দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ পর্ব ১৯+২০

#দ্যা_বিউটি_ওফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ৪

কিনারা হসপিটাল থেকে ফিরে, ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই সাদিত পিছন থেকে কিনারাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে।সাদিত কিনারাকে জড়িয়ে ধরতেই কিনারা ভয়ে কেঁপে উঠে।কিনারার রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেনো এক উষ্ণ শিহরন বয়ে গেলো।

কিনারার চুলের গন্ধে সাদিত যেনো মাতোয়ারা হয়ে গেলো।

সাদিত কিনারার কাঁধে নাক ঘষে প্রশ্ন করলো —- আচ্ছা কিনারা তুমি কোন পারফিউম ইউস করো।তোমার এ গন্ধে আমি বার বার পাগল হয়ে যায়।নিজেকে কন্ট্রোল করা খুব দায় হয়ে যায়।

সাদিত কিনারাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরেছিলো।কিনারা যেনো অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।

তারপর কিনারা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল আমি কোনো পারফিউম ইউস করিনা।

কিনারা ওভাবে দাঁড়িয়ে আর থাকতে না পেয়ে,লজ্জা পেয়ে বলল—- মিস্টার চৌধুরী আমাকে ছাড়ুন।

সাদিত বলল–তুমি গতকাল সারারাত আমাকে জড়িয়ে ধরে শোয়ে ছিলে—-তো আমি কি এখন তোমাকে জড়িয়ে ধরে থাকতে পারবো না।

কিনারা খুব ঘাবড়ে গিয়ে বলল— আমিই —– গতকাল।

সাদিত কিনারার গালটা আস্তে করে টিপে বলল— হ্যাঁ তুমি—পুরো অক্টোপাস হয়ে গিয়েছেলে।আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিলে।আমাকে কিছুতেই ছাড়ছিলেই না।কাল তুমি খুব ভালোভাবে ঘুমিয়েছিলে বাট তোমার জন্য আমি একটুও ঘুমাতে পারিনি।

কিনারা সাদিতের কথা শুনে এতো লজ্জা পেলো,যে ওর পুরো মুখ লাল হয়ে ব্লাস করতে লাগলো।ও গতকাল এতো ট্রায়াড ছিলো যে — গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।তারপর থেকে ওর কিছু মনেও নেই। কিন্তু ওরা একবিছানায় শোয়েছিলো এটা ভেবে কিনারার হার্টবিট ভয়ে ছুটতে লাগলো।কিনারার মনে হলো,,ও আগে ঘুমিয়ে ভালোই করেছে।না হলে একি বিছানায় এক সাথে শোতে গেলে ও লজ্জায় মরেই যেতো।

অন্যদিকে সাদিতকে দেখে মনে হলো ও ওর সমস্ত শরীর ছেড়ে দিয়েছে।কিনারাকে জড়িয়ে ধরে যেনো শান্ত হয়ে গেছে।

গতকাল রাতে সাদিত নিজেকে প্রমিজ করেছিলো,যায়ই হয়ে যাক না কেন, ও সবসময় কিনারার সাথেই থাকবে।সাদিত অনেকদিন পর খুব ভালোভাবে ঘুমিয়েছে।

প্রায় একমিনিট কিনারা চুপ করে থাকার পর বলল— মিস্টার চৌধুরী আমাকে ছাড়ুন — আমার খুব খিদে পেয়েছে, আমি ডিনার করতে চায়।

সাদিত কিনারাকে ছেড়ে দিয়ে বলল– ওকে।চলো

🍁🍁🍁🍁

রাতে ডিনার শেষে রুমে এসে কিনারা খাটের সামনে এসে বিড়বিড় করছে।মনে মনে বলছে আজও কি মিস্টার চৌধুরী সাথে ঘুমোতে হবে।কোথায় শোবো খাটের এই পাশে, না ওই পাশে।আজ কোনো ভাবেই মিস্টার চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো যাবে না।উনি তো আবার ঠোঁট কাঁটা স্বভাবের সকালে আবার এসব বলে আমাকে লজ্জায় ফেলবে। অন্যমনস্ক হয়ে এসব ভাবছে আর নখ কাঁমড়াছে।

এমন সময় সাদিত কিনারার কানের কাছে এসে ফুঁ দিতেই কিনারা ভয় পেয়ে পড়ে যাচ্ছিলো,আর আহ্ বলে সাদিতকে আঁকড়ে ধরে, সাদিতও নিজের অজান্তে কিনারাকে জড়িয়ে ধরে, দুজন দুজনার এক্কেবারে কাছাকাছি।একে অপরের শ্বাস অবদি শুনতে পারছে।কিনারার ভয়ে আত্মারাম উড়ে গেয়েছিলো।ও এতোটাই অন্যমনস্ক হয়ে ভাবছিলো সাদিত ওভাবে এসে ওমন করায় ভিষণ ভয় পেয়ে যায় আর পড়ে যায়।

সাদিত কিনারাকে ছেড়ে দিয়ে ভ্রুরু কুঁচকে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল—ঠিকঠাক মতো খাওয়া-দাওয়া করো না নাকি,যে ফুঁ দেওয়ার আগেই পরে যাচ্ছিলে।এমন না খেয়ে খেয়ে হেঙ্গলা পাতলা হচ্ছো কেন।

কিনারা সাদিতের দিকে আঙুল তুলে বলল– দেখুন

সাদিত কিনারাকে ওর আঙুল ধরে আটকিয়ে —অন্য হাতে কিনারার কোমড় জড়িয়ে ধরে একদম কাছে টেনে এনে বাঁকা হেসে বলে উঠলো—-তুমি যাই দেখাবে আমি সেটাই দেখতে প্রস্তুত। তো বলো কি দেখাবে।বলে চোখ মারলো কিনারাকে।

কিনারা আমতা-আমতা করে বলে — আআমি কিককি দেখাবো — মানে।আমি তো বলতে চাচ্ছিলাম আপনি আমি মোটেও হেঙ্গলা না।আর আমি ঠিকঠাক মতো ঠিকই খাওয়া-দাওয়া করিই হুম ।

হ্যাঁ সেটো দেখতেই পারছি কতটা খাও।একটা ফুঁ তেই কাত।বলে কিনারাকে ছেড়ে হাসতে শুরু করলো।

কিনারা হাত দুটো মুটো করে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বিছানায় গিয়ে বসলো।

সাদিত হাসতে হাসতে ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসলো।

মিনিট পাঁচেক পর কিনারা একটা চাঁদর আর বালিশ নিয়ে নিচে বিছানা করলো।

সাদিত ল্যাপটপ থেকে মুখ সরিয়ে ভ্রুরু কুঁচকে কিনারার দিকে তাকালো। কি গো বউ নিচে বিছানা করলে যে।আমার এত্তো বড়ো বেডটা কি তোমার জন্য কম হয়ে গেছে। যে নিচে বিছানা করতে চলে গেলে।অবশ্য তুমি যদি চাও বেডটা কালই চেঞ্জ করবো।হেয়ালি করে সাদিত বলল।

কিনারা বিরক্ত গলায় বলল— বেড নিয়ে আমার কোনো প্রবলেম নেই, প্রবলেম আপনাকে নিয়ে। আমি আপনার সাথে এক বিছানায় শুতে পারবো না।কারণ আপনি একটা অসভ্য।

সাদিত কিনারার কাছে এসে সরাসরি কিনারাকে কোলে তুলে নিলো।তারপর কিছুটা রাগীলুক নিয়ে বলল কি জানি বলছিলে আমি অসভ্য।

কিনারা ভয়ে ঢুক গিললো না,সাদিত ওকে এভাবে কোলে৷ তুলে নেওয়াই কিনারা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।তারপর বলল আপনি অসভ্য হতে যাবেন কেন। আপনি তো অনেক ভালো।

তারপর সাদিত বলল তুমি এখন আমার সাথে বেডে ঘুমাবে,শুধু এখন না প্রত্যেকদিন আমার সাথেই ঘুমাবে মাইন্ড ইট।

কিনারা রাগ দেখিয়ে বললো পারবো না,কিনারার কথা শেষ না হতেই, সাদিত ওর হাতের বাঁধন আলগা করতেই, কিনারা পড়ে যাচ্ছিলো,চেঁচিয়ে উঠতেই সাদিত ওকে আবার ধরে নিলো।

আর কিনারা ভয়ে সাদিতের গলা জড়িয়ে ধরলো।তারপর শ্বাস ছেড়ে কিনারা বললো উফফ আর একটু হলেই তো আমি এখনি পড়ে যেতাম,আপনি এভাবে আমাকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে চান।

ইয়েস, এবার বাঁচিয়ে দিলাম,এরপর আমার কথা না শুনলে,,,,,,,,কিনারা ঝটপট করে বলে উঠলো,,,, এই না না আমি শুনবো, আমি শুনবো।তবুও আপনি আমাকে ফেলে দিবেন না প্লিজ।তারপর মেঝের দিকে তাকিয়ে বললো ওখান থেকে পড়ে গেলে আমার একটা হাড়ও আস্ত থাকবে না।

তারপর সাদিত জয়ের হাসি দিয়ে বলে,দ্যাটস্ লাইক এ গুড গার্ল।
#দ্যা_বিউটি_ওফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ৫

কায়ান হসপিটালের বেডে শুয়ে টিভি দেখছিলো।এমন সময় দরজা খুলে প্রবেশ করলো সাদিত আর কিনারা।

কায়ান দেখলো ওর আপু একটা লম্বা,হ্যান্ডসাম, ও ব্যক্তিত্বপূর্ন মানুষের হাত ধরে ভিতরে প্রবেশ করলো।

কায়ান অবাক হয় তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলো– আপু তুমি এসেছো।আর কে উনি।তোমার হাত কেন উনি ধরে রেখেছেন।

কিনারাকে চুপ করে থাকতে দেখে কায়ান আবার জিজ্ঞাসা করলো।কি হলো আপু বলো না।

কিনারা ইতস্ততবোধ করে বলল।আমি আর সাদিত বিবাহিত।

কায়ান বড় বড় চোখ করে বলল মানে।তোমাদের বিয়ে হয়ে গেছে।

কিনারা মাথা নেড়ে বলল হুম।

কায়ান আবারো প্রশ্ন করলো।এসব কবে হলো।আমাকে জানাও নি কেন আপু।

কিনারা বলে উঠলো পরশুদিন।

কিনারার কথা শুনে কায়ান বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো।হা হয়ে চোখ বড় বড় করে সাদিতের দিতে তাকাতেই।

সাদিত সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে বলল–হুম এখন থেকে আমি তোমার জামাইবাবু।তো শালাবাবু এখন তোমার শরীর কেমন।

কায়ান আবাক হয়েই বলল — আগের থেকে বেটার।

এভাবে কিছুক্ষন ওদের মধ্যে কথা হলো।

কায়ানের যেহেতু হার্টের সার্জারী হয়েছে সেহেতু ওকে ৩-৪ দিন হসপিটালেই থাকতে হবে।

ওরা কিছুক্ষন হসপিটালে থাকার পর হঠাৎ সাদিতের ফোনটা বেজে উঠলো।সাদিত ফোনটা বের করে একটা কিছু ভেবে ফোনটা রিসিভ করলো।কিছুক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে দিয়ে।কিনারা আর কায়ানের উদ্দেশ্যে বলল এক্সট্রিমলি সরি আমার একটা কাজ পড়ে গেছে অফিসে, আমাকে এখনি যেতে হবে।

তুমি যখন বাসায় যাবে আমাকে কল করবে আমি ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিবো।ও তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিবে।

তারপর সাদিত কায়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে মিষ্টিভাবে বলে উঠলো — তুমি এখন রেস্ট নাও, আর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠো।আর কোনো কিছুর দরকার পড়লে আমাকে জানাবে কেমন।বলে সাদিত বেরিয়ে পড়লো।

কিনারা সারাদিন হসপিটালে থেকে সন্ধ্যার দিকে সাদিতকে কল করতেই ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিলো।

কিনারা বাসায়,ফিরলো।সাদিত তখনো অফিস থেকে বাসায় ফিরেনি।কিনারা সাওয়ার নিয়ে নিজেকে পরিপাটি করে খাটে বসলো।তারপর দাদিকে ফোন করলো,তারপর কিনারা ওদের বিয়ের ব্যাপারটা দাদিকে জানলো।যদিও প্রথমে কিনারার দাদি মন খারাপ করলেও৷ পরে কিনারার ভালোর কথা ভেবে বিয়েটাকে মেনে নেয়।অনেকক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে কিনারা নিচে গেলো।

আসলে পুরো বাড়িটা দেখা হয়নি কিনারার তাই ঘুরে-ফিরে দেখতে লাগলো।পুরো বাড়িই খুব সাজানো গুছানো।দামী দামী ফার্নিচার রয়েছে,এন্টেরিয়্যর ডিজাইনও তাঁক লাগানোর মতো।সুকেশগুলোও যেনো একদম নতুনের মতো ঝকমক করছে।সবগুলো ফার্নিচার কালো রঙের।নিচে দেখতে দেখতে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলো,এমন চোখ ধাঁধানো জিনিস দেখে কিনারা অবাকের সাথে চারপাশটা দেখছিলো।এমন সময় সাদিত এসে কিনারাকে জড়িয়ে ধরে।কিনারা প্রথমে ভয় পেলেও পরে নিজেকে সামলে নেই। কারণ সাদিত ছাড়া এমন করার এ বাড়িতে কারোর সাহস নেই।তাই কিনারা নিজেকে সামলে সাদিতের থেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে। মিস্টার চৌধুরী ছাড়ুন আমাকে।

কিনারাকে ওমনভাবে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখে সাদিত দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল—তুমি ততক্ষণ নিজেকে ছাড়াতে পারবে না যতক্ষণ না আমি চাইবো।এই বলে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

মিস্টার চৌধুরী ছাড়ুন আমাকে নিচে সবাই আছে। দেখছে তো ওরা।

সাদিতের যেনো কোনো কথায় কানে ঢুকলো না।

এদিকে কিনারা লজ্জায় ছটফট করতে শুরু করলো,কারণ কিনারা জানে নিচে হাউসমেইডরা আছে।

সাদিত অবশ্য এতোটা খেয়াল করেনি ও জানে না যে নিচে লিভিংরুমে কিছু হাউসমেইড দাঁড়িয়ে ছিলো,এসব দেখে হাউসমেইডরা ঘাবড়ে গেলো কি করবে বুঝতে পারছিলো না।শুধু একজন অন্য জনের মুখের দিকে দৃষ্টিগোচর করতে থাকলো।আর ভাবতে লাগলো দেখে যা মনে হচ্ছে স্যার ম্যামকে অনেক ভালোবাসে।

কিনারা এমন ছটফট করতেই এক সময় দুজনেই ব্যালেন্স ঠিক রাখতে না পেয়ে,দুজনেই সিঁড়ি থেকে পড়ে গেলো।ভাগ্যিস কিনারা ৫ সিঁড়িতে ছিলো ,না হলে দুজনের কোমড়ই আজ গেতো।

সাদিতের পিঠে ব্যাথা লাগলো কারণ ও নিচে পড়ে ছিলো।সাদিত রেগে বলল তোমার জন্য আমার ব্যাথা লাগলো,এতো ছটফট করো কেন তুমি।রোমান্সের ছিটেফোঁটাও তো দেখছি জানো না।বরকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিলে এইভাবে।

কিনারা বলল— বাহ আপনি নিজেই তো আমাকে আটকে জড়িয়ে রেখেছিলেন।ঠিক হয়েছে এবার বুঝুন মজা।

সাদিত বলল ব্যাথা যখন তুমি দিয়েছো,ওটা ভালোও তোমাকেই করতে হবে।

দেখুন আমি মোটেও আপনাকে ব্যাথা দেয়নি।আপনি জোর করে আমাকে জড়িয়ে রেখেছিলেন সবার সামনে।আপনার দোষেই আপনি পড়েছেন।এতে আমার কোনো দোষ নেই।

সাদিত বলল— তুমি ছটফট করছিলে তাই তো পড়েছি।সব তোমার জন্য হয়েছে।প্রবলেমটা যেহেতু তোমার জন্যই হয়েছে সমাধানও তোমাকেই করতে হবে। আন্ডারস্টুড।

কিনারা কিছু বলতে গেলেই, সাদিত ওকে আটকে দিয়ে হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো।তারপর দরজা বন্ধ করে।বেড টেবিলের ডোয়ার থেকে কিছু একটা বের করলো।

কিনারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।সাদিত আস্তে আস্তে কিনারার দিকে এগিয়ে গেলো।

কিন্তু কিনারা হঠাৎই খেয়াল করলো—একি মিস্টার চৌধুরী আপনি আপনার শার্টের বোতাম খুলছেন কেন।

সাদিত একটা অন্যরকম রোমান্টিক মুডে আছে, তা ওর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।সাদিত এক পা এক পা করে এগোচ্ছে আর একটা করে শার্টের বোতাম খুলছে।

কিনারা খুবই অস্বস্তি পড়ে গেলো।এমন কেন করছেন উনি।

সাদিত কিনারার একদম কাছে গিয়ে দাঁড়ালো,একহাতে কিনারার কোমড়টা জড়িয়ে ধরে একদম নিজের কাছে টেনে আনলো।

কিনারার এতে হার্টবিটের পারদটা হুট করেই বেড়ে গেলো।দ্রুত শ্বাস উঠা-নামা করতে শুরু করলো,কিনারার মনে হচ্ছে ওর বুকের ভিতর কেউ হাতুড়ি পিটাচ্ছে।

সাদিত অন্য হাত দিয়ে আলতো করে কিনারার ডান হাতটা ধরলো।কিনার চোখের দিকে তাকিয়ে,ওর হাতটা ধরে উপরে তুলল।তারপর একটা শিসি কিনারার হাতে তুলে দিয়ে বলল এই ওয়েলটা আমার পিঠে মাসাজ করে দাও।বলে কিনারাকে ছেড়ে দিয়ে সাদিত গিয়ে খাটে বসলো।

কিনারা ওয়েলের শিসির দিকে তাকিয়ে দম ফেলে শ্বাস নিলো।আর একটু হলেই তো ওর আত্মারাম উড়াল দিতো।মনে মনে বলল কি মানুষরে বাবারে বাবা আর একটু হলেই তো আমি দম আটকে মরে যেতাম।উনি যেভাবে শার্টের বোতাম খুলল,আমি তো ভেবেছিলাম উনি কি না কি করবেন।যাই বাবা ওয়েলটা মাসাজ করে দিয়ে আসি, না হলে বিশ্বাস নেই উনি যেকোনো সময় সত্যিই কিছু করে ফেলতে পারেন।তারপর একটা শ্বাস ছেড়ে সাদিতের দিকে এগিয়ে গেলো।

সাদিত কিনারাকে দেখে খাটে শোয়ে পড়লো।কিনারা সাদিতের উন্মুক্ত ফর্সা পিঠ দেখে, বুকের ধুকবুকনিটা বেড়ে গেলো।ক্রমাগত উঠা নামা করতে লাগলো।মনে মনে ভাবলো একটা ছেলে মানুষের ও যে পিঠ এতো সুন্দর হতে পারে তা উনাকে না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই করতাম না।তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে খাটে বসলো সাদিতের পাশে।কিনারার হাত ভীষণ কাঁপছে। কিনারা নিজের হাতের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারছে না,, হাতটা অনবরত কেঁপে যাচ্ছে।কিনারা নিজেও জানেনা কেন এমন হচ্ছে। তবুও তেলটা কোন মতে হাতে নিলো।এবার মাখাতে গিয়েও দুইবার হাতটা পিছিয়ে নিলো,কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। কেমন একটা অজানা অনুভূতি হচ্ছে কিনারার।

সাদিত বিষয়টা বুঝতে পেরেও বলল—কাম ওন কিনারা হারিআপ।

এবার কিনারা সাদিতকে স্পর্শ করলো,কিনারার হাতটা কেঁপে উঠলো।তারপর আস্তে আস্তে সাদিতের ঘাড় থেকে পিঠ অব্দি মাসাজ করলো।কিনারার চোখে মুখে তখনো ভয় আর লজ্জা।

সাদিতের ঠোঁটের কোণে হালকা মিষ্টি হাসি।

১৫ মিনিট পর কিনারা ছাড়া পেলো,মাসাজ করা হয়ে গেলে,কিনারা আর লজ্জায় সাদিতের দিকে তাকাতে পারছে না,ফর্সা গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। কিনারা আর সাদিতের সামনে থাকতে না পেয়ে, রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here