দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ পর্ব ২১

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ২১

এদিকে সাদিতের কথা শুনে কিনারা কোনো উত্তর দিলোনা কারণ কিনারার শ্বাস নিতে পারছেনা।কিনারার প্রচুর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।কিনারার বুকে ব্যাথার অনুভব করছে।কিনারা যেনো শ্বাস নিতেই আরো বেশি হাঁপিয়ে যাচ্ছে। কিনারার শ্বাস নিতে এতোটাই কষ্ট অনুভব হচ্ছে কিনারা ঘামতে শুরু করলো।কিনারা দোলনায় বসে আস্তে করে মাথাটা নিচু করে দুহাত দিয়ে ধরে শ্বাস নিতে শুরু করলো।কিনারার যে খারাপ লাগছিলো।তা কিনারা সাদিতকে বুঝতে দিলোনা।কিনারা কিছুক্ষন ওভাবে বসার পর কিছুটা শান্ত হলো,এখন ঠিকঠাক মতো শ্বাস নিতে পারছে।

সাদিত কিনারার মাথাটা উপরে তুলে মুখের সামনে আসা চুলগুলো কানের কাছে গুঁজে দিয়ে বলল——আমি জানি না কিনারা তোমাকে আমার কেন এতো ভালো লাগে।আমার তোমাকে দেখলে এতো পাগলামি করতে ইচ্ছে করে,,, কেন করে তা আমি নিজেও জানিনা।কেন জানি তোমাকে দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা।জানো কিনারা আল্লাহ হয়তো তোমাকে আমার কপালে লিখে রেখেছেন জন্য , তাই হয়তো এতোদিন আমার কোনো মেয়েকে পছন্দ হয়নি,ভালো লাগে নি।জানো কিনারা তোমাকে প্রথম যখন দেখেছি,,,তখনই আমার তোমাকে দেখে এটাই মনে হয়েছে।আমি তোমাকে এতোটা ভালোবেসে ফেলবো তা কখনো ভাবতে পারিনি।বলে কিনারাকে জড়িয়ে ধরলো।

এসব শুনে কিনারার পুরো মুখ আবার লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।কিছুক্ষন আগে সাদিতের ওমন কাজে কিনারা সাদিতের উপর বিরক্ত আর রাগ হলেও—-কিন্তু এখন সাদিতের লাস্ট কথাটা শুনে কিনারা বেশি লজ্জায় পড়ে গেলো।কিনারা এটা খেয়াল করলো সাদিত ওর প্রতি যেনো কোনো এফ্র্যাকশন লুকালো না।সাদিতের যা মনে আসছে তাই বলে দিচ্ছে। আর কিনারা এটাও খেয়াল করলো—-সাদিত যা বলছে নিজের মন থেকে বলছে—-এবং ফিলিংস গুলো খুবই পিওর।যা সাদিত আর কিছুতেই লুকিয়ে রাখতে পারছেনা।কিনারা আরও ভাবলো সাদিতের এমন হঠাৎত করে জড়িয়ে ধরা,কিনারার ঠোঁট দুটো কে স্পর্শ করে করে তখন কিনারার খারাপ লাগে না,কিনারা হয়তো একটু নার্ভাস হয়ে পড়ে আর একটু লজ্জা পায় কিন্তু সাদিত মাঝে মাঝে কিনারাকে এমন উম্মাতের মতো এগ্রেসিভ হয়ে এতো গভীরভাবে চুম্বন করে যার জন্য কিনারার দম বন্ধ হয়ে আসে,কিনারার খুব কষ্ট হয়।তখন কিনারার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।কিনারা দম নিতে না পেয়ে ছটফট করে এটা সাদিত যখন বুঝে না তখন কিনারার খুব খারাপ লাগে আর রাগ হয়।তখন কিনারা সত্যিই বুঝে উঠতে পারেনা না এটা কি সত্যিই ভালোবাসা নাকি শরীরের চাহিদা।

বেশ কিছুক্ষন দুজনেই চুপ করে থাকার পর কিনারা বলে উঠলো —মিস্টার চৌধুরী প্লিজ। আমাকে একটু ছাড়বেন।

সাদিত কিনারার কথায় কান দিলো না।সাদিত তখনো কিনারাকে জড়িয়ে ধরে ছিলো।এদিকে সাদিত যেনো কিনারার কথা শুনে মজা পাচ্ছিলো।সাদিত আবার কিনারার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট দুটো আলতো করে ছুঁয়ে বলল — নো সরি।ছাড়বোনা।

কিনারা চুপ করে,সাদিতের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো ,কিনার এখন মনে হচ্ছে সাদিত হয়তো ওর শরীরটাকেই বুঝে ওকে নয়।

সাদিত এমনভাবে কিনারাকে জড়িয়ে ধরে ছিলো,সাদিতের কাছে কিনারাকে খুবই ছোট আকারের মনে হচ্ছিলো,সাদিত কিনারার গালটা নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বলল—আমার দিকে এভাবে তাকিয়ো না।তোমাকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।তখন আমি কিন্তু তোমার কোনো কথায় শুনবো না।তারপর সাদিত নিজের ঠোঁটটা কিনারার কানের লতিতে স্পর্শ করে করে বলতে শুরু করলো —–কিনারা তোমার ওই চেরির ফালির মতো চিকন লাল টসটসে ঠোঁট দুটো আমাকে খুব টানে।ইচ্ছে করে সবসময় তোমার ওই ঠোঁটের স্বাদ নেই।তোমার ওই ঠোঁটের দিকে তাকালেই কেমন একটা অদ্ভুত নেশা ধরে যায়।এটা যেমন তেমন নেশা না এটা মাদকের চেয়েও বেশি ভয়ংকর। যার নেশায় আমি আসক্ত।

কিনারা সাদিতের এমন কথা শুনে লজ্জা পেয়ে যায়।কিন্তু কিছুক্ষন আগের দৃশ্য মনে হতেই কিনারা ভয়ে চোখ নামিয়ে নিলো।চোখ নামিয়ে নিয়ে শান্ত হয়ে গেলো।

সাদিত কিনারাকে দেখে হাসতে হাসতে কিনারার দিকে তাকিয়ে বলল—- তো তুমি কিন্তু নিজেকে আমার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করোনা।আজ কিন্তু তোমাকে আমি ছাড়ছিনা।

কিনারা সাদিতের এমন বিদ্রুপের হাসি দেখে কিনারা কিনারা একটু বিরক্তির মধ্যে পড়ে গেলো। কিনারা এবার রেগে গিয়ে নিজের ঠোঁট কামড়ে সাদিতের দিকে রাগী রাগী লুকে বলে উঠলো —-দেখুন নেক্সট টাইম থেকে আপনার যখন ইচ্ছা হবে তখন আমাকে টার্চ করবেন না।কিনারা এটা বলল কারণ। কিনারা এতোদিনে এটা বুঝে গেছে।সাদিতের যখনি যা মনে হয়েছে বরাবর কিনাারার সাথে সেটাই করে আসছে,এতে কিনারার ইচ্ছে থাকুক বা না থাকুক।সাদিত যখনি কিনারাকে কিস করতে গেছে তখনি কিনারার থেকে সাদিতকে আলাদা করা যায়নি।একেবারে দম বন্ধ হয়ে আসার মতোন।এতো এগ্রেসিভ হয়ে কিস করা কিনারা যেনো তা সামলাতে হিমসিম খেয়ে যায়।

সাদিত কিনারার কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো—-তারপর সাদিত দুঃখী দুঃখী ভাব করে কিনারাকে বলল— লিসেন ইউ আর মাইন।আমার যখন ইচ্ছে হবে তখনি তোমার কাছে যাবো।আমি যখন চাইবো৷ তখনি তোমাকে হাগ করবো।অথবা কিস করবো।এর বাইরে আমি আর কি বা করতে পারি বলো।

কিনারা বুঝতে পারলো এসব কথা সাদিতের সাথে বলা বেকার।সাদিত ওর কোনো কথায় কান দিবেনা তা ভেবে কিনারা চুপ করে রইলো।আর এই মুহুর্তে যে কিনারা কি বলবে তা ভেবে পেলোনা।

সাদিত কিনারাকে চুপ করে থাকতে দেখে খুব আদুরে স্বরে বলল —– কিনারা
কিনারার নামটা মুখে উচ্চারণ করতেই,,, সাদিত কিনারার আরো কাছে এগিয়ে গেলো।কিনারাকে নিজের বুকের কাছে আরো খানিকটা জড়িয়ে নিতে চাইলো।
সাদিতের ভারী গলার স্বরে লো টুনে কথা বলাগুলো বড্ড আকর্ষণীয় যেনো।

সাদিত একহাত কিনারার মাথায় রেখে বুলিয়ে দিতে দিতে নিজের ঠোঁটটা আবার কিনারার কানের লতিতে স্পর্শ করে বলল এসবের জন্য আমি তোমাকেই ব্লেম করবো।কারণ আমার চোখে তুমি এতোটাই অ্যাক্ট্রাকটিভ৷যে আমি তোমার কাছে থাকলে নিজেকে কোনোভাবেই কন্ট্রোল করতে পারিনা। আমি জানি এখনো তুমি আমাদের এই ঘনিষ্ঠ মুহুর্তগুলোর জন্য অভস্ত্যত হয়ে উঠতে পারোনি।তবে একটা জিনিস তোমার কাছে ক্লিলিয়ার করে রাখা ভালো।দেখো আমরা এখন দুজনেই হাসব্যান্ড এন্ড ওয়াইফ।তুমি আমার বিবাহিত স্ত্রী। যার সাথে আমি আমার সারা জীবন কাটাতে চলেছি।তোমাকে সারা আমি কার প্রতি এতো এফ্যাকশন দেখাবো।তাছাড়া আমি তোমার কাছে এভাবে তুলে ধরি কারণ আমার তোমাকে ভালো লাগে।
কথা শেষ করতেই সাদিত দেখলো কিনারা মাথা নিচু করে মুখ নিচু করে আছে আর লজ্জায় গাল দুটো ব্লাস করছে।

সাদিত কিনারার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল– কিনারা তুমি যদি আমাকে পছন্দ নাই করো,তাহলে আমি যখন তোমার ওই ঠোঁট দুটোকে স্পর্শ করি,তোমাকে জড়িয়ে ধরি তখন তুমি আমাকে আটকাও না কেন।

কিনারা সাদিতের কথা শুনে— সঙ্গে সঙ্গে সাদিতের মুখের দিকে তাকালো—–কিনারা সাদিতের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখের দিকে তাকাতেই সাদিত ভ্রুরু জোড়া নাড়িয়ে উত্তর টা জানতে চাইলো।

কিনারা সঙ্গে সঙ্গে আবার মুখটা নিচে নামিয়ে ফেলে।কিনারার চোখে মুখে তখন আরো বেশি ব্লাস করা শুরু করেছে।শেষমেশ কিনারা লজ্জায় পড়ে বলল— পরিস্থিতি বুঝে সব করা উচিত।কখন কার কি সমস্যা হয়,তা বুঝে শুনে করা উচিত। হুটহাট করে এইসব কিন্তু ঠিক না।শেষের কথা গুলেটা খানিকটা রাগান্বিত স্বরে বলল।

তারমানে কি তুমি আমার কাছে এসে কম্ফোর্টেবল ফিল করছো না।আমি তোমার কাছে গেলে অসুবিধা হচ্ছে তোমার।তাহলে তুমি বলো কখন আমি তোমার কাছে,ঠিক কিভাবে যাবো।তুমি যখন কমফোর্টেবল ফিল করবে আমি তখনি তোমার কাছে যাবো।

সাদিতের কথা শুনে কিনারা চুপ করে গেলো।আসলে কিনারা এমন কিছু মিন করতে চাইনি

আসলে মিস্টার চৌধুরী আমি আসলে ওভাবে কিছু বলতে যাবে ঠিক ওই সময়ই সাদিতের ফোনটা বেজে উঠলো।

ফোনের স্কিনের নম্বারটা দেখে রিসিভ করলো —-তারপর কিছুটা নম্র গলায় বলল—–আপনাকে যে ফাইলটা পাঠিয়ে দিতে বলেছিলাম। এখনো পাঠালেননা কেন।
ফোনের লোকটা কিছু বলতেই সাদিত ওকে বলে ফোনটা রেখে দিলো।

তারপর কিনারার কাছে এসে চুলগুলো ঠিক করে দিয়ে।বলল এসব নিয়ে পড়ে কথা বলবো।
বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো সাদিত।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here