নীল দিগন্তে পর্ব ৯

#নীল_দিগন্তে
পর্ব-০৯
লেখা- নীলাদ্রি নীরা

ছাদে রাত্রিকে দেখে হাফ ছেড়ে বাঁচলো পুষ্প। রাত্রির সাথে একান্তে কথা বলার সুযোগই পাচ্ছে না সে। হয়তো সে ব্যস্ত নয়তো রাত্রি লাপাত্তা। রাত্রির কোনো তালগোল ঠিক নেই তা নিয়ে সোহেলী খাতুনেরও বিরক্তির শেষ নেই। সকালেও নাস্তা করার সময় পুষ্পকে বলেছেন তিনি। সারাক্ষণ রুমের দরজা বন্ধ করে রাখবে। সন্ধ্যা হলেই ছাদে দৌড় দিবে। কি অদ্ভুত একটা মেয়ে!
রাত্রি দোলনায় বসে বসে আকাশের তারা গুনছিলো। একশ সাত, একশ আট, একশ নয়…
পুষ্প রাত্রির পাশে বসে বলল,
-” আকাশে কয়টা তারা আছে রে রাত্রি?”
রাত্রি পুষ্পর দিকে না তাকিয়েই বলল,
-” ইনফিনিটি ”
পুষ্প মৃদু হেসে বলল,
-” তাহলে গুনছিস কেন?”
-” আমরা তো অনেক অর্থহীন কাজই করি। করি না?”
-” কিরকম? ”
-” কয়টা উদাহরণ দিব?”
-” দিতে হবে না। তুই নাকি থার্ড ইয়ারের এক্সামটা দিবি না?”
রাত্রি পুষ্পর দিকে তাকালো। আবার মুখ ঘুরিয়ে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
-” মা বলেছে? ”
-” যেই বলুক। কেন দিবি না?”
রাত্রি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
-” রুমা তোর কেমন ফ্রেন্ডরে পুষ্প?”
-” আমি তোকে কি জিজ্ঞেস করলাম?”
-” বল না! ”
-” ক্লাসমেট ”
-” সেটা বুঝলাম। কিন্তু ফ্রেন্ডশিপটা কিরকম ? তোদের সার্কেলে আছে নাকি ও?”
-” হ্যা”
-” বলিস কি! ওর তোর ক্লোজ ফ্রেন্ড?”
-” হ্যা। কেন?”
-” এমনি। তবে জানিস পুষ্প, মাঝেমধ্যে বেস্টফ্রেন্ড নামক অতিপ্রিয় ব্যক্তিটাও আমাদের সুন্দর জীবনে কালসাপ হয়ে যায়।”
-” হয়তো। রুমার সাথে আমি অতটাও ক্লোজ না। আলিফের ভক্ত সে। সেই হিসেবে আমাদের সার্কেলে। আর ও ওরকম না।”
রাত্রি কিছু বলল না। পুষ্প রাত্রির দিকে তাকালো। এই চঞ্চল, সারাক্ষণ ছটফট করা মেয়েটা এরকম শান্ত আর অচেনা হয়ে যাচ্ছে কেন দিন দিন? কেন আজকের রাত্রিকে খুব অপরিচিত মনে হচ্ছে? পুষ্প বলল,
-” সৌরভের সাথে তোর ব্যাপারটা কিরে রাত্রি? আমি কিন্তু প্রাঙ্কলি বলছি।”
রাত্রি হাসলো। তারপর বলল,
-” সৌরভ তোকে যা বলেছে তা সবটা সত্যি।”
-” মানে? তুই জানলি কি করে?”
-” ওর সাথে আমার কথা হয়েছে।”
-” কবে? ”
-” যখনই হোক না কেন। কথা হয়েছে। আর আমি আগে থেকেই জানতাম ও তোকে সবটা বলবে।”
-” ভালোই তো। তাহলে এত ড্রামা করছিলি কেন ওর সাথে? ”
-” আমি তোর সাথে এসব নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না পুষ্প। ”
পুষ্প সজোরে রাত্রির গালে চড় মারলো। চিৎকার করে বলল,
-” নিজেকে কি তোর হিরোইন মনে হয় রাত্রি? কি শুরু করেছিস তুই? লুকিয়ে লুকিয়ে একটা ছেলেকে বিয়ে করে ফেললি, তারপর জোর করে ইন্টারকোর্স, আবার এখন তাকে ত্যাগ করতে চাইছিস। কি করতে চাইছিস তুই হ্যা? লজ্জাশরম নেই। ছিহঃ ফুফু জানলে কতটা কষ্ট পাবে জানিস? আমার তো মনে হচ্ছে তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।”
একদমে কথাগুলো বলল পুষ্প। রাত্রি কাঁদছে। কাঁদুক, রাত্রিকে তো সে মাত্র একটা থাপ্পড় দিয়েছে। এরচেয়েও বড় মার ও ডিজার্ব করে। এতবড় অসভ্য ও হলো কি করে? পুষ্প আবার বলল,
-” বিয়েটা তোর কাছে কি মনে হয়? নাটক? নাকি টিস্যু যে একবার ইউজ করে ছুড়ে ফেলে দিলাম কোনটা?”
এবার মুখ খুললো রাত্রি। পুষ্পর চোখে চোখ রেখে বলল,
-” তোর কাছে কি মনে হয়? তুই নিজে বিয়েকে কি মনে করিস? নিজের বরের খবর রাখিস? তার সাথে ঠিকভাবে কথা বলিস? তাকে সময় দিস? কখনো জানতে চেয়েছিস সে কি চায়? বল তো রাজীব ভাইয়া আজকে কেন তোকে ফোন করেছিলো সন্ধ্যায়? জানতে চেয়েছিস? আগে নিজের বিয়ে বাঁচা, তারপর আমাকে শেখাতে আসবি। আমি বয়সে তোর ছোট হলেও তোর মতো এত অবুঝ না আমি! এত উদাস আর লাগামছাড়া হয়ে চললে জীবনেও তোর সংসার টিকবে না।”
পুষ্প রাত্রিকে আরেকটা চড় দিত তার আগেই রাত্রি সিড়িঘরের দিকে দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে গিয়েছে। আন্দাজে ঢিল মেরে অনেক কিছু বলে ফেলেছে ও! রাজীব পুষ্পকে ফোন করেছে সেটা ওর মনে হয়েছে মাত্র!
পুষ্প ঠায় দাড়িয়ে। রাত্রির বলা কথাগুলো হজম হচ্ছে না ওর। ও কি একবারও চেষ্টা করেছে নিজের বিয়ে বাঁচাতে? হয়তো বা না। কিভাবে চেষ্টা করবে সে! এই কয়দিনেও বিয়ে ব্যাপারটাকে ও হজম করতে পারে নি। আর রাত্রিই বা কি বলছিল যেন? বরের ফোন রিসিভ করে নি! করবে কিভাবে? রাজীব ভাইয়ার সাথে ফোনে সামনে দুই ভাবেই কথা বলতে ওর আনইজি ফীল হয়। রাজীবের জায়গায় অন্য কেউ হলেও একইরকম হত ব্যাপারটা। পুষ্প ধরেই নিয়েছিল প্রেম ভালোবাসা কখনো ওর জীবনে আসবে না। যেখানে ওর বান্ধবীরা দুই তিনটে রিলেশন ও করে ফেলেছে। তাদের শতশত ছেলে ফ্রেন্ডস! সেখানে ওর ফ্রেন্ড মাত্র সৌমিক আর আলিফ। ওদের সাথেও পুষ্প তেমন ক্লোজ না। যাস্ট দরকারি কথাবার্তা আর এখন তো সংঘটনের জন্য ওরা একসাথে কাজ করছে। পুষ্পর কোনো ছেলের দিকে তাকাতেও কেমন যেন লাগে। অসভ্যতা মনে হয় ওর। এই যে এখনও রাজীবের দিকেও ও তাকাতে পারে না। রাজীবের সাথে কথাও বলতে পারে না। একটা লজ্জাও কাজ করে। পুষ্পর চোখে জল এসে গেলো।
“রাজীব ভাইয়া কেন ফোন করেছিল? কোনো বিশেষ কারণ? আর সে কি আমার কাছে সময় পেতে চায়? চাইবেই তো সব বরেরাই বউকে কাছে পেতে চায়, পাশে পেতে চায়। সেও কি চায়? আমি কি তাকে বঞ্চিত করছি? কি করব আমি?”
পুষ্প কাঁদছে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই বৃষ্টির সাথে ধুয়ে যাচ্ছে পুষ্পর কান্না।
.
পুষ্প রুমে আসলো পুরো ভিজে চুপসে হয়ে। রাজীব ওকে দেখেই রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। পুষ্প বুঝতে পারছে রাজীব ওকে ইগনোর করছে। পুষ্প দৌড়ে গিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে রাজীবকে আটকালো। রাজীব মুখ ফিরিয়ে নিল। পুষ্প বলল,
-” সন্ধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলে কেন?”
রাজীবের ইচ্ছে হচ্ছে পুষ্পকে দুই চারটা কটু কথা শুনিয়ে দিতে। এখন এসেছে নাটক করতে! আগে তো ফোন রিসিভ করে নি। কি এমন ব্যস্ত ছিল সে? রাজীব পুষ্পর দিকে না তাকিয়েই বলল,
-” আমি কাউকে ফোন করতে যাইনি। আমার এত সময় নেই। ভুলে কল গিয়েছে।”
-” তাহলে রাত্রিকে বলেছো কেন আমি ফোন রিসিভ করি নি?”
-” ফাজলামি করবি না পুষ্প। রাত্রিকে আমি কিছুই বলি নি।”
-” রাত্রি কেন মিথ্যে বলবে? ”
রাজীব রুমের দরজাটা বন্ধ করল। সে চায় না এসব কথাবার্তা বাসার অন্যকেউ জানুক। সে পুষ্পর থুতনিতে চেপে ধরে বলল,
-” সমস্যা কি তোর? ”
পুষ্প কোনো মতে বলল,
-” ছাড়ো”
-” কেন? আমার স্পর্শ ভালো লাগে না? রেস্টুরেন্টে বসে পরপুরুষের সাথে আইসক্রিম খেতে ভালো লাগে? ইউনিভার্সিটির ছেলে ফ্রেন্ড কি যেন নাম? আলিফ! তার সাথে ডলাডলি করতে খুব ভালো লাগে তাই না? ”
পুষ্প চুপ। রাজীব আবার বলল,
-” তোর যখন স্বামী, সংসার ভালো লাগে না। বিয়ে করলি কেন? বাহিরে অসভ্যতা করে বেড়াতে এতই ভালো লাগে তাহলে আমাকে বিয়ে করেছিস কেন? বল?”
রাজীব পুষ্পর উত্তরের অপেক্ষা না করেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল। পুরো ব্যাপারটা পুষ্পর মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। মি. সৌরভের কথা রাজীব জানলো কি করে? আলিফের সাথে ওর নামে কে এসব বলেছে? কে? পুষ্প কিছুই বুঝতে পারল না।
.
জাহানারা একবার পুষ্পকে ডেকে পাঠালেন। জাহানারার ইদানিং শরীর পুরো খারাপ যাচ্ছে। পুষ্প মায়ের পাশে বসলো। জাহানারা পুষ্পকে দেখে বললেন,
-” আমাকে তুই তোর নানুর বাড়িতে রেখে আসবি পুষ্প?”
পুষ্প অবাক হয়ে বলল,
-” হঠাৎ নানুরবাড়ি যাবে কেন মা?”
জাহানারা খিটখিট করে বললেন,
-” এত নাটক আর দেখতে চাই না আমি বুঝছস? তোর বাপটাও এসআই ছিল। রাজীবও এসপি হইছে। ভাতিজা তো চাচার মতোই কাজ করবে। তোর অধঃপতন তুই দেখ। আমাকে তুই আমার বাপ ভাইয়ের কাছে রেখে আয়।”
নিজের অজান্তেই পুষ্প হেসে ফেললো। রাজীব ভাইয়া তারমানে বিসিএসের ভাইবায় টিকেছে! অবশ্য সে যত পরিশ্রম করেছে তা তো সে ডিজার্ব করেই। পুষ্প শিওর হলো এজন্যই রাজীব তাকে ফোন করেছে। আর এজন্যই রাত্রি এটা বলেছে। আচ্ছা রাজীব ভাইয়া তো পুলিশ সুপার হয়েছে, এখন কি সে রাগ ঝাড়বে শ্যুট করে? ওহ মাই গড! পুলিশ প্রশাসনের ওদের তো নিজ জেলায় পোস্টিং হয় না। রাজীবের কোর্স ট্রেনিং কোথায়? পোস্টিং কোথায় হবে? আর সে এত পেট পাতলা কেন? রাত্রিকে কেন সব বলে দেয়? আবার কেমন অস্বীকার ও করছে! আবার সে ওকে সন্দেহও করছে! আশ্চর্য! পুষ্প কথাগুলো ভাবছিলো আর আনমনে হাসছিল। জাহানারা তা লক্ষ্য করে মেজাজ দেখিয়ে বললেন,
-” বেশরমের মতো হাসছিস কেন? জামাইর জন্য খুব খুশি না? অসভ্য মেয়ে।”
পুষ্প বলল,
-” তুমি কবে যাবে?”
জাহানারা বললেন,
-” আমি যেতে বললেই তুই নিয়ে যাবি? কেমন মেয়ে তুই? আমি কি তোর সংসারে বোঝা হয়ে গেছি?”
-” তুমি ভুল বুঝছ মা। আমি এরকম ভাবিনি।”
-” বের হ তুই এই ঘর থেকে। দূরে যা। যা শয়তানের ছানা।”
জাহানারা মনে মনে বললেন, তোর জীবনটা যেন আমার মতো কখনও না হয়। আমার মতো অসহায় তুই হবি না।
পুষ্প মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে এলো। প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করছে ওর। সোহেলী খাতুন পুষ্পকে দেখে বললেন।
-” তোর কি শরীর খারাপ নাকি? চোখ লাল হয়ে আছে যে? জ্বর এসেছে। দেখি!”
সোহেলী খাতুন পুষ্পর কপালে হাত দিয়ে আৎকে উঠলেন। পুষ্পর গায়ে প্রচন্ড জ্বর। তিনি বললেন,
-” আল্লাহ এত জ্বর কখন হলো? আয় রুমে এসে শুয়ে থাক। একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিবি।”
পুষ্পর মনে হলো সত্যি ওর জ্বর গায়ে। এতক্ষণ তো ও বুঝতে পারে নি। এখন মনে হচ্ছে ও দাড়াতেই পারবে না, মাথাঘুড়ে পড়ে যাবে। পুষ্প পা বাড়ালো নিজের রুমের দিকে। রাজীব ল্যাপটপে রিজয়েন লেটার টাইপ করছে। কালকেই তার দেড় বছর ব্যাংকে চাকুরীর শেষ দিন।
.

রাত্রি সৌরভকে ফোন করলো। প্রায় সাথে সাথেই রিসিভ করেই সৌরভ বলল,
-” কেন ফোন করেছ?”
রাত্রি বলল,
-” তানিয়া হক কেমন আছে সৌরভ? ”
-” থাপ্পড় মেরে সব দাত ফেলে দিব বুঝেছ?”
-” উহু বুঝি নি। তোমার প্রেমিকা কলিগের খবর বলো বেইবি!”
-” দিস ইস টু মাচ রাত্রি। ও আমার যাস্ট কলিগ, নাথিং এলস”
-” রুমা মেয়েটার খবর কি পেলে? ”
-” আমি কারো খবর নিতে পারব না। আমার খবর কে নেয়?”
-” ওই যে তানিয়া হক”
সৌরভ ফোন রেখে দিলো। সে জানে রাত্রি আবার ফোন করবে। এই পাজি মেয়েটা তাকে এমন দাবার গুটির মত চালছে। মেয়েটাকে শাস্তি দেয়াই লাগবে। রাত্রি ফোন করল না। সৌরভ অপেক্ষা করতে করতে নিজেই ফোন করল। রাত্রি কেটে দিল। সৌরভ টেক্সট করল। রুমার খবর নিয়েছি। রাত্রি সাথেসাথেই ফোন করল।
রাত্রিকে কিছু বলতে না দিয়েই সৌরভ বলল,
-” নিজের বোনের জন্য আমার সাথে আবার যোগাযোগ শুরু করলে? ইজ ইট ইউ রাত্রি? চিনতেও কষ্ট হচ্ছে তোমাকে। ”
রাত্রি বলল,
-” পুষ্পর জন্য যোগাযোগ করলাম কে বলল? যোগাযোগ তো করলাম রহস্য উদঘাটনের জন্য”
-” তুমি পাগল হয়ে গিয়েছ রাত্রি”
-” তার জন্য দায়ী তুমি। তানিয়া হক ও দায়ী ”
-” আমি যদি কখনো প্রমাণ করতে পারি যে তোমার ধারণা ভুল তাহলে কি তুমি আমার কাছে ফিরে আসবে?”
-” প্রমাণ করতে পারলে তো আসব। সে তো তোমার টুট টুট টুট।”
-” রাত্রি মুখে লাগাম দাও প্লিজ। মনগড়া আর কত গল্প বানাবে?”
-” আচ্ছা বানাবো না। সরি। এবার রুমার গল্প বল।”
-” ছোট একটা সরির বিনিময়ে তুমি আমার লাইফে ফিরে এলেও সমস্যা ছিল না রাত্রি।”
-” আসতেও তো পারি। তারচেয়ে বড় কথা, ফর গড সেক তুমি রুমার কেসটা আমাকে প্লিজ বল। এই মেয়ে তোমাকে সন্দেহের বশে পুষ্প সম্পর্কে বানিয়ে বানিয়ে বলেছে। আমি শিওর ও পুষ্পর সংসার ভাঙবে। আমি চাই না ও আমার কাজিনদের সংসার ভাঙুক।”
সৌরভ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
-” রুমা সম্পর্কে আমি তোমাকে যা বলেছি এতটুকুর বাহিরে শুধু জানতে পেরেছি রুমা আলিফকে ভালোবাসে আর আলিফ পছন্দ করে পুষ্পকে। যদিও পুষ্পর বিয়ে হয়েছে সেটা আমার থেকেই রুমা জেনেছিল। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় রুমা রাজীবকে চেনে। আমি জানি না কিভাবে! আমি যাস্ট ওর সাথে মীট করে বললাম যে, পুষ্প সম্পর্কে আমার আমার ওয়াইফ এর বড় বোন। ও এগুলো বিশ্বাস করেছে এবং পুষ্পর বিয়ে হয়েছে সেটাও বিশ্বাস করেছে। কিন্তু পুষ্পর হাজবেন্ড রাজীব এটা শুনে মেয়েটা একদম হকচকিয়ে গিয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে জানলাম, ও নাকি জানতো যে রাজীব পুষ্পর কাজিন।”
-” ওহ মাই গড! ও কি আলিফ এর কাছ থেকে পাত্তা না পেয়ে এসব করছে? ”
-” তাই তো মনে হচ্ছে!”
রাত্রি মনে মনে পুষ্পকে গালি দিলো। কিসব আজেবাজে মেন্টালিটির মেয়েদের সাথে চলাফেরা করে যে ওর সম্পর্কে মিথ্যে বলতেও দ্বিধাবোধ করে না। নিজের প্রতি এত বেখেয়াল কেন পুষ্প আশ্চর্য! এত সহজভাবে নেয় কেন সব? রাত্রি ফোন রেখে দিল। সৌরভের সাথে আপাতত আবার কন্টাক্ট অফ রাখবে সে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here