নীরবে তুমি রবে পর্ব -০৬

#নীরবে_তুমি_রবে
লেখনীতেঃ রিধিমা জান্নাত রূপা
পর্বঃ ০৬

.
গায়ে গাড়ো কচুপাতা রঙের হাত কাটা সালোয়ার কামিজ, ম্যাচিং করা হালকা রঙের ওড়না বুকে জড়িয়ে রাখা। চুলের মাঝে সিঁথি কেটে কাঁধের কাছে বেশ বড়সড় করো খোঁপা করা, তাতে বেলি ফুলের গাঁজরা পেচানো, সিঁথির মাঝেও বেশ লম্বা করে বেলি ফুলের টিকলি দেওয়া, সেই সাথে ম্যাচিং করে কানে সাদা ঝুমকো। চোখে হালকা কাজল ছাড়া মুখে কোন সাজসজ্জা নেই, দু’হাত ভর্তি মেহেদী, আর মেয়েটার মুখের হালকা হাসি। রূপা কে এমতাবস্থায় দেখে ছাঁদের মাঝেই হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল তাসফি। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে ভাবলো মেয়েটা কে? পরমুহূর্তেই বুঝতে পারলো—মেয়েরা তো রূপা। নিজের করা প্রশ্নে নিজেই যেন কবা বনে গেল তাসফি।
রূপা কে এর আগেও সাজতে দেখেছে তাসফি, এভাবেই সিম্পল লুকে। কিন্তু আজকে কেন যেন অদ্ভুত কিছুই ধরা দিচ্ছে মেয়েটার মুখে। হয়তো বউ বলেই এই পরিবর্তন।

নিজের করা ভাবনাগুলো থামিয়ে দিলো তাসফি, এগোতে লাগলো সামনে। এতক্ষণে সবার দৃষ্টি তার দিকেই পড়েছে সেটাও খেয়াল হলো। দূরত্বের ব্যাবধানে রিমার কথাটা তার কান পর্যন্ত পৌঁছায় নি। তাসফি এগিয়ে গিয়ে তাদের কাছাকাছি দাঁড়াতেই সবাই হৈ হৈ করে উঠলো আবারও। কোন দিকেই পাত্তা দিলো না তাসফি। সাহিল কে উদ্দেশ্য করে, “সাহিল। আমার মোবাইল কই? তখন বললাম না দিয়ে আসতে।”

“মোবাইল? ওও! তোমার মোবাইল, তো আমি না সাগর নিয়েছিলো।”

বলেই সাগরের দিকে তাকালো সাহিল। কিছু বলতে চাইলো, কিন্তু তার আগেই তাসফি বলে উঠলো, “হ্যাঁ! কই? ফেনটা দে সাগর, কাজ আছে আমার।”

“আমি কখন তোমার ফোন নিলাম?”

কপাল কুঁচকে তাকালো তাসফি। ফোন নিয়ে এসে এখন বলছে, কখন নিলাম? এতেই বেশ বিরক্ত হলো তাসফি। সাহিল তাকাতেই সাগর, “আরে, আমি কখন ভাইয়ার ফোন নিলাম? আমি তো কিছু…. ”

বলতেই সাগর কে তাকে উদ্দেশ্য করে রাহাত রিফাও তাকালো। ইশারায় বোঝাতে চাইলো কিছু একটা। কিন্তু সাগর হয়তো বুঝতে পারলো না। বললো, “আশ্চর্য! আমাকে এভাবে দেখছিস কেন? আমি তো ভাইয়ার ফোন…. ”

বলেই মাঝে থেমে গেল সাগর। দাঁত দিয়ে জিব কেটে সবার দিকে তাকালো, হয়তো মনে পড়লো কিছু। সবার দিকে ভালোভাবে একবার নজর বুলিয়ে তাসফি বলে উঠলো,

“সত্যি করে বল তো, কি চলছে সব-কয়টার মাথায়? কি করেছিস আমার মোবাইলের সাথে, কোথায় আমার মোবাইল?”

“রিমা! রিমার কাছে তোমার মোবাইল, ওই তো ছবি তুলতে নিয়েছিলো। কি রে কোথায় ভাইয়ার ফোন?”

বললো রাহাত। সবাই হ্যাঁ! হ্যাঁ! করে উঠলো রাহাতের কথায়। তাসফি একটু ঠান্ডা হতেই সাহিল চাপা সুরে সাগর কে বলে উঠলো, “রূপা ঠিক বলে, তুই আসলেই ছাগল।”

কথাটা বাকিদের কানে না গেলেও রাহাতের কানে ঠিকই গেল, হাসালো রাহাত।
মোবাইল নেবার বাহানায়ও যেন তাসফি ছাঁদে আসে, সেজন্য তারাই সবাই প্লানিং করে তাসফির মোবাইল নিয়ে আসে। তাকে বলার পরও ছাঁদে আসছিলো না বলে এই প্ল্যান।

এদিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে রূপা। দেখে চলেছে ভাই বোনদের কান্ড। রাহাতের কথাতে রিমা তাকালো তার দিকে। এতক্ষণ তার মনোযোগ রূপার হাতে মেহেদী দেওয়াতেই যেন ছিলো। বললো, “ভাইয়া, তাসফি ভাইয়ার ফোন তো রূপার কাছে।”

ভুরু কুঁচকে তাকালো রূপা। তার কাছে তাসফির ফোন থাকবে কেন এটাই ভাবলো। বলতে লাগলো,
“আমার কাছে কখন….. ”

কথাটা শেষ করার আগেই রূপা কোল থেকে তাসফির মোবাইল উঠিয়ে নিলো রিমা, এগিয়ে দিলো তাসফির দিকে। রূপা বেশ অবাকই হলো, পরমুহূর্তে স্বরূণে এলো মেহেদী দিতে গিয়েই তো মোবাইল ‘টা তার কোলে রেখেছিলো রিমা, কিন্তু এটা যে তাসফির মোবাইল তা জানা ছিলো না মেয়েটার। মাথা উঁচিয়ে তাসফির দিকে তাকালো রূপা। একে অপরর দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিললো, মুহুর্তেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো রূপা। ইস্! এই মানুষ’টা কি এতক্ষণ তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো? নিজ ভাবনায় ভেবে নিলো রূপা, আড় চোখে আবারও তাকালো তাসফির দিকে। না! এবার আর তাকিয়ে নেই। তবুও যেন স্বস্তি পেল না রূপা। বুকের বা পাশে টিপটিপ শব্দের সুর তুললো যেন।

.
“আরে ভাইয়া যাচ্ছো টা কই?”

“তোদের মতো আজাইরা না, কাজ আছে আমার।”

বলেই সেখান থেকে চলে যেতে চাইলো তাসফি। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো রাহাত। তাসফির সামনে দাঁড়িয়ে, “কাজ আছে মনে? আশ্চর্য! ভাইয়া। তোমার বিয়ে, অথচ কাজ আছে বলে পালিয়ে যাচ্ছো? এটা কিন্তু ঠিক না।”

“বিয়ে বলে কি সারাদিন বসে থাকতে হবে? কোন কাজ থাকতে পারে না?”

“না, পারে না। কাজ করার জন্য আমরা আছি না?”

সাহিল বললো। রিফা তাসফি কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো, “তাই তো। এতগুলা থাকতে তোমার কেন কিছু করতে হবে? দেখি এদিকে আসো। মেহেদী দিয়ে দেই, নাম লিখে দেই রূপার।”

“আশ্চর্য! এসব মেয়েদের ব্যাপার স্যাপারে আমাকে টানছিস কেন? ওকে লাগাচ্ছিস ওকেই লাগা।”

“নিজের হাতে বউয়ের নাম লিখবে, সেজন্য ডাকছি। আসো এদিকে।”

গেল না তাসফি, আবারও বারণ করলো। কিন্তু কাজে দিলো না তাসফির কথা। রাহাত টেনে নিয়ে গেল তাসফি কে, বসিয়ে দিলো রূপার পাশে। হঠাৎ পাশে বসায় চমকে উঠলো রূপা। হুট করেই ব্যাপারটা ঘটায় তাসফিও বুঝতে পারে নি। রূপা একটু সরে বসতেই ধমকে উঠলো রিমা। বললো, “নড়ছিস কেন? এত কষ্টে দিচ্ছি, নষ্ট হবে না?”

আর সারতে পারলো না রূপা, সেভাবেই বসে রইলো। মাঝের দূরত্ব বেশ হলেও একটু অস্বস্তি হতে লাগলো মেয়েটার। বুকের টিপটিপ শব্দের প্রতিধ্বনি দ্বিগুণ হতে লাগলো।
আড়চোখে তাসফির দিকে তাকালো রূপা। এতক্ষণে তাসফির বা হাত টেনে নিয়ে মেহেদী লাগাতে শুরু করেছে রিফা। বিরক্তির রেশ নিয়ে বসে আছে তাসফি। অপর হাতে মোবাইল, সম্পন্ন মনোযোগ সেদিকে। ভালোভাবে নজর বুলালো রূপা, দেখলো তাসফি কে। হঠাৎই যেন অদ্ভুত এক অনুভূতিতে জেঁকে ধরলো তাকে। তাকিয়ে থাকতে পারলো না আর, মুহূর্তেই চোখ সরিয়ে নিলো। বুঝতে পারলো না হঠাৎ কি হলো তার, কিন্তু এই মানুষ’টাতেই তার সর্বনাশ সেটা যেন বুঝতে পারলো।

.
নিজে হাতের দিকে তাকিয়ে অবাক হলো তাসফি। মাথা ঘুরিয়ে তাকালো রূপার দিলে। মেয়েটাও তার হাতের দিকেই তাকিয়ে আছে। ছোট ছোট অক্ষরে লিখে দিয়েছে ‘নীরবে তুমি রবে! খুব গোপনে।’ তার নিচে ছোট করে ‘তাসফির রুপু’। রূপার হাতেও একই লেখা। তাসফি তার হাতে এমন লেখায় কিছু বলতে চাইলো রিফা কে। কিন্তু তার আগেই দুজনের হাত একসাথে নিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে উঠলো রাহাত। জানে এখন কিছু বললেও কেউ কোন কথা কানে নিবে না। তাসফি রূপা একে অপরের দিকে তাকালো, দু’জনেই হতাশার নিশ্বাস ছাড়লো। বাধ্য হয়েই বসে থাকতে হলো তাদের।

সন্ধ্যায় বেশ সাধারণ ভাবেই হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো। সবাই গাড়ো কচু পাতা রঙের শাড়ি পাঞ্জাবি পড়লেও তাসফি রূপা হালকা কলাপাতা রঙের শাড়ি পাঞ্জাবি পড়েছে। খুব সাধারণ ভাবেই দু’জনকে হলুদ ছোঁয়ানো শুরু হলো। কিন্তু সাধারণ ভাবে বেশিক্ষণ টিকে রইলো না যেন। কাজিন মহল সহ পরিবারের সবাই মিলে নাচ গানে বেশ জমজমাট মুহুর্তে পরিণত করলো হলুদের অনুষ্ঠান। পরিবারের সবাই মিলে নাচ গানে মেতে উঠলো। এদিকে নিরব ভূমিকা পালন করে সবটা দেখে যেতে হলো তাসফি রূপা কে।
তাসফি বেশ বিরক্তি নিয়ে বেশ কয়েকবার রূপার দিকেও তাকালো। বুঝতে পারলো মেয়েটাও বেশ বিরক্ত এতে। তাসফি তাকিয়ে আছে বুঝতে পেরে তার দিকে তাকালো রূপা। বিরক্তি চোখে সামনে তাকিয়ে আবারও তাসফির দিকে তাকালো। ভুরু নাচিয়ে তাসফি বোঝালো কি? ধীর কণ্ঠে রূপা বলে উঠলো,

“সারাটাদিন এতকিছুর পর ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। আর কতক্ষণ এভাবে থাকবো?”

কিছু একটা ভাবলো তাসফি। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে রূপার হাত ধরে, “চলো।”

“কোথায়?”

“নিচে চলো, এখানে আর থাকতে হবে না। ওদের যা ইচ্ছে করুক।”

“কিন্তু ওরা….. ”

“আমি দেখছি, চলো আমার সাথে।”

বলেই রূপা কে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। হঠাৎ তাদের যেতে দেখে এগিয়ে এলো রেহানা। বললো, “ওকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস তাসফি?”

“নিচে যাচ্ছি নিচে। সারাদিন তোমাদের অত্যাচারে একটুও রেস্ট নিতে পারে নি মেয়েটা। দেখছো না কত ক্লান্ত লাগছে ওকে, একদম আটকাবা না।”

তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো রেহেনার ঠোঁটে, রূপা কে নিয়ে ছেলেকে এতটা চিন্তিত দেখেই যেন স্বস্তি মিললো তার। এটাই তো চেয়েছে তারা। তাসফি বুঝুক মেয়েটা কে, একটু চিন্তা করুক রূপা কে নিয়ে।
তাসফি কে বাঁধা দিলো না রেহেনা। কিন্তু সেই মুহুর্তে চলে আসলো শাহানা বেগম। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তাসফির বলা কথাগুলো বলে উঠলো রেহানা। সবটা শুনে শুনে তিনিও স্বস্তি পেলে, মেয়েটা কে নিয়ে নিচে যেতে বললেন তাসফি কে। বাকিদেরও বললেন, নিচে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচেই আড্ডা দিতে। সবাই গাঁইগুঁই করলেও মেনে নিলো সবটা। সেই সাথে কাজিন মহলের সবাই তাসফি রূপা কে খোঁচাতেও ভুললো না।

নিচে নেমে ফ্রেশ হয়ে আধা ঘণ্টার মতো সময় নিয়ে সবাই বিশ্রাম নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করলো। তারপর আবারও শুরু হলো কাজিন মহলের আড্ডা, চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। তাসফি কড়া গলায় বারণ করে সে থাকবে না বললেও শুনলো না কেউ’ই। রিফা, রিমা, রাহাত, সাহিল, সাগর, রিমি, রিমির বল সহ আরও কাজিন মিলে জেঁকে ধরলো তাসফি কে। আজকের রাত’টাই একটু মজা করবে এ ও বললো। কালকে রাতে তো আর তাদের পাবে না, রিসিপশনও হয়তো খুব তারাতাড়ি হবে না। বাবা মা সহ ঢাকা’তেই থাকে তাসফি। এখানে যে বাসাটা আছে, সেটা পুরোটাই ভাড়া দেওয়া। গ্রামে লোক জানিয়ে তাসফি বিয়ে করতে চায় না বলে এখান থেকেই আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে আসলেও এখানেই প্রথমে উঠতে হয় তাদেরকে।
সর্বশেষে রাজি হতে হলো তাসফি কে, বাধ্য হয়ে রূপা কেও থাকতে হলো সবার সাথে।

.
লাল শাড়িতে মাথার উপর ছোট করে ঘোমটা দিয়ে বউ নিজের রুমে বসে আছে রূপা। এতক্ষণ রুমে সবাই থাকলেও এখন একদম ফাঁকা, একাই চুপ হয়ে বসে আছে রূপা। ভেবে এনেছে ভাবনা। এক সময় অপরিচিত হলেও এখন এই রুম’টা তার ভীষণ প্রিয়। গত সাড়ে তিন বছরে নানান কিছুর সাক্ষী হয়ে আছে এই রুমটা।
এই চার তালা বিশিষ্ট বাড়িটা রূপার বাবা ও বড় বাবা শেয়ারে করলেও জমিজমা ও গ্রামের বাড়ির জন্য গ্রামেই থাকতো তারা। আর সাথে ছিলো রূপার পড়াশোনা। রিমি রিফার পড়াশোনার জন্য সাত বছর আগে পড়াশোনার জন্যই চলে আসে বড়মা ও বড় বাবা। রূপাও এসে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিতো এখানে। কিন্তু হঠাৎ তার বাবার অসুস্থতায় একেবারেই চলে আসতে হয় এখানে, কয়েক মাস হসপিটালে রেখে চিকিৎসাও করানো হয়। তারপরই হঠাৎ একদিন সকালে ব্রেইন স্টোক করে মা’রা যায় তার বাবা। তারপরই বাবার শোকে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে, বছর পেরুতেই হুট করেই রূপার মাও তাদের ছেড়ে চলে যায়। বাবা মায়ের প্রতি রাগ, অভিমান, অভিযোগ সবটাই এই রুমে বসেই করে গেছে রূপা। রুমের প্রতিটি দেওয়াল, প্রতিটি জিনিস যেন সেই দিনগুলোরই সাক্ষী হয়ে রয়েছে।

আজকের পর এই ঘর’টাও হয়তো তার পর হয়ে যাবে, আপন করতে তাসফি নামক মানুষটার ঘর’কে। সেই সাথে আপন করতে হবে সেই মানুষ’টাকে। সুপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো রূপা। আজকের দিনে বাবা মায়ের কথা খুব করেই মনে পড়ছে তার। তাদের আদরের ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে হতে দেখলে নিশ্চয়ই ব্যাপক খুশি হতো।
ভেবেই চোখ বন্ধ করলো রূপা। মনে মনে, “তোমার সত্যি’ই খুশি তো আব্বু আম্মু?”

বলতেই টুপ করে একটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো রূপার গাল বেয়ে। এর মধ্যেই দরজা ঠেলে রুমে ঢুকে গেল সবাই। চট করে অশ্রু মুছে নিলো রূপা, তাকালো সামনের দিকে। বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতেই এসেছে সবাই। হঠাৎই হার্টবিট দ্রুত হলো রূপার। তার পাশে বড়মা ও ফুপি এসে বসলো, সামনে বসলো কাজী সহ বড় বাবা ও ফুপা। বাকিরা রুম জুড়ে দাঁড়িয়ে গেল। কাজিনরা একপাশে দাঁড়িয়ে গেল আর রাহাত ক্যামেরা হাতে ভিডিও করতে লাগলো।
মিনিট দশেক সময় নিয়ে যখন রূপাকে কবুল বলতে বললো তখনই কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো রূপা। বুকের টিপটিপ শব্দের প্রতিধ্বনি দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণ হতে লাগলো। হাত-পা শক্ত করে ঠায় বসে রইলো। আবারও বলতে বললে চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো রূপার। অদ্ভুত এক অনুভূতিতে ঘিরে ধরলো তাকে, মুহুর্তেই যেন গলা শুকিয়ে গেল। পাশে থেকে বড়মা আবারও বলে উঠলো, “কি হলো রে মা? ‘কবুল’ বল, সবাই শুনতে চাইছে তো।”

“আমি পানি খাবো।”

.
.
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here