না তখন শান্তার মনে সন্দেহ সৃষ্টি করি ছোঁয়া আর আফাককে নিয়ে।

আমি বুঝাতাম শান্তাকে এমন ছেলের ভাত না খেতে ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে। তারপর একদিন শান্তা ডিভোর্সের কথা তোলে, পেপার এনে আফাককে দিয়ে সাইন করিয়ে ফেলে। আফাক রাগ করে চলে যায় তখন বাসা থেকে। খুশিতে আমি আর আমার মেয়ে কথা বলছিলাম তখন শান্তা আমার আর আমার মেয়ের কথা শুনে ফেলে। এতো কষ্ট করার পর সব কিছু নষ্ট হবার ভয়ে আর উপায়ন্তর না পেয়ে আমার মেয়ে ওর মাথায় জোরে আঘাত করতেই ও পড়ে যায় নিচে। তখন আয়ুশি চলে আসে আর লত্ত লত্ত বলতে থাকে। আমি আয়ুশিকে নিয়ে অন্য রুমে চলে যায়।

আয়ুশিকে ঘুম পাড়িয়ে শান্তার কাপড় চোপড় গুছিয়ে নিয়ে ফেলে দেয়। আর ওকে আমার মেয়ে এই অবস্থা করে ওই রুমের ফ্রিজে রেখে দেয়। লাশ বের করলে সবাই বুঝে ফেলতো। তাই একটু একটু করে ফেলতে চেয়েছিলাম। আর আফাককে বলতাম ওই রুমে শান্তার স্মৃতি আছে ওই রুমে যেন না যায়। ওরা দুজন ওই রুমেই থাকতো। কিন্তু আফাক ঠিকঠাক বাসায়ই আসতো না। এটাই ছিলো সুযোগ। কিন্তু হঠাৎ আবার এই মেয়েকে কই থেকে বিয়ে করে আনে আফাক। আমি তো তাজ্জব হয়ে যায় ওইদিন। এতো কিছু করলাম আর এই মেয়ে আবার বউ হয়ে চলে এসেছে৷ আবার এই মেয়ের মনে আফাকের জন্য সন্দেহ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম।

মরিয়মের কথা শুনে একটা পুলিশ মহিলা আবার সজোড়ে একটা চড় বসিয়ে দেয় মরিয়মের গালে।

আরেকজন পুলিশ
‘ শান্তার বাবা মা যখন আমাদের অফিসে সাধারণ ডায়েরি করে তখন আফাকের উপর সন্দেহ হয়েছিলো আমাদের। কিন্তু সবার উপরই আমরা নজর রাখা শুরু করি। তুই আর তোর মেয়ের ফোন আলাপ, মেসেজ। তারপর শান্তার টুকরো টুকরো শরীরের অংশ যখন ফেলতে যেতি তখনও আমরা খেয়াল রেখেছি। আর সে সূত্রে আজ তোকে ধরতে এসেছি। ক’দিন যে ছুটিতে ছিলি তাই আসিনি। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। এইবার বুঝবি জেলের ভাত কেমন লাগে। খুব তো করলি স্বরযন্ত্র।

কলিং বেল চাপতেই ছোঁয়া এসে দরজা খুলে দেয়। সাথে সাথে পুলিশরা তাকেও ধরে সাথে নিয়ে যায়। আফাকের মা হালিমা সাজ্জাদ কিছু বুঝে উঠতে পারছে না কি হচ্ছে। আফাক সব কিছু খুলে বলতেই উনি কেঁদে উঠে। এতো কিছু হয়ে গিয়েছে আর তিনি বুঝতেই পারেনি ওদের চালাকি। অনিন্দা আয়ুশিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে। এই মেয়েটার কি দোষ ছিল? সে তো তার মাকে হারিয়েছে। কি-ই বা বুঝে এখন সে!

আফাকের চোখও লাল হয়ে আছে। হয়তো স্মৃতি আওড়াচ্ছে। আরিফের কাছে আফাক মাথা নিচু করে দাঁড়াতেই আরিফ জড়িয়ে ধরে তার ভাইকে। দু’জনই কান্না করছে৷

দূর থেকে সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছে আফাক আরিফের বাবা। তিনি জানতেন একদিন দুই ভাই ঠিক তাদের বুঝে নেবে।

শান্তার লাশ কবর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আফাক। অঝোরে কান্না করছে সে। আর কোন কিছুর বিনিময়েই তো শান্তা ফিরে আসবে না! ভালোবাসার মানুষটিকে বিশ্বাস করেও পুরোপুরি বিশ্বাস না করে আজ হারিয়ে ফেলেছে। সন্দেহ যে এতো ভয়ংকর রুপ নেবে ভাবেনি আফাক। সত্যিই সন্দেহ ভয়ংকর। কাছের মানুষ গুলোকে হাজার মাইল দূরে নিয়ে যায় যেখান থেকে হয়তো ফেরা অসম্ভব। শান্তার মা বাবার কাছে বার বার ক্ষমা চেয়েছে আফাক। কিন্তু আর কি তাদের মেয়ে ফিরে আসবে তাতে!

অন্ধকার রুমে বসে আছে আফাক। অনিন্দা খাবার নিয়ে এসেছে। আফাক চোখ বন্ধ করে আছে। যন্ত্রণা হচ্ছে ভিতরে। অনিন্দা আফাককে ডাক দিতেই মাথা তুলে তাকায়।

আফাক খাবার সরিয়ে রেখে জড়িয়ে ধরে অনিন্দাকে
‘ অনিন্দা আমায় ছেড়ে কখনো যাবে না বলো। আমি তোমায় ছেড়ে থাকতে পারবো না। শান্তাকে তো আমি হারিয়েই ফেলেছি আমার ভুলের জন্য। তুমি কখনো আমায় ভুল বুঝবে না তো? বলো কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না! আমি কখনোই তোমায় ভুল বুঝবো না।

অনিন্দা আফাককে পরম যত্নে বুকে জড়িয়ে ধরে
‘ ভুল হয় বলেই তো আমরা মানুষ। মানুষেরই তো ভুল হয়। আমি আপনার চোখে আমার জন্য যে ভয় দেখেছি।আমাকে হারানোর যেই ভয় দেখেছি সেটা আমি পুরো দুনিয়ায় কারো চোখে দেখিনি। আপনাকে ছেড়ে কি ভাবে যাবো বলুন? আমি কেন ভালোবাসবো না আপনাকে? ভালো না বাসার একটা কারণ দিন! আমি আপনাকে ভালোবাসার হাজার কারণ দেবো।
আমি আমার আয়ুশিকে আর আপনাকে কখনো হারাতে দেবো না। আপনার এই
দ্বিতীয় অধ্যায়ই আমার শেষ অধ্যায়৷

সমাপ্ত

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here