দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ পর্ব ১৭+১৮

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ১৭

কথা গুলো বলার সময় সাদিত কিনারার মুখের এতোটাই কাছে চলে এসেছিলো যে, সাদিতের মুখের গরম নিশ্বাস গিয়ে আঁছড়ে পড়ছে কিনারার ঠোঁটের উপর।

এসব শুনে কিনারা এতোটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলো যে,ও আসলে এসব কিছু ভাবেনি।কিনারা ভেবেছিলো—সাদিত ওকে কন্ডিশন দিয়ে বিয়ে করেছে এটার বিনিময়ে কিনারাকে ইউস করবে হয়তো।কিনারাও এটা মেনে নিয়েছিলো।কিন্তু আজ কিনারার ধারণা কি ভুল,,,মিস্টার চৌধুরী যা বলেছে তা যদি সত্যি হয়।কিনারা খুব অবাক হয়ে কিছুক্ষনের জন্য চুপ করে রইলো কিনারার চোখ মুখ লজ্জায় এতোটাই লাল হয়ে গেলো,মনে হলো কেউ ওর মুখে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। সে অবস্থাতে সাদিতকে জিজ্ঞাসা৷ করলো,,,মিস্টার চৌধুরী আপনি কি আমার সাথে ইয়ার্কি করছেন। প্লিজ ইয়ার্কি করবেন না।এটা ইয়ার্কি করার সময় নয়।

সাদিত কিনারার মুখ টা নিজের দু’হাতের মধ্যে নিয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল–কিনারা আমি একদম ইয়ার্কি মারছিনা।আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে আমি ইয়ার্কি মারছি।সাদিত একটু চুপ করে থেকে —– আবার বলল—কিনারা আমি শুধু তোমাকেই চাই।তোমার সাথে সারাটা জীবন কাটাতে চাই।সারা জীবন তোমাকেই ভালোবাসতে চাই। আমার অন্য কাউকে চাই না৷।

কথাটা শুনে কিনারা যেনো আকাশ থেকে পড়লো।সে আদৌও ঠিক শুনছে কিনা।কিনারা তা বুঝতে পারলো না।বার বার কিনারা ঢুক গিলতে থাকলো।গলা শুকিয়ে আসতে থাকলো।কিনারা কেমন জানি অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গেলো।

কিনারা সাদিতের দিকে তাকাতেই দেখলো,সাদিতের ওই গভীর কালো তীক্ষ্ণ চোখ দুটোতে এতো নেশাময় হয়ে আছে,যে ওকে এখনি গিলে খেয়ে ফেলবে।কিনারা খুব ভয় পেয়ে ছাদ থেকে নিচে চলে যেতে চাইলো——

ঠিক এমন সময় ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পড়া শুরু করলো,বৃষ্টির ফোঁটা গুলো এতোটাই বড়ো আর জুড়ে পড়ছিলো যে সাদিত আর কিনারা দৌড়ে চিলেকোঠায় পৌঁছাতেও প্রায় অর্ধেক ভিজেই গেলো।

তখন চারপাশটায় গভীর অন্ধকার নেমে এলো, আকাশে তুমুল বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন শুরু হলো,সাথে হিম ছড়ানো শীতল বাতাস, মুহুর্তের মধ্যেই কিনারার সারা শরীর লোমগুলো দাঁড়িয়ে গেলো।রীতিমতো কাঁপতে শুরু করলো।

কিনারা সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালেই সাদিত কিনারার বাহু ধরে দাঁড় করিয়ে দেয়।

কিনারা সাদিতের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বলল– আমি নিচে যাবো চেন্জ করবো,দেখুন কেমন ভিজে গেছি।কেমন খিতখিতে ভাব লাগছে।

সাদিত চিলেকোঠার লাইটের আলোয় দেখলো কিনারার মাথার চুল সহ সারা শরীর প্রায় ভিজে গেছে, ভেজা চুলের পানি টুপ টুপ করে কিনারার কপাল বেড়ে,, চোখ মুখ নাক দিয়ে নেমে কিনারার ঠোঁটের উপর এসে পড়ছে। ঠান্ডা লাগার কারণে কিনারার ঠোঁট টা পরপর কেঁপে উঠছে।কিনারার গাল আর গলা বেয়ে বৃষ্টির পানি বুকের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।কিনারার ওড়না বুকের সাথে লেপ্টে রয়েছে।কিনারার হালকা গোলাপি কামিজ টা ভিজে পেটের নাভি দৃশ্যমান হয়ে রয়েছে।

সাদিতের চোখটা গিয়ে আটকে পড়লো কিনারার নাভির উপর।সাদিত কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেলো সাদিত চাইলেও চোখটা সরাতে পারছে না,সাদিতের নিশ্বাস ঘন হয়ে এলো।আর জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে শুরু করলো

কিনারা সাদিতকে লক্ষ্য করে পেটের দিকে তাকাতেই কিনারা দেখলো ওর নাভি একদম স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। কিনারা এক হাত দিয়ে পেট টা চেপে ধরে, লাফ দিয়ে সাদিতের থেকে কিছুটা সরে গিয়ে বলল—একি আপনি অভাবে আমার পেটের দিকে তাকিয়ে আছেন কেন।

সাদিত কিনারার বোকা বোকা কথা শুনে মুচকি হেসে দুষ্টু মাখা ফেস করে বলল তোমার ওই পেটের বিউটিস্পর্ট।

কিনারা নাভির পাশের গাঢ় বড়ো কুচকুচে কালো তিলটা দেখেই পেট চেপে ধরেই বলল লুচু একটা।

সাদিত কিনারার কাছে গিয়ে কোড়র জড়িয়ে ধরে বলে,,,,তাহলে একটু লুচুগিরি করি।বলেই কিনারার ঠোঁটের দিকে যেতে,,, কিনারা হাত দিয়ে সাদিতের বুকে চাপ দিয়ে মুখটা খানিকটা সরিয়ে নিয়ে বলল—- আমি ভিজে গেছি। নিচে যাবো প্লিজ ছাড়ুন।আমার বৃষ্টিতে ভিজা বারণ আছে।তবুও ভিজে গেছি, এখন যদি ঠান্ডা লেগে যায়।তাহলে আমার প্রবলেম হবে।

সাদিত তখন বলল— তোমাকে বৃষ্টি নামার আগেই বলেছিলাম, চলো নিচে যায়।কিন্তু তুমি তো তোমার জিদ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলে,এতো জুড়ে বৃষ্টি নামলো যে এখানে আসতেই ভিজে গেলে।এবার বুঝো মজা।

কিনারা কাচুমাচু ফেস করে বলল— কে জানতো এতো জোরে বৃষ্টি নামবে।এবার তো ছাড়ুন।

সাদিত হেসে বলল আচ্ছা ঠিক আছে,,,তার আগে আমাকে একটা কিস করতে হবে।তারপরই আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো।

কিনারা সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে উঠে বলল —না।আমি পারবো না, প্লিজ ।

কথাটা শেষ করতেই সাদিত কিনারাকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।সাদিত কিনারার কোনো বারণ না শুনেই—–সাদিত কিনারার ঠোঁটের উপর নিজের ঠোঁট রেখে।কিনারার ছোট্ট শরীরটা সাদিতের বুকের আর কাছে টেনে নিলো।হঠাৎই সাদিত কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। নিজেকে আর যেনো সংযত করে রাখতে পারলো না।সাদিত নিজেকে সামলাতে পারলো না।আর কিনারাকে ছাড়তে চাইলো না।তখনো সামনে তুমুল বৃষ্টি পড়ছে,মেঘের গর্জন,ছাদের বৃষ্টিভেজা ঘ্রাণ,, তার সাথে কিনারার শরীরের মিষ্টি গন্ধ,,, চারপাশের পরিবেশ তখন আলাদা রুপ ধারণ করেছে।ওদের নিশ্বাস-প্রশ্বাস ওদের দুজনকে আরও পাগল করে তুলছিলো।

কিনারার গুটা চোখমুখ তখন লাল হয়ে গেছে।ঠিক ওই মুহূর্তে কিনারা সাদিতের শার্টটা টেনে ধরলো।

সাদিত আরো যেনো পাগল হয়ে গেলো।সাদিত কিনারাকে জড়িয়ে ধরে,, কিনারা৷র সারা শরীর স্পর্শ করতে চাইলো।

সঙ্গে সঙ্গে কিনারা খুব ভয় পেয়ে গেলো।কিনারা পেনিক করতে শুরু করলেই সাদিতকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো।

কিনারা সাদিতকে ধাক্কাটা মারতেই সাদিত যেনো নিজের হুসে ফিরে এলো।

তারপর সাদিত হিংস্র পশুর মতো কিনারার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে রইলো।

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ১৮

সাদিত হিংস্র পশুর মতো কিনারার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে রইলো।সাদিত জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে প্রশ্ন করলো—কি হলো তুমি আমাকে দূরে সরিয়ে দিলে কেন??

কিনারা ভয় পেয়ে সাদিতের দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে বলল– কি হলো মানে টা কি—–

সাদিত কিনারার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল– আই এম সো হাংরি।

কিনারা সাদিতের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল– হাংরিইইই-_—–তারপর ভয়ে ভয়ে বলল আচ্ছা আপনার খুদা পেয়েছে আগে বলবেন তো। চলুন নিচে আমি এখনি আপনাকে খাবার দিতে বলছি।পুরো কথাটা শেষ না করেই কিনারা চুপ করে গেলো।কারণ কিনারা ততক্ষণে বুঝতে পারলো সাদিত আসলে ঠিক কি বুঝাতে চাইছে।এসব ভেবে কিনারা প্রচন্ড ঘাবড়ে গিয়েছিলো।কিনারা কথা ঘুরানোর জন্য বলল মিস্টার চৌধুরী এবার তো নিচে চলুন।আমার খুব খারাপ লাগছে।এভাবে থাকতে আর ভালো লাগছে না।আমি নিচে যেতে চাই।

তারপর সাদিত কিনারার কাছে এসে হাতটা ধরে বলল—কিনারা তুমি এতো ঘাবড়ে যাচ্ছো কেন,আই লাইক ইউ বিকস্ আই লাভ ইউ সো মাচ।যে কারণে আমি বার বার এরকম করি।তাই তো তোমার কাছে পাগলের মতো ছুটে আসি।কিনারা প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো।আর আমি তোমাকে কথা দিতে পারছি না এরপর কি হবে।।তা আমি নিজেও জানিনা।

কিনারা সাদিতের এসব কথা শুনে,কিনারা ভয় পেয়ে গেলো।একটুও নড়াচড়া করলো।কিনারা যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো ঠিক সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো।

এদিকে কিনারাকে ভয় পেতে দেখে সাদিত কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।

সাদিত কিনারার দিকে তাকিয়ে বলল।।এত্ত কি ভাবো তুমি সব সময়। নিচে চলো এবার।

★★★★★★★★★

কিনারা রুমে গিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো।তারপর গরম পানি দিয়ে গোসল করে বেরিয়ে পড়লো।কিনারা বের হতেই সাদিত ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো।

আয়নার সামনে নিজেকে পরিপাটি করে, তোয়ালেটা নিয়ে বারান্দায় গেলো।তারপর তোয়ালেটা মেলে দিয়ে বারান্দার দরজা টা লাগাতেই, দরজার পর্দাটার কিছু অংশ দরজায় আঁটকে যায়।কিনারা পর্দাটা বের করার জন্য টান৷ দিলো কিন্তু বের হলো না তারপরএকটু জোরে টান দিতেই। পর্দার স্টিকটা খোলে কিনারার মাথায় পড়তেই।।।। কিনাটা আউচচচচ বলে মাথায় হাত দিয়ে বুলাতে থাকে।মাথায় হাত দিয়ে বুলাতে বুলাতে বিরবির করে বলল —কিনারা তুই তো মহা বোকা পর্দাটা আটকে গেছে ভালো কথা ওটা টানাটানি করার কি আছে৷ টানাটানি না করে দরজা খুলে বের করলেই তো হতো।যাহ্ বাবা আমি বোকামি যখন করেছি এটা আমাকেই লাগাতে হবে না হলে মিস্টার চৌধুরী আবার যদি আমাকে বকে।উনি তো ঘর অগোছালো একদম পছন্দ করেনা।তার থেকে ভালো উনি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে পড়ার আগেই আমি এটা লাগিয়ে ফেলি।যেই ভাবা সেই কাজ। আশে-পাশে তাকাতেই ঘরের এক কোণে একটা ছোট্ট টুলের মতো কাঠের টেবিল দেখতে পেলো,তো ফুলদানি গুলো নিচে নামিয়ে কিনারা এ নিয়ে এসে একা একা অনেক কষ্টে পর্দা লাগালো।অবশেষে পর্দাটা লাগিয়ে হাত দুটো ঝাড়া দিয়ে কোমরে হাত দিয়ে পর্দার দিকে তাকিয়ে বলে ফাইনালি লাগাতে পারলাম।এমন সময় পিছন থেকে একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসলো——-

খাম্বার মতো টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে কি করছো তুমি —-সাদিত ইয়ার্কি করে বলে উঠলো ——

কিনারা পিছন ফিরে সাদিতকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। তাড়াহুড়ো করে টেবিল থেকে লাফ দিয়ে নামতে যাবে, কিন্তু ঠিক ওই সময়ে দুর্ভাগ্য বসতো কিনারার প্লাজুতে পা আটকে ধপাস করে মেঝেতে পড়ে গেলো।

সাদিত ধরতে যাবে কিন্তু তার আগেই কিনারা মেঝেতে পড়লো।ঘটনাটা টা এতো তাড়াতাড়ি সাদিতের চোখের সামনে ঘটে গেলো যে সাদিত না বুঝতে পারলো না কিছুই করতে পারলো।

কিনারা পড়ার পর সাদিত এসে ধরতেই, কিনারা আস্তে আস্তে চোখ টা খোলে দেখলো সাদিতের উম্মক্ত লোমশ পা, একটা তাওয়াল পড়া।সাদিতের উম্মুক্ত বুকের লোমগুলো ভিজে বুকের সাথে লেপ্টে আছে সাথে পেশিবহুল চেহারা তা কিনারার নজর এড়ালো না।কিনারা ব্যাথা ভুলে সাদিতকে দেখতে ব্যস্ত।এ চেহারা যেকোনো নারীকে আকর্ষণ করতে যথেষ্ট।

এসব সাত পাঁচ ভাবতেই সাদিত কিনারাকে কোলে তুলে নিয়ে খাটে বসালো।তখনো কিনারা সাদিতকে দেখতে ব্যস্ত।

সাদিত কিনারাকে রেখে একটা ফার্স্ট এইড বক্স এনে বলে।কিনারার হাতের উপর হাত রেখে বলে ওতো উপর থেকে পড়েছো নিশ্চয়ই ব্যাথা পেয়েছো।দেখি কোথায় ব্যাথা পেয়েছো।আর টেবিলের উপর উঠে ঠিক কি করছিলে শুনি।দরজার পর্দা কখনো দেখো যে টেবিলের উপর উঠে পড়লে তা দেখার জন্য কিছুটা রেগে বলল সাদিত—-

সাদিত কিনারার হাতে হাত রাখতেই কিনারা হাতের কব্জিতে ব্যাথা অনুভব করতেই চোখগুলো ছোট করে আস্তে করে বললল—-আসলেএএএ

সাদিত কিনারা ফেস দেখে বুঝলো ও হাতে ব্যাথা পেয়েছে।তাই কিনারাকে বলল হয়েছে আর আসলে আসলে করতে হবে না পরে শুনছি।আগে হাতটাতে স্প্রে করতে দাও — বলে সাদিত কিনারার কব্জি দিকে ইশারা করতেই কিনারা মাথা নাড়ালো—-আর সাদিত পেইন কিলার স্প্রেটা কিনারা স্প্রে করে দিলো।

স্প্রে করতেই কিনারার মনে হলো ওর হাতটা জ্বলে যাচ্ছে,চোখ বন্ধ করে বেডসিট টা চেপে ধরলো,রীতিমতো চোখে পানি চলে এসেছে।।সাদিত কিনারার হাতটা মুখের সামনে নিয়ে আস্তেকরে একটা চুমু ফুঁ দিতে শুরু করলো।

কিছুক্ষন পর জ্বালা কমে গেলে কিনারা চোখ মেলে তাকায়।

হঠাৎই কিনারা হাঁটুতে হালকা চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো।কিনারা ব্যাথা অনুভব করতে তা বুঝার জন্য উঠে দাঁড়ালো। কিন্তু কিনারা উঠে দাঁড়াতেই পায়ে প্রচন্ড ব্যাথায় আহহ্ বলে একহাত দিয়ে হাঁটু ধরে অন্য হাতে সাদিতের কাঁধটা চেপে ধরলো।

সাদিত সঙ্গে সঙ্গে ভয় পেয়ে কিনারার হাত ধরে বিচলিত কন্ঠে বলে উঠলো কিনারা সাবধানে।বলে কিনারা হাতটা ধরে আবার খাটে বসিয়ে দিলো।এবার সাদিত প্রচন্ড রেগে গেছে।মেঝেতে বসতে বসতে কিনারাকে বকতে শুরু করলো—- পায়েও ব্যাথা পেয়েছো দেখছি।একটু সাবধানে চলাফেরাও তো করতে পারো,কি দরকার ছিলো ওখানে ওঠার।আর ওঠেছেও যখন একটু সাবধানে নামলেও তো হতো।কি দরকার ছিলো লাফ দেওয়ার,তোমার লাফালাফি ছটফট না করলেই কি নয়, না জানি কতত————–

সাদিত আর বলতে পারলো না।ততক্ষণে সাদিত কিনারার প্লাজুটা হাটু অব্দি উঠিয়ে ফেলেছিলো।কিনারার উম্মুক্ত সাদা ধবধবে ফর্সা পা দেখে সাদিত অবাক হয়ে গেলো। কিনারা যথেষ্ট সাদা ফর্সা কিন্তু ওর পা ছিলো মুখের থেকে অধিক বেশি ফর্সা,কোমলীয় ও লোমহীন নজরকাড়া।সাদিত রীতিমতো একটা ঢুক গিললো।কিনারার পা এভাবে দেখে সাদিতের গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো।সাদিত বুঝতে পারলো এভাবে আর কিছুক্ষন থাকলে সাদিত ওর নিজের অজান্তেই নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবে।কিন্তু সাদিত এই মুহুর্তে ওমন কিছু করতে চাচ্ছে না।তাই লম্বা একটা শ্বাস ফেলে নিজেকে জাগতে দিলো না।তারপর কিনারার হাঁটুতে স্প্রে করে দিয়ে ফুঁ দিতে শুরু করলো।

তারপর কিনারাকে খাটে বসিয়ে রেখে সাদিত নিচে চলে গেলো খাবার আনতে।

কিছুক্ষন পর সাদিত একটা ট্রেতে করে খাবার নিয়ে রুমে ঢুলো।

সাদিত খাবার গুলো বিছানার উপর রাখতেই কিনারা প্লেট টা নিতে ধরলো কিন্তু সাদিত হাত দিয়ে আটকিয়ে বলল— কোনো দরকার নেই আমি খাইয়ে দিচ্ছি এমনি হাতে ব্যাথা পেয়েছো খেতে পারবে না তুমি।আর এক প্লেটে খাবার আনলাম তো তোমাকে খাইয়ে আমি খাবো।

কিনারা মনে মনে ভাবলো উনি এক প্লেটে খাবার এনেছেন আমি খেয়ালই করিনি। এখন তো নাও করতে পারবো৷ না।

সাদিত বলল দেখি বউ হা করো

কিন্তু কিনারা মুখ খুলছিলো না।

তা দেখে সাদিত বাঁকা হেসে বলল কি বউ মুখ খুলবেনা তাই তো।ঠিক আছে।তুমি এখনো আমাকে চিনোনি, তো আমি কি তোমার কাছে আসবো আবার ঠিক তখনকার মতো।এবার আসলে কিন্তু অন্য কিছু হবে বলে দিলাম।তখন কিন্তু আমার দোষ দিতে পারবে না।

সাদিত কথাটা বলতে দেরি কিন্তু কিনারার হা করতে দেরি হয়নি।ফট করে হা করে সাদিতের হাতে খেতে শুরু করলো।

সাদিত আবার খাবার মাখতে মাখতে বলল দ্যাটস লাইকে গুড গার্ল

কিনারা সাদিতের মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলতে পারলো না।সাদিতের মুখের দিকে তাকিয়ে খেতে শুরু করলো।

সাদিত কিনারার মুখে খাবার পুরে দিতেই সাদিতের আঙুল গুলো ভিজা অনুভব করতেই সাদিতের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল একটা শিহরন বয়ে গেলো।

সাদিত কিনারাকে খাবার গুলো খাইয়ে দিয়ে, পানির গ্লাসটা কিনারার সামনে ধরলো—–
কিনারা তখনো সাদিতের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তা সাদিতের চোখ এড়ায়নি।

সাদিত কিনারার ধ্যান ভাঙার জন্য টিটকারি স্বরে বলল—এভাবে তাকিয়ে দেখার কিছু নেই বউ। আমি এমনি সুদর্শন বুঝলা।তুমিই খালি চিনলা না আমাকে।আমার ভালোবাসা বুঝলা না।আর এভাবে দেখলে তো আমি শুকিয়ে যাবো।

সাদিতের এমন কথায় কিনারা বিষম খেলো।

তারপর সাদিতের হাত থেকে ফট করে গ্লাস টা নিয়ে পানিটা খেতে শুরু।

সাদিত কিনারার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে কিনারার জন্য মাখা খাবারগুলো নিজে খেতে শুরু করলো।

#চলবে
#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here