নীরবে তুমি রবে পর্ব -১৬

#নীরবে_তুমি_রবে
লেখনীতেঃ রিধিমা জান্নাত রূপা
পর্বঃ ১৬

.
“আর কতক্ষণ? এবার তো ছাড়ো।”

তাসফি’র বলা কথার জবাবে নড়লো না রূপা, আর না উত্তর দিলো। একই ভাবে জড়িয়ে রাখলো তাসফি’কে। হয়তো তার কথাটা কানেই গেল না রূপা’র। হাসলো তাসফি। এই মেয়েটা যে ঠিক কতটা পাগল, সেটা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে এই দুটো দিনে। তার খেয়াল রাখতে গিয়ে তো কম কষ্ট পোহাতে হয় নি তাসফি কে। তবুও কেন জানি খারাপ লাগে নি তার, বিন্দু পরিমাণও বিরক্তি আসে নি রূপার প্রতি। মেয়েটাকে কাছ ছাড়া করতেও মন সায় দেয় নি। এই তো, আজকে ভার্সিটিতে যাবার জন্য রেডি হতেই অদ্ভুত এক বিষন্নতায় ঘিরে ধরেছিলো তাসফি’কে, বারংবার তার দিকে তাকিয়ে থাকা এই মেয়েটা টানছিলো তাকে, ঘর ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্যও বেরুতে মন সায় দিচ্ছিলো না। কিন্তু যে মুহুর্তে এই মেয়েটা তাকে কাছে টেনে বুকে মাথা রাখলো, ঠিক সে মুহুর্তে’ই যেন ঠান্ডা হলো তার ভেতরটা। অদ্ভুত এক শান্তির রেখা মিললো, বিষন্নতার মেঘ কেটে যেন স্বস্তি পেল। এই মেয়েটার মাঝে কি আছে ঠিক বুঝতে পারে না তাসফি, কিন্তু অনুভব করে। এই যে, তাকে প্রতিনিয়ত টানতে থাকে রূপা, নীরবে সুক্ষ ভাবে।

মাত্রই তো বিয়ের তিন’টে মাস হয়েছে তাদের, রূপার ঢাকায় এসে প্রায় দুই মাস। কিন্তু সে তো সময় চেয়েছিলো তাসফির কাছে। দুই তিন মাস না, তিন চার বছর। এর মাঝেই এতটা কাছাকাছি আসাটা কল্পনায় করে নি সে।
সুপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো তাসফি, নিজের করা ভাবনার সমাপ্তি ঘটালে। আর ভাবতে চায় না সে, আর না চায় তাদের মাঝের দূরত্ব। ঠিক এভাবেই রূপা’কে চায় সে, নীরবে খুব কাছে।

আবারও রূপাকে ডাকলো তাসফি। এবারও কোন জবাব দিলো না। বিগত পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে ঠিক এভাবেই তাকে জড়িয়ে আছে মেয়েটা। ভেবেই হাসালো তাসফি। তারও তো মোটেও ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না রূপা’কে, তবুও ছাড়তে হবে।

রূপার মাথায় সামান্য হাত বুলিয়ে দিলো তাসফি। ধীর কণ্ঠে আদুরে মাখা গলায়, “এ্যাই রুপু! এবার তো ছাড়ো, ভার্সিটিতে যেতে হবে তো।”

তাসফি’র বলা কথাটায় এবার চমকে উঠলো রূপা, চট করে সরে আসতে চাইলো তাসফির নিকট হতে। ‘রুপু’ নামটা বেশ ভালোভাবেই তার মস্তিষ্কে ধারণ করলো যেন। ভাবতে লাগলো —মানুষ’টা কি তাকেই এই নামে ডাকলো? হ্যাঁ! তাকেই তো ডাকলো।
মাথা তুলে তাসফির দিকে তাকালো রূপা। কিছু বলার আগেই তাসফি জিজ্ঞেস করে উঠলো,
“কি হলো? এমন করলে কেন হঠাৎ?”

চুপ করে রইলো না রূপা, আর না ভয় পেল তাসফি’কে হঠাৎ জড়িয়ে ধরায়। সহসায় প্রতিত্তোরে জিজ্ঞেস করে উঠলো,
“কি বললেন আপনি?”

“কি আবার? ভার্সিটিতে যেতে হবে না?”

“উহুঁ! তার আগে।”

“এই যে, আমাকে জড়িয়ে রেখে সময় নষ্ট করছিলে। ছাড়তে বললাম, আর কি।”

“এটা নয়…..”

এবার যেন কিছুটা আন্দাজ করতে পারলো তাসফি। মুহুর্তেই ঠোঁটের হাসিটা প্রসস্থ হয়ে উঠলো। দু’হাতে আলতো করে রূপার গালে রাখলো। বলে উঠলো,
“তুমি ভীষণ দুষ্ট হয়ে যাচ্ছো রুপু, সাথে বড্ড জেদি।”

“আমাকে বলছেন?”

“কেন? তুমি ছাড়া আর কেউ আছে এখানে?”

মাথা ঝাকালো রূপা, না বললো। বোঝালো —হঠাৎ এই নামে ডাকলেন কেন? সামান্য হাসলো তাসফি বলে উঠলো,

“আজকের পর অভ্যাস করে নাও।”

অবাক হলো রূপা। কিছু বলতে গিয়েও পারলো না। তাসফি’র এতটা কাছে, সজ্ঞানে তাকে জড়িয়ে ধরেও ভয়ভীতি’র রেশ নাই তার মাঝে। কিন্তু কেন? ভালোবাসার মানুষের কাছে আসলে, হুটহাট করা কান্ডে বুঝি ভয় নামক শব্দ’টা থাকে না? হবে হয়তো। নয়তো তার হঠাৎ করা কান্ডে তো বিন্দু পরিমাণও ভয় লাগলো না, বরং স্বস্তি পেল।
রূপার করা ভাবনার মাঝেই তাসফি আবারও বলে উঠলো,
“এবার সত্যিই লেট হয়ে যাচ্ছে। যেতে হবে তো।”

“লেট করবেন না কিন্তু, জলদি আসবেন।”

“আচ্ছা আসবো।”

বলেই হেঁসে উঠলো তাসফি, কিছুটা শব্দ করেই হাসলো যেন। কপাল কুঁচকে ফেললো রূপা। বলে উঠলো —এভাবে হাসার কি হলো? ঠোঁটের হাসিটা বজায় রেখেই তাসফি বলে উঠলো,
“তোমাকে আজকে বউ বউ লাগছে রূপা, একদম আমার বউ।”

রূপাও কিঞ্চিৎ হেঁসে উঠলো, লজ্জাও পেল কিছুটা। তাসফি তাকে ছেড়ে সরে এলো। গায়ের শার্ট’টা ঠিক করে নিয়ে মোবাইল ও ওয়ালেট পকেটে ঢুকালো। আসছি বলে বেড়িয়ে যেতে গিয়েও থেমে গেল, এগিয়ে এলো রূপার কাছে। রূপা তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলেই বলে উঠলো —একটা জিনিস ভুলে গেছি।
রূপা জিজ্ঞেস করার আগেই তার কাছে এগিয়ে এলো তাসফি। এক হাত তার গালে রেখে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো রূপার কপালে। বলে উঠলো,
“সাবধানে থাকবে। জলদি চলে আসবো।”

এদিকে স্থির হয়ে বসে রইলো রূপা। হঠাৎ কি হলো তা বুঝে উঠতেই যেন সময় লেগে গেল মেয়েটার। তাকে ছেড়ে তাসফি সরে আসলেই ঘোর কাটলো রূপার, অজান্তেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। তাসফি বেড়িয়ে যেতে গিয়েও আবারও থেমে যেতে হলো, এবার রূপা’ই থামিয়ে দিলো তাকে। ডেকে উঠলো হঠাৎই।
“শুনেন!”

“আবার কি হলো?”

“আপনাকেও আজকে বর বর লাগছে, একদম আমার বর।”

নিজের কথায় ফিরতি জবাবে সামান্য হাসলো তাসফি। মুচকি হেঁসে রূপার দিকে তাকিয়ে, “আচ্ছা রেডি থেকো। বাসায় এসে বরের অধিকার আদায় করবো কিন্তু।”

তাসফির কথায় সামান্য ভরকে গেল রূপা। খানিকটা অবাক হয়েই বলে উঠলো,
“কিইই করবেন?”

“ক্রমশ্য প্রকাশ্য!”

.
তাসফির প্রতি কিছুটা বিরক্ত’ই রূপা। তবে কোন মতোই প্রকাশ করতে চাইছে না। বসে বসে আড্ডায় মেতে উঠেছে ফুপা ফুপির সাথে, আর অদূরে সোফায় বসে থাকা তাসফি’র দিকে সামান্য পর পর তাকাচ্ছে। কোলে রাখা ল্যাপটপে দৃষ্টি তাসফি’র, মনোযোগও সম্পন্ন সেদিকে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে একইভাবে ল্যাপটপে মনোনিবেশন করেছে তাসফি। ঘড়ির কাটা এখন নয়টা পেরিয়ে দশটার কাছাকাছি। এতক্ষণ সময় নিয়ে কি এত রাজকার্য করছে সেটাই যেন বুঝতে পারছে না রূপা।

তাদের আড্ডার সমাপ্তি ঘটালো তাসফি’র বাবা তওহিদ সাহেব। টিভি’টা অফ করে দিয়ে স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,
“ক্ষুদা গেলে গেছে রেহেনা, খেতে দাও কিছু।”

“এই সময় ভাত ছাড়া আর কি খেতে দিবো? দেখছো না ছেলেটা কাজ করছে? কাজটা শেষ হোক, একসাথে দিচ্ছি।”

স্ত্রী’র কথায় বেশ বিরক্ত হলেন তওহিদ, কপাল কুঁচকে ফেললেন মুহুর্তে’ই। তাসফি’র দিকে তাকিয়ে হাঁক ছেড়ে, “তাসফি এসব রাখ এখন, পরে করিস। তুই না আসলে যে তোর মা সারারাত অনাহারে রাখবে সেটা তো জানিস।”

বলতেই যেন সামান্য চটে গেল রেহেনা। গলার আওয়াজ উঁচু করে’ই বলে উঠলো,
“এতটুকু কি সহ্য হচ্ছে না তোমার? দেখছো তো ছেলেটা কাজ করছে, সামান্য দেরি করতে পারছো না? একটু আগেই তো নাস্তা খেলে।”

হতাশার নিশ্বাস ছাড়লেন তওহিদ সাহেব, তাকালো রূপার দিকে। ফুপার অবস্থা আন্দাজ করে মুচকি হাসলো সে। ভাবতে পুরুষ মানুষ যতই শক্ত, রাগী আর কঠিন মনের হোক না কেন, ঘরের বউয়ের কাছে ঠিকই হার মানতে হয়। এই মুহুর্তে রূপারও যেন ঠিক এমন কঠিন গলায় তাসফিকে কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে এরপর তাসফির চেহারাটা।
এবার ল্যাপটপ থেকে দৃষ্টি সরালো তাসফি, তাকালো তাদের দিকে। গলা উঁচিয়ে মা ‘কে উদ্দেশ্য করে, “আমার জন্য ওয়েট করতে হবে না আম্মু, আব্বুকে খেতে দাও। আমার লেট হবে।”

বলতেই তওহিদ সাহেব তাসফি’কে বলে উঠলো,
“তোকে ছাড়া তোর মায়ের কি আমাকে চোখে পড়ে তাসফি? থাক, এরপর আর তোর মা’কে বলবো না কিছু, আমার মা আছে তো।”

বলেই রূপার দিকে তাকালেন তওহিদ সাহেব। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বলে উঠলেন,
“রূপা চল তো মা, খেতে দে আমাকে।”

“একদম আমার বউ’কে টানবে না আব্বু। তোমার বউ খেতে দিচ্ছে না বলে আমার বউকে টানবে? এটা কোথাকার নাইনসাফি?”

প্রতিবাদ করে উঠলো যেন তাসফি। কথাটা বেশ জোরেই বলতে থতমত খেল রূপা, অবাক হয়ে তাকালো তাসফি’র দিকে। তাসফি আবারও বলে উঠলো,
“এ্যাই রুপু! একদম যাবে না আব্বুর সাথে।”

পিটপিট চোখে তাকালো রূপা। ফুপার দিকে তাকাতেই কিছু একটা ইশারা করলো, সহসায় বুঝে ফেললো রূপা। কাঠকাঠ গলায় তাসফি’কে বলে উঠলো,
“কেন যাবো না? অবশ্যই যাবো। সারারাত আপনার এই ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকবেন, আর আমরা অনাহারে থাকবো? মোটেও না, আমারও ক্ষুদা পেয়েছে, আমিও খাবো। থাকেন আপনি আপনার এই ল্যাপটপ নিয়ে। ফুপা তুমি চলো তো আমার সাথে।”

বলেই তওহিদ সাহেবের হাত ধরলো রূপা। তারপর ফুপির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
“তুমি কি করবে ফুপি, তোমার এই বজ্জাত ছেলের জন্য বসে থাকবে? আমারা বাবা মেয়ে কিন্তু খেয়ে নিলাম, পরে কিছু বলতে পারবে না।”

বলেই বসার ঘর থেকে যেতে লাগলো তওহিদ সাহেব ও রূপা। ডাইনিং রুমে যেতে বেশ শব্দ করেই তওহিদ সাহেব বলে উঠলেন,
“অবশেষে আমার দল’টা ভারী হলো, আমার মা এসে পরিপূর্ণ করলো।”

তওহিদ সাহেবের কথা কানে আসতেই কিছু বলতে চাইলো রেহেনা। তবে থামিয়ে দিলো তাসফি। এতক্ষণে ল্যাপটপ রেখে উঠে এসে মায়ের সামনে দাঁড়িয়েছে। তার হাত টেনে ধরে বলে উঠলো,
“বর’কে সামলাও আম্মু, তোমার বরের নজর আমার বউয়ের প্রতি পড়েছে। নিজের বরের প্রতি একটু বেশি বেশি নজর দিয়ে আমাকে আমার বউয়ের সেবা নিতে দাও।”

“ছিঃ! তাসফি, এগুলো কি কথা?”

“রাখো তোমার কথা, চলো এখন। না জানি আমার বউ’টে কি কি বোঝাচ্ছে তোমার বর।”

বলেই মা’কে টেনে এক প্রকার টেনে নিয়ে যেতে লাগলো তাসফি। ছেলের কান্ডে হাসলো রেহেনা। রূপার প্রতি এতটা টান দেখে মোটেও অবাক নয় তিনি। তাসফি’র এত উদগ্রীব উত্তেজনা আর গত কয়েকদিনে দেখে আসছেন। এই তো, কিছুদিন আগে যখন রূপা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লো, তখন কতটাই না চিন্তিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তাসফি’র চিন্তারত মুখের দিকে তাকিয়ে তার সবটাই ভুলে বসেছিলেন তিনি। ছেলের এতটা যত্ন, কেয়ার করা দেখে খানিকটা অবাক’ই হয়েছিলেন সত্যি, তবে পরমুহূর্তেই স্বস্তি অনুভব করেছিলেন। ছেলে মেয়ে দু’টোর সম্পর্ক যে অনেকটা এগিয়েছে সেটাও বুঝতে পেরেছিলেন সেদিন, শাহানা বেগম’কেও জানিয়ে ছিলেন। তারা তো এটাই চেয়েছিলেন। ছেলে মেয়ে দু’টো এক হোক, একটু বেশি’ই সুখে থাক।

.
“সারারাত কি এটাই চলবে? ঘুমাবেন না আপনি?”

“আর একটু।”

“তখন থেকে তো এই এক কথায় শুনে চলেছি। ঘড়ি দেখেছেন? বারোটা বাজতে চললো।”

বিরক্তিমাখা কণ্ঠে বলে উঠলো রূপা। বিরক্তি’টা যেন ছাড়িয়েই গেছে তার। রাতের খাবার শেষ করে রুমে এসেছিলো তারা, তারপর আবারও ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে তাসফি। বারংবার জিজ্ঞেস করলেও রূপা’কে বলেছে ভার্সিটির কিছু কাজ আছে। এতেই মহা বিরক্ত রূপা। ল্যাপটপে দৃষ্টি রেখেই তাসফি বলে উঠলো,
“তুমি শুয়ে পড়ো, হাতের কাজ শেষ করেই আসছি আমি।”

এক দল বিষন্নতা নেমে এলো রূপার মাঝে। কিভাবে বোঝাবে সে তাসফি কে, এই মানুষ’টার বুকে মাথা না রাখলেও তো তার ঘুম হবে না। খুব বাজে ভাবেই তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে। তবে মুখ ফুটে কিছু বললো না সে, চুপচাপ এগিয়ে গেল বিছানার কাছে। এর মাঝেই তাসফি বলে উঠলো,
“লাইট অফ করে দিবো?”

“লাগবেএএ নাআআ….”

খানিকটা জোরেই বললো রূপা। গটগট করে এগিয়ে গেল বিছানায়, ওড়নার অর্ধেক’টা নিয়ে চোখের উপরে দিয়ে শুয়ে পড়লো। তাকে দেখে সুপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো তাসফি। মেয়েটার রাগ সবসময় লেগেই থাকে, মাঝে মাঝে মনে হয় তার থেকেও বেশি। সাথে জেদ’টাও। তবে ইদানীং এর মাত্রা’টা যেন বহুগুণে বেড়ে গেছে। মেয়েটা পুরোটাই আসক্ত তার প্রতি। শুধু আসক্ত’ই নয়, মেয়েটার ভালোবাসার মাত্রাও দ্বিগুণ। ভালোভাবেই বুঝতে পারে তাসফি, খুব করে অনুভব করে।
কিন্তু সে? সে নিজে কি ভালোবেসে ফেলেছে রূপাকে? নিজেকে প্রশ্ন করেও যেন উত্তর পায় না তাসফি। বিগত কিছুদিন থেকেই এই প্রশ্ন’টা তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। উত্তর’টা পেয়েও যেন পায় না, খোঁজার চেষ্টা’টাও করে না তাসফি। সে মুহুর্তে’ই যেন নিজ সত্তা’টা ভেতর থেকে বলে উঠে,

“তোমাকে ভালো না বাসলেও আমার চাই রুপু। নীরবে, আমার মন খারাপে তোমাকে আমার পাশে চাই, আমার বিষন্নতার মেঘ কেটে এক টুকরো খুশিতে তোমাকে চাই, এই তুমি’টাকেই আমার পাশে চাই। এই আমার পাশে নীরবে তুমি কি রবে, রুপু?”

.
.
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here